Ajker Patrika

রিকশাচালক হত্যা: সাবেক রেলমন্ত্রী ৩ দিনের রিমান্ডে

পঞ্চগড় প্রতিনিধি 
পঞ্চগড় আদালতে সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা
পঞ্চগড় আদালতে সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা

পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া রিকশাচালক হত্যা ও তাঁর লাশ গুমের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে পঞ্চগড় আদালতে জামিন ও রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদা আকতার এ নির্দেশ দেন। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আদম সুফি আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত বছর ২ ডিসেম্বর নূরুল ইসলাম ওই মামলায় পঞ্চগড় আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। বিচারক আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পঞ্চগড় থানার উপপরিদর্শক মানিক মিয়া তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পিপি আদম সুফি বলেন, পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। বিজ্ঞ আদালত শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলাটি রহস্যাবৃত, এখনো ভুক্তভোগীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য আসামির রিমান্ড প্রয়োজন ছিল।

গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর যাত্রাবাড়ী থানার একটি মামলায় শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল থেকে সাবেক মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে পঞ্চগড় জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে অংশ নেন রিকশাচালক আল আমিন (২১)। সেদিন দুপুরে দুই তরুণের সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাকিবের বাড়ির সামনে তাঁকে আটক করেন মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কয়েকজন।

পরে আওয়ামী লীগের নেতাদের নির্দেশে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয়। তাঁকে টেনেহিঁচড়ে ছাত্রলীগ নেতা সাদমান সাকিবের বাড়ির দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় আল আমিনের সঙ্গে থাকা রায়হানুল ইসলাম ও সুজন ইসলাম নামের দুই তরুণ আহত হন। তবে তাঁদের দুজনকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করলেও আল আমিনকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, ১৪ আগস্ট পরিবারের পক্ষ থেকে পঞ্চগড় সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এ ঘটনায় আল আমিনের বাবা মনু মিয়া গত ১০ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক রেলমন্ত্রী সুজনসহ ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা ও গুমের মামলা করেন। এ মামলায় আরও ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত