কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককের ব্যাগে থাকা সিলিকা জেলের প্যাকেটকে মাদক দাবি করে তাঁকে হেনস্তা করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁকে হাতকড়া পরানো হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এ নিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই শিক্ষক। একই সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবর অভিযোগের অনুলিপি দেওয়া হয়।
গতকাল সোমবার উপজেলার সদর ইউনিয়নের খাটিয়ামারি-বামনের চর সড়কের বাঁশের সেতুসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন ওসি, জড়িত এসআইসহ অন্যরা। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মইনুল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
পুলিশের হয়রানির শিকার ওই শিক্ষকের নাম নজরুল ইসলাম। তিনি উপজেলার বেকরীবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত। তাঁর বাড়ি যাদুরচর ইউনিয়নের গোলাবাড়ি গ্রামে।
অভিযোগপত্রে নজরুল উল্লেখ করেন, সোমবার রৌমারী সদরের বামনের চর গ্রামে বোনের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে বাঁশের ব্রিজের কাছে সাদাপোশাকের কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাঁর পথরোধ করেন। নিজের পরিচয় দিয়ে চলে যাওয়ার সময় সামান্য দূরত্বে তিন পুলিশ সদস্য আবার পথরোধ করেন। তাঁদের সেকেন্ড অফিসার না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন।
এরপর পেছনে থাকা আরও তিন পুলিশ সদস্য সঙ্গে থাকা ল্যাপটপের ব্যাগ তল্লাশি করেন। এ সময় একটি ফ্রিজিং তরকারির প্যাকেট এবং একটি সিলিকা জেলের প্যাকেট পান। ল্যাপটপের ব্যাগ হওয়ায় সেখানে সিলিকা জেলের প্যাকেটটি ছিল। কিন্তু সেটা তিনি জানতেন না। সেটি তাঁরা মাদকের প্যাকেট দাবি করে সঙ্গে সঙ্গে হাতকড়া পরান। সবার সামনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।
নজরুল বলেন, ‘এর মধ্যে পুলিশ সদস্যরা থানায় ফোন দিয়ে আমাকে নেওয়ার জন্য গাড়ি ডাকেন। উপস্থিত লোকজনের সামনে পরিচয় দিয়ে নিজেকে নির্দোষ এবং মাদকের সঙ্গে জড়িত নই বলে দাবি করতে থাকি। সকলের সামনে প্যাকেটটি খোলার দাবি জানাই। তখন সেখানে থাকা থানার সেকেন্ড অফিসার প্যাকেটটি খোলেন। সিলিকা জেল নিশ্চিত হয়ে আমার হাতকড়া খুলে দিয়ে চলে যেতে বলেন। কিন্তু ততক্ষণে আমার যতটা সম্মানহানি হওয়ার হয়ে যায়।’
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া থানার সেকেন্ড অফিসার ও এসআই শাহাদত হোসেন অভিযানে থাকার কথা স্বীকার করলেও শিক্ষককে হাতকড়া পরানোর প্রশ্নে ওসির সঙ্গে কথা বলতে অনুরোধ করেন।
এদিকে শিক্ষকের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আজ মঙ্গলবার বিকেলে ইউএনওর কার্যালয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষককে নিয়ে বৈঠকে বসেন ভারপ্রাপ্ত ইউএনও, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, ওসি ও দুই এসআই। বৈঠকে ওসি ও এসআই শাহাদত ঘটনার জন্য ওই শিক্ষকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।
শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছে। বিষয়টি হয়তো মিটে গেছে। কিন্তু আর কোনো শিক্ষক কিংবা নাগরিকদের যেন এভাবে হেনস্তা করা না হয়।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মইনুল হোসেন বলেন, ‘পুলিশ বলেছে তাদের সোর্স ভুল তথ্য দিয়েছিল বলে এমন ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছে। ইউএনও স্যারের উপস্থিতিতে বিষয়টি সমাধান হয়েছে।’
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও রাসেল দিও বলেন, ‘ভুলবোঝাবুঝির কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ দুঃখ প্রকাশ করেছে।’
এ বিষয়ে রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককের ব্যাগে থাকা সিলিকা জেলের প্যাকেটকে মাদক দাবি করে তাঁকে হেনস্তা করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁকে হাতকড়া পরানো হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এ নিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই শিক্ষক। একই সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবর অভিযোগের অনুলিপি দেওয়া হয়।
গতকাল সোমবার উপজেলার সদর ইউনিয়নের খাটিয়ামারি-বামনের চর সড়কের বাঁশের সেতুসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন ওসি, জড়িত এসআইসহ অন্যরা। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মইনুল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
পুলিশের হয়রানির শিকার ওই শিক্ষকের নাম নজরুল ইসলাম। তিনি উপজেলার বেকরীবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত। তাঁর বাড়ি যাদুরচর ইউনিয়নের গোলাবাড়ি গ্রামে।
অভিযোগপত্রে নজরুল উল্লেখ করেন, সোমবার রৌমারী সদরের বামনের চর গ্রামে বোনের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে বাঁশের ব্রিজের কাছে সাদাপোশাকের কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাঁর পথরোধ করেন। নিজের পরিচয় দিয়ে চলে যাওয়ার সময় সামান্য দূরত্বে তিন পুলিশ সদস্য আবার পথরোধ করেন। তাঁদের সেকেন্ড অফিসার না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন।
এরপর পেছনে থাকা আরও তিন পুলিশ সদস্য সঙ্গে থাকা ল্যাপটপের ব্যাগ তল্লাশি করেন। এ সময় একটি ফ্রিজিং তরকারির প্যাকেট এবং একটি সিলিকা জেলের প্যাকেট পান। ল্যাপটপের ব্যাগ হওয়ায় সেখানে সিলিকা জেলের প্যাকেটটি ছিল। কিন্তু সেটা তিনি জানতেন না। সেটি তাঁরা মাদকের প্যাকেট দাবি করে সঙ্গে সঙ্গে হাতকড়া পরান। সবার সামনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।
নজরুল বলেন, ‘এর মধ্যে পুলিশ সদস্যরা থানায় ফোন দিয়ে আমাকে নেওয়ার জন্য গাড়ি ডাকেন। উপস্থিত লোকজনের সামনে পরিচয় দিয়ে নিজেকে নির্দোষ এবং মাদকের সঙ্গে জড়িত নই বলে দাবি করতে থাকি। সকলের সামনে প্যাকেটটি খোলার দাবি জানাই। তখন সেখানে থাকা থানার সেকেন্ড অফিসার প্যাকেটটি খোলেন। সিলিকা জেল নিশ্চিত হয়ে আমার হাতকড়া খুলে দিয়ে চলে যেতে বলেন। কিন্তু ততক্ষণে আমার যতটা সম্মানহানি হওয়ার হয়ে যায়।’
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া থানার সেকেন্ড অফিসার ও এসআই শাহাদত হোসেন অভিযানে থাকার কথা স্বীকার করলেও শিক্ষককে হাতকড়া পরানোর প্রশ্নে ওসির সঙ্গে কথা বলতে অনুরোধ করেন।
এদিকে শিক্ষকের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আজ মঙ্গলবার বিকেলে ইউএনওর কার্যালয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষককে নিয়ে বৈঠকে বসেন ভারপ্রাপ্ত ইউএনও, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, ওসি ও দুই এসআই। বৈঠকে ওসি ও এসআই শাহাদত ঘটনার জন্য ওই শিক্ষকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।
শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছে। বিষয়টি হয়তো মিটে গেছে। কিন্তু আর কোনো শিক্ষক কিংবা নাগরিকদের যেন এভাবে হেনস্তা করা না হয়।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মইনুল হোসেন বলেন, ‘পুলিশ বলেছে তাদের সোর্স ভুল তথ্য দিয়েছিল বলে এমন ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছে। ইউএনও স্যারের উপস্থিতিতে বিষয়টি সমাধান হয়েছে।’
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও রাসেল দিও বলেন, ‘ভুলবোঝাবুঝির কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ দুঃখ প্রকাশ করেছে।’
এ বিষয়ে রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
০৭ নভেম্বর ২০২৪