প্রথম স্ত্রীর দেনমোহর শোধ না করেই দ্বিতীয় বিয়ে, বরযাত্রীর ওপর হামলা

পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ২০: ৪১
Thumbnail image

বিবাহবিচ্ছেদের পর দেনমোহর পরিশোধ না করেই দ্বিতীয় বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন শফিকুল ইসলাম (২৫)। পথে সাবেক স্ত্রী পারভীন খাতুনের (২০) লোকজনের হামলা-মারধরে আহত হয়েছেন বরসহ তিন বরযাত্রী। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

সাদুল্লাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ফকিরপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম পাসার মেয়ে পারভীন খাতুনের সঙ্গে রসুলপুর (মধ্যপাড়া) গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে শফিকুল ইসলামের বিয়ে হয়। এতে দেনমোহর ধরা হয় ৪ লাখ টাকা। তাঁদের দাম্পত্য জীবন প্রায় আড়াই বছর পার হওয়ার পর প্রায় তিন মাস আগে শফিকুল ইসলাম পারভীনকে তালাক দেন। তবে তালাক দেওয়া হলেও ওই দেনমোহরের টাকা শফিকুল পরিশোধ করেননি। এরই একপর্যায়ে জামালপুর ইউনিয়নের পাতিল্যাকুড়া-চকদাড়িয়া (উত্তরপাড়া) গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে ঠিকঠাক হয় শফিকুলের। 

শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে শফিকুল ইসলাম বরযাত্রী নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করতে মাইক্রোবাসে চেপে রওনা হন। পথে ফকিরপাড়া এলাকায় সাবেক স্ত্রী পারভীন ও তাঁর লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করেন। এ সময় শফিকুলসহ বরযাত্রীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে মারপিট করা হয়। এতে বরসহ অন্তত তিনজন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শফিকুলকে উদ্ধার করে থানা নিয়ে যায়। 

বরসহ অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে অন্যদের নাম জানা যায়নি।

এ ব্যাপারে পারভীন খাতুন বলেন, ‘শফিকুল ইসলাম আমাকে বিয়ে করে আড়াই বছর সংসার করার পর তালাক দিয়েছে। এই তালাকের প্রায় তিন মাস হলেও আমার দেনমোহরের টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। এই টাকা না দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করতে যাওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।’

রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ছাপের আলী বলেন, ‘সাবেক স্ত্রী পারভীন তাঁর দেনমোহরের দাবিতে শফিকুলের পথ রোধ করেন এবং এ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটান।’

গতকাল রাতেই জামালপুর ইউনিয়নের পাতিল্যাকুড়া-চকদাড়িয়া (উত্তরপাড়া) গ্রামে রিমি বেগমের সঙ্গে শফিকুল ইসলামের দ্বিতীয় সম্পন্ন হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কনের বাবা রবিউল ইসলাম।

সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজ উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, রাতে উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার পরামর্শ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত