Ajker Patrika

এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি: সেট করো তোমার SMART গোল

আলভী আহমেদ
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

দরজায় কড়া নাড়ছে এসএসসি পরীক্ষা। পরীক্ষার পূর্বপ্রস্তুতিতে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা অত্যন্ত জরুরি। বলা হয়, একটি সুচিন্তিত পরিকল্পনাই কাজের অর্ধেক। আজ আমরা জানব, কীভাবে এসএসসি পরীক্ষার জন্য একটি SMART পরিকল্পনা করা যায়। কেবল পরীক্ষার জন্যই নয়, যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজের আগে SMART গোল সেট করলে সম্পূর্ণ পরিকল্পনাটিই অনেক ফলপ্রসূ হয়।

SMART-এর পূর্ণরূপ হচ্ছে: S = Specific (সুনির্দিষ্ট), M = Measurable (পরিমাপযোগ্য), A = Actionable (কার্যকরী), R = Realistic (বাস্তবধর্মী), T = Timely (নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে)।

চলো আজকে আমরা ধাপে ধাপে একটি SMART গোল সেট করে নিই:

১। Specific (সুনির্দিষ্ট)

একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। যেমন—

অস্পষ্ট লক্ষ্য: আমার গণিতের প্রস্তুতি নিতে হবে।

সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য: আমি গণিতের ১৪টি অধ্যায়ের মধ্যে প্রতিদিন একটি অধ্যায়ের সমস্যা সমাধান করব এবং সূত্রগুলো রিভিশন করব।

২। Measurable (পরিমাপযোগ্য)

সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যটি এমনভাবে সেট করতে হবে, যাতে করে তুমি বুঝতে পার ঠিক কতটুকু অগ্রগতি হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ—

অপরিমাপযোগ্য লক্ষ্য: আমি গণিতের মডেল টেস্ট দেব।

পরিমাপযোগ্য লক্ষ্য: আমি প্রতিদিন ১টি অধ্যায় শেষ করার পাশাপাশি, প্রতি সপ্তাহে ১টি মডেল টেস্ট দেওয়ার মাধ্যমে প্রস্তুতি ট্র্যাক করতে পারব।

৩। Actionable (কার্যকরী)

একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণ করতে কী কী কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে সেটা ঠিক করা আবশ্যক। উদাহরণস্বরূপ—

অকার্যকরী লক্ষ্য: আমার গণিতের সিলেবাস শেষ করা আছে, একবার দেখে নিলেই হবে।

কার্যকর লক্ষ্য: আমি প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত গণিতের ১টি অধ্যায় পড়ব, ১০টি গাণিতিক সমস্যা সমাধান করব। সূত্রসমূহ নোট করব এবং সপ্তাহ শেষে মডেল টেস্ট দেব।

৪। Realistic (বাস্তবধর্মী)

লক্ষ্য ঠিক করার সময় সুনির্দিষ্ট, পরিমাপযোগ্য, কার্যকরী হওয়ার পাশাপাশি আরেকটা ব্যাপারে খেয়াল রাখা জরুরি। লক্ষ্যটি যেন বাস্তবধর্মী হয়। যেমন—

অবাস্তব লক্ষ্য: আমি আজকেই গণিতের ৫টি অধ্যায় শেষ করব।

বাস্তবধর্মী লক্ষ্য: আমার পড়ার রুটিন, মোট অধ্যায় সংখ্যার সঙ্গে প্রতিদিনে গণিতের জন্য বরাদ্দ সময় বিবেচনা করে দেখছি, এই লক্ষ্যটি পূরণ করা সম্ভব।

৫। Timely (নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে)

আমরা SMART গোল সেট করার শেষদিকে চলে এসেছি। SMART গোলের জন্য সর্বশেষ যেটি প্রয়োজন, সেটি হচ্ছে একটি নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে শেষ করার জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করা। উদাহরণস্বরূপ—

সময়সীমা ছাড়া লক্ষ্য: পরীক্ষার আগে আমার গণিতের প্রস্তুতি নেওয়া শেষ হয়ে যাবে।

নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে লক্ষ্য: আমার গণিতের সম্পূর্ণ প্রস্তুতির জন্য ২ সপ্তাহের পরিকল্পনা করেছি।

অভিনন্দন! আমরা ধাপে ধাপে SMART গোল সেট করা শিখে ফেলেছি। এবার এক লাইনের একটি SMART গোল কীভাবে সেট করা যেতে পারে, চলো সেটা দেখে নিই।

SMART গোল

‘আমি আগামী ২ সপ্তাহে গণিতের মোট ১৪টি অধ্যায়ের প্রতিদিন সকাল ৯-১১টা পর্যন্ত ১টি করে অধ্যায় পড়ব, ১০টি গাণিতিক সমস্যা সমাধান করব, সূত্রগুলো লিখব এবং সপ্তাহ শেষে মডেল টেস্ট দেওয়ার মাধ্যমে এসএসসি গণিতের প্রস্তুতি সম্পন্ন করব।’ পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার

জন্য এমন লক্ষ্য নির্ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর SMART গোল নির্ধারণ করার মাধ্যমে পরীক্ষার পূর্বের সময়টাতে পড়াশোনা আরও গোছানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত