নূসরাত জাহান নিশা
ফোনটা তো দিন দিন স্মার্ট হচ্ছে, পড়াশোনাটা হচ্ছে তো? কীভাবে কিছু পড়লে বা শিখলে সেটা মনে থাকবে অনেক দিন এবং সেখান থেকে নতুন কিছু কী করে নিয়ে আসবে তা নিয়ে আছে বিস্তর গবেষণা। তাই পাঠ্যবইটাকে তোতাপাখির মতো আওড়ে গেলেই যে তুমি ভালো ছাত্র হয়ে যাবে, ব্যাপারটা মোটেও তা নয়।
ভুলে যেতে দাও
মনোবিজ্ঞানীরা শেখার বিষয়টাকে তুলনা করেছেন একটা পানিভর্তি বালতির সঙ্গে। যার নিচে ছোট একটা ফুটো আছে—মানে ওটা দিয়ে লিক করে পানি বের হয়ে যাবে। বুঝতেই পারছ, এই পানিটা হলো স্মৃতি। আমরা স্বাভাবিকভাবেই অনেক কিছু ভুলব। তবে খেয়াল রাখতে হবে ওই বালতি যাতে কখনোই খালি না হয়ে যায়, মানে সব সময়ই কিছু না কিছু ‘পানি’ তাতে ঢালতে হবে। একসঙ্গে বেশি পানিও ঢালা যাবে না আবার দীর্ঘ সময় পানি না ঢেলেও থাকা যাবে না। বালতি তথা মগজটা অনেকটা খালি হয়ে গেলেই বিপদ। তখন তড়িঘড়ি করে একগাদা পড়া ঢালতে গেলে দেখা যাবে সেটাও ‘ঘোলা’ হয়ে আসছে। মোদ্দাকথা, পড়াশোনাটাকে ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ভাগ করে পড়বে। পুরোনো পড়া মাঝে মাঝে আবার পড়বে, আবার প্রতিদিন নতুন কিছুও পড়বে। এতে করে কাজের জিনিসগুলো মনে থাকবে বেশি। আর অপ্রয়োজনীয় লাইনগুলো ভুলে গেলেও তেমন একটা সমস্যা হবে না।
অনুশীলন করো
বাদ্যযন্ত্র বাদক থেকে ক্রিকেটারের দিকে তাকাও, সবাই কী করে? মুখস্থ করেই বাজাতে বসে গিটার? মুখস্থ করেই কি ব্যাট-বল হাতে নেমে যায় বিশ্বকাপের মাঠে? যা পড়বে, তা কোনোভাবে অনুশীলন করো। দরকার হলে খাতায় ডুডল এঁকে এঁকে পড়তে থাকো কোষ বিভাজনের প্রক্রিয়া কিংবা পরমাণুর কক্ষপথে থাকা ইলেকট্রনের সংখ্যা। এটাও একধরনের অনুশীলন। অঙ্কের বেলায়ও তাই। সূত্রটাকে খাতায় লিখে মাপতে বসে যাও নিজের পড়ার টেবিলটার ক্ষেত্রফল।
বারবার পড়ে কী লাভ?
শার্লক হোমসের বইগুলো প্রতিটি এক শবার করে পড়লে কি তুমি ভালো গোয়েন্দা হয়ে যাবে? তখন দেখা যাবে তুমি শুধু সেই মিলগুলোই খোঁজার চেষ্টা করবে, যেগুলো তুমি পড়েছ। নিজের মতো করে পর্যবেক্ষণ বা সমস্যা সমাধানের দক্ষতা তখনই আসবে, যখন তুমি একটা কিছু পড়ে সেটা বুঝে নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করা বা নতুন কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবে। লবণ পানির ইলেকট্রোলাইসিস পরীক্ষাটা করতে গিয়ে যদি তোমার মনে প্রশ্ন জাগে, লবণের বদলে চিনি বা গুড় মিশিয়ে পরীক্ষাটা করলে কী ঘটবে? যেটা ঘটবে, সেটা কেন ঘটবে? তবেই ধরে নেওয়া যায় তোমার পড়াটা স্মার্ট হচ্ছে।
নিজেই পরীক্ষা দাও
পরীক্ষা শুনলেই ভয় লাগে? নিজেই নিজের পরীক্ষা নিয়ে দেখো—ভীতি তো পালাবেই উল্টো মূল পরীক্ষাটাকে দেখবে একদম সহজ। নিজে থেকেই তৈরি করে নাও পরীক্ষার কয়েক সেট প্রশ্ন। এরপর একে একে পরীক্ষা দিতে থাকো। দরকার হলে গত কয়েক বছরের প্রশ্নপত্র দেখে প্রশ্নগুলো তৈরি করো। প্রশ্ন তৈরির দক্ষতা থাকলেও বুঝবে তোমার পড়াশোনাটা ঠিকঠাক এগোচ্ছে। এ কাজে ছোটখাটো কুইজ পরীক্ষার প্রশ্নও বানাতে পারো।
ভুল করলেই শিখতে হবে
ভুল তো হবেই। সেই ভুল থেকে শিখতে হবে। আর এই ভুল ধরা পড়বে নিজের পরীক্ষা নিজে নেওয়ার সময়। ভুলগুলোকে আলাদা করে টুকে নাও। তারপর সেটা কেন হলো, কী করলে হবে না, সেটা বের করো। দেখবে এই ভুলটাই বড় ‘শিক্ষা’ হয়ে থাকবে।
ফোনটা তো দিন দিন স্মার্ট হচ্ছে, পড়াশোনাটা হচ্ছে তো? কীভাবে কিছু পড়লে বা শিখলে সেটা মনে থাকবে অনেক দিন এবং সেখান থেকে নতুন কিছু কী করে নিয়ে আসবে তা নিয়ে আছে বিস্তর গবেষণা। তাই পাঠ্যবইটাকে তোতাপাখির মতো আওড়ে গেলেই যে তুমি ভালো ছাত্র হয়ে যাবে, ব্যাপারটা মোটেও তা নয়।
ভুলে যেতে দাও
মনোবিজ্ঞানীরা শেখার বিষয়টাকে তুলনা করেছেন একটা পানিভর্তি বালতির সঙ্গে। যার নিচে ছোট একটা ফুটো আছে—মানে ওটা দিয়ে লিক করে পানি বের হয়ে যাবে। বুঝতেই পারছ, এই পানিটা হলো স্মৃতি। আমরা স্বাভাবিকভাবেই অনেক কিছু ভুলব। তবে খেয়াল রাখতে হবে ওই বালতি যাতে কখনোই খালি না হয়ে যায়, মানে সব সময়ই কিছু না কিছু ‘পানি’ তাতে ঢালতে হবে। একসঙ্গে বেশি পানিও ঢালা যাবে না আবার দীর্ঘ সময় পানি না ঢেলেও থাকা যাবে না। বালতি তথা মগজটা অনেকটা খালি হয়ে গেলেই বিপদ। তখন তড়িঘড়ি করে একগাদা পড়া ঢালতে গেলে দেখা যাবে সেটাও ‘ঘোলা’ হয়ে আসছে। মোদ্দাকথা, পড়াশোনাটাকে ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ভাগ করে পড়বে। পুরোনো পড়া মাঝে মাঝে আবার পড়বে, আবার প্রতিদিন নতুন কিছুও পড়বে। এতে করে কাজের জিনিসগুলো মনে থাকবে বেশি। আর অপ্রয়োজনীয় লাইনগুলো ভুলে গেলেও তেমন একটা সমস্যা হবে না।
অনুশীলন করো
বাদ্যযন্ত্র বাদক থেকে ক্রিকেটারের দিকে তাকাও, সবাই কী করে? মুখস্থ করেই বাজাতে বসে গিটার? মুখস্থ করেই কি ব্যাট-বল হাতে নেমে যায় বিশ্বকাপের মাঠে? যা পড়বে, তা কোনোভাবে অনুশীলন করো। দরকার হলে খাতায় ডুডল এঁকে এঁকে পড়তে থাকো কোষ বিভাজনের প্রক্রিয়া কিংবা পরমাণুর কক্ষপথে থাকা ইলেকট্রনের সংখ্যা। এটাও একধরনের অনুশীলন। অঙ্কের বেলায়ও তাই। সূত্রটাকে খাতায় লিখে মাপতে বসে যাও নিজের পড়ার টেবিলটার ক্ষেত্রফল।
বারবার পড়ে কী লাভ?
শার্লক হোমসের বইগুলো প্রতিটি এক শবার করে পড়লে কি তুমি ভালো গোয়েন্দা হয়ে যাবে? তখন দেখা যাবে তুমি শুধু সেই মিলগুলোই খোঁজার চেষ্টা করবে, যেগুলো তুমি পড়েছ। নিজের মতো করে পর্যবেক্ষণ বা সমস্যা সমাধানের দক্ষতা তখনই আসবে, যখন তুমি একটা কিছু পড়ে সেটা বুঝে নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করা বা নতুন কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবে। লবণ পানির ইলেকট্রোলাইসিস পরীক্ষাটা করতে গিয়ে যদি তোমার মনে প্রশ্ন জাগে, লবণের বদলে চিনি বা গুড় মিশিয়ে পরীক্ষাটা করলে কী ঘটবে? যেটা ঘটবে, সেটা কেন ঘটবে? তবেই ধরে নেওয়া যায় তোমার পড়াটা স্মার্ট হচ্ছে।
নিজেই পরীক্ষা দাও
পরীক্ষা শুনলেই ভয় লাগে? নিজেই নিজের পরীক্ষা নিয়ে দেখো—ভীতি তো পালাবেই উল্টো মূল পরীক্ষাটাকে দেখবে একদম সহজ। নিজে থেকেই তৈরি করে নাও পরীক্ষার কয়েক সেট প্রশ্ন। এরপর একে একে পরীক্ষা দিতে থাকো। দরকার হলে গত কয়েক বছরের প্রশ্নপত্র দেখে প্রশ্নগুলো তৈরি করো। প্রশ্ন তৈরির দক্ষতা থাকলেও বুঝবে তোমার পড়াশোনাটা ঠিকঠাক এগোচ্ছে। এ কাজে ছোটখাটো কুইজ পরীক্ষার প্রশ্নও বানাতে পারো।
ভুল করলেই শিখতে হবে
ভুল তো হবেই। সেই ভুল থেকে শিখতে হবে। আর এই ভুল ধরা পড়বে নিজের পরীক্ষা নিজে নেওয়ার সময়। ভুলগুলোকে আলাদা করে টুকে নাও। তারপর সেটা কেন হলো, কী করলে হবে না, সেটা বের করো। দেখবে এই ভুলটাই বড় ‘শিক্ষা’ হয়ে থাকবে।
প্রাকৃতিক নৈসর্গে ভরপুর থাইল্যান্ড প্রকৃতিপ্রেমী মেধাবীদের জন্য উচ্চশিক্ষার এক অনন্য গন্তব্য। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি বিদেশি শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তিতে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে। দেশটির এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (এআইটি) রয়েল থাই স্কলারশিপ ২০২৫ সেরকমই একটি বৃত্তি।
২ ঘণ্টা আগেছাত্রজীবনে মনোযোগ একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ গুণ। যা শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক সফলতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর যুগে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতি আসক্তি শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ভঙ্গ করার অন্যতম কারণ
২ ঘণ্টা আগেইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের মেকাট্রনিক্স ক্লাব আয়োজিত ও ইইই ডিপার্টমেন্ট পরিচালিত ‘বিয়ন্ড বাউন্ডারিস-২৪’ অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়েছে। গত শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। প্রায় ১০০ শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করেন
৯ ঘণ্টা আগেড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির তত্ত্বাবধানে আগামী ৭ ডিসেম্বর (শনিবার) ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্টের (আইসিপিসি) ঢাকা আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সাভারের ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটি ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা সম্মেলন কেন্দ্রে এই আয়োজন হবে
১৩ ঘণ্টা আগে