দক্ষ বিতার্কিক হওয়ার কৌশল

প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৭: ৪২
আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৪, ১২: ৩১

বিতর্ক বিষয়টি অনেকেই হয়তো নিছক ঝগড়া মনে করেন। তবে এটি একটি শিল্প। সেই শিল্পের দক্ষ শিল্পী তথা দক্ষ বিতার্কিক হয়ে ওঠার জন্য নানা কৌশল অনুসরণ করা খুব জরুরি। দক্ষ হয়ে ওঠার কৌশল নিয়ে লিখেছেন বিতর্কে ১৪ বার জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ও হবার্ট অ্যান্ড উইলিয়াম স্মিথ কলেজের ডিনস স্কলার শ্রেয়া ঘোষ

গবেষণা ও প্রস্তুতি
পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণা সফল বিতার্কিক হয়ে ওঠার ভিত্তি মজবুত করে। বিতর্ক শুরু করার আগে গবেষণায় নিজেকে নিমজ্জিত করুন। তথ্যের জন্য বিভিন্ন উৎস খুঁজুন এবং বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কেও বুঝতে হবে। কঠিন গবেষণা শুধু আপনার যুক্তিগুলো শক্তিশালী করবে না; বরং বিরোধী মতামতকে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করার জন্য আপনাকে সজ্জিত করে তুলবে।

শক্তিশালী যুক্তি তৈরি
বিতর্কের জন্য সুগঠিত যুক্তি তৈরি করা অপরিহার্য। বিতর্কের জন্য আগে সংগ্রহ করা তথ্যের প্রধান পয়েন্টগুলো চিহ্নিত করা শিখতে হবে। পাশাপাশি প্রমাণসহ সেই সব তথ্যের সমর্থনে পাল্টা যুক্তি দেওয়ার জন্য নিজেকে তৈরি করতে হবে। যৌক্তিক ও সংগত যুক্তি উপস্থাপন করে আপনি সহজেই নিজের অবস্থান তৈরি করতে পারবেন। এর মধ্য দিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতাতেও নিজ দলের পক্ষে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

শ্রদ্ধাশীল ও মনোযোগী হওয়া
বিতর্ক কেবল আপনার যুক্তি উপস্থাপন করার জন্য নয়, পাশাপাশি প্রতিপক্ষের উপস্থাপন করা পয়েন্ট তথা তথ্যগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। নইলে সেই তথ্যের বিপরীতে বলার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য উপস্থাপন করা কঠিন। তাই বিরোধী দলের দৃষ্টিভঙ্গিকে শ্রদ্ধা করার মধ্য দিয়ে নিজের যুক্তিগুলো উপস্থাপন করুন।
 
কার্যকর যোগাযোগ-দক্ষতা
বিতর্কে কার্যকর যোগাযোগের দক্ষতা অর্জন করা গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিতর্ক করার সময় চোখের যোগাযোগ বজায় রাখতে হবে। পাশাপাশি কথার ভাব বা গাম্ভীর্য অনুযায়ী নিজের কণ্ঠস্বর পরিবর্তন করুন এবং মূল পয়েন্টগুলোতে জোর দিন। এ ছাড়া দর্শক ও শ্রোতাদের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য প্রাসঙ্গিক অঙ্গভঙ্গিও যোগাযোগ তৈরির ক্ষেত্রে খুব কাজে দেয়।

সংযম ও সম্মান বজায় রাখা
বিতর্ক করার সময় প্রতিপক্ষ দলের প্রতি সংযত ও শ্রদ্ধাশীল থাকা গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তিগত আক্রমণ বা সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ, একটি সম্মানজনক ও পেশাদার আচরণ গড়ে তোলা বিতার্কিকের পরিপক্বতা প্রদর্শন করে। পাশাপাশি বিতার্কিক হিসেবে শ্রোতাদের চোখে বিশ্বাসযোগ্যতাও বাড়ায়।

অভিযোজন যোগ্যতা ও নমনীয়তা
সফল বিতার্কিকেরা সব সময় নতুন তথ্য জানার চেষ্টা করে এবং বিকশিত আলোচনার প্রতিক্রিয়ায় নিজেদের যুক্তি সামঞ্জস্য করে অভিযোজন যোগ্যতা প্রদর্শন করে। আর নমনীয়তা আপনাকে অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জগুলো নেতিবাচক করতে এবং আরও ভালো যুক্তি উপস্থাপন করতে সাহায্য করবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত