গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন: উদ্ভাবন ও গবেষণায় জোর বক্তাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২১: ০৯
রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে চলা বিরোধ-মীমাংসা মোকাবিলায় ব্যর্থ জাতিসংঘ পুনর্গঠনের দাবি জানান অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।

চীন ও জাপানের মতো বিশ্বের যেসব দেশ উদ্ভাবন ও গবেষণায় গুরুত্ব দিয়েছে, তারাই আজ বিশ্বের উন্নত দেশ। সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জ্ঞান সৃষ্টি ও গবেষণায় সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। জাতিগতভাবে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশেও এই উদ্ভাবন ও গবেষণার বিকল্প নেই।

আজ শনিবার (৯ নভেম্বর) গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে দুই দিনব্যাপী আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সম্মেলনে বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, একটি রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নের জন্য গবেষণা প্রয়োজন। এর মধ্য দিয়েই বড় মন তৈরি হবে, ভাবনা বড় হবে।

তিনি বলেন, গোটা বিশ্বে উৎপাদনমুখিতা বেড়েছে। কৃষি ও শিল্পসহ সব ক্ষেত্র অভাবনীয়ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি যদি বিশ্ব ও রাষ্ট্রব্যবস্থা সম্পর্কে নতুন নতুন চিন্তা-ভাবনার জন্ম হতো এবং এগুলো ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত হলে মানুষ প্রকৃত উন্নয়নের সুফল পেত।

বাংলা একাডেমির সভাপতি আরও বলেন, পৃথিবী জুড়ে চলা মতকে যেমন গ্রহণ করতে হবে, তেমনি দ্বিমতকেও অগ্রাহ্য করা যাবে না।

এসময় রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে চলা বিরোধ-মীমাংসা মোকাবিলায় ব্যর্থ জাতিসংঘ পুনর্গঠনের দাবি জানান তিনি। পাশাপাশি আন্তর্জাতিকবাদের ওপর গুরুত্বারোপ করেন অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।

গবেষণায় শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নানাভাবে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, সম্মেলনের উদ্দেশ্য শুধু একাডেমিক উৎকর্ষতা নয় বরং আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপ ও পারস্পারিক সহযোগিতার বিষয়টিও এখানে অপরিহার্য।

তিনি আরও বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জগুলো আজ বৈশ্বিক। জলবায়ু পরিবর্তন, সামাজিক ন্যায়বিচার বা ডিজিটাল রূপান্তর নিয়ে যতই চিন্তা-ভাবনা করি না কেন; সেখানে কলা ও সামাজিক বিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গিগুলো গুরুত্বপূর্ণ।

সম্মেলনের উদ্দেশ্য ও গবেষণার নানা দিক তুলে ধরে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ বলেন, ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান, নৃবিজ্ঞান ও মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগ প্রত্যেকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র্য। এর মধ্যে সমাজবিজ্ঞান বলছে, সামনে এগিয়ে যেতে শুধু টেকনোলজিই যথেষ্ট নয়; ইংরেজি বলছে, পৃথিবীর অন্যতম কঠিন কাজ সঠিকভাবে কবিতা লেখা এবং মিডিয়া কমিউনিকেশন মানুষের জীবনধারা এমনকি এই সম্মেলনের কথা সবার সামনে তুলে ধরছে।

সম্মেলনের আহ্বায়ক এবং কলা ও সামাজিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য গবেষণা অপরিহার্য। এই সম্মেলনের মাধ্যমে কিছুটা হলেও সেই চাহিদা পূরণ হবে। এ সময় সম্মেলনে জড়িত ও আগত অতিথিদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে উপস্থাপনের জন্য ৪০৬টি গবেষণাপত্র জমা পড়ে। সেখান থেকে বাছাই করা ৩০৬টি প্রবন্ধ ৬২টি সেশনে উপস্থাপিত হচ্ছে।

সম্মেলনের সমাপনী দিন রবিবার বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের (ব্যাক) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত