আনিসুল ইসলাম নাঈম

রাশেদ হোসেন রনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বদলে একসময় বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বোনা শুরু করেন তিনি। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে রনি সফলও হয়েছেন। ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন জার্মানির ইউনিভার্সিটি অব বনে। স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে পড়ছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির স্লেভারি স্টাডিজে। তাঁর সাফল্যের গল্প শুনেছেন আনিসুল ইসলাম নাঈম।
শৈশব ও পড়াশোনা
রনির জন্ম কুমিল্লার কালীবাজার ইউনিয়নের হাতীগাড়া গ্রামে। রনির প্রাথমিকের পাঠ শুরু গ্রামের হাতীগাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। কুমিল্লার গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল থেকে এসএসসি ও কুমিল্লা সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি। এরপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন।
সহশিক্ষা কার্যক্রম
পড়ালেখার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন রনি। ছেলেবেলায় ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, ভলিবলসহ গ্রামীণ খেলায় আগ্রহ ছিল তাঁর। কলেজে থাকাকালীন সামাজিক সংগঠন ‘বন্ধু সমাজ’ ও ‘হ্যান্ডস ফর হিউমিনিটি’ নামের দুটি সংগঠনের সভাপতি ছিলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি ও কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে
দায়িত্ব পালন করেন।
স্বপ্নযাত্রা
রনির স্বপ্ন ছিল ক্রিকেটার হওয়ার। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেও স্বপ্নের পিছু ছাড়েননি তিনি। ভর্তির জন্য গিয়েছিলেন ধানমন্ডির আবাহনী ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে। কিন্তু আবাসিক হলবিহীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রনির ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মাসিক খরচ ও প্র্যাকটিসের শিডিউল ঠিক রাখা কঠিন ছিল। তাই তখনই শেষ হয়ে যায় রনির ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে পড়ালেখায়ও মন বসছিল না তাঁর। নতুন ভাবনা ধরা দেয় বিদেশে উচ্চশিক্ষার। মনস্থির করেন যেকোনোভাবে হোক বিদেশ পাড়ি জমাবেন তিনি।
সিদ্ধান্ত নিলেন জার্মানিতে ব্যাচেলরের জন্য আবেদন করবেন। তিন-চার মাসের আইএলটিএস প্রিপারেশন নিয়ে স্কোর ওঠালেন ৫.৫। এরপর জার্মানিতে ব্যাচেলরের জন্য আবেদন শুরু করেন। রনির আবেদন জার্নির সাথি ছিলেন তাঁর বিভাগের বন্ধু আরিফ। তাঁর সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ড ও আইএলটিএস স্কোর ৬.০ থাকায় রনির আগেই জার্মানি থেকে অফার লেটার চলে আসে।
রনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত আমি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার না পেয়ে জার্মানির আশা ছেড়ে দিই। আরিফ চলে যায় জার্মানিতে। শেষে বাংলা বিভাগ থেকেই ব্যাচেলর শেষ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। তবে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা থেমে থাকেনি। পড়ালেখার পাশাপাশি চলে আইইএলটিএস পরীক্ষার প্রিপারেশন। পড়াশোনার খরচ জোগাড়ে পার্টটাইম চাকরি করি। নিজের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। এর মাঝেই চলত বিদেশের প্রস্তুতি।’
যেভাবে ইউনিভার্সিটি অব বনে
জার্মানিতে টিউশন ফি না থাকলেও জার্মান অ্যাম্বাসি ফেস করার প্রক্রিয়া দীর্ঘ। ২০২২ সালে জার্মান অ্যাম্বাসিতে মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে রাখেন রনি। এর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে মাস্টার্স শেষ হয় তাঁর। জার্মানিতে রনির দ্বিতীয় মাস্টার্স করার পরিকল্পনা আগে থেকে ছিল। তবে জবিতে বাংলায় পড়ার কারণে জার্মানিতে মাস্টার্সে আবেদনের জন্য রিলেটেড সাবজেক্ট পাওয়া কঠিন হয়ে ওঠে। তা ছাড়া তাঁর সিজিপিএ ছিল ২.৯৭। আবার আইইএলটিএস পরীক্ষা দিয়ে আশানুরূপ স্কোর তুলতে পারেনি।
জানতে চাইলে রনি বলেন, ‘সিজিপিএ ২.৯৭ ও আইইএলটিএস ৬.০ দিয়ে জার্মানির ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদন করি। এর মধ্যে শুধু ইউনিভার্সিটি অব বন থেকে শেষ মুহূর্তে এসে অফার লেটার পাই। পুরো আবেদন প্রক্রিয়ায় এক বড় ভাই সব সময় পাশে ছিলেন। অফার লেটার পাওয়ার পর তিনি অনেক খুশি হন। আমার তখনকার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো ছিল না।’
পাহাড়সম বাধা
বন ইউনিভার্সিটিতে চান্স পাওয়ার পর ব্লক অ্যাকাউন্টের টাকা জোগাড় নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন রনি। টিউশন ফি না থাকলেও ১১,৯০৪ ইউরো জার্মানিতে পাঠিয়ে দিতে হয়। পরবর্তী সময়ে জার্মানি পৌঁছালে ধাপে ধাপে তা ফেরত দেওয়া হয়। তবে কারও ভিসা না হলে, সেই টাকা দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ব্লক অ্যাকাউন্টের টাকার জন্য তিনি প্রথমে তাঁর পরিবারকে জানান। রনি বলেন, ‘বাড়িতে তখন লাখ খানেক টাকাও নেই। অথচ প্রয়োজন প্রায় ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এমতাবস্থায় পরিবারের জমি বিক্রির কথাও ওঠে। আম্মা আমাদের আত্মীয়দের কাছে টাকা ধার চাওয়া শুরু করেন। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও পরিচিতজনদের থেকে ধার করে শেষ পর্যন্ত টাকা জোগাড় করতে সক্ষম হই।’
তিনি বলেন, ‘আবেদনের ২৪ মাস পর ২০২৪ সালের ৩১ আগস্ট জার্মান অ্যাম্বাসি ডকুমেন্টস সাবমিট করতে বলে। কয়েক দিন পর অ্যাম্বাসিতে ইন্টারভিউর জন্য ডাক আসে। ইন্টারভিউ খুব স্বাভাবিক ছিল। সাধারণ বিষয় ছাড়া জটিল কোনো প্রশ্ন করেনি। ৩ সেপ্টেম্বর ইন্টারভিউয়ের পর ২৯ সেপ্টেম্বরে গিয়ে পাসপোর্ট কালেকশন করি এবং আলহামদুলিল্লাহ জার্মান ভিসা পাই।’
যেভাবে আবেদন
জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের আগে নিজের স্টাডি ফিল্ড-সংশ্লিষ্ট সাবজেক্ট ও বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে বের করা জরুরি। এ জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হলো DAAD.DE। এ ছাড়া mygermanuniversity ওয়েবসাইটিও রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবজেক্ট খোঁজার পর দেখতে হবে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি আবেদন করা যায়, নাকি UniAssist এর মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। UniAssist হলো একটি মাধ্যম। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ডকুমেন্টস যাচাই-বাছাই করে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন গ্রহণ করে। জার্মানিতে সামার ও উইন্টার মৌসুমে আবেদন করা যায়।
সুযোগ-সুবিধা
ইউনিভার্সিটি অব বন থেকে শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় সুবিধাটি হলো ট্রান্সপোর্টেশন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ড দিয়ে যেকোনো শিক্ষার্থী পুরো জার্মানি ঘুরতে পারবেন। শুধু বন বিশ্ববিদ্যালয় নয়, জার্মানির সব শিক্ষার্থীর জন্য এ সুযোগটি রয়েছে। তা ছাড়া জিমনেসিয়াম, খেলাধুলা কিংবা জার্মান ভাষা শেখানোসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া হয়। জার্মানিতে যেকোনো শিক্ষার্থীর পড়ালেখার পাশাপাশি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজের সুযোগ রয়েছে।
নতুনদের পরামর্শ
ইউনিভার্সিটি অব বনে পড়াশোনা করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ভালোভাবে রিসার্চ করতে হবে। নিজের স্টাডি ফিল্ডের সঙ্গে মিল আছে এমন কোনো সাবজেক্ট পেলে সে সাবজেক্টে পড়তে হলে কী কী শর্ত পূরণ করা প্রয়োজন সেগুলো দেখে নিতে হবে। সেভাবে নিজের অ্যাকাডেমিক প্রোফাইলটি সাজাতে হবে। প্রোফাইল সাজানো হলে শুধু ইউনিভার্সিটি অব বন নয়, আরও ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েও চান্স পাওয়া সম্ভব।

রাশেদ হোসেন রনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বদলে একসময় বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বোনা শুরু করেন তিনি। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে রনি সফলও হয়েছেন। ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন জার্মানির ইউনিভার্সিটি অব বনে। স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে পড়ছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির স্লেভারি স্টাডিজে। তাঁর সাফল্যের গল্প শুনেছেন আনিসুল ইসলাম নাঈম।
শৈশব ও পড়াশোনা
রনির জন্ম কুমিল্লার কালীবাজার ইউনিয়নের হাতীগাড়া গ্রামে। রনির প্রাথমিকের পাঠ শুরু গ্রামের হাতীগাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। কুমিল্লার গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল থেকে এসএসসি ও কুমিল্লা সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি। এরপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন।
সহশিক্ষা কার্যক্রম
পড়ালেখার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন রনি। ছেলেবেলায় ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, ভলিবলসহ গ্রামীণ খেলায় আগ্রহ ছিল তাঁর। কলেজে থাকাকালীন সামাজিক সংগঠন ‘বন্ধু সমাজ’ ও ‘হ্যান্ডস ফর হিউমিনিটি’ নামের দুটি সংগঠনের সভাপতি ছিলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি ও কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে
দায়িত্ব পালন করেন।
স্বপ্নযাত্রা
রনির স্বপ্ন ছিল ক্রিকেটার হওয়ার। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেও স্বপ্নের পিছু ছাড়েননি তিনি। ভর্তির জন্য গিয়েছিলেন ধানমন্ডির আবাহনী ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে। কিন্তু আবাসিক হলবিহীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রনির ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মাসিক খরচ ও প্র্যাকটিসের শিডিউল ঠিক রাখা কঠিন ছিল। তাই তখনই শেষ হয়ে যায় রনির ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে পড়ালেখায়ও মন বসছিল না তাঁর। নতুন ভাবনা ধরা দেয় বিদেশে উচ্চশিক্ষার। মনস্থির করেন যেকোনোভাবে হোক বিদেশ পাড়ি জমাবেন তিনি।
সিদ্ধান্ত নিলেন জার্মানিতে ব্যাচেলরের জন্য আবেদন করবেন। তিন-চার মাসের আইএলটিএস প্রিপারেশন নিয়ে স্কোর ওঠালেন ৫.৫। এরপর জার্মানিতে ব্যাচেলরের জন্য আবেদন শুরু করেন। রনির আবেদন জার্নির সাথি ছিলেন তাঁর বিভাগের বন্ধু আরিফ। তাঁর সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ড ও আইএলটিএস স্কোর ৬.০ থাকায় রনির আগেই জার্মানি থেকে অফার লেটার চলে আসে।
রনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত আমি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার না পেয়ে জার্মানির আশা ছেড়ে দিই। আরিফ চলে যায় জার্মানিতে। শেষে বাংলা বিভাগ থেকেই ব্যাচেলর শেষ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। তবে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা থেমে থাকেনি। পড়ালেখার পাশাপাশি চলে আইইএলটিএস পরীক্ষার প্রিপারেশন। পড়াশোনার খরচ জোগাড়ে পার্টটাইম চাকরি করি। নিজের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। এর মাঝেই চলত বিদেশের প্রস্তুতি।’
যেভাবে ইউনিভার্সিটি অব বনে
জার্মানিতে টিউশন ফি না থাকলেও জার্মান অ্যাম্বাসি ফেস করার প্রক্রিয়া দীর্ঘ। ২০২২ সালে জার্মান অ্যাম্বাসিতে মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে রাখেন রনি। এর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে মাস্টার্স শেষ হয় তাঁর। জার্মানিতে রনির দ্বিতীয় মাস্টার্স করার পরিকল্পনা আগে থেকে ছিল। তবে জবিতে বাংলায় পড়ার কারণে জার্মানিতে মাস্টার্সে আবেদনের জন্য রিলেটেড সাবজেক্ট পাওয়া কঠিন হয়ে ওঠে। তা ছাড়া তাঁর সিজিপিএ ছিল ২.৯৭। আবার আইইএলটিএস পরীক্ষা দিয়ে আশানুরূপ স্কোর তুলতে পারেনি।
জানতে চাইলে রনি বলেন, ‘সিজিপিএ ২.৯৭ ও আইইএলটিএস ৬.০ দিয়ে জার্মানির ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদন করি। এর মধ্যে শুধু ইউনিভার্সিটি অব বন থেকে শেষ মুহূর্তে এসে অফার লেটার পাই। পুরো আবেদন প্রক্রিয়ায় এক বড় ভাই সব সময় পাশে ছিলেন। অফার লেটার পাওয়ার পর তিনি অনেক খুশি হন। আমার তখনকার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো ছিল না।’
পাহাড়সম বাধা
বন ইউনিভার্সিটিতে চান্স পাওয়ার পর ব্লক অ্যাকাউন্টের টাকা জোগাড় নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন রনি। টিউশন ফি না থাকলেও ১১,৯০৪ ইউরো জার্মানিতে পাঠিয়ে দিতে হয়। পরবর্তী সময়ে জার্মানি পৌঁছালে ধাপে ধাপে তা ফেরত দেওয়া হয়। তবে কারও ভিসা না হলে, সেই টাকা দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ব্লক অ্যাকাউন্টের টাকার জন্য তিনি প্রথমে তাঁর পরিবারকে জানান। রনি বলেন, ‘বাড়িতে তখন লাখ খানেক টাকাও নেই। অথচ প্রয়োজন প্রায় ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এমতাবস্থায় পরিবারের জমি বিক্রির কথাও ওঠে। আম্মা আমাদের আত্মীয়দের কাছে টাকা ধার চাওয়া শুরু করেন। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও পরিচিতজনদের থেকে ধার করে শেষ পর্যন্ত টাকা জোগাড় করতে সক্ষম হই।’
তিনি বলেন, ‘আবেদনের ২৪ মাস পর ২০২৪ সালের ৩১ আগস্ট জার্মান অ্যাম্বাসি ডকুমেন্টস সাবমিট করতে বলে। কয়েক দিন পর অ্যাম্বাসিতে ইন্টারভিউর জন্য ডাক আসে। ইন্টারভিউ খুব স্বাভাবিক ছিল। সাধারণ বিষয় ছাড়া জটিল কোনো প্রশ্ন করেনি। ৩ সেপ্টেম্বর ইন্টারভিউয়ের পর ২৯ সেপ্টেম্বরে গিয়ে পাসপোর্ট কালেকশন করি এবং আলহামদুলিল্লাহ জার্মান ভিসা পাই।’
যেভাবে আবেদন
জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের আগে নিজের স্টাডি ফিল্ড-সংশ্লিষ্ট সাবজেক্ট ও বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে বের করা জরুরি। এ জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হলো DAAD.DE। এ ছাড়া mygermanuniversity ওয়েবসাইটিও রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবজেক্ট খোঁজার পর দেখতে হবে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি আবেদন করা যায়, নাকি UniAssist এর মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। UniAssist হলো একটি মাধ্যম। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ডকুমেন্টস যাচাই-বাছাই করে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন গ্রহণ করে। জার্মানিতে সামার ও উইন্টার মৌসুমে আবেদন করা যায়।
সুযোগ-সুবিধা
ইউনিভার্সিটি অব বন থেকে শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় সুবিধাটি হলো ট্রান্সপোর্টেশন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ড দিয়ে যেকোনো শিক্ষার্থী পুরো জার্মানি ঘুরতে পারবেন। শুধু বন বিশ্ববিদ্যালয় নয়, জার্মানির সব শিক্ষার্থীর জন্য এ সুযোগটি রয়েছে। তা ছাড়া জিমনেসিয়াম, খেলাধুলা কিংবা জার্মান ভাষা শেখানোসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া হয়। জার্মানিতে যেকোনো শিক্ষার্থীর পড়ালেখার পাশাপাশি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজের সুযোগ রয়েছে।
নতুনদের পরামর্শ
ইউনিভার্সিটি অব বনে পড়াশোনা করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ভালোভাবে রিসার্চ করতে হবে। নিজের স্টাডি ফিল্ডের সঙ্গে মিল আছে এমন কোনো সাবজেক্ট পেলে সে সাবজেক্টে পড়তে হলে কী কী শর্ত পূরণ করা প্রয়োজন সেগুলো দেখে নিতে হবে। সেভাবে নিজের অ্যাকাডেমিক প্রোফাইলটি সাজাতে হবে। প্রোফাইল সাজানো হলে শুধু ইউনিভার্সিটি অব বন নয়, আরও ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েও চান্স পাওয়া সম্ভব।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
২ ঘণ্টা আগে
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
২ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
১১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১৬ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
[গতকালের পর]
ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)
১. Synonyms & Antonyms:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।
২. Spelling Correction:
Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।
৩. Idioms & Phrases:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।
ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)
যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।
জনপ্রিয় লেখক:
William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।
প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা
প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।
ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
[গতকালের পর]
ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)
১. Synonyms & Antonyms:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।
২. Spelling Correction:
Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।
৩. Idioms & Phrases:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।
ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)
যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।
জনপ্রিয় লেখক:
William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।
প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা
প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।
ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

রাশেদ হোসেন রনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বদলে একসময় বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বোনা শুরু করেন তিনি। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে রনি সফলও হয়েছেন।
১৬ নভেম্বর ২০২৪
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
২ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
১১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১৬ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির আওতায় দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি প্রযোজ্য।
ইতালির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনো দেশটির অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৩৩৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ, আধুনিক ল্যাব ও গবেষণাগার এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ রয়েছে।
বৃত্তির ধরন
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে পড়াশোনার জন্য একাধিক রকমের স্কলারশিপ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইতালিয়ান গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ। এই বৃত্তি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ইউনিক্যাম এক্সেলেন্স স্কলারশিপ। এটি মূলত মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের উচ্চ ফলাফলধারী শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হয়। ইউরোপজুড়ে শিক্ষার্থী বিনিময় ও মবিলিটির জন্য রয়েছে ইরাসমাস প্রোগ্রাম। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে মার্কে রিজিওনাল স্কলারশিপ।
সুযোগ-সুবিধা
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বিভিন্ন বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা পাবেন উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তা। এসব বৃত্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক জীবনযাত্রার খরচ বহনের জন্য ৩০০-৮০০ ইউরো পর্যন্ত স্টাইপেন্ড সুবিধা রয়েছে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে আবাসন অথবা স্বল্প খরচে ভর্তুকিযুক্ত আবাসনের ব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেওয়া হবে হেলথ ইনস্যুরেন্স সুবিধা। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইতালিয়ান ভাষা শেখার কোর্সে অংশ নেওয়ার সুযোগও থাকছে।
আবেদনের যোগ্যতা
বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে প্রার্থীর পূর্ববর্তী শিক্ষাজীবনে ভালো একাডেমিক ফলাফল থাকতে হবে। স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের সনদ থাকতে হবে এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। ভাষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক নয়। তবে আবেদনকারীকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। যেমন ইংরেজি মাধ্যমে পূর্ববর্তী পড়াশোনার সনদ বা অন্য স্বীকৃত ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। প্রধান একাডেমিক ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, লাইফ সায়েন্সেস, আর্কিটেকচার ও ডিজাইন, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ফার্মেসি ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ মার্চ, ২০২৬।

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির আওতায় দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি প্রযোজ্য।
ইতালির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনো দেশটির অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৩৩৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ, আধুনিক ল্যাব ও গবেষণাগার এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ রয়েছে।
বৃত্তির ধরন
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে পড়াশোনার জন্য একাধিক রকমের স্কলারশিপ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইতালিয়ান গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ। এই বৃত্তি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ইউনিক্যাম এক্সেলেন্স স্কলারশিপ। এটি মূলত মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের উচ্চ ফলাফলধারী শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হয়। ইউরোপজুড়ে শিক্ষার্থী বিনিময় ও মবিলিটির জন্য রয়েছে ইরাসমাস প্রোগ্রাম। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে মার্কে রিজিওনাল স্কলারশিপ।
সুযোগ-সুবিধা
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বিভিন্ন বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা পাবেন উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তা। এসব বৃত্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক জীবনযাত্রার খরচ বহনের জন্য ৩০০-৮০০ ইউরো পর্যন্ত স্টাইপেন্ড সুবিধা রয়েছে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে আবাসন অথবা স্বল্প খরচে ভর্তুকিযুক্ত আবাসনের ব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেওয়া হবে হেলথ ইনস্যুরেন্স সুবিধা। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইতালিয়ান ভাষা শেখার কোর্সে অংশ নেওয়ার সুযোগও থাকছে।
আবেদনের যোগ্যতা
বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে প্রার্থীর পূর্ববর্তী শিক্ষাজীবনে ভালো একাডেমিক ফলাফল থাকতে হবে। স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের সনদ থাকতে হবে এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। ভাষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক নয়। তবে আবেদনকারীকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। যেমন ইংরেজি মাধ্যমে পূর্ববর্তী পড়াশোনার সনদ বা অন্য স্বীকৃত ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। প্রধান একাডেমিক ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, লাইফ সায়েন্সেস, আর্কিটেকচার ও ডিজাইন, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ফার্মেসি ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ মার্চ, ২০২৬।

রাশেদ হোসেন রনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বদলে একসময় বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বোনা শুরু করেন তিনি। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে রনি সফলও হয়েছেন।
১৬ নভেম্বর ২০২৪
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
২ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
১১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১৬ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’
ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’
অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’
এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’
ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’
অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’
এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

রাশেদ হোসেন রনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বদলে একসময় বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বোনা শুরু করেন তিনি। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে রনি সফলও হয়েছেন।
১৬ নভেম্বর ২০২৪
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
২ ঘণ্টা আগে
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
২ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১৬ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।
খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।
প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়।
গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।
৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।
খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।
প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়।
গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।
৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

রাশেদ হোসেন রনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বদলে একসময় বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বোনা শুরু করেন তিনি। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে রনি সফলও হয়েছেন।
১৬ নভেম্বর ২০২৪
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
২ ঘণ্টা আগে
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
২ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
১১ ঘণ্টা আগে