Ajker Patrika

বাকৃবি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসফর

তাসনীম সিদ্দিকা
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাসফরে শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাসফরে শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ উচ্চতর মৎস্য শিক্ষা ও গবেষণার অন্যতম প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুপরিচিত। নতুন মাছের জাত উদ্ভাবন এবং এর রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়াও আন্তর্জাতিক পরিসরে গবেষণায় সুনাম অর্জন করেছে এই অনুষদ। তাত্ত্বিক জ্ঞানের পাশাপাশি ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা অর্জনের লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে শিক্ষাসফরের আয়োজন করা হয়, যা শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।

সাম্প্রতিক এক শিক্ষাসফরে বাকৃবির মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা ছয় দিনব্যাপী অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের উদ্যোগে খুলনা, বাগেরহাট, সুন্দরবন ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন মৎস্য খামার, চিংড়ি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র এবং বাজার পরিদর্শন করেন। শিক্ষার্থীদের মূল পাঠ্যসূচির অংশ হিসেবে চিংড়ি চাষ ও প্রক্রিয়াকরণের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের লক্ষ্যে এই সফর আয়োজন করা হয়।

রাত আটটায় বাকৃবির হেলিপ্যাড থেকে যাত্রা শুরু করে দলটি পরদিন সকাল সাতটায় সাতক্ষীরার এল্লারচর উপজেলার মৎস্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পৌঁছায়। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর ‘সেতারা ফিশ ফার্ম’ পরিদর্শনের উদ্দেশে রওনা দেয়। যাত্রাপথে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য; বিশেষ করে খোলপেটুয়া নদীর নয়নাভিরাম দৃশ্য সবার মন কাড়ে। সেতারা ফিশ ফার্মে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাদের চিংড়ি চাষের খুঁটিনাটি ও চ্যালেঞ্জগুলো সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জানান। বিশেষত, হোয়াইট স্পট সিনড্রোম ভাইরাস সংক্রমণ এবং চিংড়ি চাষের ক্রমহ্রাসমান প্রবণতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।

পরদিন সাতক্ষীরার মাছের বাজার পরিদর্শন করা হয়, যেখানে ভেটকি, কাও, বাইলা, বিশতারা মাছসহ হরিণা চিংড়ি, চালি চিংড়ি, গলদা ও বাগদা চিংড়ির বিভিন্ন প্রজাতি সরাসরি দেখার সুযোগ পান শিক্ষার্থীরা। তৃতীয় দিন দলটি সুন্দরবনের উদ্দেশে যাত্রা করে। দুপুর ১২টায় সুন্দরবনে পৌঁছানোর

পর আকস্মিক ঝড়-বৃষ্টি শিক্ষার্থীদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠে। এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা ঝড়-বৃষ্টির পর পরিবেশ আরও মনোমুগ্ধকর হয়ে ওঠে। কলাগাছিয়ায় পৌঁছে সেখানকার দায়িত্বরত কর্মকর্তা সুন্দরবনের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে ব্রিফিং দেন।

পরদিন বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদসহ ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো পরিদর্শন করে দলটি। রাতে তারা মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট বাগেরহাটে অবস্থান নেয়। সফরের শেষ পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা এল্লারচরে ফিরে এসে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় অংশ নেন। যেখানে গান, নাচ ও আড্ডার মধ্য দিয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত তৈরি হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত