Ajker Patrika

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

দুই ভিসির ‘অনিয়মের পথে’ নতুন ভিসি

  • বিধি লঙ্ঘন করে ডিন ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নিয়োগের অভিযোগ
  • ডিন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়োগের সুযোগ নেই: ইউজিসি।
  • নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বর্তমান ভিসি।
ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট 
আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৮: ০২
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (এসএমইউ) প্রথম উপাচার্য ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী ও দ্বিতীয় উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে অভিযুক্ত। তাঁদের দেখানো পথেই হাঁটছেন তৃতীয় ও বর্তমান ভিসি ডা. ইসমাঈল হোসেন পাটোয়ারী। অবৈধভাবে ও অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ করা লোকজন নিয়েই তিনি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বরাদ্দ করা পদসংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত নিয়োগ দিয়ে নানা সমালোচনার মুখে পড়েন প্রথম উপাচার্য ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী। নিয়োগ-বাণিজ্যের গুরুতর অভিযোগ মাথায় নিয়ে মেয়াদ পূর্ণ করেই বিদায় নেন তিনি। ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি দ্বিতীয় উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চক্ষু চিকিৎসক এ এইচ এম এনায়েত হোসেন।

অভিযোগ রয়েছে, এনায়েত হোসেন যোগদানের পর ২৩৯ জন কর্মকর্তার বেতন-ভাতা বন্ধ করলেও এসব কর্মকর্তার স্বাক্ষরেই চলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কর্মকাণ্ড। পরে ওই ২৩৯ জনের মধ্য থেকে উপাচার্য তাঁর পছন্দ অনুসারে সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, হিসাবরক্ষক ও ক্যাশিয়ার এবং ২৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী অস্থায়ী ভিত্তিতে পুনরায় নিয়োগ দেন।

গুরুত্বপূর্ণ রেজিস্ট্রার দপ্তর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে যাঁদের দিয়ে কাজ করানো হয়, তাঁরা দুই বছর ধরে সরকারি বেতন পাচ্ছেন না। কিন্তু তাঁরা বিকল্প উপায়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন সরকারি অর্থ। ২০২৪ সালের শুরু থেকে দীর্ঘদিনের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ ও চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলনরত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এরই মধ্যে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবিতে যোগ হয় উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে কোনো ধরনের ছুটি ছাড়া টানা তিন মাস ক্যাম্পাসে আসেননি উপাচার্য এনায়েত।

বিধি লঙ্ঘন করে ডিন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নিয়োগ

নানা ভাবে সমঝোতার চেষ্টা করেন তৎকালীন উপাচার্য এনায়েত। শেষরক্ষা হবে না ভেবে উপাচার্য পদ টিকিয়ে রাখতে হঠাৎ ঢাকায় সিন্ডিকেট সভা ডেকে বিএনপিপন্থী দুজন চিকিৎসককে তড়িঘড়ি করে নিয়োগ দেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও এসএমইউ আইন ২০১৮ অমান্য করে নিজের গদি রক্ষায় ডিন হিসেবে অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে ডা. মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরীকে নিয়োগ দেন।

তাঁদের মধ্যে ডা. নাজমুল ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সিলেট জেলা সভাপতি ও নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজের নেফ্রোলজি বিভাগের অধ্যাপক। ডা. জিয়া ড্যাব ওসমানী মেডিকেল শাখার সাধারণ সম্পাদক ও কলেজটি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।

ডা. নাজমুলের নিয়োগে বলা হয়েছে- এসএমইউ আইন ২০১৮ এর ধারা ২৩ এর উপধারা ৫ অনুযায়ী ১০ম সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ডিন হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করা হয়েছে। অথচ, বিশ্ববিদ্যালয় আইনে সিন্ডিকেটকে ডিন বা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নিয়োগের কোনো ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।

আর ২৩ নম্বর ধারার ৫ নম্বর উপধারায় বলা আছে, ‘প্রত্যেক অনুষদের একজন করিয়া ডিন থাকিবে এবং তিনি ভাইস চ্যান্সেলরের তত্ত্বাবধানে অনুষদ সম্পর্কিত সংবিধি, বিধি ও প্রবিধান যথাযথভাবে পালনের জন্য দায়ী থাকিবেন।’ একই ধারার ৬ নম্বর উপধারায় ‘প্রত্যেক অনুষদের ডিন সংশ্লিষ্ট অনুষদের অন্তর্ভুক্ত সকল বিভাগের শিক্ষকদের দ্বারা নির্বাচিত হইবেন’ উল্লেখ রয়েছে।

একই দিনে একইভাবে ‘পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’ হিসেবে ডা. মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে; যা ইউজিসি ও এসএমইউ আইন পরিপন্থী। বিএনপিপন্থী এই চিকিৎসক গত ১৫ বছর কোনো পদোন্নতি পাননি। ফলে ক্ষমতার পালাবদলের পর তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনোনীত হন। অধ্যক্ষ হওয়ার জন্য অধ্যাপক বাধ্যতামূলক হওয়ায় তাঁকে চলতি দায়িত্ব পরিচালনার জন্য সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে এই নিয়োগের পাশাপাশি অস্থায়ী ক্যাম্পাসে ঢুকতে না পেরে সাবেক উপাচার্য এনায়েত হোসেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত ডিন অফিসে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। সবশেষে টিকতে না পেরে পদত্যাগ করেন ডা. এনায়েত হোসেন। তারপর উপাচার্য ছাড়াই কেটে যায় বেশ কিছুদিন।

চলতি বছরের মার্চের শুরুতে যোগদান করেন জামায়াতপন্থী হিসেবে পরিচিত ডা. ইসমাঈল হোসেন পাটোয়ারী। কিন্তু তিনি যোগদানের পরও আগের নিয়মেই চলছে বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় উপাচার্য ও ট্রেজারার ছাড়া বৈধ কোনো কর্মকর্তা নেই। কিন্তু আগের উপাচার্যের সেই অদৃশ্য খাত থেকে বেতন-ভাতা দিয়ে কাজ করানো লোকজন পুষছেন বর্তমান উপাচার্যও।

ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট সভাসহ গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হলেও নিয়োগে অনিয়ম বা বেতনহীন কর্মীদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেননি।

এ ব্যাপারে জানতে সাবেক উপাচার্য ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা পাঠালেও সাড়া দেননি। মোবাইল ফোন বন্ধ করে অন্যজনের মাধ্যমে এই প্রতিবেদককে ফোন করে সংবাদ প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন।

এসএমইউর নবনিযুক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ডা. মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‌‘আমি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতেছি। এখানে কোনো আর্থিক ইয়া...নাই। বিনে পয়সায় দায়িত্ব পালন করছি ওসমানী প্রিন্সিপাল হিসেবে। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আইন মেনে হইছে কি না, এটা ভিসি মহোদয় ভালো বলতে পারবেন।’

মেডিসিন, সার্জারি, বেসিক সায়েন্স ও প্যারা-ক্লিনিক্যাল সায়েন্স, ডেন্টাল, নার্সিং ও মেডিকেল টেকনোলজি অনুষদের নবনিযুক্ত ডিন অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‌‘আমি ক্রাইসিস মোমেন্টে এসে দায়িত্ব নিয়েছি। এটা সিন্ডিকেটে ডিসিশন নিছে। এর আগেও যত ডিন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আসল—সব সিন্ডিকেটে ডিসিশন নিছে।’

নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল হোসেন পাটোয়ারি বলেন, ‘ডিন এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সিন্ডিকেটের মিটিংয়ে ঠিক হয়েছিল। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক রেগুলার হয়নি এ জন্য ওসমানীর প্রিন্সিপালকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সার্বিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা ডিসিশন নিয়েছিলেন। কোথাও সমস্যা হলে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘যে আইন আছে, তাতে শিক্ষকদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে ডিন নিয়োগ হবে। আমাদের আইনের মধ্যেই কাজ করতে হবে। ডিন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এই ধরনের নিয়োগ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হওয়ার সুযোগ নেই। এটা যদি হয়ে থাকে, তাহলে সেটা খারাপ হয়েছে। আগের ভিসিরা ইউনিভার্সিটিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যেভাবে যে সব কাজ করার কথা ছিল, তাঁরা সেভাবে করেননি। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৪
ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩১ ডিসেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ আবশ্যিক ও নৈর্বাচনিক বিষয় ও বিষয়গুলো এক থেকে চার বিষয়ে ২০২৫ সালে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অকৃতকার্য বিষয় ও বিষয়গুলোতে অংশ নেওয়ার জন্য নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবরে সাদা কাগজে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করবে।

আরও বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।

আরও বলা হয়, বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) ২ হাজার ৪৩৫ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকে ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বেতন ও সেশন চার্জ হিসেবে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে।কোনো শিক্ষার্থীর নবম ও দশম শ্রেণির মোট ২৪ মাসের বেশি বেতন নেওয়া যাবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল এবং ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, যা ‘প্রোগ্রামিংয়ের অলিম্পিক’ খ্যাত—আইসিপিসির এই রিজিওনাল পর্বটি ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ বিইউবিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, বিইউবিটি এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করার গৌরব অর্জন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিইউবিটির উপাচার্য ড. এ বি এম শওকত আলী উপস্থিত সাংবাদিকদের এবং এই আয়োজনের গর্বিত স্পনসরদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য হলো সারা দেশ থেকে বাংলাদেশের সেরা প্রোগ্রামারদের খুঁজে বের করা এবং তাঁদের মেধা বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেওয়া।’

শওকত আলী আরও জানান, এবারের আয়োজনে সারা বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড সংখ্যক প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। মোট ৩১৩টি টিমের ৯৩৯ জন মেধাবী প্রোগ্রামার এই চূড়ান্ত পর্বে লড়বেন, যা বাংলাদেশে আইসিপিসির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য মো. শামসুল হুদা এফসিএ।

এ ছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো তুলে ধরেন আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর আরসিডি (RCD) এবং বিইউবিটির সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাইফুর রহমান এবং আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ও এনএসইউর ইসিই বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল লায়েস এম এস হক।

এ সময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস বিচারক (২০০৩-২০১৮) শাহরিয়ার মঞ্জুর এবং বিইউবিটির প্রকৌশল ও ফলিতবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মুন্সী মাহবুবুর রহমান। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিইউবিটির সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: তিন দিনেও প্রকাশ করা হয়নি ব্যালট নম্বর, প্রচারে নেমে বিপাকে প্রার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের ‎আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।

‎‎তফসিল সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর। প্রচারণার ১৩ দিন সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচারণায় বাধার অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা।

‎‎শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেল’ থেকে ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ব্যালট নম্বর না থাকায় প্রচার ও পেপার ছাপাতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে নাম সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

‎ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল’ থেকে জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচার ব্যাহত হচ্ছে এবং এতে নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়। দ্রুত ব্যালট নম্বর প্রকাশের দাবি জানান তিনি।

‎স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী চন্দন কুমার দাস বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দায়িত্বহীন। প্রার্থিতা ও আচরণবিধি-সংক্রান্ত অভিযোগে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার পাশাপাশি ব্যালট নম্বর না দেওয়ায় প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা কোনো পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

‎‎এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম চলছে। প্রার্থীদের নাম সংশোধনের জন্য আমাদের কাছে আবেদন এসেছে অনেকগুলো। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নাম সংশোধন বা নিকনেম রাখার জন্য কাজ করছি। ফলে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লাগছে।’

‎এর আগে ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহারকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভোট গ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর, ভোট গণনা ৩০ ডিসেম্বর (ভোট গ্রহণ শেষে) এবং ফলাফল ঘোষণা ৩০ অথবা ৩১ ডিসেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত