তিতুমীর কলেজে বই বিনিময়
জীবনের রূঢ় বাস্তবতা ও জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে বই পড়ার বিকল্প নেই। এ জন্যই তরুণ প্রজন্মকে বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলতে কাজ করছে পাঠকবন্ধু। সংগঠনটির সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখার বন্ধুরা বই বিনিময় ও বই আড্ডার আয়োজন করেছিলেন।
তিতুমীর কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সেমিনার হলরুমে ২৫ সেপ্টেম্বর, বুধবার এই বই বিনিময় কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে কলেজ শাখা পাঠকবন্ধুর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পাঠকবন্ধুর তিতুমীর কলেজ শাখার অ্যাম্বাসেডর মিনহাজুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক মিয়া আমিরুল ইসলাম ও সদস্যসচিব শফিক খান এবং স্টেট ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর তাকি বিন মহসিন। অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন আরিফুল ইসলাম, মাইন উদ্দিন, রীমা আক্তার, কাজী সাঈদ বিন রাবি, রাহাদুল হাসান রাতুল, সানজিদা আক্তার সৌরভী ও আল-আমিন হোসেন।
এ সময় বন্ধুরা নিজেদের মধ্যে বই পড়ার গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে আলোচনা করেন। শেষে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে বই বিনিময় করেন।
সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা পাঠকবন্ধুর আহ্বায়ক মিয়া আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধরনের আয়োজনে বইয়ের সঙ্গে যেমন পাঠকের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে, তেমনি নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া ও যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়। এ জন্য থাকতে হবে সদিচ্ছা।’
সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা পাঠকবন্ধুর ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘এমন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পাঠকের পড়ার অভ্যাস বৃদ্ধি পায়। আধুনিক যন্ত্রের প্রভাব থেকে বেরিয়ে পাঠকেরা ছাপা কাগজের বইয়ের প্রতি আগ্রহী হন।’
এদিন আয়োজন শেষে পাঠকবন্ধুরা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। উপস্থিত বন্ধুদের উদ্দেশে উপাধ্যক্ষ বলেন, ‘এ ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া নিয়মিত এ ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের বই পড়ার প্রতি আরও বেশি উৎসাহিত করবে। বর্তমানে সবাই তো আমরা অনলাইননির্ভর হয়ে পড়েছি, সেখানে সৃজনশীল শিক্ষার্থীদের কাজগুলো প্রশংসার দাবি রাখে। তাদের এই কাজকে সাধুবাদ জানাই।’
চট্টগ্রাম কলেজে বই আড্ডা
এদিকে পাঠকবন্ধু চট্টগ্রাম কলেজ শাখার উদ্যোগেও বই আড্ডার আয়োজন করা হয়েছে। সম্প্রতি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সেমিনার কক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বই আড্ডার আলোচ্য বই হিসেবে জহির রায়হানের ‘আরেক ফাল্গুন’ উপন্যাসটি নির্বাচন করা হয়। ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর হুমাইরা খানম জেরীনের সঞ্চালনায় কলেজ শাখার পাঠকবন্ধুরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন। ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর রাহমান জিকুর সভাপতিত্বে বই আড্ডায় পাঠকবন্ধুরা নিজেদের পঠিত বইয়ের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেন।
বই আড্ডায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন পাঠকবন্ধু মরিয়ম খানম সেতু। তিনি বলেন, ‘আরেক ফাল্গুন উপন্যাসটি ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে। এ বইয়ের লেখায় ভাষা আন্দোলনের চিত্র ফুটে উঠেছে। অধিকার আদায়ের এই সংগ্রামের পথ ছিল অত্যন্ত কঠিন। বইয়ের আলোচনায় আন্দোলনে যুক্ত প্রত্যেক মানুষের এমন কঠিন আত্মত্যাগের চিত্র ফুটে উঠেছে। আন্দোলনে যোগ দেওয়া প্রত্যেক সদস্যের চিন্তায় পরিবারের সদস্যদের উৎকণ্ঠিত হয়ে ওঠার কথাও উঠে এসেছে বইটিতে।’
আড্ডায় পাঠকবন্ধু তৈয়বা খানম বলেন, এ বইয়ে যেমন আন্দোলনে যোগ দেওয়া স্বামীর অপেক্ষারত স্ত্রীর সততার কথা আছে, একই সঙ্গে আছে আন্দোলনরত প্রিয়জনকে ভুলে অন্যজনের সঙ্গে স্বপ্ন গড়ার বেদনার কথাও। এখানে সংগ্রামী মানুষের এই প্রিয়জন হারানোর বেদনা ছিল দুর্বিষহ যন্ত্রণার। সবকিছুর পরও যোদ্ধারা ভাষার অধিকার আদায়ে ছিলেন অবিচল। এই অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তাঁরা জীবন বাজি রেখেছিলেন, আলিঙ্গন করেছেন মৃত্যুকে।
বই আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন পাঠকবন্ধু চট্টগ্রাম কলেজ শাখার আহ্বায়ক এহছানুল করিম। এ ছাড়া সদস্য তানজিনা আক্তার চৈতী, তানজিয়াতুন নিসা, রফিক উল্লাহ, সাআদ মাহ্দি প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। আড্ডার সমাপনী বক্তব্যে এস এম রাহমান জিকু বলেন, জহির রায়হানের আরেক ফাল্গুন উপন্যাসটি মূলত মানবমনে বারুদ জ্বেলেছে। ফুটে উঠেছে কালে কালে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা হয়ে।
তিতুমীর কলেজে বই বিনিময়
জীবনের রূঢ় বাস্তবতা ও জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে বই পড়ার বিকল্প নেই। এ জন্যই তরুণ প্রজন্মকে বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলতে কাজ করছে পাঠকবন্ধু। সংগঠনটির সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখার বন্ধুরা বই বিনিময় ও বই আড্ডার আয়োজন করেছিলেন।
তিতুমীর কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সেমিনার হলরুমে ২৫ সেপ্টেম্বর, বুধবার এই বই বিনিময় কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে কলেজ শাখা পাঠকবন্ধুর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পাঠকবন্ধুর তিতুমীর কলেজ শাখার অ্যাম্বাসেডর মিনহাজুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক মিয়া আমিরুল ইসলাম ও সদস্যসচিব শফিক খান এবং স্টেট ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর তাকি বিন মহসিন। অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন আরিফুল ইসলাম, মাইন উদ্দিন, রীমা আক্তার, কাজী সাঈদ বিন রাবি, রাহাদুল হাসান রাতুল, সানজিদা আক্তার সৌরভী ও আল-আমিন হোসেন।
এ সময় বন্ধুরা নিজেদের মধ্যে বই পড়ার গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে আলোচনা করেন। শেষে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে বই বিনিময় করেন।
সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা পাঠকবন্ধুর আহ্বায়ক মিয়া আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধরনের আয়োজনে বইয়ের সঙ্গে যেমন পাঠকের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে, তেমনি নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া ও যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়। এ জন্য থাকতে হবে সদিচ্ছা।’
সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা পাঠকবন্ধুর ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘এমন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পাঠকের পড়ার অভ্যাস বৃদ্ধি পায়। আধুনিক যন্ত্রের প্রভাব থেকে বেরিয়ে পাঠকেরা ছাপা কাগজের বইয়ের প্রতি আগ্রহী হন।’
এদিন আয়োজন শেষে পাঠকবন্ধুরা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। উপস্থিত বন্ধুদের উদ্দেশে উপাধ্যক্ষ বলেন, ‘এ ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া নিয়মিত এ ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের বই পড়ার প্রতি আরও বেশি উৎসাহিত করবে। বর্তমানে সবাই তো আমরা অনলাইননির্ভর হয়ে পড়েছি, সেখানে সৃজনশীল শিক্ষার্থীদের কাজগুলো প্রশংসার দাবি রাখে। তাদের এই কাজকে সাধুবাদ জানাই।’
চট্টগ্রাম কলেজে বই আড্ডা
এদিকে পাঠকবন্ধু চট্টগ্রাম কলেজ শাখার উদ্যোগেও বই আড্ডার আয়োজন করা হয়েছে। সম্প্রতি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সেমিনার কক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বই আড্ডার আলোচ্য বই হিসেবে জহির রায়হানের ‘আরেক ফাল্গুন’ উপন্যাসটি নির্বাচন করা হয়। ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর হুমাইরা খানম জেরীনের সঞ্চালনায় কলেজ শাখার পাঠকবন্ধুরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন। ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর রাহমান জিকুর সভাপতিত্বে বই আড্ডায় পাঠকবন্ধুরা নিজেদের পঠিত বইয়ের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেন।
বই আড্ডায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন পাঠকবন্ধু মরিয়ম খানম সেতু। তিনি বলেন, ‘আরেক ফাল্গুন উপন্যাসটি ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে। এ বইয়ের লেখায় ভাষা আন্দোলনের চিত্র ফুটে উঠেছে। অধিকার আদায়ের এই সংগ্রামের পথ ছিল অত্যন্ত কঠিন। বইয়ের আলোচনায় আন্দোলনে যুক্ত প্রত্যেক মানুষের এমন কঠিন আত্মত্যাগের চিত্র ফুটে উঠেছে। আন্দোলনে যোগ দেওয়া প্রত্যেক সদস্যের চিন্তায় পরিবারের সদস্যদের উৎকণ্ঠিত হয়ে ওঠার কথাও উঠে এসেছে বইটিতে।’
আড্ডায় পাঠকবন্ধু তৈয়বা খানম বলেন, এ বইয়ে যেমন আন্দোলনে যোগ দেওয়া স্বামীর অপেক্ষারত স্ত্রীর সততার কথা আছে, একই সঙ্গে আছে আন্দোলনরত প্রিয়জনকে ভুলে অন্যজনের সঙ্গে স্বপ্ন গড়ার বেদনার কথাও। এখানে সংগ্রামী মানুষের এই প্রিয়জন হারানোর বেদনা ছিল দুর্বিষহ যন্ত্রণার। সবকিছুর পরও যোদ্ধারা ভাষার অধিকার আদায়ে ছিলেন অবিচল। এই অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তাঁরা জীবন বাজি রেখেছিলেন, আলিঙ্গন করেছেন মৃত্যুকে।
বই আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন পাঠকবন্ধু চট্টগ্রাম কলেজ শাখার আহ্বায়ক এহছানুল করিম। এ ছাড়া সদস্য তানজিনা আক্তার চৈতী, তানজিয়াতুন নিসা, রফিক উল্লাহ, সাআদ মাহ্দি প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। আড্ডার সমাপনী বক্তব্যে এস এম রাহমান জিকু বলেন, জহির রায়হানের আরেক ফাল্গুন উপন্যাসটি মূলত মানবমনে বারুদ জ্বেলেছে। ফুটে উঠেছে কালে কালে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা হয়ে।
২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ভর্তি পরীক্ষা–সম্পর্কিত সব তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
৬ ঘণ্টা আগেসিলেটের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ ১০টি নার্সিং কলেজের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের বিএসসি ইন নার্সিং, বিএসসি ইন পোস্ট বেসিক নার্সিং, বিএসসি ইন পোস্ট বেসিক মিডওয়াইফারি নার্সিং ও এমএসসি ইন পোস্ট বেসিক নার্সিংয়ের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে (ইইডি) বড় রদবদল এনেছে সরকার। প্রধান প্রকৌশল পদে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. জালাল উদ্দিন চৌধুরীকে। আর প্রধান প্রকৌশলী (রুটিন দায়িত্ব) মো. রায়হান বাদশাসহ তিন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
১ দিন আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষা পদ্ধতি হবে লিখিত ও এমসিকিউতে। ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে শুরু হবে নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কার্যক্রম।
১ দিন আগে