Ajker Patrika

পাঠকবন্ধুর বই বিনিময় ও বই আড্ডা

আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৫: ৫২
পাঠকবন্ধুর বই বিনিময় ও বই আড্ডা

একটা সময় ইন্টারনেট ছিল না। তখন মানুষের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম ছিল বই পড়া। কিন্তু ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার পর থেকে মানুষের বিনোদনের ধারণায় বদল এসেছে। এখন সবকিছুই যেন হয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমনির্ভর। ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস কমতে শুরু করেছে। এ রকম একসময়ে রাজধানীর তিতুমীর কলেজ এবং চট্টগ্রামের চট্টগ্রাম কলেজে পাঠকবন্ধুর উদ্যোগে হয়ে গেল বই বিনিময় ও বই আড্ডা। লিখেছেন মিনহাজুর রহমানএস এম রাহমান জিকু

তিতুমীর কলেজে বই বিনিময়
জীবনের রূঢ় বাস্তবতা ও জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে বই পড়ার বিকল্প নেই। এ জন্যই তরুণ প্রজন্মকে বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলতে কাজ করছে পাঠকবন্ধু। সংগঠনটির সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখার বন্ধুরা বই বিনিময় ও বই আড্ডার আয়োজন করেছিলেন।

তিতুমীর কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সেমিনার হলরুমে ২৫ সেপ্টেম্বর, বুধবার এই বই বিনিময় কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে কলেজ শাখা পাঠকবন্ধুর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পাঠকবন্ধুর তিতুমীর কলেজ শাখার অ্যাম্বাসেডর মিনহাজুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক মিয়া আমিরুল ইসলাম ও সদস্যসচিব শফিক খান এবং স্টেট ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর তাকি বিন মহসিন। অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন আরিফুল ইসলাম, মাইন উদ্দিন, রীমা আক্তার, কাজী সাঈদ বিন রাবি, রাহাদুল হাসান রাতুল, সানজিদা আক্তার সৌরভী ও আল-আমিন হোসেন।

এ সময় বন্ধুরা নিজেদের মধ্যে বই পড়ার গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে আলোচনা করেন। শেষে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে বই বিনিময় করেন।

সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা পাঠকবন্ধুর আহ্বায়ক মিয়া আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধরনের আয়োজনে বইয়ের সঙ্গে যেমন পাঠকের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে, তেমনি নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া ও যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়। এ জন্য থাকতে হবে সদিচ্ছা।’

সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা পাঠকবন্ধুর ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘এমন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পাঠকের পড়ার অভ্যাস বৃদ্ধি পায়। আধুনিক যন্ত্রের প্রভাব থেকে বেরিয়ে পাঠকেরা ছাপা কাগজের বইয়ের প্রতি আগ্রহী হন।’

এদিন আয়োজন শেষে পাঠকবন্ধুরা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। উপস্থিত বন্ধুদের উদ্দেশে উপাধ্যক্ষ বলেন, ‘এ ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া নিয়মিত এ ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের বই পড়ার প্রতি আরও বেশি উৎসাহিত করবে। বর্তমানে সবাই তো আমরা অনলাইননির্ভর হয়ে পড়েছি, সেখানে সৃজনশীল শিক্ষার্থীদের কাজগুলো প্রশংসার দাবি রাখে। তাদের এই কাজকে সাধুবাদ জানাই।’

 পাঠকবন্ধু চট্টগ্রাম কলেজ শাখার বন্ধুদের বই আড্ডাtছবি: মিনহাজুর রহমানচট্টগ্রাম কলেজে বই আড্ডা
এদিকে পাঠকবন্ধু চট্টগ্রাম কলেজ শাখার উদ্যোগেও বই আড্ডার আয়োজন করা হয়েছে। সম্প্রতি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সেমিনার কক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বই আড্ডার আলোচ্য বই হিসেবে জহির রায়হানের ‘আরেক ফাল্গুন’ উপন্যাসটি নির্বাচন করা হয়। ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর হুমাইরা খানম জেরীনের সঞ্চালনায় কলেজ শাখার পাঠকবন্ধুরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন। ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর রাহমান জিকুর সভাপতিত্বে বই আড্ডায় পাঠকবন্ধুরা নিজেদের পঠিত বইয়ের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেন।

বই আড্ডায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন পাঠকবন্ধু মরিয়ম খানম সেতু। তিনি বলেন, ‘আরেক ফাল্গুন উপন্যাসটি ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে। এ বইয়ের লেখায় ভাষা আন্দোলনের চিত্র ফুটে উঠেছে। অধিকার আদায়ের এই সংগ্রামের পথ ছিল অত্যন্ত কঠিন। বইয়ের আলোচনায় আন্দোলনে যুক্ত প্রত্যেক মানুষের এমন কঠিন আত্মত্যাগের চিত্র ফুটে উঠেছে। আন্দোলনে যোগ দেওয়া প্রত্যেক সদস্যের চিন্তায় পরিবারের সদস্যদের উৎকণ্ঠিত হয়ে ওঠার কথাও উঠে এসেছে বইটিতে।’

আড্ডায় পাঠকবন্ধু তৈয়বা খানম বলেন, এ বইয়ে যেমন আন্দোলনে যোগ দেওয়া স্বামীর অপেক্ষারত স্ত্রীর সততার কথা আছে, একই সঙ্গে আছে আন্দোলনরত প্রিয়জনকে ভুলে অন্যজনের সঙ্গে স্বপ্ন গড়ার বেদনার কথাও। এখানে সংগ্রামী মানুষের এই প্রিয়জন হারানোর বেদনা ছিল দুর্বিষহ যন্ত্রণার। সবকিছুর পরও যোদ্ধারা ভাষার অধিকার আদায়ে ছিলেন অবিচল। এই অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তাঁরা জীবন বাজি রেখেছিলেন, আলিঙ্গন করেছেন মৃত্যুকে।

বই আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন পাঠকবন্ধু চট্টগ্রাম কলেজ শাখার আহ্বায়ক এহছানুল করিম। এ ছাড়া সদস্য তানজিনা আক্তার চৈতী, তানজিয়াতুন নিসা, রফিক উল্লাহ, সাআদ মাহ্দি প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। আড্ডার সমাপনী বক্তব্যে এস এম রাহমান জিকু বলেন, জহির রায়হানের আরেক ফাল্গুন উপন্যাসটি মূলত মানবমনে বারুদ জ্বেলেছে। ফুটে উঠেছে কালে কালে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা হয়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৪
ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩১ ডিসেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ আবশ্যিক ও নৈর্বাচনিক বিষয় ও বিষয়গুলো এক থেকে চার বিষয়ে ২০২৫ সালে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অকৃতকার্য বিষয় ও বিষয়গুলোতে অংশ নেওয়ার জন্য নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবরে সাদা কাগজে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করবে।

আরও বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।

আরও বলা হয়, বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) ২ হাজার ৪৩৫ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকে ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বেতন ও সেশন চার্জ হিসেবে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে।কোনো শিক্ষার্থীর নবম ও দশম শ্রেণির মোট ২৪ মাসের বেশি বেতন নেওয়া যাবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল এবং ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, যা ‘প্রোগ্রামিংয়ের অলিম্পিক’ খ্যাত—আইসিপিসির এই রিজিওনাল পর্বটি ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ বিইউবিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, বিইউবিটি এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করার গৌরব অর্জন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিইউবিটির উপাচার্য ড. এ বি এম শওকত আলী উপস্থিত সাংবাদিকদের এবং এই আয়োজনের গর্বিত স্পনসরদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য হলো সারা দেশ থেকে বাংলাদেশের সেরা প্রোগ্রামারদের খুঁজে বের করা এবং তাঁদের মেধা বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেওয়া।’

শওকত আলী আরও জানান, এবারের আয়োজনে সারা বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড সংখ্যক প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। মোট ৩১৩টি টিমের ৯৩৯ জন মেধাবী প্রোগ্রামার এই চূড়ান্ত পর্বে লড়বেন, যা বাংলাদেশে আইসিপিসির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য মো. শামসুল হুদা এফসিএ।

এ ছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো তুলে ধরেন আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর আরসিডি (RCD) এবং বিইউবিটির সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাইফুর রহমান এবং আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ও এনএসইউর ইসিই বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল লায়েস এম এস হক।

এ সময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস বিচারক (২০০৩-২০১৮) শাহরিয়ার মঞ্জুর এবং বিইউবিটির প্রকৌশল ও ফলিতবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মুন্সী মাহবুবুর রহমান। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিইউবিটির সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: তিন দিনেও প্রকাশ করা হয়নি ব্যালট নম্বর, প্রচারে নেমে বিপাকে প্রার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের ‎আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।

‎‎তফসিল সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর। প্রচারণার ১৩ দিন সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচারণায় বাধার অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা।

‎‎শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেল’ থেকে ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ব্যালট নম্বর না থাকায় প্রচার ও পেপার ছাপাতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে নাম সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

‎ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল’ থেকে জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচার ব্যাহত হচ্ছে এবং এতে নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়। দ্রুত ব্যালট নম্বর প্রকাশের দাবি জানান তিনি।

‎স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী চন্দন কুমার দাস বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দায়িত্বহীন। প্রার্থিতা ও আচরণবিধি-সংক্রান্ত অভিযোগে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার পাশাপাশি ব্যালট নম্বর না দেওয়ায় প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা কোনো পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

‎‎এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম চলছে। প্রার্থীদের নাম সংশোধনের জন্য আমাদের কাছে আবেদন এসেছে অনেকগুলো। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নাম সংশোধন বা নিকনেম রাখার জন্য কাজ করছি। ফলে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লাগছে।’

‎এর আগে ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহারকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভোট গ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর, ভোট গণনা ৩০ ডিসেম্বর (ভোট গ্রহণ শেষে) এবং ফলাফল ঘোষণা ৩০ অথবা ৩১ ডিসেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত