চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মিনহাজ তুহিন।
প্রশ্ন: সহ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় আপনার অনুভূতি জানতে চাই।
উত্তর: আমাকে সহ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন এবং শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। দীর্ঘদিন ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছি। আমি এ বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্ষদে প্রতিনিধিত্ব করেছি। এখন প্রশাসনিক কাজের সঙ্গে সংযুক্ত হলাম। সব মিলিয়ে আনন্দিত ও পুলকিত। তবে আমি শিক্ষকতা করে যে আনন্দ পেতাম, সেটা থেকে আনন্দের ভাগ কিছুটা কমে যাবে। কারণ আমি ক্লাস নিতে খুব স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?
উত্তর: বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন সহ-উপাচার্যের পরিকল্পনা এককভাবে বাস্তবায়ন করা যায় না। এটা একটা টিমওয়ার্ক। উপাচার্য, আরেক সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার অফিস, নির্বাচিত ডিন, প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টর অফিস, বিভাগীয় সভাপতিদের নিয়ে যে প্রশাসনিক কাঠামো, সবাইকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করব।
প্রশ্ন: নিয়োগে অনিয়ম, অধ্যাদেশ লঙ্ঘনসহ বেশ কিছু ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে শিক্ষকেরা দাবি করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে কী ভূমিকা নেবেন?
উত্তর: বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে একটা গতি ছিল তা কিছুটা স্থবির হয়ে গিয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে সুনামের কিছুটা অবনমন হয়েছে। এটা সবাই জানে, সবাই বলে। আমাদের ভাবমূর্তির যে অবনমন হয়েছে, আমি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে তা পুনরুদ্ধার করে শিক্ষা ও গবেষণার কার্যক্রম পুনঃপ্রতিষ্ঠা করব। সর্বোচ্চ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করব। আলোচনা না শুনলে প্রতিবাদ করব। তবে সংঘাতে জড়াব না। সংঘাতে নয়, কাজে বিশ্বাসী। আশা করি আমি এটা পারব।
প্রশ্ন: সমাবর্তনের দাবিটি বেশ জোরালো। সমাবর্তনের বিষয়ে চিন্তাভাবনা কী?
উত্তর: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দেশের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়। প্রত্যেক শিক্ষার্থী যখন স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল কিংবা পিএইচডি শেষ করে, তখন তার মনে একটা আশা জাগে যে সে সমাবর্তনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে মূল সনদ গ্রহণ করবে। সমাবর্তন নিয়মিত হওয়া উচিত। প্রতিবছর না হলেও অন্তত দুই বছরে একবার হওয়াই বাঞ্ছনীয়। এর জন্য সবাই মিলে কাজ করতে হবে। একটা প্রক্রিয়া আছে। এ ক্ষেত্রে আমার ভূমিকা রাখতে হলে আমি অবশ্যই রাখব।
প্রশ্ন: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিংয়ে বেশ পিছিয়ে আছে। র্যাঙ্কিংয়ে যাওয়ার বিষয়ে আপনার চিন্তাভাবনা কী?
উত্তর: আমার মনে হয় র্যাঙ্কিংয়ে যেতেই হবে, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনসেপ্টে নেই। এটা অটোমেটিক হয়। র্যাঙ্কিংয়েও কিছুটা রাজনীতি ও পক্ষপাতিত্ব আছে। এর মাধ্যমে যে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নির্ধারিত হবে, সেটা সঠিক নয়। তবুও র্যাঙ্কিং বলতে যে একটা শব্দ আছে, তাতে যাওয়ার চেষ্টা থাকা ভালো। আমরা বিষয়টা দেখব।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মিনহাজ তুহিন।
প্রশ্ন: সহ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় আপনার অনুভূতি জানতে চাই।
উত্তর: আমাকে সহ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন এবং শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। দীর্ঘদিন ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছি। আমি এ বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্ষদে প্রতিনিধিত্ব করেছি। এখন প্রশাসনিক কাজের সঙ্গে সংযুক্ত হলাম। সব মিলিয়ে আনন্দিত ও পুলকিত। তবে আমি শিক্ষকতা করে যে আনন্দ পেতাম, সেটা থেকে আনন্দের ভাগ কিছুটা কমে যাবে। কারণ আমি ক্লাস নিতে খুব স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?
উত্তর: বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন সহ-উপাচার্যের পরিকল্পনা এককভাবে বাস্তবায়ন করা যায় না। এটা একটা টিমওয়ার্ক। উপাচার্য, আরেক সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার অফিস, নির্বাচিত ডিন, প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টর অফিস, বিভাগীয় সভাপতিদের নিয়ে যে প্রশাসনিক কাঠামো, সবাইকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করব।
প্রশ্ন: নিয়োগে অনিয়ম, অধ্যাদেশ লঙ্ঘনসহ বেশ কিছু ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে শিক্ষকেরা দাবি করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে কী ভূমিকা নেবেন?
উত্তর: বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে একটা গতি ছিল তা কিছুটা স্থবির হয়ে গিয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে সুনামের কিছুটা অবনমন হয়েছে। এটা সবাই জানে, সবাই বলে। আমাদের ভাবমূর্তির যে অবনমন হয়েছে, আমি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে তা পুনরুদ্ধার করে শিক্ষা ও গবেষণার কার্যক্রম পুনঃপ্রতিষ্ঠা করব। সর্বোচ্চ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করব। আলোচনা না শুনলে প্রতিবাদ করব। তবে সংঘাতে জড়াব না। সংঘাতে নয়, কাজে বিশ্বাসী। আশা করি আমি এটা পারব।
প্রশ্ন: সমাবর্তনের দাবিটি বেশ জোরালো। সমাবর্তনের বিষয়ে চিন্তাভাবনা কী?
উত্তর: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দেশের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়। প্রত্যেক শিক্ষার্থী যখন স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল কিংবা পিএইচডি শেষ করে, তখন তার মনে একটা আশা জাগে যে সে সমাবর্তনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে মূল সনদ গ্রহণ করবে। সমাবর্তন নিয়মিত হওয়া উচিত। প্রতিবছর না হলেও অন্তত দুই বছরে একবার হওয়াই বাঞ্ছনীয়। এর জন্য সবাই মিলে কাজ করতে হবে। একটা প্রক্রিয়া আছে। এ ক্ষেত্রে আমার ভূমিকা রাখতে হলে আমি অবশ্যই রাখব।
প্রশ্ন: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিংয়ে বেশ পিছিয়ে আছে। র্যাঙ্কিংয়ে যাওয়ার বিষয়ে আপনার চিন্তাভাবনা কী?
উত্তর: আমার মনে হয় র্যাঙ্কিংয়ে যেতেই হবে, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনসেপ্টে নেই। এটা অটোমেটিক হয়। র্যাঙ্কিংয়েও কিছুটা রাজনীতি ও পক্ষপাতিত্ব আছে। এর মাধ্যমে যে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নির্ধারিত হবে, সেটা সঠিক নয়। তবুও র্যাঙ্কিং বলতে যে একটা শব্দ আছে, তাতে যাওয়ার চেষ্টা থাকা ভালো। আমরা বিষয়টা দেখব।
মাইলস্টোন কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। উত্তরার ডিয়াবাড়িতে অবস্থিত কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস মাঠে অনুষ্ঠিত খেলায় অংশগ্রহণ করে নবম শ্রেণির সকল বালিকা। এ সময় তারা উচ্চ লাফ, দীর্ঘ লাফ, দড়ি লাফ, সাইক্লিং, হ্যান্ডবল, দৌড় প্রতিযোগিতা ছাড়াও বিভিন্ন একক ও দলগত প্রতিযোগিতায়
১১ ঘণ্টা আগেনর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) স্টার্টআপস নেক্সট গত বুধবার দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন ভ্রমণ প্রযুক্তি নির্ভর স্টার্টআপ ‘শেয়ার ট্রিপ’-এর সঙ্গে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে সফল স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠার চ্যালেঞ্জগুলো দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করার কৌশল তুলে ধরেন শেয়ার ট্রিপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সাদিয়া হক। অনুষ্
২০ ঘণ্টা আগেইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজিতে গ্রামীণ সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব উদ্যাপিত হয়েছে। গতকাল বুধবার আইইউবিএটির নিজস্ব ক্যাম্পাসে কলেজ অব এগ্রিকালচারাল সায়েন্সেসের উদ্যোগে গ্রামীণ সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব উদ্যাপিত হয়।
২১ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ ১ম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৃহষ্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. শেখ মো. গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
১ দিন আগে