Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

বিদেশে এসে বুঝেছি, বৈষম্য দূর করার জন্য আলোচনা ও সচেতনতা জরুরি

মেহেদী হাসান। ছবি: সংগৃহীত

শাবিপ্রবি থেকে টেক্সাস টেক ইউনিভার্সিটি। যাত্রাটা বেশ বর্ণিল মেহেদী হাসানের। ছাত্রজীবনে আয়োজন করেছিলেন দেশে প্রথম ক্যাম্পাস জার্নালিস্ট ফেস্ট। এখন টিটিইউতে পিএইচডি গবেষক হিসেবে কাজ করছেন। বিদেশে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মো. আশিকুর রহমান

মো. আশিকুর রহমান
আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮: ০৯

শাবিপ্রবিতে পড়াশোনার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

মেহেদী হাসান: শাবিপ্রবিতে আমার পড়াশোনার সময়টা ছিল জীবনের অন্যতম সোনালি অধ্যায়। পুরোপুরি উপভোগ করেছি এই সময়টা। পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন একাধিক জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছি। এর মাধ্যমে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি। এ ছাড়া স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্নোত্থানের সাধারণ সম্পাদক, জামালপুর স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং ফরাসি ভাষা ক্লাবসহ অন্যান্য সংগঠনে সক্রিয় ছিলাম।

পড়াশোনার বাইরে বিভিন্ন ইভেন্ট, যেমন বইমেলা, ক্যাম্পাস জার্নালিজম ফেস্ট, বিজনেস ফেস্ট, রিইউনিয়ন আয়োজনেও ভূমিকা রেখেছি। শাবিপ্রবি থেকে মার্কেটিংয়ে বিবিএ এবং এমবিএ করার পাশাপাশি ফরাসি ভাষায় সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা শেষ করেছি। সংক্ষেপে বিশ্ববিদ্যালয়জীবন ছিল ব্যস্ততায় পরিপূর্ণ এবং আনন্দময়।

টেক্সাস টেক ইউনিভার্সিটিতে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া কেমন ছিল?

মেহেদী: উত্তর আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে প্রয়োজন হয় সিভি, টেস্ট স্কোর (জিআরই/জিম্যাট), স্টেটমেন্ট অব পারপাস, একাডেমিক সার্টিফিকেট ও মার্কশিট, ভাষা দক্ষতার স্কোর অর্থাৎ টোয়েফল বা আইইএলটিএস এবং রেফারেন্স লেটার। আমার ক্ষেত্রে জিআরই/জিম্যাটের প্রয়োজন পড়েনি। তবে আমি আইইএলটিএস দিয়েছিলাম। চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করে তিনটিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলাম। বৃত্তিসহ টেক্সাস টেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় এখানে আসি। মাস্টার্স সম্পন্ন করে বর্তমানে এখানেই পিএইচডি করছি।

সেখানে প্রথম কিছুদিন কেমন কেটেছিল?

মেহেদী: ২০২১ সালের আগস্টে টেক্সাস টেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসি। প্রথম সেমিস্টারটি বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। নতুন দেশের পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া, শিক্ষাব্যবস্থার ভিন্নতা এবং নতুন বিষয়ে পড়াশোনা—সবই চ্যালেঞ্জের অংশ ছিল। প্রথম দিকে ক্যাম্পাসের প্রায় ২ হাজার একরের বিশাল এলাকায় ঘুরে ঘুরে জায়গাগুলো চিনে নেওয়ার চেষ্টা করতাম। নতুন বন্ধু ও শিক্ষকদের সঙ্গে পরিচিত হওয়া, নতুন পরিবেশে খাপ খাওয়ানোও ছিল একটি বড় কাজ।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে আপনি কী পার্থক্য লক্ষ করছেন?

মেহেদী: বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাব্যবস্থা আলোচনা ও সমালোচনামূলক চিন্তাধারার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা পরীক্ষায় পাসের দিকে বেশি মনোযোগী। এখানে শেখানোর প্রক্রিয়াকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়, পরীক্ষা মুখ্য নয়। যুক্তরাষ্ট্রে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের মতামত ও সমালোচনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ধরনের শিক্ষাব্যবস্থায় মানিয়ে নিতে কিছুটা সময় লেগেছিল।

টেক্সাস টেক ইউনিভার্সিটি। ছবি: সংগৃহীত
টেক্সাস টেক ইউনিভার্সিটি। ছবি: সংগৃহীত

নতুন দেশে এসে কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন?

মেহেদী: নতুন পরিবেশ, শিক্ষাব্যবস্থা এবং পারিবারিক দূরত্ব—সব মিলিয়ে প্রথম দিকে কিছুটা অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছি। তবে শিক্ষকদের আন্তরিক সহযোগিতা এবং টেক্সাস টেকের বাংলাদেশি কমিউনিটির সহায়তায় এগুলো কাটিয়ে উঠেছি। আমার শিক্ষক একবার বলেছিলেন, ‘তুমি কিছু পারো না বলেই এখানে এসেছ। আমরা আছি তোমাকে সাহায্য করার জন্য।’ কথাটি আমাকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল।

আপনার গবেষণার ফোকাস কী ছিল?

মেহেদী: টেক্সাস টেক বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স থিসিসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় সাংবাদিকদের ভূমিকা ও সংবাদমাধ্যমের প্রোপাগান্ডা কৌশল নিয়ে কাজ করেছি। এই গবেষণার জন্য ২০২৪ সালে সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগে প্রথম পুরস্কার পেয়েছি। বর্তমানে পিএইচডি গবেষণায় বড় বড় বিজ্ঞানভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগাযোগ এবং সাইবার ইনফ্রাস্ট্রাকচার নিয়ে কাজ করছি।

গবেষণায় সাফল্যের জন্য কী কী দক্ষতা থাকা জরুরি?

মেহেদী: গবেষণায় সাফল্যের জন্য ধৈর্য, সততা এবং নিয়মিত পড়ার অভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণার ক্ষেত্রে নিজের কাজের প্রতি আন্তরিকতা ও অন্যের কাজের প্রতি সম্মান থাকা জরুরি। পাশাপাশি সমালোচনামূলক চিন্তা ও সৃজনশীলতাও জরুরি।

আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা কী?

মেহেদী: জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো বৈষম্যের বিষয়টি উপলব্ধি করা। আমাদের সমাজে বিভিন্ন ধরনের বর্ণবাদ ও বৈষম্য রয়েছে, যা আমরা অনেক সময় বুঝতে পারি না। দেশের বাইরে এসে বুঝেছি যে বৈষম্য দূর করার জন্য আলোচনা ও সচেতনতা জরুরি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৪
ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩১ ডিসেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ আবশ্যিক ও নৈর্বাচনিক বিষয় ও বিষয়গুলো এক থেকে চার বিষয়ে ২০২৫ সালে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অকৃতকার্য বিষয় ও বিষয়গুলোতে অংশ নেওয়ার জন্য নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবরে সাদা কাগজে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করবে।

আরও বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।

আরও বলা হয়, বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) ২ হাজার ৪৩৫ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকে ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বেতন ও সেশন চার্জ হিসেবে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে।কোনো শিক্ষার্থীর নবম ও দশম শ্রেণির মোট ২৪ মাসের বেশি বেতন নেওয়া যাবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল এবং ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, যা ‘প্রোগ্রামিংয়ের অলিম্পিক’ খ্যাত—আইসিপিসির এই রিজিওনাল পর্বটি ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ বিইউবিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, বিইউবিটি এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করার গৌরব অর্জন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিইউবিটির উপাচার্য ড. এ বি এম শওকত আলী উপস্থিত সাংবাদিকদের এবং এই আয়োজনের গর্বিত স্পনসরদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য হলো সারা দেশ থেকে বাংলাদেশের সেরা প্রোগ্রামারদের খুঁজে বের করা এবং তাঁদের মেধা বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেওয়া।’

শওকত আলী আরও জানান, এবারের আয়োজনে সারা বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড সংখ্যক প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। মোট ৩১৩টি টিমের ৯৩৯ জন মেধাবী প্রোগ্রামার এই চূড়ান্ত পর্বে লড়বেন, যা বাংলাদেশে আইসিপিসির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য মো. শামসুল হুদা এফসিএ।

এ ছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো তুলে ধরেন আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর আরসিডি (RCD) এবং বিইউবিটির সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাইফুর রহমান এবং আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ও এনএসইউর ইসিই বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল লায়েস এম এস হক।

এ সময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস বিচারক (২০০৩-২০১৮) শাহরিয়ার মঞ্জুর এবং বিইউবিটির প্রকৌশল ও ফলিতবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মুন্সী মাহবুবুর রহমান। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিইউবিটির সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: তিন দিনেও প্রকাশ করা হয়নি ব্যালট নম্বর, প্রচারে নেমে বিপাকে প্রার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের ‎আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।

‎‎তফসিল সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর। প্রচারণার ১৩ দিন সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচারণায় বাধার অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা।

‎‎শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেল’ থেকে ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ব্যালট নম্বর না থাকায় প্রচার ও পেপার ছাপাতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে নাম সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

‎ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল’ থেকে জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচার ব্যাহত হচ্ছে এবং এতে নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়। দ্রুত ব্যালট নম্বর প্রকাশের দাবি জানান তিনি।

‎স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী চন্দন কুমার দাস বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দায়িত্বহীন। প্রার্থিতা ও আচরণবিধি-সংক্রান্ত অভিযোগে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার পাশাপাশি ব্যালট নম্বর না দেওয়ায় প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা কোনো পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

‎‎এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম চলছে। প্রার্থীদের নাম সংশোধনের জন্য আমাদের কাছে আবেদন এসেছে অনেকগুলো। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নাম সংশোধন বা নিকনেম রাখার জন্য কাজ করছি। ফলে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লাগছে।’

‎এর আগে ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহারকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভোট গ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর, ভোট গণনা ৩০ ডিসেম্বর (ভোট গ্রহণ শেষে) এবং ফলাফল ঘোষণা ৩০ অথবা ৩১ ডিসেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত