
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ৯ম উপাচার্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। ২০০২ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা দিয়ে তাঁর কর্মজীবনের শুরু। তিনি ২০১১ সালে জাপানের কাগাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি এবং কাগাওয়া মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্টডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। পবিপ্রবির সার্বিক অবস্থা নিয়ে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মীর মহিবুল্লাহ।
মীর মহিবুল্লাহ

আপনি প্রায় ৪ মাস হলো নিয়োগ পেয়েছেন। কী কী পরিবর্তন আনলেন?
আমার এই ৪ মাসের মধ্যে পবিপ্রবিকে বিশ্বমানের এবং ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিংয়ে নিয়ে আসার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি, যা বর্তমানে দৃশ্যমান। সেগুলো হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং শিক্ষা ও গবেষণা পাঠদানের জন্য যে ক্লাসরুমগুলো আছে, সেগুলোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ বছর ৭ মাসে ধরে যে অনিয়ম চলছিল; শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্রদের মধ্যে যে অস্থিরতা ও হীনম্মন্যতা কাজ করছিল, সেটি কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রতিটি শাখায় ভিজিট করে অফিসের সময়টা নিশ্চিত করেছি। শিক্ষকদের শিক্ষায় ও গবেষণায় উজ্জীবিত করা এবং উন্নয়নে কাজগুলো নিয়মিত তদারকি করে চলছি। সঙ্গে সঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের আনাগোনা এবং মাদকের যে একটা আখড়া ছিল, সেটিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দমন করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাবুগঞ্জ ও মেইন ক্যাম্পাসকে র্যাগিংমুক্ত করেছি। মাদক ও র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা চলমান থাকবে।
দীর্ঘদিন পর অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য পেল পবিপ্রবি। আপনাকে কীভাবে গ্রহণ করল? সবার সহযোগিতা কতটা পাচ্ছেন?
এককথায় বলব, আমাকে খুশিমনে গ্রহণ করেছে। আমি যে উদ্যোগগুলো নিয়েছি, সেগুলোর প্রতি সাড়া দিয়েছেন প্রো-উপাচার্য, ট্রেজারার, প্রক্টরিয়াল বডি, অ্যাডভাইজরি বডি, প্রভোস্ট কাউন্সিল, সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী—সবাই। তাঁদের সহযোগিতা শুধু অফিশিয়াল সময়েই নয়, রাত ১২টা-১টা পর্যন্তও প্রশাসনিক বডিগুলো কাজ করছে। আমিসহ আমার বর্তমান প্রশাসনের যে চাওয়া, তা হলো বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার শিক্ষা ও গবেষণাকে এগিয়ে নেওয়া। তাঁরা বিষয়টি অনুধাবন করে সার্বিক সহযোগিতা করছেন, যা প্রমাণ করে, পবিপ্রবির পরিবার আমাকে ভালোভাবে গ্রহণ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?
দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হলো পবিপ্রবি। এখানে দুই ধরনের শিক্ষার্থী ভর্তি হয়—কৃষি গুচ্ছ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গুচ্ছ থেকে। এ ছাড়া এখানে অনেক মেধাবী শিক্ষক রয়েছেন এবং গবেষণার জন্য ভালো সুযোগ রয়েছে। আমি দেশের বাইরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় খুব কাছ থেকে দেখেছি। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়কে র্যাঙ্কিংয়ে নিয়ে আসার জন্য কাজ করব। পবিপ্রবির গবেষণার ফল সারা দেশসহ বিশ্বের বুকে ছড়িয়ে দেওয়া আমার মূল লক্ষ্য। ক্লাসরুম এবং গবেষণাগারগুলোর শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ তৈরি করা খুবই জরুরি, যার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত অর্থায়ন।
কাজের অগ্রাধিকার পর্যায়ক্রমে কী কী?
প্রথম অগ্রাধিকার হলো শিক্ষা ও গবেষণা। দ্বিতীয়টি হচ্ছে করোনার সময়ের কারণে ছাত্রছাত্রীদের জীবনে যে সময় নষ্ট হয়েছে, সেটি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য দ্রুত ক্লাস, পরীক্ষা ও ফলাফল দেওয়া। তৃতীয়ত, মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস গঠন করা। মাদক নিরোধের লক্ষ্যে আমরা প্রথমে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ভর্তি নিয়েছি এবং ভবিষ্যতে এটি শতভাগ নিশ্চিত করার চেষ্টা করব। চতুর্থত, র্যাগিংমুক্ত হলের পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো ধীরে ধীরে সমাধান করা। পঞ্চমত, শিক্ষকদের গবেষণায় উৎসাহিত করা এবং তাদের উপযুক্ত পুরস্কৃত করা। এ ছাড়া যারা ভালো কাজ করবে বা এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিতে অংশ নেবে, তাদেরও পুরস্কৃত করা হবে। এভাবেই আমি পবিপ্রবিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
অতীতের অনেক অনিয়ম, অবৈধ নিয়োগ ও পদোন্নতি ছিল। এ ছাড়া বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত হলেও প্রতিবেদন জমা হতো না। এ ব্যাপারে আপনার উদ্যোগ থাকবে কি না?
আমি আসার পরপরই তদন্ত কমিশন-২০২৪ গঠন করেছি। সেই কমিশনের মূল লক্ষ্য হলো ২০০৯ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সব অনিয়মের তদন্ত করা এবং দ্রুত রিপোর্ট জমা দিয়ে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া। ১৫ বছরের অনিয়মের কারণে শিক্ষার পরিবেশ ও প্রশাসনিক পরিবেশ পুনরুদ্ধারে কিছুটা সময় লাগছে, তাই প্রতিবেদনগুলোতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটিগুলো বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আমি আশা করছি, শিগগির এর ফল প্রকাশ পাবে। একই সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার জন্য সুপারিশ করা হবে।
ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তি হবে কি না?
ভর্তি পরীক্ষার যে দুর্নীতি ঘটেছে, তার তদন্ত চলছে এবং গোয়েন্দা সংস্থাও তথ্য সংগ্রহ করছে। অনেক অগ্রগতি হয়েছে, যা কিছুদিনের মধ্যে প্রকাশিত হবে। তবে গোপনীয়তার স্বার্থে এই বিষয়ে এখন বিস্তারিত কিছু বলা ঠিক হবে না।
শিক্ষার্থী দেবাশীষ মণ্ডলের আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন?
দেবাশীষের আত্মহত্যা, কেন চাকরি পায়নি এবং তার চাকরি নিয়ে ঘুষ কেলেঙ্কারির কয়েকটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। এসব নিয়ে আমাদের তদন্ত কমিটির একটি উপকমিটিকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইনশা আল্লাহ খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

থেমে থাকা কনস্ট্রাকশনের কাজের কী অবস্থা? দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীদের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেবেন?
আমি এসেই থেমে থাকা কাজগুলো চালুর লক্ষ্যে অধ্যাপক মো. জামাল হোসেনকে তদারকির দায়িত্ব দিয়ে এবং সকল ঠিকাদার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কনস্ট্রাকশন কনসালট্যান্সি ফার্মের বিভিন্ন পর্যায়ের ইঞ্জিনিয়ার এবং দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে বারবার বৈঠক করেছি। বর্তমানে কনস্ট্রাকশন কাজগুলো দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য আমার প্রশাসনের সব পর্যায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। এ ছাড়া আমার কাছে নতুন করে কোনো প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ নেই। তবে কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। আমরা দুদককে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছি। এ ছাড়া সবার ওপর আমাদের বর্তমান প্রশাসনের নজরদারি রয়েছে।
ছাত্ররাজনীতি নিয়ে আলোচনার সময় শিক্ষকরাজনীতির প্রসঙ্গও এসে যায়। আমরা দেখেছি, শিক্ষকরাজনীতিতে দল ভারী করতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। শিক্ষকনেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদ পেতে নির্লজ্জভাবে দলকানা হয়ে ওঠেন। এটা ঠেকাবেন কী করে?
এটা ঠেকানো খুবই কঠিন। তবে আমাদের শিক্ষকদের বোঝা উচিত, আমরা প্রথমে শিক্ষক। সেখানে শিক্ষকতা ছাড়িয়ে রাজনীতি আমাদের পেশা হওয়াটা সমীচীন নয়। আমার মনে হয়, যাঁরা একটি পোস্ট ও পজিশনের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন, তাঁদের সে অপরাজনীতি বাদ দিয়ে বর্তমান প্রশাসনকে সহযোগিতা করা উচিত। কারণ, এর আগে যা হয়েছে তা ভুলে যান। আমার আমলে এমন কিছু হতে দেব না। আগে এসব কারণেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা থেকে পিছিয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে আমি সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
ক্যাম্পাসে রাজনীতি কবে শুরু হবে? ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন কি না?
সরকার চাইলে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্রদের রাজনীতি ক্যাম্পাসে উন্মুক্ত হবে, এর আগে নয়। এ ছাড়া ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে ইউজিসি ও মন্ত্রণালয় থেকে যদি নির্দেশনা আসে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকশিত করার বিভিন্ন এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটি এবং অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনগুলোর কার্যক্রম চালু রয়েছে।
বহিরাগতরা বিগত দিনে পবিপ্রবির সবকিছুতেই হস্তক্ষেপের পাশাপাশি উপাচার্যকে নিয়ন্ত্রণ করতেন। এই ৪ মাসে আপনার সঙ্গে এমন হয়েছে কি না?
এখন পর্যন্ত বহিরাগতদের কোনো চাপ অনুভব করছি না। নিঃসংকোচে নির্দ্বিধায় আমার মেধা, যোগ্যতা ও প্রজ্ঞা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। গত ৪ মাসে শতভাগ অনিয়ম দূর করা সম্ভব না হলেও এসব দূরে ঠেলে কাজ করছি।
রেজিস্ট্রার একটি দাপ্তরিক পদ। সেখানে কর্মকর্তা না বসিয়ে সব সময় কেন শিক্ষকেরা বসছেন?
আমি কাউকেই খাটো করে দেখছি না। গত ১৫ বছরে দাপ্তরিক যে অসংগতি সৃষ্টি হয়েছে, সেটা দূর করা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন পজিশনে শিক্ষকদের দ্বারাই সেটা দূর করা সম্ভব বলে মনে করি। আমি ভালো মানুষগুলোকে সিলেকশন দিয়েছি, তাঁদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয় একটি পজিশনে এলে পরবর্তী সময়ে বিকল্প চিন্তা করব।
২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি আজকের পত্রিকার প্রথম পাতায় আপনার বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে লিড নিউজ হয়েছিল ‘এ যেন পারিবারিক বিশ্ববিদ্যালয়’ শিরোনামে। এই পরিবারেতন্ত্রের সিন্ডিকেট কীভাবে ভাঙবেন?
উত্তর: এই সিন্ডিকেটকে ভাঙার চেষ্টা করছি। সামনে যাতে এ রকম আর না হয়, সে জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
৫ আগস্টের পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁরা বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের বলে অভিযোগ রয়েছে। আপনি আসলে কোনো দলের সঙ্গে জড়িত কি না?
আমি আগেই বলেছি প্রথমে আমি একজন শিক্ষক ও গবেষক। আমি একজন মানুষ হিসেবে আমার নিজস্ব স্বকীয়তা থাকতেই পারে।
পবিপ্রবিতে দলমত-নির্বিশেষে সব সময় দুটি গ্রুপ থাকে যেমন ভিসি গ্রুপ ও ভিসিবিরোধী গ্রুপ। বর্তমানে আপনার কোনো গ্রুপ তৈরি হয়েছে কি না?
ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে সবারই চাওয়া পাওয়া থাকে। কারও থাকে নিয়মতান্ত্রিক, কারও অনৈতিক। আপনি যখন নিয়মতান্ত্রিক সব চাওয়া পাওয়াই পূরণ করতে পারবেন না, আর অনৈতিক তো প্রশ্নই আসে না। তখনই আপনার শত্রু জন্মাবে এবং ভিসিবিরোধী দল তৈরি হবে। বিরোধিতা আমার করতেই পারে, সেটা আমি ঠেকাতে যাব না। বিরোধিতাই আমাকে সঠিক পথে পরিচালনা করবে, সব সময় আমাকে সচেতন রাখবে। তবে আমি কোনো গ্রুপ করার পক্ষপাতি নই। আমি আমার মেধা, প্রজ্ঞা, যোগ্যতা ও সততা দিয়েই সবার গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে চাই।
সর্বশেষ অবৈধ নিয়োগের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন?
সে সময় আমি ছিলাম না, তবে নিয়োগটি নিয়ে আমাদের প্রশ্ন আছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আদালতের কিছু অবজারভেশন আছে। তাঁদের সুপারিশের আলোকে আশা করি ভবিষ্যতে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান নিয়ে আপনি কী বলবেন?
প্রথমেই বলব আমি এবং বর্তমান প্রশাসন হলাম এই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের একটি ফল। একটি পরিবর্তিত নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন। আমার বর্তমান প্রশাসন জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের রক্তের ফল। আমরা তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছি। বাহান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের স্বাধীনতা ও নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে একই সূত্রে গাঁথা এই জুলাই-আগস্ট চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান। শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং আহতদের পাশে বিত্তবানদের দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি।
সর্বশেষ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কিছু বলুন।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকমুক্ত, র্যাগিংমুক্ত থেকে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখে জ্ঞান আহরণের জন্য তোমরা এসেছো, জ্ঞান নিয়ে সারা পৃথিবীর বুকে ছড়িয়ে পড়বে এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মান মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখবে। সঙ্গে সঙ্গে তোমার এবং তোমার পরিবারের উন্নয়নের জন্য ভালো কাজে এগিয়ে যাও। অপরাজনীতি ও অপসংস্কৃতি থেকে দূরে থাকবে, যা বর্তমান পরিবর্তিত নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়।
আপনি প্রায় ৪ মাস হলো নিয়োগ পেয়েছেন। কী কী পরিবর্তন আনলেন?
আমার এই ৪ মাসের মধ্যে পবিপ্রবিকে বিশ্বমানের এবং ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিংয়ে নিয়ে আসার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি, যা বর্তমানে দৃশ্যমান। সেগুলো হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং শিক্ষা ও গবেষণা পাঠদানের জন্য যে ক্লাসরুমগুলো আছে, সেগুলোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ বছর ৭ মাসে ধরে যে অনিয়ম চলছিল; শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্রদের মধ্যে যে অস্থিরতা ও হীনম্মন্যতা কাজ করছিল, সেটি কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রতিটি শাখায় ভিজিট করে অফিসের সময়টা নিশ্চিত করেছি। শিক্ষকদের শিক্ষায় ও গবেষণায় উজ্জীবিত করা এবং উন্নয়নে কাজগুলো নিয়মিত তদারকি করে চলছি। সঙ্গে সঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের আনাগোনা এবং মাদকের যে একটা আখড়া ছিল, সেটিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দমন করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাবুগঞ্জ ও মেইন ক্যাম্পাসকে র্যাগিংমুক্ত করেছি। মাদক ও র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা চলমান থাকবে।
দীর্ঘদিন পর অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য পেল পবিপ্রবি। আপনাকে কীভাবে গ্রহণ করল? সবার সহযোগিতা কতটা পাচ্ছেন?
এককথায় বলব, আমাকে খুশিমনে গ্রহণ করেছে। আমি যে উদ্যোগগুলো নিয়েছি, সেগুলোর প্রতি সাড়া দিয়েছেন প্রো-উপাচার্য, ট্রেজারার, প্রক্টরিয়াল বডি, অ্যাডভাইজরি বডি, প্রভোস্ট কাউন্সিল, সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী—সবাই। তাঁদের সহযোগিতা শুধু অফিশিয়াল সময়েই নয়, রাত ১২টা-১টা পর্যন্তও প্রশাসনিক বডিগুলো কাজ করছে। আমিসহ আমার বর্তমান প্রশাসনের যে চাওয়া, তা হলো বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার শিক্ষা ও গবেষণাকে এগিয়ে নেওয়া। তাঁরা বিষয়টি অনুধাবন করে সার্বিক সহযোগিতা করছেন, যা প্রমাণ করে, পবিপ্রবির পরিবার আমাকে ভালোভাবে গ্রহণ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?
দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হলো পবিপ্রবি। এখানে দুই ধরনের শিক্ষার্থী ভর্তি হয়—কৃষি গুচ্ছ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গুচ্ছ থেকে। এ ছাড়া এখানে অনেক মেধাবী শিক্ষক রয়েছেন এবং গবেষণার জন্য ভালো সুযোগ রয়েছে। আমি দেশের বাইরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় খুব কাছ থেকে দেখেছি। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়কে র্যাঙ্কিংয়ে নিয়ে আসার জন্য কাজ করব। পবিপ্রবির গবেষণার ফল সারা দেশসহ বিশ্বের বুকে ছড়িয়ে দেওয়া আমার মূল লক্ষ্য। ক্লাসরুম এবং গবেষণাগারগুলোর শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ তৈরি করা খুবই জরুরি, যার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত অর্থায়ন।
কাজের অগ্রাধিকার পর্যায়ক্রমে কী কী?
প্রথম অগ্রাধিকার হলো শিক্ষা ও গবেষণা। দ্বিতীয়টি হচ্ছে করোনার সময়ের কারণে ছাত্রছাত্রীদের জীবনে যে সময় নষ্ট হয়েছে, সেটি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য দ্রুত ক্লাস, পরীক্ষা ও ফলাফল দেওয়া। তৃতীয়ত, মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস গঠন করা। মাদক নিরোধের লক্ষ্যে আমরা প্রথমে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ভর্তি নিয়েছি এবং ভবিষ্যতে এটি শতভাগ নিশ্চিত করার চেষ্টা করব। চতুর্থত, র্যাগিংমুক্ত হলের পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো ধীরে ধীরে সমাধান করা। পঞ্চমত, শিক্ষকদের গবেষণায় উৎসাহিত করা এবং তাদের উপযুক্ত পুরস্কৃত করা। এ ছাড়া যারা ভালো কাজ করবে বা এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিতে অংশ নেবে, তাদেরও পুরস্কৃত করা হবে। এভাবেই আমি পবিপ্রবিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
অতীতের অনেক অনিয়ম, অবৈধ নিয়োগ ও পদোন্নতি ছিল। এ ছাড়া বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত হলেও প্রতিবেদন জমা হতো না। এ ব্যাপারে আপনার উদ্যোগ থাকবে কি না?
আমি আসার পরপরই তদন্ত কমিশন-২০২৪ গঠন করেছি। সেই কমিশনের মূল লক্ষ্য হলো ২০০৯ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সব অনিয়মের তদন্ত করা এবং দ্রুত রিপোর্ট জমা দিয়ে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া। ১৫ বছরের অনিয়মের কারণে শিক্ষার পরিবেশ ও প্রশাসনিক পরিবেশ পুনরুদ্ধারে কিছুটা সময় লাগছে, তাই প্রতিবেদনগুলোতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটিগুলো বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আমি আশা করছি, শিগগির এর ফল প্রকাশ পাবে। একই সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার জন্য সুপারিশ করা হবে।
ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তি হবে কি না?
ভর্তি পরীক্ষার যে দুর্নীতি ঘটেছে, তার তদন্ত চলছে এবং গোয়েন্দা সংস্থাও তথ্য সংগ্রহ করছে। অনেক অগ্রগতি হয়েছে, যা কিছুদিনের মধ্যে প্রকাশিত হবে। তবে গোপনীয়তার স্বার্থে এই বিষয়ে এখন বিস্তারিত কিছু বলা ঠিক হবে না।
শিক্ষার্থী দেবাশীষ মণ্ডলের আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন?
দেবাশীষের আত্মহত্যা, কেন চাকরি পায়নি এবং তার চাকরি নিয়ে ঘুষ কেলেঙ্কারির কয়েকটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। এসব নিয়ে আমাদের তদন্ত কমিটির একটি উপকমিটিকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইনশা আল্লাহ খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

থেমে থাকা কনস্ট্রাকশনের কাজের কী অবস্থা? দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীদের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেবেন?
আমি এসেই থেমে থাকা কাজগুলো চালুর লক্ষ্যে অধ্যাপক মো. জামাল হোসেনকে তদারকির দায়িত্ব দিয়ে এবং সকল ঠিকাদার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কনস্ট্রাকশন কনসালট্যান্সি ফার্মের বিভিন্ন পর্যায়ের ইঞ্জিনিয়ার এবং দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে বারবার বৈঠক করেছি। বর্তমানে কনস্ট্রাকশন কাজগুলো দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য আমার প্রশাসনের সব পর্যায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। এ ছাড়া আমার কাছে নতুন করে কোনো প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ নেই। তবে কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। আমরা দুদককে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছি। এ ছাড়া সবার ওপর আমাদের বর্তমান প্রশাসনের নজরদারি রয়েছে।
ছাত্ররাজনীতি নিয়ে আলোচনার সময় শিক্ষকরাজনীতির প্রসঙ্গও এসে যায়। আমরা দেখেছি, শিক্ষকরাজনীতিতে দল ভারী করতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। শিক্ষকনেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদ পেতে নির্লজ্জভাবে দলকানা হয়ে ওঠেন। এটা ঠেকাবেন কী করে?
এটা ঠেকানো খুবই কঠিন। তবে আমাদের শিক্ষকদের বোঝা উচিত, আমরা প্রথমে শিক্ষক। সেখানে শিক্ষকতা ছাড়িয়ে রাজনীতি আমাদের পেশা হওয়াটা সমীচীন নয়। আমার মনে হয়, যাঁরা একটি পোস্ট ও পজিশনের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন, তাঁদের সে অপরাজনীতি বাদ দিয়ে বর্তমান প্রশাসনকে সহযোগিতা করা উচিত। কারণ, এর আগে যা হয়েছে তা ভুলে যান। আমার আমলে এমন কিছু হতে দেব না। আগে এসব কারণেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা থেকে পিছিয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে আমি সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
ক্যাম্পাসে রাজনীতি কবে শুরু হবে? ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন কি না?
সরকার চাইলে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্রদের রাজনীতি ক্যাম্পাসে উন্মুক্ত হবে, এর আগে নয়। এ ছাড়া ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে ইউজিসি ও মন্ত্রণালয় থেকে যদি নির্দেশনা আসে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকশিত করার বিভিন্ন এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটি এবং অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনগুলোর কার্যক্রম চালু রয়েছে।
বহিরাগতরা বিগত দিনে পবিপ্রবির সবকিছুতেই হস্তক্ষেপের পাশাপাশি উপাচার্যকে নিয়ন্ত্রণ করতেন। এই ৪ মাসে আপনার সঙ্গে এমন হয়েছে কি না?
এখন পর্যন্ত বহিরাগতদের কোনো চাপ অনুভব করছি না। নিঃসংকোচে নির্দ্বিধায় আমার মেধা, যোগ্যতা ও প্রজ্ঞা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। গত ৪ মাসে শতভাগ অনিয়ম দূর করা সম্ভব না হলেও এসব দূরে ঠেলে কাজ করছি।
রেজিস্ট্রার একটি দাপ্তরিক পদ। সেখানে কর্মকর্তা না বসিয়ে সব সময় কেন শিক্ষকেরা বসছেন?
আমি কাউকেই খাটো করে দেখছি না। গত ১৫ বছরে দাপ্তরিক যে অসংগতি সৃষ্টি হয়েছে, সেটা দূর করা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন পজিশনে শিক্ষকদের দ্বারাই সেটা দূর করা সম্ভব বলে মনে করি। আমি ভালো মানুষগুলোকে সিলেকশন দিয়েছি, তাঁদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয় একটি পজিশনে এলে পরবর্তী সময়ে বিকল্প চিন্তা করব।
২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি আজকের পত্রিকার প্রথম পাতায় আপনার বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে লিড নিউজ হয়েছিল ‘এ যেন পারিবারিক বিশ্ববিদ্যালয়’ শিরোনামে। এই পরিবারেতন্ত্রের সিন্ডিকেট কীভাবে ভাঙবেন?
উত্তর: এই সিন্ডিকেটকে ভাঙার চেষ্টা করছি। সামনে যাতে এ রকম আর না হয়, সে জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
৫ আগস্টের পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁরা বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের বলে অভিযোগ রয়েছে। আপনি আসলে কোনো দলের সঙ্গে জড়িত কি না?
আমি আগেই বলেছি প্রথমে আমি একজন শিক্ষক ও গবেষক। আমি একজন মানুষ হিসেবে আমার নিজস্ব স্বকীয়তা থাকতেই পারে।
পবিপ্রবিতে দলমত-নির্বিশেষে সব সময় দুটি গ্রুপ থাকে যেমন ভিসি গ্রুপ ও ভিসিবিরোধী গ্রুপ। বর্তমানে আপনার কোনো গ্রুপ তৈরি হয়েছে কি না?
ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে সবারই চাওয়া পাওয়া থাকে। কারও থাকে নিয়মতান্ত্রিক, কারও অনৈতিক। আপনি যখন নিয়মতান্ত্রিক সব চাওয়া পাওয়াই পূরণ করতে পারবেন না, আর অনৈতিক তো প্রশ্নই আসে না। তখনই আপনার শত্রু জন্মাবে এবং ভিসিবিরোধী দল তৈরি হবে। বিরোধিতা আমার করতেই পারে, সেটা আমি ঠেকাতে যাব না। বিরোধিতাই আমাকে সঠিক পথে পরিচালনা করবে, সব সময় আমাকে সচেতন রাখবে। তবে আমি কোনো গ্রুপ করার পক্ষপাতি নই। আমি আমার মেধা, প্রজ্ঞা, যোগ্যতা ও সততা দিয়েই সবার গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে চাই।
সর্বশেষ অবৈধ নিয়োগের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন?
সে সময় আমি ছিলাম না, তবে নিয়োগটি নিয়ে আমাদের প্রশ্ন আছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আদালতের কিছু অবজারভেশন আছে। তাঁদের সুপারিশের আলোকে আশা করি ভবিষ্যতে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান নিয়ে আপনি কী বলবেন?
প্রথমেই বলব আমি এবং বর্তমান প্রশাসন হলাম এই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের একটি ফল। একটি পরিবর্তিত নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন। আমার বর্তমান প্রশাসন জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের রক্তের ফল। আমরা তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছি। বাহান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের স্বাধীনতা ও নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে একই সূত্রে গাঁথা এই জুলাই-আগস্ট চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান। শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং আহতদের পাশে বিত্তবানদের দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি।
সর্বশেষ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কিছু বলুন।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকমুক্ত, র্যাগিংমুক্ত থেকে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখে জ্ঞান আহরণের জন্য তোমরা এসেছো, জ্ঞান নিয়ে সারা পৃথিবীর বুকে ছড়িয়ে পড়বে এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মান মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখবে। সঙ্গে সঙ্গে তোমার এবং তোমার পরিবারের উন্নয়নের জন্য ভালো কাজে এগিয়ে যাও। অপরাজনীতি ও অপসংস্কৃতি থেকে দূরে থাকবে, যা বর্তমান পরিবর্তিত নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ৯ম উপাচার্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। ২০০২ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা দিয়ে তাঁর কর্মজীবনের শুরু। তিনি ২০১১ সালে জাপানের কাগাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি এবং কাগাওয়া মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্টডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। পবিপ্রবির সার্বিক অবস্থা নিয়ে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মীর মহিবুল্লাহ।
মীর মহিবুল্লাহ

আপনি প্রায় ৪ মাস হলো নিয়োগ পেয়েছেন। কী কী পরিবর্তন আনলেন?
আমার এই ৪ মাসের মধ্যে পবিপ্রবিকে বিশ্বমানের এবং ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিংয়ে নিয়ে আসার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি, যা বর্তমানে দৃশ্যমান। সেগুলো হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং শিক্ষা ও গবেষণা পাঠদানের জন্য যে ক্লাসরুমগুলো আছে, সেগুলোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ বছর ৭ মাসে ধরে যে অনিয়ম চলছিল; শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্রদের মধ্যে যে অস্থিরতা ও হীনম্মন্যতা কাজ করছিল, সেটি কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রতিটি শাখায় ভিজিট করে অফিসের সময়টা নিশ্চিত করেছি। শিক্ষকদের শিক্ষায় ও গবেষণায় উজ্জীবিত করা এবং উন্নয়নে কাজগুলো নিয়মিত তদারকি করে চলছি। সঙ্গে সঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের আনাগোনা এবং মাদকের যে একটা আখড়া ছিল, সেটিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দমন করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাবুগঞ্জ ও মেইন ক্যাম্পাসকে র্যাগিংমুক্ত করেছি। মাদক ও র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা চলমান থাকবে।
দীর্ঘদিন পর অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য পেল পবিপ্রবি। আপনাকে কীভাবে গ্রহণ করল? সবার সহযোগিতা কতটা পাচ্ছেন?
এককথায় বলব, আমাকে খুশিমনে গ্রহণ করেছে। আমি যে উদ্যোগগুলো নিয়েছি, সেগুলোর প্রতি সাড়া দিয়েছেন প্রো-উপাচার্য, ট্রেজারার, প্রক্টরিয়াল বডি, অ্যাডভাইজরি বডি, প্রভোস্ট কাউন্সিল, সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী—সবাই। তাঁদের সহযোগিতা শুধু অফিশিয়াল সময়েই নয়, রাত ১২টা-১টা পর্যন্তও প্রশাসনিক বডিগুলো কাজ করছে। আমিসহ আমার বর্তমান প্রশাসনের যে চাওয়া, তা হলো বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার শিক্ষা ও গবেষণাকে এগিয়ে নেওয়া। তাঁরা বিষয়টি অনুধাবন করে সার্বিক সহযোগিতা করছেন, যা প্রমাণ করে, পবিপ্রবির পরিবার আমাকে ভালোভাবে গ্রহণ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?
দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হলো পবিপ্রবি। এখানে দুই ধরনের শিক্ষার্থী ভর্তি হয়—কৃষি গুচ্ছ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গুচ্ছ থেকে। এ ছাড়া এখানে অনেক মেধাবী শিক্ষক রয়েছেন এবং গবেষণার জন্য ভালো সুযোগ রয়েছে। আমি দেশের বাইরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় খুব কাছ থেকে দেখেছি। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়কে র্যাঙ্কিংয়ে নিয়ে আসার জন্য কাজ করব। পবিপ্রবির গবেষণার ফল সারা দেশসহ বিশ্বের বুকে ছড়িয়ে দেওয়া আমার মূল লক্ষ্য। ক্লাসরুম এবং গবেষণাগারগুলোর শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ তৈরি করা খুবই জরুরি, যার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত অর্থায়ন।
কাজের অগ্রাধিকার পর্যায়ক্রমে কী কী?
প্রথম অগ্রাধিকার হলো শিক্ষা ও গবেষণা। দ্বিতীয়টি হচ্ছে করোনার সময়ের কারণে ছাত্রছাত্রীদের জীবনে যে সময় নষ্ট হয়েছে, সেটি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য দ্রুত ক্লাস, পরীক্ষা ও ফলাফল দেওয়া। তৃতীয়ত, মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস গঠন করা। মাদক নিরোধের লক্ষ্যে আমরা প্রথমে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ভর্তি নিয়েছি এবং ভবিষ্যতে এটি শতভাগ নিশ্চিত করার চেষ্টা করব। চতুর্থত, র্যাগিংমুক্ত হলের পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো ধীরে ধীরে সমাধান করা। পঞ্চমত, শিক্ষকদের গবেষণায় উৎসাহিত করা এবং তাদের উপযুক্ত পুরস্কৃত করা। এ ছাড়া যারা ভালো কাজ করবে বা এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিতে অংশ নেবে, তাদেরও পুরস্কৃত করা হবে। এভাবেই আমি পবিপ্রবিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
অতীতের অনেক অনিয়ম, অবৈধ নিয়োগ ও পদোন্নতি ছিল। এ ছাড়া বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত হলেও প্রতিবেদন জমা হতো না। এ ব্যাপারে আপনার উদ্যোগ থাকবে কি না?
আমি আসার পরপরই তদন্ত কমিশন-২০২৪ গঠন করেছি। সেই কমিশনের মূল লক্ষ্য হলো ২০০৯ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সব অনিয়মের তদন্ত করা এবং দ্রুত রিপোর্ট জমা দিয়ে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া। ১৫ বছরের অনিয়মের কারণে শিক্ষার পরিবেশ ও প্রশাসনিক পরিবেশ পুনরুদ্ধারে কিছুটা সময় লাগছে, তাই প্রতিবেদনগুলোতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটিগুলো বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আমি আশা করছি, শিগগির এর ফল প্রকাশ পাবে। একই সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার জন্য সুপারিশ করা হবে।
ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তি হবে কি না?
ভর্তি পরীক্ষার যে দুর্নীতি ঘটেছে, তার তদন্ত চলছে এবং গোয়েন্দা সংস্থাও তথ্য সংগ্রহ করছে। অনেক অগ্রগতি হয়েছে, যা কিছুদিনের মধ্যে প্রকাশিত হবে। তবে গোপনীয়তার স্বার্থে এই বিষয়ে এখন বিস্তারিত কিছু বলা ঠিক হবে না।
শিক্ষার্থী দেবাশীষ মণ্ডলের আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন?
দেবাশীষের আত্মহত্যা, কেন চাকরি পায়নি এবং তার চাকরি নিয়ে ঘুষ কেলেঙ্কারির কয়েকটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। এসব নিয়ে আমাদের তদন্ত কমিটির একটি উপকমিটিকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইনশা আল্লাহ খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

থেমে থাকা কনস্ট্রাকশনের কাজের কী অবস্থা? দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীদের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেবেন?
আমি এসেই থেমে থাকা কাজগুলো চালুর লক্ষ্যে অধ্যাপক মো. জামাল হোসেনকে তদারকির দায়িত্ব দিয়ে এবং সকল ঠিকাদার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কনস্ট্রাকশন কনসালট্যান্সি ফার্মের বিভিন্ন পর্যায়ের ইঞ্জিনিয়ার এবং দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে বারবার বৈঠক করেছি। বর্তমানে কনস্ট্রাকশন কাজগুলো দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য আমার প্রশাসনের সব পর্যায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। এ ছাড়া আমার কাছে নতুন করে কোনো প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ নেই। তবে কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। আমরা দুদককে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছি। এ ছাড়া সবার ওপর আমাদের বর্তমান প্রশাসনের নজরদারি রয়েছে।
ছাত্ররাজনীতি নিয়ে আলোচনার সময় শিক্ষকরাজনীতির প্রসঙ্গও এসে যায়। আমরা দেখেছি, শিক্ষকরাজনীতিতে দল ভারী করতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। শিক্ষকনেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদ পেতে নির্লজ্জভাবে দলকানা হয়ে ওঠেন। এটা ঠেকাবেন কী করে?
এটা ঠেকানো খুবই কঠিন। তবে আমাদের শিক্ষকদের বোঝা উচিত, আমরা প্রথমে শিক্ষক। সেখানে শিক্ষকতা ছাড়িয়ে রাজনীতি আমাদের পেশা হওয়াটা সমীচীন নয়। আমার মনে হয়, যাঁরা একটি পোস্ট ও পজিশনের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন, তাঁদের সে অপরাজনীতি বাদ দিয়ে বর্তমান প্রশাসনকে সহযোগিতা করা উচিত। কারণ, এর আগে যা হয়েছে তা ভুলে যান। আমার আমলে এমন কিছু হতে দেব না। আগে এসব কারণেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা থেকে পিছিয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে আমি সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
ক্যাম্পাসে রাজনীতি কবে শুরু হবে? ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন কি না?
সরকার চাইলে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্রদের রাজনীতি ক্যাম্পাসে উন্মুক্ত হবে, এর আগে নয়। এ ছাড়া ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে ইউজিসি ও মন্ত্রণালয় থেকে যদি নির্দেশনা আসে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকশিত করার বিভিন্ন এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটি এবং অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনগুলোর কার্যক্রম চালু রয়েছে।
বহিরাগতরা বিগত দিনে পবিপ্রবির সবকিছুতেই হস্তক্ষেপের পাশাপাশি উপাচার্যকে নিয়ন্ত্রণ করতেন। এই ৪ মাসে আপনার সঙ্গে এমন হয়েছে কি না?
এখন পর্যন্ত বহিরাগতদের কোনো চাপ অনুভব করছি না। নিঃসংকোচে নির্দ্বিধায় আমার মেধা, যোগ্যতা ও প্রজ্ঞা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। গত ৪ মাসে শতভাগ অনিয়ম দূর করা সম্ভব না হলেও এসব দূরে ঠেলে কাজ করছি।
রেজিস্ট্রার একটি দাপ্তরিক পদ। সেখানে কর্মকর্তা না বসিয়ে সব সময় কেন শিক্ষকেরা বসছেন?
আমি কাউকেই খাটো করে দেখছি না। গত ১৫ বছরে দাপ্তরিক যে অসংগতি সৃষ্টি হয়েছে, সেটা দূর করা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন পজিশনে শিক্ষকদের দ্বারাই সেটা দূর করা সম্ভব বলে মনে করি। আমি ভালো মানুষগুলোকে সিলেকশন দিয়েছি, তাঁদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয় একটি পজিশনে এলে পরবর্তী সময়ে বিকল্প চিন্তা করব।
২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি আজকের পত্রিকার প্রথম পাতায় আপনার বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে লিড নিউজ হয়েছিল ‘এ যেন পারিবারিক বিশ্ববিদ্যালয়’ শিরোনামে। এই পরিবারেতন্ত্রের সিন্ডিকেট কীভাবে ভাঙবেন?
উত্তর: এই সিন্ডিকেটকে ভাঙার চেষ্টা করছি। সামনে যাতে এ রকম আর না হয়, সে জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
৫ আগস্টের পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁরা বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের বলে অভিযোগ রয়েছে। আপনি আসলে কোনো দলের সঙ্গে জড়িত কি না?
আমি আগেই বলেছি প্রথমে আমি একজন শিক্ষক ও গবেষক। আমি একজন মানুষ হিসেবে আমার নিজস্ব স্বকীয়তা থাকতেই পারে।
পবিপ্রবিতে দলমত-নির্বিশেষে সব সময় দুটি গ্রুপ থাকে যেমন ভিসি গ্রুপ ও ভিসিবিরোধী গ্রুপ। বর্তমানে আপনার কোনো গ্রুপ তৈরি হয়েছে কি না?
ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে সবারই চাওয়া পাওয়া থাকে। কারও থাকে নিয়মতান্ত্রিক, কারও অনৈতিক। আপনি যখন নিয়মতান্ত্রিক সব চাওয়া পাওয়াই পূরণ করতে পারবেন না, আর অনৈতিক তো প্রশ্নই আসে না। তখনই আপনার শত্রু জন্মাবে এবং ভিসিবিরোধী দল তৈরি হবে। বিরোধিতা আমার করতেই পারে, সেটা আমি ঠেকাতে যাব না। বিরোধিতাই আমাকে সঠিক পথে পরিচালনা করবে, সব সময় আমাকে সচেতন রাখবে। তবে আমি কোনো গ্রুপ করার পক্ষপাতি নই। আমি আমার মেধা, প্রজ্ঞা, যোগ্যতা ও সততা দিয়েই সবার গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে চাই।
সর্বশেষ অবৈধ নিয়োগের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন?
সে সময় আমি ছিলাম না, তবে নিয়োগটি নিয়ে আমাদের প্রশ্ন আছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আদালতের কিছু অবজারভেশন আছে। তাঁদের সুপারিশের আলোকে আশা করি ভবিষ্যতে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান নিয়ে আপনি কী বলবেন?
প্রথমেই বলব আমি এবং বর্তমান প্রশাসন হলাম এই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের একটি ফল। একটি পরিবর্তিত নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন। আমার বর্তমান প্রশাসন জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের রক্তের ফল। আমরা তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছি। বাহান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের স্বাধীনতা ও নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে একই সূত্রে গাঁথা এই জুলাই-আগস্ট চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান। শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং আহতদের পাশে বিত্তবানদের দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি।
সর্বশেষ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কিছু বলুন।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকমুক্ত, র্যাগিংমুক্ত থেকে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখে জ্ঞান আহরণের জন্য তোমরা এসেছো, জ্ঞান নিয়ে সারা পৃথিবীর বুকে ছড়িয়ে পড়বে এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মান মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখবে। সঙ্গে সঙ্গে তোমার এবং তোমার পরিবারের উন্নয়নের জন্য ভালো কাজে এগিয়ে যাও। অপরাজনীতি ও অপসংস্কৃতি থেকে দূরে থাকবে, যা বর্তমান পরিবর্তিত নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়।
আপনি প্রায় ৪ মাস হলো নিয়োগ পেয়েছেন। কী কী পরিবর্তন আনলেন?
আমার এই ৪ মাসের মধ্যে পবিপ্রবিকে বিশ্বমানের এবং ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিংয়ে নিয়ে আসার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি, যা বর্তমানে দৃশ্যমান। সেগুলো হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং শিক্ষা ও গবেষণা পাঠদানের জন্য যে ক্লাসরুমগুলো আছে, সেগুলোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ বছর ৭ মাসে ধরে যে অনিয়ম চলছিল; শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্রদের মধ্যে যে অস্থিরতা ও হীনম্মন্যতা কাজ করছিল, সেটি কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রতিটি শাখায় ভিজিট করে অফিসের সময়টা নিশ্চিত করেছি। শিক্ষকদের শিক্ষায় ও গবেষণায় উজ্জীবিত করা এবং উন্নয়নে কাজগুলো নিয়মিত তদারকি করে চলছি। সঙ্গে সঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের আনাগোনা এবং মাদকের যে একটা আখড়া ছিল, সেটিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দমন করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাবুগঞ্জ ও মেইন ক্যাম্পাসকে র্যাগিংমুক্ত করেছি। মাদক ও র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা চলমান থাকবে।
দীর্ঘদিন পর অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য পেল পবিপ্রবি। আপনাকে কীভাবে গ্রহণ করল? সবার সহযোগিতা কতটা পাচ্ছেন?
এককথায় বলব, আমাকে খুশিমনে গ্রহণ করেছে। আমি যে উদ্যোগগুলো নিয়েছি, সেগুলোর প্রতি সাড়া দিয়েছেন প্রো-উপাচার্য, ট্রেজারার, প্রক্টরিয়াল বডি, অ্যাডভাইজরি বডি, প্রভোস্ট কাউন্সিল, সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী—সবাই। তাঁদের সহযোগিতা শুধু অফিশিয়াল সময়েই নয়, রাত ১২টা-১টা পর্যন্তও প্রশাসনিক বডিগুলো কাজ করছে। আমিসহ আমার বর্তমান প্রশাসনের যে চাওয়া, তা হলো বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার শিক্ষা ও গবেষণাকে এগিয়ে নেওয়া। তাঁরা বিষয়টি অনুধাবন করে সার্বিক সহযোগিতা করছেন, যা প্রমাণ করে, পবিপ্রবির পরিবার আমাকে ভালোভাবে গ্রহণ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?
দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হলো পবিপ্রবি। এখানে দুই ধরনের শিক্ষার্থী ভর্তি হয়—কৃষি গুচ্ছ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গুচ্ছ থেকে। এ ছাড়া এখানে অনেক মেধাবী শিক্ষক রয়েছেন এবং গবেষণার জন্য ভালো সুযোগ রয়েছে। আমি দেশের বাইরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় খুব কাছ থেকে দেখেছি। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়কে র্যাঙ্কিংয়ে নিয়ে আসার জন্য কাজ করব। পবিপ্রবির গবেষণার ফল সারা দেশসহ বিশ্বের বুকে ছড়িয়ে দেওয়া আমার মূল লক্ষ্য। ক্লাসরুম এবং গবেষণাগারগুলোর শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ তৈরি করা খুবই জরুরি, যার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত অর্থায়ন।
কাজের অগ্রাধিকার পর্যায়ক্রমে কী কী?
প্রথম অগ্রাধিকার হলো শিক্ষা ও গবেষণা। দ্বিতীয়টি হচ্ছে করোনার সময়ের কারণে ছাত্রছাত্রীদের জীবনে যে সময় নষ্ট হয়েছে, সেটি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য দ্রুত ক্লাস, পরীক্ষা ও ফলাফল দেওয়া। তৃতীয়ত, মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস গঠন করা। মাদক নিরোধের লক্ষ্যে আমরা প্রথমে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ভর্তি নিয়েছি এবং ভবিষ্যতে এটি শতভাগ নিশ্চিত করার চেষ্টা করব। চতুর্থত, র্যাগিংমুক্ত হলের পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো ধীরে ধীরে সমাধান করা। পঞ্চমত, শিক্ষকদের গবেষণায় উৎসাহিত করা এবং তাদের উপযুক্ত পুরস্কৃত করা। এ ছাড়া যারা ভালো কাজ করবে বা এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিতে অংশ নেবে, তাদেরও পুরস্কৃত করা হবে। এভাবেই আমি পবিপ্রবিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
অতীতের অনেক অনিয়ম, অবৈধ নিয়োগ ও পদোন্নতি ছিল। এ ছাড়া বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত হলেও প্রতিবেদন জমা হতো না। এ ব্যাপারে আপনার উদ্যোগ থাকবে কি না?
আমি আসার পরপরই তদন্ত কমিশন-২০২৪ গঠন করেছি। সেই কমিশনের মূল লক্ষ্য হলো ২০০৯ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সব অনিয়মের তদন্ত করা এবং দ্রুত রিপোর্ট জমা দিয়ে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া। ১৫ বছরের অনিয়মের কারণে শিক্ষার পরিবেশ ও প্রশাসনিক পরিবেশ পুনরুদ্ধারে কিছুটা সময় লাগছে, তাই প্রতিবেদনগুলোতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটিগুলো বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আমি আশা করছি, শিগগির এর ফল প্রকাশ পাবে। একই সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার জন্য সুপারিশ করা হবে।
ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তি হবে কি না?
ভর্তি পরীক্ষার যে দুর্নীতি ঘটেছে, তার তদন্ত চলছে এবং গোয়েন্দা সংস্থাও তথ্য সংগ্রহ করছে। অনেক অগ্রগতি হয়েছে, যা কিছুদিনের মধ্যে প্রকাশিত হবে। তবে গোপনীয়তার স্বার্থে এই বিষয়ে এখন বিস্তারিত কিছু বলা ঠিক হবে না।
শিক্ষার্থী দেবাশীষ মণ্ডলের আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন?
দেবাশীষের আত্মহত্যা, কেন চাকরি পায়নি এবং তার চাকরি নিয়ে ঘুষ কেলেঙ্কারির কয়েকটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। এসব নিয়ে আমাদের তদন্ত কমিটির একটি উপকমিটিকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইনশা আল্লাহ খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

থেমে থাকা কনস্ট্রাকশনের কাজের কী অবস্থা? দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীদের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেবেন?
আমি এসেই থেমে থাকা কাজগুলো চালুর লক্ষ্যে অধ্যাপক মো. জামাল হোসেনকে তদারকির দায়িত্ব দিয়ে এবং সকল ঠিকাদার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কনস্ট্রাকশন কনসালট্যান্সি ফার্মের বিভিন্ন পর্যায়ের ইঞ্জিনিয়ার এবং দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে বারবার বৈঠক করেছি। বর্তমানে কনস্ট্রাকশন কাজগুলো দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য আমার প্রশাসনের সব পর্যায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। এ ছাড়া আমার কাছে নতুন করে কোনো প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ নেই। তবে কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। আমরা দুদককে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছি। এ ছাড়া সবার ওপর আমাদের বর্তমান প্রশাসনের নজরদারি রয়েছে।
ছাত্ররাজনীতি নিয়ে আলোচনার সময় শিক্ষকরাজনীতির প্রসঙ্গও এসে যায়। আমরা দেখেছি, শিক্ষকরাজনীতিতে দল ভারী করতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। শিক্ষকনেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদ পেতে নির্লজ্জভাবে দলকানা হয়ে ওঠেন। এটা ঠেকাবেন কী করে?
এটা ঠেকানো খুবই কঠিন। তবে আমাদের শিক্ষকদের বোঝা উচিত, আমরা প্রথমে শিক্ষক। সেখানে শিক্ষকতা ছাড়িয়ে রাজনীতি আমাদের পেশা হওয়াটা সমীচীন নয়। আমার মনে হয়, যাঁরা একটি পোস্ট ও পজিশনের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন, তাঁদের সে অপরাজনীতি বাদ দিয়ে বর্তমান প্রশাসনকে সহযোগিতা করা উচিত। কারণ, এর আগে যা হয়েছে তা ভুলে যান। আমার আমলে এমন কিছু হতে দেব না। আগে এসব কারণেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা থেকে পিছিয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে আমি সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
ক্যাম্পাসে রাজনীতি কবে শুরু হবে? ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন কি না?
সরকার চাইলে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্রদের রাজনীতি ক্যাম্পাসে উন্মুক্ত হবে, এর আগে নয়। এ ছাড়া ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে ইউজিসি ও মন্ত্রণালয় থেকে যদি নির্দেশনা আসে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকশিত করার বিভিন্ন এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটি এবং অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনগুলোর কার্যক্রম চালু রয়েছে।
বহিরাগতরা বিগত দিনে পবিপ্রবির সবকিছুতেই হস্তক্ষেপের পাশাপাশি উপাচার্যকে নিয়ন্ত্রণ করতেন। এই ৪ মাসে আপনার সঙ্গে এমন হয়েছে কি না?
এখন পর্যন্ত বহিরাগতদের কোনো চাপ অনুভব করছি না। নিঃসংকোচে নির্দ্বিধায় আমার মেধা, যোগ্যতা ও প্রজ্ঞা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। গত ৪ মাসে শতভাগ অনিয়ম দূর করা সম্ভব না হলেও এসব দূরে ঠেলে কাজ করছি।
রেজিস্ট্রার একটি দাপ্তরিক পদ। সেখানে কর্মকর্তা না বসিয়ে সব সময় কেন শিক্ষকেরা বসছেন?
আমি কাউকেই খাটো করে দেখছি না। গত ১৫ বছরে দাপ্তরিক যে অসংগতি সৃষ্টি হয়েছে, সেটা দূর করা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন পজিশনে শিক্ষকদের দ্বারাই সেটা দূর করা সম্ভব বলে মনে করি। আমি ভালো মানুষগুলোকে সিলেকশন দিয়েছি, তাঁদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয় একটি পজিশনে এলে পরবর্তী সময়ে বিকল্প চিন্তা করব।
২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি আজকের পত্রিকার প্রথম পাতায় আপনার বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে লিড নিউজ হয়েছিল ‘এ যেন পারিবারিক বিশ্ববিদ্যালয়’ শিরোনামে। এই পরিবারেতন্ত্রের সিন্ডিকেট কীভাবে ভাঙবেন?
উত্তর: এই সিন্ডিকেটকে ভাঙার চেষ্টা করছি। সামনে যাতে এ রকম আর না হয়, সে জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
৫ আগস্টের পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁরা বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের বলে অভিযোগ রয়েছে। আপনি আসলে কোনো দলের সঙ্গে জড়িত কি না?
আমি আগেই বলেছি প্রথমে আমি একজন শিক্ষক ও গবেষক। আমি একজন মানুষ হিসেবে আমার নিজস্ব স্বকীয়তা থাকতেই পারে।
পবিপ্রবিতে দলমত-নির্বিশেষে সব সময় দুটি গ্রুপ থাকে যেমন ভিসি গ্রুপ ও ভিসিবিরোধী গ্রুপ। বর্তমানে আপনার কোনো গ্রুপ তৈরি হয়েছে কি না?
ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে সবারই চাওয়া পাওয়া থাকে। কারও থাকে নিয়মতান্ত্রিক, কারও অনৈতিক। আপনি যখন নিয়মতান্ত্রিক সব চাওয়া পাওয়াই পূরণ করতে পারবেন না, আর অনৈতিক তো প্রশ্নই আসে না। তখনই আপনার শত্রু জন্মাবে এবং ভিসিবিরোধী দল তৈরি হবে। বিরোধিতা আমার করতেই পারে, সেটা আমি ঠেকাতে যাব না। বিরোধিতাই আমাকে সঠিক পথে পরিচালনা করবে, সব সময় আমাকে সচেতন রাখবে। তবে আমি কোনো গ্রুপ করার পক্ষপাতি নই। আমি আমার মেধা, প্রজ্ঞা, যোগ্যতা ও সততা দিয়েই সবার গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে চাই।
সর্বশেষ অবৈধ নিয়োগের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন?
সে সময় আমি ছিলাম না, তবে নিয়োগটি নিয়ে আমাদের প্রশ্ন আছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আদালতের কিছু অবজারভেশন আছে। তাঁদের সুপারিশের আলোকে আশা করি ভবিষ্যতে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান নিয়ে আপনি কী বলবেন?
প্রথমেই বলব আমি এবং বর্তমান প্রশাসন হলাম এই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের একটি ফল। একটি পরিবর্তিত নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন। আমার বর্তমান প্রশাসন জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের রক্তের ফল। আমরা তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছি। বাহান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের স্বাধীনতা ও নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে একই সূত্রে গাঁথা এই জুলাই-আগস্ট চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান। শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং আহতদের পাশে বিত্তবানদের দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি।
সর্বশেষ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কিছু বলুন।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকমুক্ত, র্যাগিংমুক্ত থেকে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখে জ্ঞান আহরণের জন্য তোমরা এসেছো, জ্ঞান নিয়ে সারা পৃথিবীর বুকে ছড়িয়ে পড়বে এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মান মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখবে। সঙ্গে সঙ্গে তোমার এবং তোমার পরিবারের উন্নয়নের জন্য ভালো কাজে এগিয়ে যাও। অপরাজনীতি ও অপসংস্কৃতি থেকে দূরে থাকবে, যা বর্তমান পরিবর্তিত নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়ভীতি ততই বাড়ছে। বিশেষত, ৩টি বিষয়ের ৬টি পত্রের সব টপিকের ওপর ৩ ঘণ্টার এই একটি পরীক্ষা যখন ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেয়, তখন সে পরীক্ষার জন্য ভয় লাগাটাই স্বাভাবিক।
৪১ মিনিট আগে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একটি আসন বহু শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। সবুজ ক্যাম্পাস, মানসম্মত শিক্ষা ও সীমিত আসনের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বরাবরই প্রতিযোগিতাপূর্ণ। বিশেষ করে সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হয়ে থাকে।
১ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ায় যেসব শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এল দারুণ সুযোগ। মোনাশ ইউনিভার্সিটি রিসার্চ স্কলারশিপ ২০২৬-এর আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থী ও অস্ট্রেলিয়ার নিজস্ব শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
১ দিন আগেশরিফুল ইসলাম শুভ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়ভীতি ততই বাড়ছে। বিশেষত, ৩টি বিষয়ের ৬টি পত্রের সব টপিকের ওপর ৩ ঘণ্টার এই একটি পরীক্ষা যখন ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেয়, তখন সে পরীক্ষার জন্য ভয় লাগাটাই স্বাভাবিক। মনে রাখতে হবে, এ ভয় শুধু তুমি একা পাচ্ছ না; সব পরীক্ষার্থীই কম-বেশি একই অনুভূতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি তোমার আগে যেসব সিনিয়র ভাইয়া-আপুরা চান্স পেয়েছেন, তাঁরাও এই একই অনুভূতির মধ্য দিয়ে গেছেন।
৬ পেপারের প্রস্তুতি
সাধারণত শিক্ষার্থীরা বোর্ড পরীক্ষা বা কলেজে একটি বিষয়ের একটি পত্রের পরীক্ষা দিয়ে থাকে (যেমন: পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্র)। আর এ একটি পত্রের প্রস্তুতিই যেখানে বেশ কঠিন, সেখানে ৬টি পত্রের প্রস্তুতি নেওয়াটা নিশ্চয়ই আরও কঠিন। আর তাই এই কঠিন পরীক্ষার মাধ্যমেই অসংখ্য পরীক্ষার্থীর মধ্য থেকে অল্পসংখ্যককে বুয়েটে পড়াশোনার জন্য নির্বাচন করা হয়।
শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির মূল কৌশল
তোমার হাতে যখন আর অল্প ক’দিন বাকি আছে, তখন শেষ মুহূর্তে নিজের প্রস্তুতিকে শাণিত করতে কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। প্রথমত, একাডেমিক থেকে অ্যাডমিশন পর্যন্ত শেখা টপিকগুলো ভালোভাবে রিভিশন দিতে হবে। আর তা করতে হবে তোমার নিজস্ব নোটখাতা থেকে। যদি নিজের ভালোভাবে নোট করা না থাকে তবে যে বইগুলো পড়েছ, সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর চোখ বুলিয়ে নিতে হবে। থিওরির ক্ষেত্রে ডিটেইলস প্রতিপাদন বা লাইন বাই লাইন সব পড়ার দরকার নেই; বরং মূল আইডিয়াগুলো পরিষ্কারভাবে মাথায় রাখতে হবে। আর ম্যাথের ক্ষেত্রে সব ধরনের সূত্র ও প্রশ্নের টাইপ ভালোভাবে আয়ত্তে রাখতে হবে।
প্রস্তুতি যেভাবে আত্মবিশ্বাস ধরে রাখবে
দেখো, শুধু রিভিশন করলেই আত্মবিশ্বাস আসবে না। আত্মবিশ্বাস অর্জনের জন্য অবশ্যই ফাইনাল মডেল টেস্ট দিতে হবে। ফিজিকস, কেমিস্ট্রি ও ম্যাথ মিলিয়ে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার অনুরূপ মডেল টেস্টে অংশগ্রহণ করে এবং তাতে ধীরে ধীরে উন্নতি করার মাধ্যমেই আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে। অফলাইনে পরীক্ষা দিতে যাতায়াতে সময় অপচয় হলে বা সুবিধামতো টাইম শিডিউল না পেলে চাইলে অনলাইনেও মডেল টেস্টে অংশগ্রহণ করতে পার। বর্তমানে শিখোসহ বেশ কয়েকটি অ্যাডটেক প্ল্যাটফর্মে অনলাইনে মডেল টেস্ট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
মডেল টেস্টে যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিতে হবে
কয়েকটি ফুল মডেল টেস্ট (বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার অনুরূপ) দেওয়ার পর তুমি বুঝতে পারবে, কিছু টপিক তুমি স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে উত্তর করতে পারছ। আবার কিছু টপিক থেকে প্রশ্ন এলে তোমার উত্তর করতে কষ্ট হচ্ছে বা মনে থাকছে না। বেছে বেছে সে টপিকগুলো ভালো করে আবার ঝালাই করে নিতে হবে।
মডেল টেস্ট দেওয়ার সময় বিশেষভাবে তিনটি বিষয় খেয়াল রাখবে। যেমন: স্পিড মেইনটেইন করা; রিভিশন দেওয়া ও সিলি মিসটেক কমানো।
আড়াই ঘণ্টার মধ্যে শেষ করার অভ্যাস করতে হবে
বুয়েট অ্যাডমিশন টেস্টের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হলো টাইম শর্টেজ। ৩ ঘণ্টায় ৬০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। তাই মডেল টেস্ট দেওয়ার সময় চেষ্টা করবে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে লেখা শেষ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে। এতে এক্সাম ডে-তে টাইম ম্যানেজ করা অনেক সহজ হবে। পাশাপাশি শেষে ১০-১৫ মিনিট সময় রাখতে হবে রিভিশনের জন্য। অনেক সময় মেন্টাল প্রেশারের কারণে ছোটখাটো ক্যালকুলেশন মিসটেক হয়ে যায়, যা শেষে রিভিশন দেওয়ার সময় ধরতে পারলে ওভারঅল নম্বর তথা ফলাফল অনেক ভালো হয়।
মডেল টেস্টের খাতাগুলোও রিভিশন দাও
মডেল টেস্ট দিতে গেলে দেখবে, অসংখ্য ছোট ছোট ভুল তোমার নম্বর কমিয়ে দিচ্ছে। আমার পরামর্শ হলো, পরীক্ষার আগের কয়েক দিন গত দুই বছরে তুমি যেসব পরীক্ষায় অংশ নিয়েছো, সেগুলোর মধ্যে যেসব খাতা তোমার কাছে আছে, সেগুলো একবার করে দেখে যাও। বিশেষ করে যেসব জায়গায় ভুলের কারণে নম্বর কাটা গেছে, সেগুলোর দিকে ৩০ সেকেন্ড করে ফোকাস করো। এতে ভুলের ব্যাপারে তোমার সেনসিটিভিটি বাড়বে এবং ছোট ছোট ভুল অনেক কমে যাবে।
সবশেষে বলব, প্রস্তুতি যেমনই হোক না কেন, বিশ্বাস রাখবে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা হবে তোমার জীবনের বেস্ট পরীক্ষা। আর এক্সাম চলাকালে যদি কোনো প্রশ্ন না পার, তখন ঘাবড়ে যাবে না; বরং ভাববে এটা শুধু আমি না, বাকিরাও সম্ভবত পারছে না। তাই ভয় না পেয়ে যেগুলো পারছ, সেগুলো ভালোভাবে করার চেষ্টা করো। তাহলেই তোমার এক্সাম ভালো হবে। আজ আর বেশি কিছু বলব না। শেষ মুহূর্তে নিজের বেস্ট এফোর্টটা দাও। ইনশা আল্লাহ, তোমার পরীক্ষা অনেক ভালো হবে।
শিক্ষার্থী, ইইই বিভাগ, ১৪ ব্যাচ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়ভীতি ততই বাড়ছে। বিশেষত, ৩টি বিষয়ের ৬টি পত্রের সব টপিকের ওপর ৩ ঘণ্টার এই একটি পরীক্ষা যখন ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেয়, তখন সে পরীক্ষার জন্য ভয় লাগাটাই স্বাভাবিক। মনে রাখতে হবে, এ ভয় শুধু তুমি একা পাচ্ছ না; সব পরীক্ষার্থীই কম-বেশি একই অনুভূতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি তোমার আগে যেসব সিনিয়র ভাইয়া-আপুরা চান্স পেয়েছেন, তাঁরাও এই একই অনুভূতির মধ্য দিয়ে গেছেন।
৬ পেপারের প্রস্তুতি
সাধারণত শিক্ষার্থীরা বোর্ড পরীক্ষা বা কলেজে একটি বিষয়ের একটি পত্রের পরীক্ষা দিয়ে থাকে (যেমন: পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্র)। আর এ একটি পত্রের প্রস্তুতিই যেখানে বেশ কঠিন, সেখানে ৬টি পত্রের প্রস্তুতি নেওয়াটা নিশ্চয়ই আরও কঠিন। আর তাই এই কঠিন পরীক্ষার মাধ্যমেই অসংখ্য পরীক্ষার্থীর মধ্য থেকে অল্পসংখ্যককে বুয়েটে পড়াশোনার জন্য নির্বাচন করা হয়।
শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির মূল কৌশল
তোমার হাতে যখন আর অল্প ক’দিন বাকি আছে, তখন শেষ মুহূর্তে নিজের প্রস্তুতিকে শাণিত করতে কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। প্রথমত, একাডেমিক থেকে অ্যাডমিশন পর্যন্ত শেখা টপিকগুলো ভালোভাবে রিভিশন দিতে হবে। আর তা করতে হবে তোমার নিজস্ব নোটখাতা থেকে। যদি নিজের ভালোভাবে নোট করা না থাকে তবে যে বইগুলো পড়েছ, সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর চোখ বুলিয়ে নিতে হবে। থিওরির ক্ষেত্রে ডিটেইলস প্রতিপাদন বা লাইন বাই লাইন সব পড়ার দরকার নেই; বরং মূল আইডিয়াগুলো পরিষ্কারভাবে মাথায় রাখতে হবে। আর ম্যাথের ক্ষেত্রে সব ধরনের সূত্র ও প্রশ্নের টাইপ ভালোভাবে আয়ত্তে রাখতে হবে।
প্রস্তুতি যেভাবে আত্মবিশ্বাস ধরে রাখবে
দেখো, শুধু রিভিশন করলেই আত্মবিশ্বাস আসবে না। আত্মবিশ্বাস অর্জনের জন্য অবশ্যই ফাইনাল মডেল টেস্ট দিতে হবে। ফিজিকস, কেমিস্ট্রি ও ম্যাথ মিলিয়ে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার অনুরূপ মডেল টেস্টে অংশগ্রহণ করে এবং তাতে ধীরে ধীরে উন্নতি করার মাধ্যমেই আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে। অফলাইনে পরীক্ষা দিতে যাতায়াতে সময় অপচয় হলে বা সুবিধামতো টাইম শিডিউল না পেলে চাইলে অনলাইনেও মডেল টেস্টে অংশগ্রহণ করতে পার। বর্তমানে শিখোসহ বেশ কয়েকটি অ্যাডটেক প্ল্যাটফর্মে অনলাইনে মডেল টেস্ট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
মডেল টেস্টে যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিতে হবে
কয়েকটি ফুল মডেল টেস্ট (বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার অনুরূপ) দেওয়ার পর তুমি বুঝতে পারবে, কিছু টপিক তুমি স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে উত্তর করতে পারছ। আবার কিছু টপিক থেকে প্রশ্ন এলে তোমার উত্তর করতে কষ্ট হচ্ছে বা মনে থাকছে না। বেছে বেছে সে টপিকগুলো ভালো করে আবার ঝালাই করে নিতে হবে।
মডেল টেস্ট দেওয়ার সময় বিশেষভাবে তিনটি বিষয় খেয়াল রাখবে। যেমন: স্পিড মেইনটেইন করা; রিভিশন দেওয়া ও সিলি মিসটেক কমানো।
আড়াই ঘণ্টার মধ্যে শেষ করার অভ্যাস করতে হবে
বুয়েট অ্যাডমিশন টেস্টের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হলো টাইম শর্টেজ। ৩ ঘণ্টায় ৬০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। তাই মডেল টেস্ট দেওয়ার সময় চেষ্টা করবে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে লেখা শেষ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে। এতে এক্সাম ডে-তে টাইম ম্যানেজ করা অনেক সহজ হবে। পাশাপাশি শেষে ১০-১৫ মিনিট সময় রাখতে হবে রিভিশনের জন্য। অনেক সময় মেন্টাল প্রেশারের কারণে ছোটখাটো ক্যালকুলেশন মিসটেক হয়ে যায়, যা শেষে রিভিশন দেওয়ার সময় ধরতে পারলে ওভারঅল নম্বর তথা ফলাফল অনেক ভালো হয়।
মডেল টেস্টের খাতাগুলোও রিভিশন দাও
মডেল টেস্ট দিতে গেলে দেখবে, অসংখ্য ছোট ছোট ভুল তোমার নম্বর কমিয়ে দিচ্ছে। আমার পরামর্শ হলো, পরীক্ষার আগের কয়েক দিন গত দুই বছরে তুমি যেসব পরীক্ষায় অংশ নিয়েছো, সেগুলোর মধ্যে যেসব খাতা তোমার কাছে আছে, সেগুলো একবার করে দেখে যাও। বিশেষ করে যেসব জায়গায় ভুলের কারণে নম্বর কাটা গেছে, সেগুলোর দিকে ৩০ সেকেন্ড করে ফোকাস করো। এতে ভুলের ব্যাপারে তোমার সেনসিটিভিটি বাড়বে এবং ছোট ছোট ভুল অনেক কমে যাবে।
সবশেষে বলব, প্রস্তুতি যেমনই হোক না কেন, বিশ্বাস রাখবে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা হবে তোমার জীবনের বেস্ট পরীক্ষা। আর এক্সাম চলাকালে যদি কোনো প্রশ্ন না পার, তখন ঘাবড়ে যাবে না; বরং ভাববে এটা শুধু আমি না, বাকিরাও সম্ভবত পারছে না। তাই ভয় না পেয়ে যেগুলো পারছ, সেগুলো ভালোভাবে করার চেষ্টা করো। তাহলেই তোমার এক্সাম ভালো হবে। আজ আর বেশি কিছু বলব না। শেষ মুহূর্তে নিজের বেস্ট এফোর্টটা দাও। ইনশা আল্লাহ, তোমার পরীক্ষা অনেক ভালো হবে।
শিক্ষার্থী, ইইই বিভাগ, ১৪ ব্যাচ

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ৯ম উপাচার্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। ২০০২ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা দিয়ে তাঁর কর্মজীবনের শুরু। তিনি ২০১১ সালে জাপানের কাগাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি...
১৯ জানুয়ারি ২০২৫
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একটি আসন বহু শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। সবুজ ক্যাম্পাস, মানসম্মত শিক্ষা ও সীমিত আসনের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বরাবরই প্রতিযোগিতাপূর্ণ। বিশেষ করে সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হয়ে থাকে।
১ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ায় যেসব শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এল দারুণ সুযোগ। মোনাশ ইউনিভার্সিটি রিসার্চ স্কলারশিপ ২০২৬-এর আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থী ও অস্ট্রেলিয়ার নিজস্ব শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
১ দিন আগেমো. ফাহিম ফরহাদ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একটি আসন বহু শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। সবুজ ক্যাম্পাস, মানসম্মত শিক্ষা ও সীমিত আসনের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বরাবরই প্রতিযোগিতাপূর্ণ। বিশেষ করে সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হয়ে থাকে। পরীক্ষার দিন যত ঘনিয়ে আসে, ততই ভর্তি-ইচ্ছুকদের মনে তৈরি হয় দুশ্চিন্তা ও উৎকণ্ঠা। তবে সঠিক দিকনির্দেশনা, বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি ও পরিকল্পিত কৌশল অনুসরণ করলে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
বাংলা
বাংলার ক্ষেত্রে এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্র বইয়ের গদ্য, পদ্য, উপন্যাস ও নাটক নিয়ে ভালো ধারণা থাকতে হবে। প্রতিবছর বাংলা পাঠ্যবইয়ের কবি-লেখক পরিচিতি, শব্দার্থ এবং গদ্য-পদ্যের লাইন থেকে প্রশ্ন আসে। বাংলা ব্যাকরণের সমাস, সন্ধি, শব্দধ্বনি, বাক্য, পদ, ণ-ত্ব বিধান-ষ-ত্ব বিধান এবং মুখস্থ অংশ (বিপরীত শব্দ, পারিভাষিক শব্দ, বাগধারা) গুরুত্বসহকারে পড়তে হবে। যদি কেউ জাবির নৃবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করতে চায়, তাহলে অবশ্যই বাংলায় ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।
ইংরেজি
ভর্তি পরীক্ষায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইংরেজি। প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় শুধু ইংরেজি বিষয়ে দুর্বলতার কারণে। জাবির ‘বি’ ইউনিটে প্যাসেজ থেকে প্রশ্ন হয়ে থাকে, এ ক্ষেত্রে বাসায় প্যাসেজ অনুশীলন করা জরুরি। অনেক সময় দেখা যায়, ইংরেজি প্রথম পত্র পাঠ্যবইয়ের প্যাসেজ থেকেও প্রশ্ন আসে, তাই সেগুলোও পড়া গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও ইংরেজি গ্রামারের পার্টস অব স্পিচ, সেন্টেন্স, নেরেশন, টেন্স, ভয়েস এ টপিকগুলো গুরুত্বসহকারে পড়তে হবে এবং ইংরেজি সাহিত্যিক পদ থেকেও প্রশ্ন আসতে দেখা যায়।
সাধারণ গণিত
জাবির ‘বি’ ইউনিটে শুধু বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ রয়েছে। তাই ‘বি’ ইউনিটে সাধারণ গণিত থেকেও ২০টি প্রশ্ন আসে। তবে ভয়ের কিছু নেই। সাধারণ গণিত থেকে আসা প্রশ্নগুলো সহজ এবং মৌলিক ধরনের হয়ে থাকে। সাধারণ গণিতে বীজগণিত (সাধারণ সূত্র, ফাংশন, সেট, সম্ভাবনা, সমীকরণ, উৎপাদক), পাটিগণিত (ধারা, ল সা গু-গ সা গু, গড়, ঐকিক নিয়ম, শতকরা, লাভ-ক্ষতি-মুনাফা) এবং জ্যামিতি (সাধারণ ধারণা, ক্ষেত্রফল, পিথাগোরাস, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, বৃত্ত) গুরুত্বপূর্ণ।
সাধারণ জ্ঞান ও যৌক্তিক বিশ্লেষণ
সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রথমত সাময়িক সময়ের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। এ ছাড়াও সাধারণ জ্ঞানের জন্য নদী-নালা, বাংলাদেশের প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, গুরুত্বপূর্ণ সাল, বিভিন্ন সংস্থা, পূর্বনাম, পূর্ণরূপ, সদর দপ্তর-ভাষা-মুদ্রা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সংসদ ও সরকারব্যবস্থা, সংবিধান—এ টপিকগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অত্যাবশ্যক তথ্যগুলো মনে রাখতে হবে।
বাজারে যৌক্তিক বিশ্লেষণ বিষয়টির জন্য কিছু বই পাওয়া যায়। সেসব বই থেকে ঘড়ির সময়, বার, দিন, মাস, বছর নির্ণয়, দূরত্ব, নৌকা স্রোত, সংখ্যা সিরিজ, রক্তের সম্পর্ক, প্রতিবিম্ব, সিদ্ধান্ত গ্রহণ—এ টপিকগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে এবং অনুশীলন করতে হবে।
পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করার জন্য প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে হবে এবং কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। যেহেতু পরীক্ষায় ভুল উত্তরের জন্য নেতিবাচক নম্বর কাটা হবে, তাই মনোযোগসহকারে সঠিক উত্তর চিহ্নিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা তীব্র, তাই সঠিক প্রস্তুতি ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। শেষ পর্যন্ত হাল ছাড়া যাবে না, পরিশ্রম একদিন ফলপ্রসূ হবেই।
শিক্ষার্থী, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ, জাবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একটি আসন বহু শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। সবুজ ক্যাম্পাস, মানসম্মত শিক্ষা ও সীমিত আসনের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বরাবরই প্রতিযোগিতাপূর্ণ। বিশেষ করে সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হয়ে থাকে। পরীক্ষার দিন যত ঘনিয়ে আসে, ততই ভর্তি-ইচ্ছুকদের মনে তৈরি হয় দুশ্চিন্তা ও উৎকণ্ঠা। তবে সঠিক দিকনির্দেশনা, বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি ও পরিকল্পিত কৌশল অনুসরণ করলে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
বাংলা
বাংলার ক্ষেত্রে এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্র বইয়ের গদ্য, পদ্য, উপন্যাস ও নাটক নিয়ে ভালো ধারণা থাকতে হবে। প্রতিবছর বাংলা পাঠ্যবইয়ের কবি-লেখক পরিচিতি, শব্দার্থ এবং গদ্য-পদ্যের লাইন থেকে প্রশ্ন আসে। বাংলা ব্যাকরণের সমাস, সন্ধি, শব্দধ্বনি, বাক্য, পদ, ণ-ত্ব বিধান-ষ-ত্ব বিধান এবং মুখস্থ অংশ (বিপরীত শব্দ, পারিভাষিক শব্দ, বাগধারা) গুরুত্বসহকারে পড়তে হবে। যদি কেউ জাবির নৃবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করতে চায়, তাহলে অবশ্যই বাংলায় ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।
ইংরেজি
ভর্তি পরীক্ষায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইংরেজি। প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় শুধু ইংরেজি বিষয়ে দুর্বলতার কারণে। জাবির ‘বি’ ইউনিটে প্যাসেজ থেকে প্রশ্ন হয়ে থাকে, এ ক্ষেত্রে বাসায় প্যাসেজ অনুশীলন করা জরুরি। অনেক সময় দেখা যায়, ইংরেজি প্রথম পত্র পাঠ্যবইয়ের প্যাসেজ থেকেও প্রশ্ন আসে, তাই সেগুলোও পড়া গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও ইংরেজি গ্রামারের পার্টস অব স্পিচ, সেন্টেন্স, নেরেশন, টেন্স, ভয়েস এ টপিকগুলো গুরুত্বসহকারে পড়তে হবে এবং ইংরেজি সাহিত্যিক পদ থেকেও প্রশ্ন আসতে দেখা যায়।
সাধারণ গণিত
জাবির ‘বি’ ইউনিটে শুধু বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ রয়েছে। তাই ‘বি’ ইউনিটে সাধারণ গণিত থেকেও ২০টি প্রশ্ন আসে। তবে ভয়ের কিছু নেই। সাধারণ গণিত থেকে আসা প্রশ্নগুলো সহজ এবং মৌলিক ধরনের হয়ে থাকে। সাধারণ গণিতে বীজগণিত (সাধারণ সূত্র, ফাংশন, সেট, সম্ভাবনা, সমীকরণ, উৎপাদক), পাটিগণিত (ধারা, ল সা গু-গ সা গু, গড়, ঐকিক নিয়ম, শতকরা, লাভ-ক্ষতি-মুনাফা) এবং জ্যামিতি (সাধারণ ধারণা, ক্ষেত্রফল, পিথাগোরাস, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, বৃত্ত) গুরুত্বপূর্ণ।
সাধারণ জ্ঞান ও যৌক্তিক বিশ্লেষণ
সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রথমত সাময়িক সময়ের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। এ ছাড়াও সাধারণ জ্ঞানের জন্য নদী-নালা, বাংলাদেশের প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, গুরুত্বপূর্ণ সাল, বিভিন্ন সংস্থা, পূর্বনাম, পূর্ণরূপ, সদর দপ্তর-ভাষা-মুদ্রা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সংসদ ও সরকারব্যবস্থা, সংবিধান—এ টপিকগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অত্যাবশ্যক তথ্যগুলো মনে রাখতে হবে।
বাজারে যৌক্তিক বিশ্লেষণ বিষয়টির জন্য কিছু বই পাওয়া যায়। সেসব বই থেকে ঘড়ির সময়, বার, দিন, মাস, বছর নির্ণয়, দূরত্ব, নৌকা স্রোত, সংখ্যা সিরিজ, রক্তের সম্পর্ক, প্রতিবিম্ব, সিদ্ধান্ত গ্রহণ—এ টপিকগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে এবং অনুশীলন করতে হবে।
পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করার জন্য প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে হবে এবং কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। যেহেতু পরীক্ষায় ভুল উত্তরের জন্য নেতিবাচক নম্বর কাটা হবে, তাই মনোযোগসহকারে সঠিক উত্তর চিহ্নিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা তীব্র, তাই সঠিক প্রস্তুতি ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। শেষ পর্যন্ত হাল ছাড়া যাবে না, পরিশ্রম একদিন ফলপ্রসূ হবেই।
শিক্ষার্থী, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ, জাবি

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ৯ম উপাচার্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। ২০০২ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা দিয়ে তাঁর কর্মজীবনের শুরু। তিনি ২০১১ সালে জাপানের কাগাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি...
১৯ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়ভীতি ততই বাড়ছে। বিশেষত, ৩টি বিষয়ের ৬টি পত্রের সব টপিকের ওপর ৩ ঘণ্টার এই একটি পরীক্ষা যখন ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেয়, তখন সে পরীক্ষার জন্য ভয় লাগাটাই স্বাভাবিক।
৪১ মিনিট আগে
অস্ট্রেলিয়ায় যেসব শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এল দারুণ সুযোগ। মোনাশ ইউনিভার্সিটি রিসার্চ স্কলারশিপ ২০২৬-এর আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থী ও অস্ট্রেলিয়ার নিজস্ব শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ায় যেসব শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এল দারুণ সুযোগ। মোনাশ ইউনিভার্সিটি রিসার্চ স্কলারশিপ ২০২৬-এর আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থী ও অস্ট্রেলিয়ার নিজস্ব শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। বৃত্তিটিতে অর্থায়ন করবে দেশের সরকার। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি উন্মুক্ত।
অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় ও বিশ্বখ্যাত উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মোনাশ ইউনিভার্সিটি অন্যতম। ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যে অবস্থিত। গবেষণা, উদ্ভাবন ও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার জন্য বিশ্বজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপরিচিত রয়েছে। কিউএস ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক র্যাঙ্কিংয়ে মোনাশ ইউনিভার্সিটি ধারাবাহিকভাবে স্থান করে নিচ্ছে।
আর্থিক সুবিধা
এই বৃত্তিটি যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ অর্থায়িত একটি সুযোগ। অস্ট্রেলিয়া সরকারের তত্ত্বাবধানে প্রদত্ত এ স্কলারশিপে পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব খরচই বহন করা হয়। এর আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে এবং মাসিক স্টাইপেন্ড বা ভাতা দেওয়া হবে। পাশাপাশি মিলবে আন্তর্জাতিক যাতায়াতের বিমান টিকিট, নতুন দেশে গিয়ে বসবাস শুরুর জন্য রিলোকেশন অ্যালাউয়েন্স, নিয়মিত লিভিং অ্যালাউয়েন্স, বই ও কোর্স উপকরণের খরচ এবং স্বাস্থ্যসেবা ভাতা।
বৃত্তির ধরন
অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় মোনাশ ইউনিভার্সিটিতে গবেষণাভিত্তিক উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে একাধিক মর্যাদাপূর্ণ স্কলারশিপ। এর মধ্যে রিসার্চ ট্রেনিং প্রোগ্রাম স্কলারশিপ অস্ট্রেলিয়ান সরকারের অর্থায়নে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রদান করা হয়। এই বৃত্তির মোট মূল্য সর্বোচ্চ প্রায় ৩২ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার। একই পরিসরে মোনাশ গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে গবেষণা ডিগ্রির শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গবেষণায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে রয়েছে ম্যাক্সওয়েল কিং পিএইচডি স্কলারশিপ, যা পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহে সহায়তা করে। এই বৃত্তির আর্থিক মূল্য সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার ৬০০ ডলার। প্রতিবছর ভিন্ন ভিন্ন অনুষদে পর্যায়ক্রমে দেওয়া হয় মোনাশ সিলভার জুবিলি পিএইচডি স্কলারশিপ। যার মূল্য সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার ডলার। মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞানে গবেষণার জন্য রয়েছে রেডন গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ স্কলারশিপ। এই বৃত্তির মূল্য সর্বোচ্চ ২০ হাজার ডলার।
আবেদনের যোগ্যতা
দেশি ও বিদেশি উভয় ধরনের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীদের অবশ্যই স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। এই স্কলারশিপ মূলত প্রার্থীর একাডেমিক ফলাফল, গবেষণাকর্ম এবং পূর্ববর্তী গবেষণা অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রদান করা হয়। পাশাপাশি নির্বাচিত প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হলে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ থাকা বাধ্যতামূলক।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
আর্টস, ডিজাইন ও আর্কিটেকচার; হিউম্যানিটিজ এবং সোশ্যাল সায়েন্সেস; বিজনেস; এডুকেশন; ইঞ্জিনিয়ারিং; ইনফরমেশন টেকনোলজি; মেডিসিন; নার্সিং; হেলথ সায়েন্সেস; ফার্মেসি ও ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস এবং ল। এ বিষয়গুলোর মধ্যে শিক্ষার্থীর আগ্রহ ও যোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে মাস্টার্স বা পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ রয়েছে।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়
৩১ মার্চ, ২০২৬।

অস্ট্রেলিয়ায় যেসব শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এল দারুণ সুযোগ। মোনাশ ইউনিভার্সিটি রিসার্চ স্কলারশিপ ২০২৬-এর আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থী ও অস্ট্রেলিয়ার নিজস্ব শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। বৃত্তিটিতে অর্থায়ন করবে দেশের সরকার। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি উন্মুক্ত।
অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় ও বিশ্বখ্যাত উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মোনাশ ইউনিভার্সিটি অন্যতম। ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যে অবস্থিত। গবেষণা, উদ্ভাবন ও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার জন্য বিশ্বজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপরিচিত রয়েছে। কিউএস ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক র্যাঙ্কিংয়ে মোনাশ ইউনিভার্সিটি ধারাবাহিকভাবে স্থান করে নিচ্ছে।
আর্থিক সুবিধা
এই বৃত্তিটি যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ অর্থায়িত একটি সুযোগ। অস্ট্রেলিয়া সরকারের তত্ত্বাবধানে প্রদত্ত এ স্কলারশিপে পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব খরচই বহন করা হয়। এর আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে এবং মাসিক স্টাইপেন্ড বা ভাতা দেওয়া হবে। পাশাপাশি মিলবে আন্তর্জাতিক যাতায়াতের বিমান টিকিট, নতুন দেশে গিয়ে বসবাস শুরুর জন্য রিলোকেশন অ্যালাউয়েন্স, নিয়মিত লিভিং অ্যালাউয়েন্স, বই ও কোর্স উপকরণের খরচ এবং স্বাস্থ্যসেবা ভাতা।
বৃত্তির ধরন
অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় মোনাশ ইউনিভার্সিটিতে গবেষণাভিত্তিক উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে একাধিক মর্যাদাপূর্ণ স্কলারশিপ। এর মধ্যে রিসার্চ ট্রেনিং প্রোগ্রাম স্কলারশিপ অস্ট্রেলিয়ান সরকারের অর্থায়নে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রদান করা হয়। এই বৃত্তির মোট মূল্য সর্বোচ্চ প্রায় ৩২ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার। একই পরিসরে মোনাশ গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে গবেষণা ডিগ্রির শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গবেষণায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে রয়েছে ম্যাক্সওয়েল কিং পিএইচডি স্কলারশিপ, যা পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহে সহায়তা করে। এই বৃত্তির আর্থিক মূল্য সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার ৬০০ ডলার। প্রতিবছর ভিন্ন ভিন্ন অনুষদে পর্যায়ক্রমে দেওয়া হয় মোনাশ সিলভার জুবিলি পিএইচডি স্কলারশিপ। যার মূল্য সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার ডলার। মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞানে গবেষণার জন্য রয়েছে রেডন গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ স্কলারশিপ। এই বৃত্তির মূল্য সর্বোচ্চ ২০ হাজার ডলার।
আবেদনের যোগ্যতা
দেশি ও বিদেশি উভয় ধরনের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীদের অবশ্যই স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। এই স্কলারশিপ মূলত প্রার্থীর একাডেমিক ফলাফল, গবেষণাকর্ম এবং পূর্ববর্তী গবেষণা অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রদান করা হয়। পাশাপাশি নির্বাচিত প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হলে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ থাকা বাধ্যতামূলক।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
আর্টস, ডিজাইন ও আর্কিটেকচার; হিউম্যানিটিজ এবং সোশ্যাল সায়েন্সেস; বিজনেস; এডুকেশন; ইঞ্জিনিয়ারিং; ইনফরমেশন টেকনোলজি; মেডিসিন; নার্সিং; হেলথ সায়েন্সেস; ফার্মেসি ও ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস এবং ল। এ বিষয়গুলোর মধ্যে শিক্ষার্থীর আগ্রহ ও যোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে মাস্টার্স বা পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ রয়েছে।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়
৩১ মার্চ, ২০২৬।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ৯ম উপাচার্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। ২০০২ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা দিয়ে তাঁর কর্মজীবনের শুরু। তিনি ২০১১ সালে জাপানের কাগাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি...
১৯ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়ভীতি ততই বাড়ছে। বিশেষত, ৩টি বিষয়ের ৬টি পত্রের সব টপিকের ওপর ৩ ঘণ্টার এই একটি পরীক্ষা যখন ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেয়, তখন সে পরীক্ষার জন্য ভয় লাগাটাই স্বাভাবিক।
৪১ মিনিট আগে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একটি আসন বহু শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। সবুজ ক্যাম্পাস, মানসম্মত শিক্ষা ও সীমিত আসনের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বরাবরই প্রতিযোগিতাপূর্ণ। বিশেষ করে সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হয়ে থাকে।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ৯ম উপাচার্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। ২০০২ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা দিয়ে তাঁর কর্মজীবনের শুরু। তিনি ২০১১ সালে জাপানের কাগাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি...
১৯ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়ভীতি ততই বাড়ছে। বিশেষত, ৩টি বিষয়ের ৬টি পত্রের সব টপিকের ওপর ৩ ঘণ্টার এই একটি পরীক্ষা যখন ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেয়, তখন সে পরীক্ষার জন্য ভয় লাগাটাই স্বাভাবিক।
৪১ মিনিট আগে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একটি আসন বহু শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। সবুজ ক্যাম্পাস, মানসম্মত শিক্ষা ও সীমিত আসনের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বরাবরই প্রতিযোগিতাপূর্ণ। বিশেষ করে সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হয়ে থাকে।
১ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ায় যেসব শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এল দারুণ সুযোগ। মোনাশ ইউনিভার্সিটি রিসার্চ স্কলারশিপ ২০২৬-এর আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থী ও অস্ট্রেলিয়ার নিজস্ব শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
১ ঘণ্টা আগে