মুসাররাত আবির
কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়ার আগে পড়াশোনার পাশাপাশি ক্যাম্পাসটা কেমন, তা নিয়েও আলাদা ঝোঁক থাকে। চার থেকে ছয় বছর যে ক্যাম্পাসে থাকবেন, সেটা অন্য ক্যাম্পাসগুলোর চেয়ে একটু ভিন্ন না হলে কি চলে? অনেক ক্যাম্পাসের কিছু ভবন আছে, যেগুলো ভিন্নতায় পৃথিবীর সেরা। লিখেছেন মুসাররাত আবির।
১. দ্য লা ট্রোব ইনস্টিটিউট ফর মলিকুলার সায়েন্স, লা ট্রোব ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়া
২০১৩ সালে শুরু হওয়া এই ইনস্টিটিউট দেখলেই বোঝা যায়, কেন এটি তালিকার শীর্ষে। নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে, মলিকুলার নিয়ে গবেষণা করাই এই প্রতিষ্ঠানের কাজ। তাই এর বিল্ডিংয়ের গঠনটাও মলিকুলার স্ট্রাকচার অনুসরণ করেই তৈরি করা। জানালাগুলো দেখে মনে হবে রসায়নের পারমাণবিক গঠন! আর পিলারগুলো এক্স ও ওয়াই ক্রোমোজোমের আদলে তৈরি।
২. দ্য হাইভ, নায়াং টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি, সিঙ্গাপুর
হাইভ মানে মৌচাক। আর নায়াং টেকনোলজি ইউনিভার্সিটির এ ল্যাব মৌচাকের আদলে তৈরি। যদিও অনেকের কাছে এটি আবার ঝুড়ির মতো মনে হতে পারে! এর স্থপতি থমাস হেথরিকের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার ধরনের কথা বিবেচনায় রেখে এভাবে তৈরি করা হয়েছে।
৩. ওয়েজম্যান আর্ট মিউজিয়াম, ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটা, যুক্তরাষ্ট্র
নির্মাতা যখন গুগেনহিম মিউজিয়াম এবং ওয়াল্ট ডিজনির বিখ্যাত কনসার্ট হলের, তখন এমন নজরকাড়া ডিজাইন হওয়াটাই স্বাভাবিক। ফ্র্যাংক গেহরির তৈরি করা এই বিল্ডিংয়ের রয়েছে দুটি মুখ। একটি ইটের তৈরি, যা হিস্টোরিক বিল্ডিংয়ের সঙ্গে যুক্ত। আরেকটি স্টিল শিট দিয়ে তৈরি বাঁকানো গঠন।
৪. শার্প সেন্টার ফর ডিজাইন, ওন্টারিও কলেজ অব আর্ট অ্যান্ড ডিজাইন, কানাডা
২০০৪ সালে বানানো এই বিল্ডিং কানাডার বিখ্যাত স্থাপত্যগুলোর একটি। টেবিল টপের আদলে তৈরি সাদা-কালো টাইলসের এই বিল্ডিংয়ে রয়েছে ১২ রঙা স্টিলের পা, যা চারতলা সমান উঁচু।
৫. কুগেন বিল্ডিং, ইউনিভার্সিটি অব গুটেনবার্গ, সুইডেন
সিলিন্ডার আকৃতির এই লাল দালানে বিশ্ববিদ্যালয়টির মাস্টার্স প্রোগ্রামগুলো পরিচালিত হয়। বিল্ডিংয়ের দুই দিকে দুটি ব্রিজ বানানো হয়েছে, যা একাডেমিক বিল্ডিং এবং ডিজিটাল কমিউনিকেশন ও মিডিয়া অনুষদকে যুক্ত করেছে।
৬. ওয়েস্ট ক্যাম্পাস ইউনিয়ন, ডিউক ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র
এই বিল্ডিং বানানোর মূল উদ্দেশ্য, ১৯২০ সালের ডিজাইন ফিরিয়ে আনা। তবে আর্কিটেক্টরা কেবল ফিরিয়ে এনেই ক্ষান্ত হননি, আধুনিক ডিজাইনের ছোঁয়াও রেখে গেছেন। পুরো বিল্ডিংই কাচ ও স্টিলের তৈরি। তাই এক শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার্থীরা আরেক কক্ষের শিক্ষার্থীদের দেখতে পারেন খুব সহজে।
৭. দ্য ডায়মন্ড, ব্যাংকক ইউনিভার্সিটি, থাইল্যান্ড
বলা হয় শিক্ষার্থীরাই একটি দেশের রত্ন। তাই সেই সব রত্নকে তো রত্নের মতো করেই রাখা উচিত! এই অনুপ্রেরণা থেকে তৈরি হয়েছে ব্যাংকক ইউনিভার্সিটি। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের রত্নের মতোই গড়ে তুলতে চায়। আর এটা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার মানের প্রতীকী দর্শন।
৮. সি থার্টিন বিল্ডিং, রোলাও ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, পোল্যান্ড
পোল্যান্ডের সবচেয়ে অদ্ভুত দালান-কোঠার মধ্যে একটি হচ্ছে সি থার্টিন বিল্ডিং। এর মধ্যে রয়েছে পোল্যান্ডের মডার্ন আর্কিটেকচারের ছোঁয়া। পুরো বিল্ডিংয়েই আছে খোপের মতো ছোট ছোট গোল জানালা। যেন কেউ কোনো কিছু দিয়ে দেয়ালগুলো ঝাঁজরা করে দিয়েছে।
৯. আর্টস ওয়েস্ট বিল্ডিং, ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া
যাঁরা হ্যারি পটারের ভক্ত, তাঁরা এই বিল্ডিংয়ের ভেতর ঢুকলেই বুঝতে পারবেন যে সিঁড়িগুলো হগওয়ার্টসের আদলে তৈরি। প্রতিটি ফ্লোরে রয়েছে একেক রকম থিম। আর বাইরের থিমটা কনটেম্পরারি আর্ট থেকে অনুপ্রাণিত।
১০. ইউটিএস বিজনেস স্কুল, ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া
দূর থেকে তাকালে মনে হবে, একটা বাদামি কাগজের ব্যাগ দুমড়েমুচড়ে রাখা হয়েছে। এই মোচড়ানো বিল্ডিংই বিশ্ববিদ্যালয়টির বৈশিষ্ট্য। এর ভেতরে ঢুকলে দেখা যাবে দেয়াল থেকে শুরু করে পিলার, জানালা—সবকিছুই বাঁকানো। যেন একটা দানবের হাতের থাবায় আর কোনো কিছুর আকার স্বাভাবিক নেই।
সূত্র: টাইমস হায়ার এডুকেশন
কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়ার আগে পড়াশোনার পাশাপাশি ক্যাম্পাসটা কেমন, তা নিয়েও আলাদা ঝোঁক থাকে। চার থেকে ছয় বছর যে ক্যাম্পাসে থাকবেন, সেটা অন্য ক্যাম্পাসগুলোর চেয়ে একটু ভিন্ন না হলে কি চলে? অনেক ক্যাম্পাসের কিছু ভবন আছে, যেগুলো ভিন্নতায় পৃথিবীর সেরা। লিখেছেন মুসাররাত আবির।
১. দ্য লা ট্রোব ইনস্টিটিউট ফর মলিকুলার সায়েন্স, লা ট্রোব ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়া
২০১৩ সালে শুরু হওয়া এই ইনস্টিটিউট দেখলেই বোঝা যায়, কেন এটি তালিকার শীর্ষে। নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে, মলিকুলার নিয়ে গবেষণা করাই এই প্রতিষ্ঠানের কাজ। তাই এর বিল্ডিংয়ের গঠনটাও মলিকুলার স্ট্রাকচার অনুসরণ করেই তৈরি করা। জানালাগুলো দেখে মনে হবে রসায়নের পারমাণবিক গঠন! আর পিলারগুলো এক্স ও ওয়াই ক্রোমোজোমের আদলে তৈরি।
২. দ্য হাইভ, নায়াং টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি, সিঙ্গাপুর
হাইভ মানে মৌচাক। আর নায়াং টেকনোলজি ইউনিভার্সিটির এ ল্যাব মৌচাকের আদলে তৈরি। যদিও অনেকের কাছে এটি আবার ঝুড়ির মতো মনে হতে পারে! এর স্থপতি থমাস হেথরিকের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার ধরনের কথা বিবেচনায় রেখে এভাবে তৈরি করা হয়েছে।
৩. ওয়েজম্যান আর্ট মিউজিয়াম, ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটা, যুক্তরাষ্ট্র
নির্মাতা যখন গুগেনহিম মিউজিয়াম এবং ওয়াল্ট ডিজনির বিখ্যাত কনসার্ট হলের, তখন এমন নজরকাড়া ডিজাইন হওয়াটাই স্বাভাবিক। ফ্র্যাংক গেহরির তৈরি করা এই বিল্ডিংয়ের রয়েছে দুটি মুখ। একটি ইটের তৈরি, যা হিস্টোরিক বিল্ডিংয়ের সঙ্গে যুক্ত। আরেকটি স্টিল শিট দিয়ে তৈরি বাঁকানো গঠন।
৪. শার্প সেন্টার ফর ডিজাইন, ওন্টারিও কলেজ অব আর্ট অ্যান্ড ডিজাইন, কানাডা
২০০৪ সালে বানানো এই বিল্ডিং কানাডার বিখ্যাত স্থাপত্যগুলোর একটি। টেবিল টপের আদলে তৈরি সাদা-কালো টাইলসের এই বিল্ডিংয়ে রয়েছে ১২ রঙা স্টিলের পা, যা চারতলা সমান উঁচু।
৫. কুগেন বিল্ডিং, ইউনিভার্সিটি অব গুটেনবার্গ, সুইডেন
সিলিন্ডার আকৃতির এই লাল দালানে বিশ্ববিদ্যালয়টির মাস্টার্স প্রোগ্রামগুলো পরিচালিত হয়। বিল্ডিংয়ের দুই দিকে দুটি ব্রিজ বানানো হয়েছে, যা একাডেমিক বিল্ডিং এবং ডিজিটাল কমিউনিকেশন ও মিডিয়া অনুষদকে যুক্ত করেছে।
৬. ওয়েস্ট ক্যাম্পাস ইউনিয়ন, ডিউক ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র
এই বিল্ডিং বানানোর মূল উদ্দেশ্য, ১৯২০ সালের ডিজাইন ফিরিয়ে আনা। তবে আর্কিটেক্টরা কেবল ফিরিয়ে এনেই ক্ষান্ত হননি, আধুনিক ডিজাইনের ছোঁয়াও রেখে গেছেন। পুরো বিল্ডিংই কাচ ও স্টিলের তৈরি। তাই এক শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার্থীরা আরেক কক্ষের শিক্ষার্থীদের দেখতে পারেন খুব সহজে।
৭. দ্য ডায়মন্ড, ব্যাংকক ইউনিভার্সিটি, থাইল্যান্ড
বলা হয় শিক্ষার্থীরাই একটি দেশের রত্ন। তাই সেই সব রত্নকে তো রত্নের মতো করেই রাখা উচিত! এই অনুপ্রেরণা থেকে তৈরি হয়েছে ব্যাংকক ইউনিভার্সিটি। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের রত্নের মতোই গড়ে তুলতে চায়। আর এটা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার মানের প্রতীকী দর্শন।
৮. সি থার্টিন বিল্ডিং, রোলাও ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, পোল্যান্ড
পোল্যান্ডের সবচেয়ে অদ্ভুত দালান-কোঠার মধ্যে একটি হচ্ছে সি থার্টিন বিল্ডিং। এর মধ্যে রয়েছে পোল্যান্ডের মডার্ন আর্কিটেকচারের ছোঁয়া। পুরো বিল্ডিংয়েই আছে খোপের মতো ছোট ছোট গোল জানালা। যেন কেউ কোনো কিছু দিয়ে দেয়ালগুলো ঝাঁজরা করে দিয়েছে।
৯. আর্টস ওয়েস্ট বিল্ডিং, ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া
যাঁরা হ্যারি পটারের ভক্ত, তাঁরা এই বিল্ডিংয়ের ভেতর ঢুকলেই বুঝতে পারবেন যে সিঁড়িগুলো হগওয়ার্টসের আদলে তৈরি। প্রতিটি ফ্লোরে রয়েছে একেক রকম থিম। আর বাইরের থিমটা কনটেম্পরারি আর্ট থেকে অনুপ্রাণিত।
১০. ইউটিএস বিজনেস স্কুল, ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া
দূর থেকে তাকালে মনে হবে, একটা বাদামি কাগজের ব্যাগ দুমড়েমুচড়ে রাখা হয়েছে। এই মোচড়ানো বিল্ডিংই বিশ্ববিদ্যালয়টির বৈশিষ্ট্য। এর ভেতরে ঢুকলে দেখা যাবে দেয়াল থেকে শুরু করে পিলার, জানালা—সবকিছুই বাঁকানো। যেন একটা দানবের হাতের থাবায় আর কোনো কিছুর আকার স্বাভাবিক নেই।
সূত্র: টাইমস হায়ার এডুকেশন
বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) আজ সোমবার ঢাকার নিশাতনগরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিন শিন গ্রুপ এবং ইপিলিয়ন গ্রুপের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এই সহযোগিতা
১৬ ঘণ্টা আগেপরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শিক্ষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। শুধু শিক্ষার্থীরা না বহু সংগঠন ঢাকা শহরে আন্দোলন করছে। তাঁরা রাস্তা দখল করে আন্দোলন করছে, এর সমাধান কী করে হবে, আমি তো একা সমাধান করতে পারছি না। শিক্ষার্থীদের আহ্বান করছি, তোমাদ
১৭ ঘণ্টা আগেপ্রাকৃতিক নৈসর্গে ভরপুর থাইল্যান্ড প্রকৃতিপ্রেমী মেধাবীদের জন্য উচ্চশিক্ষার এক অনন্য গন্তব্য। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি বিদেশি শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তিতে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে। দেশটির এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (এআইটি) রয়েল থাই স্কলারশিপ ২০২৫ সেরকমই একটি বৃত্তি।
১ দিন আগেছাত্রজীবনে মনোযোগ একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ গুণ। যা শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক সফলতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর যুগে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতি আসক্তি শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ভঙ্গ করার অন্যতম কারণ
১ দিন আগে