২০১২ সালে থিয়েটার আর্ট ইউনিটের মাধ্যমে মঞ্চাঙ্গনে পথচলা শুরু এস আর সম্পদের। এরপর অনেকে মিলে গড়ে তুললেন অনুস্বর নাট্যদল। ‘তিনকড়ি’, ‘স্বপ্নভূক’, ‘হুতাশ মরণ’, ‘রায়মঙ্গল’, ‘হার্মাসিস ক্লিওপেট্রা’ ‘বিবিধ শোক অথবা সুখ’ ও ‘মহাশূন্যে সাইকেল’ নাটকে প্রশংসিত হয়েছে তাঁর অভিনয়। মঞ্চনাটক প্রসঙ্গে সম্পদের সঙ্গে কথা বলেছেন শ্রাবণী রাখী।
শ্রাবণী রাখী
থিয়েটারে এক যুগ পার করলেন। এখন নিজেকে নিয়ে ভাবলে কোন কথাগুলো মনে হয়?
কিশোরবেলার কথা মনে পড়ে। তখন আমরা বুয়েটের আজাদ স্টাফ কোয়ার্টারে থাকতাম। বুয়েট অডিটরিয়ামে কর্মচারীদের এক অনুষ্ঠানের নাটিকায় বাউলের ভূমিকায় অভিনয়ের পাশাপাশি ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতাটি পড়ার কথা ছিল আমার। আমি মঞ্চেও উঠেছিলাম। নাম ঘোষণার পর বাবা গর্ব করে আমাকে দেখিয়ে তাঁর স্যারকে বলেছিলেন, এটা আমার ছেলে! কিন্তু আমি সবকিছু গুবলেট করে ফেলি। বাবা সেদিন সেই একতারা দিয়ে আমাকে পেটাতে-পেটাতে বাসায় নিয়ে আসেন। বাবার মৃত্যুর পর আমি বাবাকে খুঁজতাম। বাবা অভিনয়টা পছন্দ করতেন। একদিন আমি থিয়েটারটা শুরু করি। এখন মনে হয়, বাবা থাকলে ভালো হতো, তিনি দেখতে পারতেন, তাঁর স্বপ্নটা ধীরে ধীরে পূরণ হচ্ছে।
প্রথম দিন মঞ্চে ওঠার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
জহির রায়হানের ‘সময়ের প্রয়োজনে’ ছিল থিয়েটারে আমার প্রথম কাজ। মোহাম্মদ বারীর নির্দেশনায় গ্রামবাসীর চরিত্রে অভিনয় করি। সেখানে আমার সমস্বরে ডায়লগ ছিল ‘কোনদিকে যাব’। এই সংলাপ দিয়েই আমার জার্নি শুরু। এতগুলো বছর পরও আমার নিজের কাছে একই প্রশ্ন ‘কোনদিকে যাব’! আমার প্রথম শোতে যে রকম অনুভূতি হয়েছিল, প্রত্যেকটা শোতে সে রকমই অনুভূতি হয়। প্রথম সংলাপের আগে পর্যন্ত পায়ের নিচে সুড়সুড়ির মতো অনুভূতি হয়, আর মাথায় চলতে থাকে, আমি বোধহয় সংলাপটা ঠিকমতো ডেলিভারি দিতে পারব না। তবে প্রথম সংলাপটা দিয়ে ফেলার পর থেকেই আমি ওই চরিত্রটার সঙ্গে মিশে যেতে পারি।
থিয়েটার আর্ট ইউনিটের ‘আমিনা সুন্দরী’, ‘সময়ের প্রয়োজনে’, ‘না মানুষি জমিন’-এর মতো নাটকে কাজ করেছেন। আপনার পছন্দের কাজ কোনটি?
এ দলের যতগুলো নাটকে কাজ করেছি, প্রত্যেকটা নাটকেই আলাদা অনুভূতি কাজ করে। আমার প্রথম পূর্ণাঙ্গ নাটক ‘না মানুষি জমিন’। ‘আমিনা সুন্দরী’তে আমি ছোট্ট একটা চরিত্র করলেও আমার খুব ভালো লাগত। থিয়েটার আর্ট ইউনিটের সব নতুন ছেলেমেয়ের স্বপ্ন থাকে ‘কোর্টমার্শাল’ ও ‘গোলাপজান’ নাটকে অভিনয় করা। সেই আক্ষেপ আমার ঘুচবে না!
থিয়েটার আর্ট ইউনিট ছেড়ে অনুস্বরের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। মঞ্চে কারা আপনাকে তৈরি করেছেন বলে মনে করেন?
থিয়েটার আর্ট ইউনিটে যখন জয়েন করি, তখন আমার কোর্স কো-অর্ডিনেটর ছিলেন সাইফ সুমন ভাই। থিয়েটারে আমার গুরু তিনি। রোকেয়া রফিক বেবি, মোহাম্মদ বারী ও সাইফ সুমন—এই তিনজন মানুষের কাছে আমি বেশি শিখেছি। অনুস্বর গঠনের পর সাইফ সুমন ভাই আরও টেক কেয়ার করলেন, সুযোগ দিলেন, আমাকে নিয়ে কাজ করলেন, আমাকে তৈরি করলেন।
অনেকেই বলেন আপনি অনুস্বরের ‘সম্পদ’। দলের কাছে নিজের এতটা আস্থা বা নির্ভরতা তৈরি কতটা কঠিন ছিল?
কঠিন কখনোই ছিল না। অনুস্বর এমন একটা দল, যেখানে সবার একটা স্পেস অলরেডি ক্রিয়েট করা। যেমন, অনুস্বরের নিজস্ব ফ্লোর আছে, স্টুডিও আছে, লাইব্রেরি আছে, এখানে বাচিকের ক্লাস হয়। আমরা গানের স্বর নিয়ে কাজ করি। নিজেকে যদি একটা মানুষ থিয়েটারে তৈরি করতে চাই, আমি মনে করি অনুস্বরের চেয়ে ভালো দল কমই আছে। আমি অনুস্বরের ‘সম্পদ’, কথাটা আমাকে গর্বিত করে। আমি এখন অনুস্বরের সহকারী দপ্তর হিসেবে আছি। আমার বস প্রশান্ত হালদার। তিনি শিখিয়েছেন থিয়েটারের সার্বিক কাজ কীভাবে হয়, কীভাবে ভালো করা যায়।
অনুস্বরের বেশির ভাগ প্রযোজনায় আপনাকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যায়। কোন চরিত্রটি আপনার বেশি পছন্দের?
আমার করা সব চরিত্রই আমার পছন্দের। তবে ‘মহাশূন্যে সাইকেল’ করার আগ পর্যন্ত ‘স্বপ্নভূক’-এর কবিছায়া চরিত্রটা আমাকে খুব টানত। আমার প্রথম কেন্দ্রীয় চরিত্র ‘তিনকড়ি’ আমাকে টানত যতক্ষণ পর্যন্ত আমি ‘স্বপ্নভূক’ করিনি। কিন্তু ‘মহাশূন্যে সাইকেল’ করার পর থেকে রেজাউল করিম আমাকে টানছে।
নতুন চরিত্রে অভিনয়ের আগে নিজেকে কীভাবে তৈরি করেন?
প্রথমে খোঁজার চেষ্টা করি চরিত্রটির কথা বলার স্টাইল কেমন। কোনো নাটকেই আমার ডায়লগ ডেলিভারি প্যাটার্ন এক রকম থাকে না। চেষ্টা করি কথা বলার ধরনটা যেন আলাদা হয়। চরিত্রটা কীভাবে হাঁটবে, কীভাবে হাত-পা নাড়াবে, কীভাবে লুক দেবে—এসব ভাবতে ভাবতে যখন আমি পেয়ে যাই চরিত্রটা এইভাবে কথা বলে, তারপর থেকেই আমি বাকিগুলো গুছিয়ে ফেলতে পারি।
নাট্যমঞ্চে অভিনয়ের সময় কোন মুহূর্তটাকে সবচেয়ে কঠিন মনে হয়?
যখন ব্ল্যাংক হয়ে যাই! দৃশ্যে হয়তো আমার কো-অ্যাক্টরও নেই, আমার স্বগতউক্তি চলছে আর আমি ডায়লগ ভুলে গেছি! সেই অবস্থা থেকে বের হওয়ার যে ব্যাপারটা। এমন মুহূর্তে মনে হয় যেন পুরো পৃথিবীটা জগদ্দল পাথর হয়ে আমার মাথার ওপর চেপে বসেছে, পায়ের নিচে মাটি ভেদ করে আমি ডেবে যাচ্ছি!
‘বিবিধি শোক অথবা সুখ’ একটি স্টুডিও প্রডাকশন। মঞ্চে আর স্টুডিওতে মঞ্চায়নের তফাতটা কী?
যখন মঞ্চে কাজ করি তখন একটু লাউডলি কথা বলি আর স্টুডিওতে দেখবেন দর্শক মাত্র দুই ফুট দূরে বসা, এই নাটকটি যেমন একটা ড্রয়িংরুমে। সেখানে আমরা পাশাপাশি যেভাবে কথা বলি সেইভাবে মেইনটেন করার চেষ্টা করি। এখানে ৩৫ জন দর্শক বসতে পারেন। আমরা চেষ্টা করি সবাই যেন শুনতে পান। যেন লাইভ মনে হয়, দর্শকের যেন মনে হয় তাঁরা এই ঘরেরই অংশ।
অভিনেতা না হলে কী হতেন?
অভিনেতা না হলে আমি হয়তো একজন কামলা হতাম।
জীবিকার জন্য আর কী করছেন?
দীর্ঘ ১৬ বছর রিয়েলএস্টেটে কাজ করেছি, সাইবার ক্যাফের ম্যানেজারের কাজ করেছি, ব্যবসা করার চেষ্টা করেছি, আরজে হিসেবে কাজ করেছি, এখন চাকরি করছি পাশাপাশি ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করি বঙ্গ বিডি, ধ্বনিচিত্র, সাউন্ড প্রিন্টার, সিভিএম, দুরন্ত টিভি ও দীপ্ত টিভিতে।
কয়েকটি সিনেমার পাশাপাশি টিভি নাটক ও বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন। পর্দায় নিয়মিত হওয়ার ইচ্ছে আছে?
অবশ্যই আছে। বিষয়টা এমন নয় যে আমি কাজ পাচ্ছি তবু করছি না। সুযোগের অপেক্ষায় আছি। টুকটাক কাজ করার চেষ্টা করছি। যেখানেই অডিশন কল পাই, যাই। আমি ভালো কনটেন্টে কাজ করতে চাই, ভালো ডিরেক্টরের সঙ্গে কাজ করতে চাই, একটু সময় নিয়ে গুছিয়ে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে চাই।
থিয়েটারে যারা আসতে চায় তাদের কী বলবেন?
থিয়েটারে আসতে চাইলে মেনে নিতে হবে, এখানে দৃশ্যমান কিছু পাওয়া যায় না। অনেকেই থিয়েটারে আসেন তারকা হওয়ার আশায়। কিন্তু থিয়েটার তারকা হওয়ার জায়গা না, ভালো মানুষ হওয়ার জায়গা। থিয়েটারে এসে শিখেছি মানুষ কীভাবে আস্তে আস্তে এগিয়ে যায়, মানুষ কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। নতুন যারা থিয়েটার করতে চায়, তারা যেন মনোযোগ দিয়ে থিয়েটারটা করে।
থিয়েটারে এক যুগ পার করলেন। এখন নিজেকে নিয়ে ভাবলে কোন কথাগুলো মনে হয়?
কিশোরবেলার কথা মনে পড়ে। তখন আমরা বুয়েটের আজাদ স্টাফ কোয়ার্টারে থাকতাম। বুয়েট অডিটরিয়ামে কর্মচারীদের এক অনুষ্ঠানের নাটিকায় বাউলের ভূমিকায় অভিনয়ের পাশাপাশি ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতাটি পড়ার কথা ছিল আমার। আমি মঞ্চেও উঠেছিলাম। নাম ঘোষণার পর বাবা গর্ব করে আমাকে দেখিয়ে তাঁর স্যারকে বলেছিলেন, এটা আমার ছেলে! কিন্তু আমি সবকিছু গুবলেট করে ফেলি। বাবা সেদিন সেই একতারা দিয়ে আমাকে পেটাতে-পেটাতে বাসায় নিয়ে আসেন। বাবার মৃত্যুর পর আমি বাবাকে খুঁজতাম। বাবা অভিনয়টা পছন্দ করতেন। একদিন আমি থিয়েটারটা শুরু করি। এখন মনে হয়, বাবা থাকলে ভালো হতো, তিনি দেখতে পারতেন, তাঁর স্বপ্নটা ধীরে ধীরে পূরণ হচ্ছে।
প্রথম দিন মঞ্চে ওঠার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
জহির রায়হানের ‘সময়ের প্রয়োজনে’ ছিল থিয়েটারে আমার প্রথম কাজ। মোহাম্মদ বারীর নির্দেশনায় গ্রামবাসীর চরিত্রে অভিনয় করি। সেখানে আমার সমস্বরে ডায়লগ ছিল ‘কোনদিকে যাব’। এই সংলাপ দিয়েই আমার জার্নি শুরু। এতগুলো বছর পরও আমার নিজের কাছে একই প্রশ্ন ‘কোনদিকে যাব’! আমার প্রথম শোতে যে রকম অনুভূতি হয়েছিল, প্রত্যেকটা শোতে সে রকমই অনুভূতি হয়। প্রথম সংলাপের আগে পর্যন্ত পায়ের নিচে সুড়সুড়ির মতো অনুভূতি হয়, আর মাথায় চলতে থাকে, আমি বোধহয় সংলাপটা ঠিকমতো ডেলিভারি দিতে পারব না। তবে প্রথম সংলাপটা দিয়ে ফেলার পর থেকেই আমি ওই চরিত্রটার সঙ্গে মিশে যেতে পারি।
থিয়েটার আর্ট ইউনিটের ‘আমিনা সুন্দরী’, ‘সময়ের প্রয়োজনে’, ‘না মানুষি জমিন’-এর মতো নাটকে কাজ করেছেন। আপনার পছন্দের কাজ কোনটি?
এ দলের যতগুলো নাটকে কাজ করেছি, প্রত্যেকটা নাটকেই আলাদা অনুভূতি কাজ করে। আমার প্রথম পূর্ণাঙ্গ নাটক ‘না মানুষি জমিন’। ‘আমিনা সুন্দরী’তে আমি ছোট্ট একটা চরিত্র করলেও আমার খুব ভালো লাগত। থিয়েটার আর্ট ইউনিটের সব নতুন ছেলেমেয়ের স্বপ্ন থাকে ‘কোর্টমার্শাল’ ও ‘গোলাপজান’ নাটকে অভিনয় করা। সেই আক্ষেপ আমার ঘুচবে না!
থিয়েটার আর্ট ইউনিট ছেড়ে অনুস্বরের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। মঞ্চে কারা আপনাকে তৈরি করেছেন বলে মনে করেন?
থিয়েটার আর্ট ইউনিটে যখন জয়েন করি, তখন আমার কোর্স কো-অর্ডিনেটর ছিলেন সাইফ সুমন ভাই। থিয়েটারে আমার গুরু তিনি। রোকেয়া রফিক বেবি, মোহাম্মদ বারী ও সাইফ সুমন—এই তিনজন মানুষের কাছে আমি বেশি শিখেছি। অনুস্বর গঠনের পর সাইফ সুমন ভাই আরও টেক কেয়ার করলেন, সুযোগ দিলেন, আমাকে নিয়ে কাজ করলেন, আমাকে তৈরি করলেন।
অনেকেই বলেন আপনি অনুস্বরের ‘সম্পদ’। দলের কাছে নিজের এতটা আস্থা বা নির্ভরতা তৈরি কতটা কঠিন ছিল?
কঠিন কখনোই ছিল না। অনুস্বর এমন একটা দল, যেখানে সবার একটা স্পেস অলরেডি ক্রিয়েট করা। যেমন, অনুস্বরের নিজস্ব ফ্লোর আছে, স্টুডিও আছে, লাইব্রেরি আছে, এখানে বাচিকের ক্লাস হয়। আমরা গানের স্বর নিয়ে কাজ করি। নিজেকে যদি একটা মানুষ থিয়েটারে তৈরি করতে চাই, আমি মনে করি অনুস্বরের চেয়ে ভালো দল কমই আছে। আমি অনুস্বরের ‘সম্পদ’, কথাটা আমাকে গর্বিত করে। আমি এখন অনুস্বরের সহকারী দপ্তর হিসেবে আছি। আমার বস প্রশান্ত হালদার। তিনি শিখিয়েছেন থিয়েটারের সার্বিক কাজ কীভাবে হয়, কীভাবে ভালো করা যায়।
অনুস্বরের বেশির ভাগ প্রযোজনায় আপনাকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যায়। কোন চরিত্রটি আপনার বেশি পছন্দের?
আমার করা সব চরিত্রই আমার পছন্দের। তবে ‘মহাশূন্যে সাইকেল’ করার আগ পর্যন্ত ‘স্বপ্নভূক’-এর কবিছায়া চরিত্রটা আমাকে খুব টানত। আমার প্রথম কেন্দ্রীয় চরিত্র ‘তিনকড়ি’ আমাকে টানত যতক্ষণ পর্যন্ত আমি ‘স্বপ্নভূক’ করিনি। কিন্তু ‘মহাশূন্যে সাইকেল’ করার পর থেকে রেজাউল করিম আমাকে টানছে।
নতুন চরিত্রে অভিনয়ের আগে নিজেকে কীভাবে তৈরি করেন?
প্রথমে খোঁজার চেষ্টা করি চরিত্রটির কথা বলার স্টাইল কেমন। কোনো নাটকেই আমার ডায়লগ ডেলিভারি প্যাটার্ন এক রকম থাকে না। চেষ্টা করি কথা বলার ধরনটা যেন আলাদা হয়। চরিত্রটা কীভাবে হাঁটবে, কীভাবে হাত-পা নাড়াবে, কীভাবে লুক দেবে—এসব ভাবতে ভাবতে যখন আমি পেয়ে যাই চরিত্রটা এইভাবে কথা বলে, তারপর থেকেই আমি বাকিগুলো গুছিয়ে ফেলতে পারি।
নাট্যমঞ্চে অভিনয়ের সময় কোন মুহূর্তটাকে সবচেয়ে কঠিন মনে হয়?
যখন ব্ল্যাংক হয়ে যাই! দৃশ্যে হয়তো আমার কো-অ্যাক্টরও নেই, আমার স্বগতউক্তি চলছে আর আমি ডায়লগ ভুলে গেছি! সেই অবস্থা থেকে বের হওয়ার যে ব্যাপারটা। এমন মুহূর্তে মনে হয় যেন পুরো পৃথিবীটা জগদ্দল পাথর হয়ে আমার মাথার ওপর চেপে বসেছে, পায়ের নিচে মাটি ভেদ করে আমি ডেবে যাচ্ছি!
‘বিবিধি শোক অথবা সুখ’ একটি স্টুডিও প্রডাকশন। মঞ্চে আর স্টুডিওতে মঞ্চায়নের তফাতটা কী?
যখন মঞ্চে কাজ করি তখন একটু লাউডলি কথা বলি আর স্টুডিওতে দেখবেন দর্শক মাত্র দুই ফুট দূরে বসা, এই নাটকটি যেমন একটা ড্রয়িংরুমে। সেখানে আমরা পাশাপাশি যেভাবে কথা বলি সেইভাবে মেইনটেন করার চেষ্টা করি। এখানে ৩৫ জন দর্শক বসতে পারেন। আমরা চেষ্টা করি সবাই যেন শুনতে পান। যেন লাইভ মনে হয়, দর্শকের যেন মনে হয় তাঁরা এই ঘরেরই অংশ।
অভিনেতা না হলে কী হতেন?
অভিনেতা না হলে আমি হয়তো একজন কামলা হতাম।
জীবিকার জন্য আর কী করছেন?
দীর্ঘ ১৬ বছর রিয়েলএস্টেটে কাজ করেছি, সাইবার ক্যাফের ম্যানেজারের কাজ করেছি, ব্যবসা করার চেষ্টা করেছি, আরজে হিসেবে কাজ করেছি, এখন চাকরি করছি পাশাপাশি ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করি বঙ্গ বিডি, ধ্বনিচিত্র, সাউন্ড প্রিন্টার, সিভিএম, দুরন্ত টিভি ও দীপ্ত টিভিতে।
কয়েকটি সিনেমার পাশাপাশি টিভি নাটক ও বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন। পর্দায় নিয়মিত হওয়ার ইচ্ছে আছে?
অবশ্যই আছে। বিষয়টা এমন নয় যে আমি কাজ পাচ্ছি তবু করছি না। সুযোগের অপেক্ষায় আছি। টুকটাক কাজ করার চেষ্টা করছি। যেখানেই অডিশন কল পাই, যাই। আমি ভালো কনটেন্টে কাজ করতে চাই, ভালো ডিরেক্টরের সঙ্গে কাজ করতে চাই, একটু সময় নিয়ে গুছিয়ে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে চাই।
থিয়েটারে যারা আসতে চায় তাদের কী বলবেন?
থিয়েটারে আসতে চাইলে মেনে নিতে হবে, এখানে দৃশ্যমান কিছু পাওয়া যায় না। অনেকেই থিয়েটারে আসেন তারকা হওয়ার আশায়। কিন্তু থিয়েটার তারকা হওয়ার জায়গা না, ভালো মানুষ হওয়ার জায়গা। থিয়েটারে এসে শিখেছি মানুষ কীভাবে আস্তে আস্তে এগিয়ে যায়, মানুষ কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। নতুন যারা থিয়েটার করতে চায়, তারা যেন মনোযোগ দিয়ে থিয়েটারটা করে।
নব্বইয়ের দশকের বলিউড নায়িকা মমতা কুলকার্নি সন্ন্যাস জীবন নিয়ে ইতিমধ্যেই নেটিজেনদের আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়ে গেছে। যদিও এখন তার নাম ‘মা মমতা নন্দ গিরি’। তবে লাস্যময়ী এই অভিনেত্রীর জীবনের বেশ কিছু বিষয়ে ভক্ত মহলে জল্পনা-কল্পনা এখনো রয়েছে। মমতা কি বিয়ে করেছেন, কেন অভিনয় ছাড়লেন, কেনইবা এক যুগেরও...
৪ ঘণ্টা আগেচলতি মাসের শুরুর দিকে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র নতুন পর্বের শুটিং হয় ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের রাজবাড়িতে (রাজা টংকনাথের বাড়িতে)। গুজব ছড়িয়ে পড়ে, ৯ জানুয়ারি শুটিংয়ের সেটে ভাঙচুরের জেরে নাকি শুটিং বাতিল হয়ে গেছে ইত্যাদির। তবে বিষয়টি মিথ্যা বলে জানায় ইত্যাদির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফাগুন...
৮ ঘণ্টা আগেব্যক্তিগত প্লেলিস্ট থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার রিলস—সবখানে এখন সবার পছন্দের গান ‘আপাতে’। দক্ষিণ কোরিয়ার নারী ব্যান্ড ব্ল্যাকপিঙ্কের অন্যতম সদস্য রোজির সঙ্গে এ গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ব্রুনো মার্স। এ জুটির আপাতে প্রকাশিত হয় গত বছরের অক্টোবরে। সেই থেকে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে রাজত্ব...
৮ ঘণ্টা আগেপ্রথমে বাধার মুখে মেহজাবীন, এবার পরীমণি। বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে অভিনেত্রীকে। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে একরাশ হতাশা নিয়ে পরীমণি বলেন, ‘পরাধীন মনে হচ্ছে। শিল্পীদের এত বাধা কেন আসবে? নিরাপত্তাহীন মনে হচ্ছে। নিরাপদ নই কেন আমরা?’
২০ ঘণ্টা আগে