আশিকুর রিমেল

তিব্বতি ও লাদাখি ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র ‘সামসারা’। বাংলায় ‘সংসার’। গৌতম বুদ্ধের দর্শন, শিক্ষা ও আলোকায়নের পথ চিত্রিত হয়েছে এই সিনেমায়। ভারত, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি এবং সুইজারল্যান্ডের আন্তর্জাতিক সহ-প্রযোজনায় নির্মিত সিনেমাটি ২০০১ সালে মুক্তি পায়। নলিন কুমার পাণ্ডে নির্মিত এই স্বাধীন চলচ্চিত্রটিতে একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর আলোকায়নের গল্প উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে।
গল্পটি বলার আগে গৌতম বুদ্ধের জীবনী থেকে কিছু বিষয় বিশেষভাবে বলে নেওয়া প্রয়োজন। যে বিষয়গুলোকে এই সিনেমায় গৌতম বুদ্ধের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছে—
সিদ্ধার্থ গৌতম শাক্য প্রজাতন্ত্রের নির্বাচিত প্রধান ক্ষত্রিয় বংশের শুদ্ধোধনের পুত্র। ষোলো বছর বয়সে সিদ্ধার্থ গৌতমের সঙ্গে কোলীয় গণের সুন্দরী কন্যা যশোধরার বিয়ে হয়। তাঁদের রাহুল নামের এক পুত্রসন্তান হয়। সিদ্ধার্থ তাঁর জীবনের প্রথম ২৯ বছর রাজপুত্র হিসেবে অতিবাহিত করেছেন।
বৌদ্ধ পুথিগুলো অনুসারে, সিদ্ধার্থের বাবা শুদ্ধোধন, সিদ্ধার্থের জীবনে বিলাসিতার সমস্ত রকম ব্যবস্থা করা সত্ত্বেও তিনি বস্তুগত ঐশ্বর্য থেকে উদাসীন ছিলেন। ভোগের আনন্দ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করেছেন। ঐশ্বর্য যে জীবনের লক্ষ্য হতে পারে না, তা উপলব্ধি করতে শুরু করেছিলেন ওই বয়স থেকেই। একদিন রাতে স্ত্রী যশোধরা ও সন্তান রাহুলকে ঘুমের মধ্যে রেখে গৃহত্যাগী হন। এই বিশ্বসংসারে মানুষের দুঃখ লাঘবের জন্য সন্ন্যাস নেন। অতঃপর তিনি বোধিপ্রাপ্ত হন।
গৌতম বুদ্ধ সম্পর্কে এই প্রাথমিক তথ্যটুকু জানা থাকলে সিনেমাটির গল্পের সঙ্গে মেলাতে খানিকটা সুবিধা হবে।
সিনেমার শেষাংশে গল্পের প্রধান নারী চরিত্র পুরুষ চরিত্রকে এমন কিছু প্রশ্নের ও ভাবনার মুখোমুখি দাঁড় করান, যা একজন দর্শক ও শ্রোতাকে জীবন নিয়ে ভয়ানক দ্বান্দ্বিক অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দেবে।
যশোধরা! একজন নারী! যার বিয়ে হয়েছিল রাজপুত্র সিদ্ধার্থের সঙ্গে, গৌতম বুদ্ধের সঙ্গে নয়। যাকে তিনি নিজের সর্বস্ব দিয়ে ভালোবেসেছেন। অথচ সিদ্ধার্থ রাতের আঁধারে তাঁকে এবং তাঁর সন্তান রাহুলকে রেখে চলে গেলেন। যশোধরাকে এ বিষয়ে তিনি কিছুই বলেননি। অথচ গৌতম যখন বুঝতেন না দুঃখ কী, তখন থেকেই যশোধরা জীর্ণ, রোগাক্রান্ত মানুষের সেবা করে এসেছেন। সিদ্ধার্থ সেটি দেখেছেন কাছ থেকে। সেটি দেখতে গিয়েই বেঁধেছে বিপত্তি। বৈরাগ্য পেয়ে বসেছে তাঁর। বোধিপ্রাপ্তির পর জীবনকে স্বপ্নের মতো এক মোহমায়া বলেই বর্ণনা করেছেন। নির্বাণ প্রাপ্তিতেই মুক্তি খুঁজেছেন।
সিনেমার প্রধান চরিত্র তাশি এমনই। পাঁচ বছর বয়সে একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর কাছে তাঁর দীক্ষা শুরু হয়। ২০ বছর বয়সে ধ্যান শুরু করেন। ৩ বছর ৩ মাস ৩ সপ্তাহ ৩ দিন অনাহারে ধ্যানমগ্ন থাকেন। এর পর তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয় আশ্রমে। দীর্ঘদিন তপস্যায় বোধিপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে ভিক্ষু প্রধান তাশিকে ‘লামা’ খেতাব দেন। তিনি হয়ে ওঠেন ‘লামা তাশি’।
মানুষ তো অন্তর্যামী নয়। তাই প্রথম দিকে কেউ জানতেও পারেননি লামা তাশি এই তপস্যা থেকে তার জৈবিক আকাঙ্ক্ষামুক্ত হতে পারেননি। তাঁর মধ্যে এখনো নারী প্রেম, কাম, রীতিমতো বলবৎ। এমনকি তাশি নিজেও তখনো নিজের শরীর সম্পর্কে অতটা সচেতন হয়ে ওঠেনি।
বায়ু পরিবর্তনের জন্য লামা তাশিকে নিয়ে যাওয়া হয় লোকালয়ে। ভিক্ষুদের সেবক একটি পরিবারে তাঁদের আপ্যায়ন ও থাকার ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে গিয়েই প্রথম ‘পেমা’ নামের এক নারীর চোখে, ঠোঁটে চোখ পড়ে তাঁর। প্রথম কামভাব জাগে তাঁর। আশ্রমে ফিরে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন লামা তাশি। স্বপ্নদোষ নিয়ে লজ্জিত বিব্রত তাশিকে দলপ্রধান প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য পাঠান এক মৌনব্রত সাধকের কাছে। যিনি তাঁর হাতে একটি বাণী তুলে দেন। যেখানে লেখা থাকে, ‘তোমার জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত সবকিছুই তোমাকে কিছু না কিছু শেখায়।’
এর পরই তাশি শিশুকাল থেকে শেখা আপ্তবাক্যগুলোকে প্রশ্ন করতে থাকেন। কোনো রকম রাখঢাক ছাড়াই ভেতরে জমে থাকা প্রশ্ন করতে থাকেন। কোনো বস্তুর, স্বাদ, অভিজ্ঞতা ছাড়া কেন তিনি সেসব থেকে দূরে থাকার চর্চা করবেন? আশ্রমের প্রধান ভিক্ষুকে তিনি জানিয়ে দেন, তিনি কোন মোহ থেকে দূরে থাকবেন, যেই মোহে তিনি ছিলেনই না? যার স্বাদ তিনি পাননি কখনো?
নিজের অবস্থানের যৌক্তিকতা প্রমাণে তাশি গৌতম বুদ্ধেই আশ্রয় নেন। বলেন, গৌতম বুদ্ধ বলেছেন, কোনো কিছু প্রকৃত বোধ পেতে হলে তার স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। উল্লেখ করেন, গৌতম বুদ্ধের বোধিপ্রাপ্ত হওয়ার আগের ২৯ বছর ঘর, সংসার, স্ত্রী, সন্তান—সবকিছুর স্বাদ গ্রহণের অভিজ্ঞতা নেওয়ার কথা।
যেসব বিষয়ে কোনো জ্ঞান নেই, সেসবের ওপর আর বিশ্বাস গড়তে পারছিলেন না তাশি। মনে সংশয় দানা বাঁধতে থাকে। দলপ্রধান ভিক্ষু একটি বাক্যের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার তাশির ওপরেই ছেড়ে দেন। তিনি বলেন, ‘তুমি যে স্বপ্নটা দেখ, সেটা সত্য ছিল।’
সে রাতেই লামা তাশি সাধারণ মানুষ হিসেবে জাগতিক সংসার জীবনের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন। এত বছরের যাপিত জীবনের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটান। অতঃপর লামা তাশি গেরুয়া পোশাক ছেড়ে পেমার প্রতি প্রেম, জৈবিক টানে ছুটে যান। সাধারণ পোশাক নিয়ে ছদ্মবেশে পেমাদের গ্রামে চলে যান। জীবনের মোড় ঘুরে যায় তাশির।
তাশি বেছে নেন সংসার জীবন। বিয়ে হয় পেমার সঙ্গে। পেমার বাবা অবস্থাপন্ন কৃষক। বছরে তিন মাস প্রচণ্ড শীতের বাইরে বাকি সময়টা কৃষিকাজ করে দিন কাটতে থাকে তাঁদের। তাঁদের কোলজুড়ে আসে একটা ছেলে সন্তান। তাঁর নাম রাখা হয় ‘কর্ম’। খুবই ইঙ্গিতপূর্ণ নাম। পুরোদস্তুর সংসারে ডুবে থাকেন তাশি ও পেমা। স্বপ্নের মতোই যেন এক সুখের জীবন পেয়ে যান তাশি।
এ সময় আসে গল্পের আরেক মোড়। আবির্ভাব ঘটে ‘সেঁজুতি’ নামের এক ভারতীয় নারীর। আঠারো পেরিয়ে ১৯-এ পা দিয়েছেন সেঁজুতি। কাজ করেন তাঁদেরই কৃষি জমিতে। দীর্ঘদিন একসঙ্গে থাকার ফলে সেঁজুতি ও পেমার মধ্যে সখ্যও অনেক বেশি। প্রাণোচ্ছল, হাসিখুশি এই তরুণী ও তাশি একে অন্যের প্রতি আকর্ষণ বোধ করতে শুরু করে। একদিন পেমার অবর্তমানে শারীরিক সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। পেমা বিষয়টি আঁচ করতে পারেন এবং তাশির সঙ্গে তাঁর মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়। সেই সঙ্গে গল্পের ঘটনাচক্রে দেখানো হয় চারপাশে মানুষের মধ্যে থাকা লোভ, অহংকার, হিংসা, ক্রোধ, উচ্চাকাঙ্ক্ষার ক্লেদ। বিশেষ করে স্বামী অন্তপ্রাণ স্ত্রীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা তাঁর মর্মপীড়া চরমে তোলে। সংসার যন্ত্রণার হয়ে উঠতে থাকে তাশির কাছে। তাশি এই যন্ত্রণার কথা কারও সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারেন না। ফলে দিনে দিনে নিজের মধ্যে গুটিয়ে পড়েন তাশি।
লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, সন্ন্যাস ছেড়ে সংসার বেছে নিয়েছিলেন নিজের সিদ্ধান্তেই। সন্ন্যাস ছেড়ে পেমাকে আশ্রয় করে সংসার গড়েছিলেন। সেই সত্য স্বপ্নের পিঠে ছুরি মেরেছেন তাশি। জীবনের এই পর্যায়ে এসে সংসারের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
তাশি সিদ্ধান্ত নেন সন্ন্যাস নেবেন। গৌতমের মতোই তাশি বেরিয়ে পড়েন স্ত্রী-পুত্রকে ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে। গভীর রাতে। আবার নেন সেই গেরুয়া বেশ। পথে সূর্যের আলো ফুটেছে। হঠাৎ চমকে গিয়ে থমকে দাঁড়ান তাশি।
গল্পের এই পর্যায়ে এসে তাশি এমন কিছু প্রশ্নের মুখোমুখি হন, এমন কিছু ভাবনার মুখোমুখি হন, যেখানে তাঁর সত্তা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারেন না তাশি। অসহায়ের মতো মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ডুকরে কাঁদতে থাকেন। দুমড়ে-মুচড়ে যায় তাঁর সমস্ত কর্ম, কাম। ধুলোয় গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদতে থাকেন। যেন ধুলোয় মিশে গেছে তাঁর সব।
চলচ্চিত্রটি বুদ্ধের ব্যক্তিগত জীবন ও দর্শনের দ্বিধাদ্বন্দ্বের আরেক প্রতিবিম্ব। এই পৃথিবীতে একটি পরিবার ও একটি শিশুর সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা জীবন এবং আধ্যাত্মিক সাধনায় আত্মোৎসর্গের তীব্র বাসনাক্রান্ত এক ব্যক্তির দ্বিধাবিভক্ত অস্তিত্ব। এটি এমন এক দ্বিধা, যার কোনো সুস্পষ্ট বা চূড়ান্ত সমাধান জানা নেই।
সিনেমার শুরুতে ইগলের পা থেকে পড়া এক পাথরের আঘাতে মারা যায় জোয়ান টগবগে এক ভেড়া। সিনেমার শেষের অংশে পেমা একটি বাক্স ফেলে চলে যান। বলা ভালো, হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যান, স্বপ্নের মতোই। দারুণ আগ্রহ আর উচ্ছ্বাস নিয়ে যে স্বপ্ন এতদিন তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেছেন তাশি। এই বাক্স সাধারণত নিরাপদ যাত্রার আশীর্বাদ হিসেবে দেওয়ার রেওয়াজ। এ থেকে বলা যায়, এখান থেকে শুরু হতে যাচ্ছে তাশির এক দীর্ঘ যাত্রা। সেই যাত্রা গ্রামের দিকে নাকি মৃত্যুর দিকে তা স্পষ্ট নয়।
পেমা বাক্সটি ফেলে দেওয়ার পরে অদৃশ্য হয়ে যান। এটিকে বৌদ্ধ বিশ্বাসের একটি প্রতীকী উপস্থাপন ধরে নেওয়া যায় যে, সমস্ত জীবন একটি স্বপ্নের মতো। পেমার সঙ্গে প্রথম মিলনকে তাশি স্বপ্নই ভেবেছিলেন। পেমার অদৃশ্য হয়ে যাওয়া তাশিকে বুঝিয়ে দেয়, এ জীবন মায়া। এই মায়ার ফাঁদজালে তড়পাতে থাকেন তাশি। তখনই তিনি পাথরের কাছে যান এবং তাঁর সব প্রশ্নের উত্তর পড়েন। তখন মেঘের ফাঁকে দেখা মেলে সেই ইগলের। একটি তত্ত্ব হতে পারে যে, ইগলটি আবার পা থেকে একটি পাথর ছেড়ে দেয়। তাশি মারা যান সেই ভেড়ার মতোই। এই মৃত্যুই তাঁকে সমুদ্রের সঙ্গে মিলন ঘটিয়ে দেয়। এটিই বুদ্ধের আলোকায়ন!
সিনেমার বেশ কয়েকটি তীব্র কামোত্তেজক দৃশ্যে কেউ অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। কিন্তু বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে একটি চলচ্চিত্রের জন্য এটি সম্পূর্ণ উপযুক্তই বলা যেতে পারে। যেখানে বৌদ্ধধর্ম এমন একটি দর্শন, যা যৌনতার আনন্দকে নিন্দা করে না। এটি ভারতে শুট করা একটি চলচ্চিত্রের জন্যও বিশেষভাবে উপযুক্ত, যেখানে বৌদ্ধ ধর্ম এবং হিন্দুধর্ম (যে ধর্মের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কামসূত্র) বহু শতাব্দী ধরে পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপন করে চলেছে।
সিনেমার শেষ অংশটিও বলছে: নায়কের স্ত্রী, পেমা, বুদ্ধের স্ত্রী যেন যশোধরাকেই আহ্বান করছেন। যদিও সহস্রাব্দ ধরে বিশ্ব বুদ্ধের দুর্দশা এবং দ্বিধাকেই কেবল চর্চা করেছে। যশোধরার কথা কেউ কখনো চিন্তা করে না, যিনি শেষ পর্যন্ত তাঁর স্বামীর খেয়ালের জন্য সবচেয়ে বেশি মূল্য দিয়েছেন।
অভিনয় দুর্দান্ত। ক্রিস্টি চুং (পেমা) প্রত্যাশিত পারফরমেন্সই করেছেন। শেষ দৃশ্যটি শ্বাসরুদ্ধকর। দেখার জন্য সম্ভবত এই দৃশ্যটিই যথেষ্ট!

তিব্বতি ও লাদাখি ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র ‘সামসারা’। বাংলায় ‘সংসার’। গৌতম বুদ্ধের দর্শন, শিক্ষা ও আলোকায়নের পথ চিত্রিত হয়েছে এই সিনেমায়। ভারত, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি এবং সুইজারল্যান্ডের আন্তর্জাতিক সহ-প্রযোজনায় নির্মিত সিনেমাটি ২০০১ সালে মুক্তি পায়। নলিন কুমার পাণ্ডে নির্মিত এই স্বাধীন চলচ্চিত্রটিতে একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর আলোকায়নের গল্প উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে।
গল্পটি বলার আগে গৌতম বুদ্ধের জীবনী থেকে কিছু বিষয় বিশেষভাবে বলে নেওয়া প্রয়োজন। যে বিষয়গুলোকে এই সিনেমায় গৌতম বুদ্ধের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছে—
সিদ্ধার্থ গৌতম শাক্য প্রজাতন্ত্রের নির্বাচিত প্রধান ক্ষত্রিয় বংশের শুদ্ধোধনের পুত্র। ষোলো বছর বয়সে সিদ্ধার্থ গৌতমের সঙ্গে কোলীয় গণের সুন্দরী কন্যা যশোধরার বিয়ে হয়। তাঁদের রাহুল নামের এক পুত্রসন্তান হয়। সিদ্ধার্থ তাঁর জীবনের প্রথম ২৯ বছর রাজপুত্র হিসেবে অতিবাহিত করেছেন।
বৌদ্ধ পুথিগুলো অনুসারে, সিদ্ধার্থের বাবা শুদ্ধোধন, সিদ্ধার্থের জীবনে বিলাসিতার সমস্ত রকম ব্যবস্থা করা সত্ত্বেও তিনি বস্তুগত ঐশ্বর্য থেকে উদাসীন ছিলেন। ভোগের আনন্দ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করেছেন। ঐশ্বর্য যে জীবনের লক্ষ্য হতে পারে না, তা উপলব্ধি করতে শুরু করেছিলেন ওই বয়স থেকেই। একদিন রাতে স্ত্রী যশোধরা ও সন্তান রাহুলকে ঘুমের মধ্যে রেখে গৃহত্যাগী হন। এই বিশ্বসংসারে মানুষের দুঃখ লাঘবের জন্য সন্ন্যাস নেন। অতঃপর তিনি বোধিপ্রাপ্ত হন।
গৌতম বুদ্ধ সম্পর্কে এই প্রাথমিক তথ্যটুকু জানা থাকলে সিনেমাটির গল্পের সঙ্গে মেলাতে খানিকটা সুবিধা হবে।
সিনেমার শেষাংশে গল্পের প্রধান নারী চরিত্র পুরুষ চরিত্রকে এমন কিছু প্রশ্নের ও ভাবনার মুখোমুখি দাঁড় করান, যা একজন দর্শক ও শ্রোতাকে জীবন নিয়ে ভয়ানক দ্বান্দ্বিক অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দেবে।
যশোধরা! একজন নারী! যার বিয়ে হয়েছিল রাজপুত্র সিদ্ধার্থের সঙ্গে, গৌতম বুদ্ধের সঙ্গে নয়। যাকে তিনি নিজের সর্বস্ব দিয়ে ভালোবেসেছেন। অথচ সিদ্ধার্থ রাতের আঁধারে তাঁকে এবং তাঁর সন্তান রাহুলকে রেখে চলে গেলেন। যশোধরাকে এ বিষয়ে তিনি কিছুই বলেননি। অথচ গৌতম যখন বুঝতেন না দুঃখ কী, তখন থেকেই যশোধরা জীর্ণ, রোগাক্রান্ত মানুষের সেবা করে এসেছেন। সিদ্ধার্থ সেটি দেখেছেন কাছ থেকে। সেটি দেখতে গিয়েই বেঁধেছে বিপত্তি। বৈরাগ্য পেয়ে বসেছে তাঁর। বোধিপ্রাপ্তির পর জীবনকে স্বপ্নের মতো এক মোহমায়া বলেই বর্ণনা করেছেন। নির্বাণ প্রাপ্তিতেই মুক্তি খুঁজেছেন।
সিনেমার প্রধান চরিত্র তাশি এমনই। পাঁচ বছর বয়সে একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর কাছে তাঁর দীক্ষা শুরু হয়। ২০ বছর বয়সে ধ্যান শুরু করেন। ৩ বছর ৩ মাস ৩ সপ্তাহ ৩ দিন অনাহারে ধ্যানমগ্ন থাকেন। এর পর তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয় আশ্রমে। দীর্ঘদিন তপস্যায় বোধিপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে ভিক্ষু প্রধান তাশিকে ‘লামা’ খেতাব দেন। তিনি হয়ে ওঠেন ‘লামা তাশি’।
মানুষ তো অন্তর্যামী নয়। তাই প্রথম দিকে কেউ জানতেও পারেননি লামা তাশি এই তপস্যা থেকে তার জৈবিক আকাঙ্ক্ষামুক্ত হতে পারেননি। তাঁর মধ্যে এখনো নারী প্রেম, কাম, রীতিমতো বলবৎ। এমনকি তাশি নিজেও তখনো নিজের শরীর সম্পর্কে অতটা সচেতন হয়ে ওঠেনি।
বায়ু পরিবর্তনের জন্য লামা তাশিকে নিয়ে যাওয়া হয় লোকালয়ে। ভিক্ষুদের সেবক একটি পরিবারে তাঁদের আপ্যায়ন ও থাকার ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে গিয়েই প্রথম ‘পেমা’ নামের এক নারীর চোখে, ঠোঁটে চোখ পড়ে তাঁর। প্রথম কামভাব জাগে তাঁর। আশ্রমে ফিরে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন লামা তাশি। স্বপ্নদোষ নিয়ে লজ্জিত বিব্রত তাশিকে দলপ্রধান প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য পাঠান এক মৌনব্রত সাধকের কাছে। যিনি তাঁর হাতে একটি বাণী তুলে দেন। যেখানে লেখা থাকে, ‘তোমার জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত সবকিছুই তোমাকে কিছু না কিছু শেখায়।’
এর পরই তাশি শিশুকাল থেকে শেখা আপ্তবাক্যগুলোকে প্রশ্ন করতে থাকেন। কোনো রকম রাখঢাক ছাড়াই ভেতরে জমে থাকা প্রশ্ন করতে থাকেন। কোনো বস্তুর, স্বাদ, অভিজ্ঞতা ছাড়া কেন তিনি সেসব থেকে দূরে থাকার চর্চা করবেন? আশ্রমের প্রধান ভিক্ষুকে তিনি জানিয়ে দেন, তিনি কোন মোহ থেকে দূরে থাকবেন, যেই মোহে তিনি ছিলেনই না? যার স্বাদ তিনি পাননি কখনো?
নিজের অবস্থানের যৌক্তিকতা প্রমাণে তাশি গৌতম বুদ্ধেই আশ্রয় নেন। বলেন, গৌতম বুদ্ধ বলেছেন, কোনো কিছু প্রকৃত বোধ পেতে হলে তার স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। উল্লেখ করেন, গৌতম বুদ্ধের বোধিপ্রাপ্ত হওয়ার আগের ২৯ বছর ঘর, সংসার, স্ত্রী, সন্তান—সবকিছুর স্বাদ গ্রহণের অভিজ্ঞতা নেওয়ার কথা।
যেসব বিষয়ে কোনো জ্ঞান নেই, সেসবের ওপর আর বিশ্বাস গড়তে পারছিলেন না তাশি। মনে সংশয় দানা বাঁধতে থাকে। দলপ্রধান ভিক্ষু একটি বাক্যের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার তাশির ওপরেই ছেড়ে দেন। তিনি বলেন, ‘তুমি যে স্বপ্নটা দেখ, সেটা সত্য ছিল।’
সে রাতেই লামা তাশি সাধারণ মানুষ হিসেবে জাগতিক সংসার জীবনের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন। এত বছরের যাপিত জীবনের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটান। অতঃপর লামা তাশি গেরুয়া পোশাক ছেড়ে পেমার প্রতি প্রেম, জৈবিক টানে ছুটে যান। সাধারণ পোশাক নিয়ে ছদ্মবেশে পেমাদের গ্রামে চলে যান। জীবনের মোড় ঘুরে যায় তাশির।
তাশি বেছে নেন সংসার জীবন। বিয়ে হয় পেমার সঙ্গে। পেমার বাবা অবস্থাপন্ন কৃষক। বছরে তিন মাস প্রচণ্ড শীতের বাইরে বাকি সময়টা কৃষিকাজ করে দিন কাটতে থাকে তাঁদের। তাঁদের কোলজুড়ে আসে একটা ছেলে সন্তান। তাঁর নাম রাখা হয় ‘কর্ম’। খুবই ইঙ্গিতপূর্ণ নাম। পুরোদস্তুর সংসারে ডুবে থাকেন তাশি ও পেমা। স্বপ্নের মতোই যেন এক সুখের জীবন পেয়ে যান তাশি।
এ সময় আসে গল্পের আরেক মোড়। আবির্ভাব ঘটে ‘সেঁজুতি’ নামের এক ভারতীয় নারীর। আঠারো পেরিয়ে ১৯-এ পা দিয়েছেন সেঁজুতি। কাজ করেন তাঁদেরই কৃষি জমিতে। দীর্ঘদিন একসঙ্গে থাকার ফলে সেঁজুতি ও পেমার মধ্যে সখ্যও অনেক বেশি। প্রাণোচ্ছল, হাসিখুশি এই তরুণী ও তাশি একে অন্যের প্রতি আকর্ষণ বোধ করতে শুরু করে। একদিন পেমার অবর্তমানে শারীরিক সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। পেমা বিষয়টি আঁচ করতে পারেন এবং তাশির সঙ্গে তাঁর মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়। সেই সঙ্গে গল্পের ঘটনাচক্রে দেখানো হয় চারপাশে মানুষের মধ্যে থাকা লোভ, অহংকার, হিংসা, ক্রোধ, উচ্চাকাঙ্ক্ষার ক্লেদ। বিশেষ করে স্বামী অন্তপ্রাণ স্ত্রীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা তাঁর মর্মপীড়া চরমে তোলে। সংসার যন্ত্রণার হয়ে উঠতে থাকে তাশির কাছে। তাশি এই যন্ত্রণার কথা কারও সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারেন না। ফলে দিনে দিনে নিজের মধ্যে গুটিয়ে পড়েন তাশি।
লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, সন্ন্যাস ছেড়ে সংসার বেছে নিয়েছিলেন নিজের সিদ্ধান্তেই। সন্ন্যাস ছেড়ে পেমাকে আশ্রয় করে সংসার গড়েছিলেন। সেই সত্য স্বপ্নের পিঠে ছুরি মেরেছেন তাশি। জীবনের এই পর্যায়ে এসে সংসারের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
তাশি সিদ্ধান্ত নেন সন্ন্যাস নেবেন। গৌতমের মতোই তাশি বেরিয়ে পড়েন স্ত্রী-পুত্রকে ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে। গভীর রাতে। আবার নেন সেই গেরুয়া বেশ। পথে সূর্যের আলো ফুটেছে। হঠাৎ চমকে গিয়ে থমকে দাঁড়ান তাশি।
গল্পের এই পর্যায়ে এসে তাশি এমন কিছু প্রশ্নের মুখোমুখি হন, এমন কিছু ভাবনার মুখোমুখি হন, যেখানে তাঁর সত্তা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারেন না তাশি। অসহায়ের মতো মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ডুকরে কাঁদতে থাকেন। দুমড়ে-মুচড়ে যায় তাঁর সমস্ত কর্ম, কাম। ধুলোয় গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদতে থাকেন। যেন ধুলোয় মিশে গেছে তাঁর সব।
চলচ্চিত্রটি বুদ্ধের ব্যক্তিগত জীবন ও দর্শনের দ্বিধাদ্বন্দ্বের আরেক প্রতিবিম্ব। এই পৃথিবীতে একটি পরিবার ও একটি শিশুর সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা জীবন এবং আধ্যাত্মিক সাধনায় আত্মোৎসর্গের তীব্র বাসনাক্রান্ত এক ব্যক্তির দ্বিধাবিভক্ত অস্তিত্ব। এটি এমন এক দ্বিধা, যার কোনো সুস্পষ্ট বা চূড়ান্ত সমাধান জানা নেই।
সিনেমার শুরুতে ইগলের পা থেকে পড়া এক পাথরের আঘাতে মারা যায় জোয়ান টগবগে এক ভেড়া। সিনেমার শেষের অংশে পেমা একটি বাক্স ফেলে চলে যান। বলা ভালো, হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যান, স্বপ্নের মতোই। দারুণ আগ্রহ আর উচ্ছ্বাস নিয়ে যে স্বপ্ন এতদিন তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেছেন তাশি। এই বাক্স সাধারণত নিরাপদ যাত্রার আশীর্বাদ হিসেবে দেওয়ার রেওয়াজ। এ থেকে বলা যায়, এখান থেকে শুরু হতে যাচ্ছে তাশির এক দীর্ঘ যাত্রা। সেই যাত্রা গ্রামের দিকে নাকি মৃত্যুর দিকে তা স্পষ্ট নয়।
পেমা বাক্সটি ফেলে দেওয়ার পরে অদৃশ্য হয়ে যান। এটিকে বৌদ্ধ বিশ্বাসের একটি প্রতীকী উপস্থাপন ধরে নেওয়া যায় যে, সমস্ত জীবন একটি স্বপ্নের মতো। পেমার সঙ্গে প্রথম মিলনকে তাশি স্বপ্নই ভেবেছিলেন। পেমার অদৃশ্য হয়ে যাওয়া তাশিকে বুঝিয়ে দেয়, এ জীবন মায়া। এই মায়ার ফাঁদজালে তড়পাতে থাকেন তাশি। তখনই তিনি পাথরের কাছে যান এবং তাঁর সব প্রশ্নের উত্তর পড়েন। তখন মেঘের ফাঁকে দেখা মেলে সেই ইগলের। একটি তত্ত্ব হতে পারে যে, ইগলটি আবার পা থেকে একটি পাথর ছেড়ে দেয়। তাশি মারা যান সেই ভেড়ার মতোই। এই মৃত্যুই তাঁকে সমুদ্রের সঙ্গে মিলন ঘটিয়ে দেয়। এটিই বুদ্ধের আলোকায়ন!
সিনেমার বেশ কয়েকটি তীব্র কামোত্তেজক দৃশ্যে কেউ অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। কিন্তু বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে একটি চলচ্চিত্রের জন্য এটি সম্পূর্ণ উপযুক্তই বলা যেতে পারে। যেখানে বৌদ্ধধর্ম এমন একটি দর্শন, যা যৌনতার আনন্দকে নিন্দা করে না। এটি ভারতে শুট করা একটি চলচ্চিত্রের জন্যও বিশেষভাবে উপযুক্ত, যেখানে বৌদ্ধ ধর্ম এবং হিন্দুধর্ম (যে ধর্মের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কামসূত্র) বহু শতাব্দী ধরে পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপন করে চলেছে।
সিনেমার শেষ অংশটিও বলছে: নায়কের স্ত্রী, পেমা, বুদ্ধের স্ত্রী যেন যশোধরাকেই আহ্বান করছেন। যদিও সহস্রাব্দ ধরে বিশ্ব বুদ্ধের দুর্দশা এবং দ্বিধাকেই কেবল চর্চা করেছে। যশোধরার কথা কেউ কখনো চিন্তা করে না, যিনি শেষ পর্যন্ত তাঁর স্বামীর খেয়ালের জন্য সবচেয়ে বেশি মূল্য দিয়েছেন।
অভিনয় দুর্দান্ত। ক্রিস্টি চুং (পেমা) প্রত্যাশিত পারফরমেন্সই করেছেন। শেষ দৃশ্যটি শ্বাসরুদ্ধকর। দেখার জন্য সম্ভবত এই দৃশ্যটিই যথেষ্ট!

শত পর্বের মাইলফলক স্পর্শ করেছে ধারাবাহিক নাটক ‘দেনা পাওনা’। গত বছর নভেম্বরে সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকটির। কে এম সোহাগ রানা পরিচালিত এ নাটকে নিপা চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছেন তাবাসসুম ছোঁয়া।
২১ ঘণ্টা আগে
গত রোজার ঈদে শাকিব খানকে নিয়ে রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন হাউস থেকে নির্মিত হয় ‘বরবাদ’। বেশ আলোচিত হয় শাহরিন আক্তার সুমি প্রযোজিত সিনেমাটি। আগামী বছরের ঈদের জন্য আরেকটি সিনেমা প্রযোজনা করছেন সুমি। তাঁর নতুন সিনেমা ‘রাক্ষস’-এর নায়ক সিয়াম আহমেদ।
১ দিন আগে
১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। তবে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার কারণে শুরু হয়নি নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। অবশেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই নাট্যোৎসব।
১ দিন আগে
আশির দশকের শেষ দিকে এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। ওই সময় প্রতিবছর ১০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেত তাঁর। তবে সাফল্যের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই বড় একটি সিদ্ধান্ত নেন মাধুরী। তারকাখ্যাতি পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিজীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন।
১ দিন আগে
শত পর্বের মাইলফলক স্পর্শ করেছে ধারাবাহিক নাটক ‘দেনা পাওনা’। গত বছর নভেম্বরে সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকটির। কে এম সোহাগ রানা পরিচালিত এ নাটকে নিপা চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছেন তাবাসসুম ছোঁয়া। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ।
শিহাব আহমেদ

ধারাবাহিকটি যে এত লম্বা সময় ধরে চলবে, শুরুতে সেটা আঁচ করতে পেরেছিলেন?
শুরুতে ৮ পর্বের লক্ষ্য নিয়ে এগোনো হচ্ছিল। কিন্তু প্রচারের শুরুতেই আমরা দর্শকের ব্যাপক সাড়া পাই। তখন নির্মাতা সিদ্ধান্ত নিলেন, দর্শক যেহেতু এত ভালোবাসা দিচ্ছে, আমাদের উচিত এটা চালিয়ে যাওয়া।
এক বছরের বেশি সময় ধরে শুটিং করছেন, এই জার্নির অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
অনেক কিছু শিখেছি। দেনা পাওনা আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থেকে যাবে। আগে কয়েকটা কাজ করলেও আমার অভিনয়ের হাতেখড়িটা এই নাটকের সেটেই হয়েছে। অভিনয়ে যতটা উন্নতি করেছি, তার কৃতিত্ব দেনা পাওনা নাটকের টিমের। সহশিল্পী, নির্মাতা থেকে শুরু করে ইউনিটের সবাই খুব সাপোর্ট করেছে। এ ছাড়া দর্শকের ভালোবাসা তো পেয়েছি। নিপা চরিত্রে পরিচিতি পেয়েছি, এখন মানুষ আমাকে চিনতে পারছে। সব মিলিয়ে পুরো অভিজ্ঞতাটা খুব সুন্দর।
এই চরিত্র আপনার ব্যক্তিজীবনে কোনো প্রভাব ফেলেছে কি না?
বাস্তবজীবনেও আমি অনেকটা নিপার মতো হয়ে গেছি। এখন আমি মানুষকে বোঝার চেষ্টা করি। নরম করে কথা বলি, যেমনটা নিপা করে।
অনেকে বলে, এ নাটকে খায়রুল চরিত্রে অভিনয় করা অ্যালেন শুভ্রর সঙ্গে আপনি সম্পর্কে আছেন। আসলেই কি তাই?
দেনা পাওনা নাটকে আমাদের জুটির ওপর সবাই ক্রাশ খেয়েছে। ফেসবুকে রীতিমতো হুমকি দিয়ে আমাকে মন্তব্য করা হয়, নিপা, তুমি যদি খায়রুলকে বিয়ে না করো, তাহলে তোমাকে দেখে নেব। স্ক্রিনের মতো বাস্তবেও নাকি আমাদের খুব সুন্দর লাগে। দর্শক চায় বাস্তবজীবনেও আমাদের জুটি হোক। বিষয়টা আমি খুব উপভোগ করি।
এ রকম হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে?
অ্যালেন শুভ্র একজন জেন্টেলম্যান, নাইস পারসন। অ্যালেন ভাই সত্যিই খায়রুলের মতোই। তাঁর মধ্যে শিশুসুলভ ব্যাপার আছে। পর্দায় দেখে দর্শক যেমন তাঁর মায়ায় পড়ে, তেমনি অভিনয় করতে গিয়ে আমারও তাঁর প্রতি মায়া কাজ করে। মায়াটা হয়তো দুজনের মধ্যেই কাজ করে। এই কারণেই হয়তো পর্দায় এত ভালো লাগে। আমাদের মধ্যে সুন্দর একটা সম্পর্ক আছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এমন কিছু হয়নি, যেমনটা মানুষ ভাবছে।
কনটেন্ট ক্রিয়েশন থেকে অভিনয়ে আসা। আপনার এই জার্নিটা নিয়ে জানতে চাই...
ক্যামেরার সঙ্গে আমার অনেক আগে থেকে খাতির ছিল। ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি শিখতে চেয়েছিলাম। কিছুদিন গিটার শিখেছি। এরপর কনটেন্ট ক্রিয়েশন শুরুর পর বিভিন্ন শুটের প্রস্তাব আসে। শখের বশে করছিলাম। প্রথম অভিনয় ওটিটিতে। ইমরাউল রাফাতের ‘ওপেন কিচেন’ সিরিজে। সেখানে একটি ছোট চরিত্র করি। সেটা করতে গিয়েই মনে হয়, এ মাধ্যমেই নিয়মিত কাজ করব। আমি মনে করি, একজন প্রপার অভিনেত্রী হতে গেলে বেসিক লার্নিং দরকার। সে জন্য কন্টিনিউয়াস প্রসেসের মধ্য দিয়ে চর্চা করে যেতে হবে। সেটাই করার চেষ্টা করছি। আমার জার্নিটা মাত্র শুরু, আশা করছি অনেক দূর যাবে।
অভিনয়কে কি পেশা হিসেবে নেওয়া যায়?
পেশা হিসেবেই নিয়েছি। হ্যাঁ, একটু ঝুঁকি তো থাকেই। আমার মনে হয়, শুধু অভিনয়ের ওপর নির্ভর না করে থাকলে ভালো। শুধু অভিনয় করব তা নয়, পাশাপাশি অনেক কিছু আছে। আমি কিন্তু কনটেন্ট ক্রিয়েশন আর অভিনয় দুটোই করছি। এমন কাজ করতে চাই, যেটাতে আমার অনীহা লাগবে না। যে কাজের প্রতি প্রেম থাকবে, সেটাই করতে চাই। আমার প্রেমটা অভিনয়ের সঙ্গে।
ধারাবাহিকটি যে এত লম্বা সময় ধরে চলবে, শুরুতে সেটা আঁচ করতে পেরেছিলেন?
শুরুতে ৮ পর্বের লক্ষ্য নিয়ে এগোনো হচ্ছিল। কিন্তু প্রচারের শুরুতেই আমরা দর্শকের ব্যাপক সাড়া পাই। তখন নির্মাতা সিদ্ধান্ত নিলেন, দর্শক যেহেতু এত ভালোবাসা দিচ্ছে, আমাদের উচিত এটা চালিয়ে যাওয়া।
এক বছরের বেশি সময় ধরে শুটিং করছেন, এই জার্নির অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
অনেক কিছু শিখেছি। দেনা পাওনা আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থেকে যাবে। আগে কয়েকটা কাজ করলেও আমার অভিনয়ের হাতেখড়িটা এই নাটকের সেটেই হয়েছে। অভিনয়ে যতটা উন্নতি করেছি, তার কৃতিত্ব দেনা পাওনা নাটকের টিমের। সহশিল্পী, নির্মাতা থেকে শুরু করে ইউনিটের সবাই খুব সাপোর্ট করেছে। এ ছাড়া দর্শকের ভালোবাসা তো পেয়েছি। নিপা চরিত্রে পরিচিতি পেয়েছি, এখন মানুষ আমাকে চিনতে পারছে। সব মিলিয়ে পুরো অভিজ্ঞতাটা খুব সুন্দর।
এই চরিত্র আপনার ব্যক্তিজীবনে কোনো প্রভাব ফেলেছে কি না?
বাস্তবজীবনেও আমি অনেকটা নিপার মতো হয়ে গেছি। এখন আমি মানুষকে বোঝার চেষ্টা করি। নরম করে কথা বলি, যেমনটা নিপা করে।
অনেকে বলে, এ নাটকে খায়রুল চরিত্রে অভিনয় করা অ্যালেন শুভ্রর সঙ্গে আপনি সম্পর্কে আছেন। আসলেই কি তাই?
দেনা পাওনা নাটকে আমাদের জুটির ওপর সবাই ক্রাশ খেয়েছে। ফেসবুকে রীতিমতো হুমকি দিয়ে আমাকে মন্তব্য করা হয়, নিপা, তুমি যদি খায়রুলকে বিয়ে না করো, তাহলে তোমাকে দেখে নেব। স্ক্রিনের মতো বাস্তবেও নাকি আমাদের খুব সুন্দর লাগে। দর্শক চায় বাস্তবজীবনেও আমাদের জুটি হোক। বিষয়টা আমি খুব উপভোগ করি।
এ রকম হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে?
অ্যালেন শুভ্র একজন জেন্টেলম্যান, নাইস পারসন। অ্যালেন ভাই সত্যিই খায়রুলের মতোই। তাঁর মধ্যে শিশুসুলভ ব্যাপার আছে। পর্দায় দেখে দর্শক যেমন তাঁর মায়ায় পড়ে, তেমনি অভিনয় করতে গিয়ে আমারও তাঁর প্রতি মায়া কাজ করে। মায়াটা হয়তো দুজনের মধ্যেই কাজ করে। এই কারণেই হয়তো পর্দায় এত ভালো লাগে। আমাদের মধ্যে সুন্দর একটা সম্পর্ক আছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এমন কিছু হয়নি, যেমনটা মানুষ ভাবছে।
কনটেন্ট ক্রিয়েশন থেকে অভিনয়ে আসা। আপনার এই জার্নিটা নিয়ে জানতে চাই...
ক্যামেরার সঙ্গে আমার অনেক আগে থেকে খাতির ছিল। ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি শিখতে চেয়েছিলাম। কিছুদিন গিটার শিখেছি। এরপর কনটেন্ট ক্রিয়েশন শুরুর পর বিভিন্ন শুটের প্রস্তাব আসে। শখের বশে করছিলাম। প্রথম অভিনয় ওটিটিতে। ইমরাউল রাফাতের ‘ওপেন কিচেন’ সিরিজে। সেখানে একটি ছোট চরিত্র করি। সেটা করতে গিয়েই মনে হয়, এ মাধ্যমেই নিয়মিত কাজ করব। আমি মনে করি, একজন প্রপার অভিনেত্রী হতে গেলে বেসিক লার্নিং দরকার। সে জন্য কন্টিনিউয়াস প্রসেসের মধ্য দিয়ে চর্চা করে যেতে হবে। সেটাই করার চেষ্টা করছি। আমার জার্নিটা মাত্র শুরু, আশা করছি অনেক দূর যাবে।
অভিনয়কে কি পেশা হিসেবে নেওয়া যায়?
পেশা হিসেবেই নিয়েছি। হ্যাঁ, একটু ঝুঁকি তো থাকেই। আমার মনে হয়, শুধু অভিনয়ের ওপর নির্ভর না করে থাকলে ভালো। শুধু অভিনয় করব তা নয়, পাশাপাশি অনেক কিছু আছে। আমি কিন্তু কনটেন্ট ক্রিয়েশন আর অভিনয় দুটোই করছি। এমন কাজ করতে চাই, যেটাতে আমার অনীহা লাগবে না। যে কাজের প্রতি প্রেম থাকবে, সেটাই করতে চাই। আমার প্রেমটা অভিনয়ের সঙ্গে।

চলচ্চিত্রটি বুদ্ধের ব্যক্তিগত জীবন ও দর্শনের দ্বিধাদ্বন্দ্বের আরও একটি প্রতিনিধিত্ব। এই পৃথিবীতে একটি পরিবার ও একটি শিশুর সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা জীবন এবং আধ্যাত্মিক সাধনায় আত্মোৎসর্গের তীব্র বাসনাক্রান্ত এক ব্যক্তির দ্বিধাবিভক্ত অস্তিত্ব। এটি এমন এক দ্বিধা যার কোনো সুস্পষ্ট বা চূড়ান্ত সমাধান জ
১৩ নভেম্বর ২০২১
গত রোজার ঈদে শাকিব খানকে নিয়ে রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন হাউস থেকে নির্মিত হয় ‘বরবাদ’। বেশ আলোচিত হয় শাহরিন আক্তার সুমি প্রযোজিত সিনেমাটি। আগামী বছরের ঈদের জন্য আরেকটি সিনেমা প্রযোজনা করছেন সুমি। তাঁর নতুন সিনেমা ‘রাক্ষস’-এর নায়ক সিয়াম আহমেদ।
১ দিন আগে
১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। তবে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার কারণে শুরু হয়নি নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। অবশেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই নাট্যোৎসব।
১ দিন আগে
আশির দশকের শেষ দিকে এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। ওই সময় প্রতিবছর ১০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেত তাঁর। তবে সাফল্যের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই বড় একটি সিদ্ধান্ত নেন মাধুরী। তারকাখ্যাতি পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিজীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত রোজার ঈদে শাকিব খানকে নিয়ে রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন হাউস থেকে নির্মিত হয় ‘বরবাদ’। বেশ আলোচিত হয় শাহরিন আক্তার সুমি প্রযোজিত সিনেমাটি। আগামী বছরের ঈদের জন্য আরেকটি সিনেমা প্রযোজনা করছেন সুমি। তাঁর নতুন সিনেমা ‘রাক্ষস’-এর নায়ক সিয়াম আহমেদ। সম্প্রতি সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে প্রযোজক সুমি মন্তব্য করেন, শাকিব খান থাকলেই সিনেমা ব্লকবাস্টার হবে এটা ভেবে তিনি বরবাদ বানাননি। এমন মন্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় শাকিবভক্তদের রোষানলে পড়েছেন এই প্রযোজক।
বরবাদ সাফল্যের পর সুমি জানিয়েছিলেন, তাঁর পরবর্তী সিনেমায়ও থাকবেন শাকিব খান। শেষ পর্যন্ত তাঁকে ছাড়াই দ্বিতীয় সিনেমা শুরু করলেন তিনি। রাক্ষসের সংবাদ সম্মেলনে সুমির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এবার তাঁর সিনেমায় শাকিব খান নেই কেন? জবাবের একপর্যায়ে সুমি বলেন, ‘শাকিব খান থাকলে বরবাদ ব্লকবাস্টার হবে আর না থাকলে হবে না, এটা ভেবে আমি সিনেমা করিনি। তাঁর সব সিনেমাই যে ব্লকবাস্টার ছিল, এমনটা কিন্তু না।’
সুমির এমন কথা ভালোভাবে নেয়নি শাকিব খানের ভক্তরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো তুলাধোনা করছেন সুমিকে। সমালোচনার জবাবে সংবাদমাধ্যমে সুমি জানান, শাকিব খানকে নিচু করে তিনি কোনো কথা বলেননি।
শাহরিন আক্তার সুমি বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, বরবাদে শাকিব খানকে এ জন্য নিইনি যে আমার সিনেমা হিট হতে হবে। বরবাদের গল্পে তাঁকে ছাড়া অন্য কেউ হলে সেটা মানাত না। এ কারণেই তাঁকে নেওয়া, সিনেমা হিট করানোর জন্য না। আর রাক্ষসের গল্পে সিয়ামকে মানাবে বলেই তাঁকে নেওয়া হয়েছে। হয়তো আমি বিষয়টি ঠিকমতো বোঝাতে পারিনি। এটা আমার ব্যর্থতা। আমি শাকিব ভাইকে নিচু করে কোনো কথা বলিনি।’

গত রোজার ঈদে শাকিব খানকে নিয়ে রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন হাউস থেকে নির্মিত হয় ‘বরবাদ’। বেশ আলোচিত হয় শাহরিন আক্তার সুমি প্রযোজিত সিনেমাটি। আগামী বছরের ঈদের জন্য আরেকটি সিনেমা প্রযোজনা করছেন সুমি। তাঁর নতুন সিনেমা ‘রাক্ষস’-এর নায়ক সিয়াম আহমেদ। সম্প্রতি সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে প্রযোজক সুমি মন্তব্য করেন, শাকিব খান থাকলেই সিনেমা ব্লকবাস্টার হবে এটা ভেবে তিনি বরবাদ বানাননি। এমন মন্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় শাকিবভক্তদের রোষানলে পড়েছেন এই প্রযোজক।
বরবাদ সাফল্যের পর সুমি জানিয়েছিলেন, তাঁর পরবর্তী সিনেমায়ও থাকবেন শাকিব খান। শেষ পর্যন্ত তাঁকে ছাড়াই দ্বিতীয় সিনেমা শুরু করলেন তিনি। রাক্ষসের সংবাদ সম্মেলনে সুমির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এবার তাঁর সিনেমায় শাকিব খান নেই কেন? জবাবের একপর্যায়ে সুমি বলেন, ‘শাকিব খান থাকলে বরবাদ ব্লকবাস্টার হবে আর না থাকলে হবে না, এটা ভেবে আমি সিনেমা করিনি। তাঁর সব সিনেমাই যে ব্লকবাস্টার ছিল, এমনটা কিন্তু না।’
সুমির এমন কথা ভালোভাবে নেয়নি শাকিব খানের ভক্তরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো তুলাধোনা করছেন সুমিকে। সমালোচনার জবাবে সংবাদমাধ্যমে সুমি জানান, শাকিব খানকে নিচু করে তিনি কোনো কথা বলেননি।
শাহরিন আক্তার সুমি বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, বরবাদে শাকিব খানকে এ জন্য নিইনি যে আমার সিনেমা হিট হতে হবে। বরবাদের গল্পে তাঁকে ছাড়া অন্য কেউ হলে সেটা মানাত না। এ কারণেই তাঁকে নেওয়া, সিনেমা হিট করানোর জন্য না। আর রাক্ষসের গল্পে সিয়ামকে মানাবে বলেই তাঁকে নেওয়া হয়েছে। হয়তো আমি বিষয়টি ঠিকমতো বোঝাতে পারিনি। এটা আমার ব্যর্থতা। আমি শাকিব ভাইকে নিচু করে কোনো কথা বলিনি।’

চলচ্চিত্রটি বুদ্ধের ব্যক্তিগত জীবন ও দর্শনের দ্বিধাদ্বন্দ্বের আরও একটি প্রতিনিধিত্ব। এই পৃথিবীতে একটি পরিবার ও একটি শিশুর সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা জীবন এবং আধ্যাত্মিক সাধনায় আত্মোৎসর্গের তীব্র বাসনাক্রান্ত এক ব্যক্তির দ্বিধাবিভক্ত অস্তিত্ব। এটি এমন এক দ্বিধা যার কোনো সুস্পষ্ট বা চূড়ান্ত সমাধান জ
১৩ নভেম্বর ২০২১
শত পর্বের মাইলফলক স্পর্শ করেছে ধারাবাহিক নাটক ‘দেনা পাওনা’। গত বছর নভেম্বরে সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকটির। কে এম সোহাগ রানা পরিচালিত এ নাটকে নিপা চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছেন তাবাসসুম ছোঁয়া।
২১ ঘণ্টা আগে
১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। তবে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার কারণে শুরু হয়নি নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। অবশেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই নাট্যোৎসব।
১ দিন আগে
আশির দশকের শেষ দিকে এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। ওই সময় প্রতিবছর ১০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেত তাঁর। তবে সাফল্যের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই বড় একটি সিদ্ধান্ত নেন মাধুরী। তারকাখ্যাতি পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিজীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। তবে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার কারণে শুরু হয়নি নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। অবশেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই নাট্যোৎসব।
‘রাষ্ট্রীয় শোক দিবস ও অনিবার্য কারণবশত’ ১৯ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী স্থগিতের ঘোষণা দেয় শিল্পকলা একাডেমি। এমন ঘোষণা নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। অনেকেই মনে করেন, দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শিল্পকলা একাডেমি। তবে সব শঙ্কা দূর করে গতকাল শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক পেজে জানানো হয়, ২১ ডিসেম্বর থেকে আবার শুরু হবে অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী।
শিল্পকলা একাডেমির ঘোষণা অনুযায়ী, ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর বন্ধ ছিল সব আয়োজন। যে কারণে স্থগিত করা হয় নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। তবে বেশি দিন অপেক্ষায় থাকতে হলো না নাট্যপ্রেমীদের। শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী চালুর সিদ্ধান্তের পরই নাট্যতীর্থ থেকে জানানো হয়েছে, আজ ২১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাট্যতীর্থ দলের প্রধান ও নাট্যমেলার আহ্বায়ক তপন হাফিজ।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো। উৎসবে ছয়জন নাট্যব্যক্তিত্বকে দেওয়া হবে নাট্যবন্ধু সম্মাননা। এ ছাড়া অনুষ্ঠিত হবে সেমিনার।
উৎসবের প্রথম দিন প্রদর্শিত হবে তীরন্দাজ রেপার্টরির প্রযোজনা দীপক সুমন নির্দেশিত ‘কণ্ঠনালীতে সূর্য’। দ্বিতীয় দিন মঞ্চস্থ হবে আরণ্যক নাট্যদলের ‘রাঢ়াঙ’। রচনা ও নির্দেশনায় মামুনুর রশীদ। এ ছাড়া এ উৎসবে দেখা যাবে বাতিঘরের ‘প্যারাবোলা’, নাট্যতীর্থের ‘জুলিয়াস সিজার’, ঢাকা থিয়েটার মঞ্চের ‘ঘরজামাই’, পদাতিক নাট্য সংসদের (টিএসসি) ‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’ এবং থিয়েটার নাট্যদলের ‘মেরাজ ফকিরের মা’।

১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। তবে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার কারণে শুরু হয়নি নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। অবশেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই নাট্যোৎসব।
‘রাষ্ট্রীয় শোক দিবস ও অনিবার্য কারণবশত’ ১৯ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী স্থগিতের ঘোষণা দেয় শিল্পকলা একাডেমি। এমন ঘোষণা নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। অনেকেই মনে করেন, দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শিল্পকলা একাডেমি। তবে সব শঙ্কা দূর করে গতকাল শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক পেজে জানানো হয়, ২১ ডিসেম্বর থেকে আবার শুরু হবে অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী।
শিল্পকলা একাডেমির ঘোষণা অনুযায়ী, ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর বন্ধ ছিল সব আয়োজন। যে কারণে স্থগিত করা হয় নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। তবে বেশি দিন অপেক্ষায় থাকতে হলো না নাট্যপ্রেমীদের। শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী চালুর সিদ্ধান্তের পরই নাট্যতীর্থ থেকে জানানো হয়েছে, আজ ২১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাট্যতীর্থ দলের প্রধান ও নাট্যমেলার আহ্বায়ক তপন হাফিজ।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো। উৎসবে ছয়জন নাট্যব্যক্তিত্বকে দেওয়া হবে নাট্যবন্ধু সম্মাননা। এ ছাড়া অনুষ্ঠিত হবে সেমিনার।
উৎসবের প্রথম দিন প্রদর্শিত হবে তীরন্দাজ রেপার্টরির প্রযোজনা দীপক সুমন নির্দেশিত ‘কণ্ঠনালীতে সূর্য’। দ্বিতীয় দিন মঞ্চস্থ হবে আরণ্যক নাট্যদলের ‘রাঢ়াঙ’। রচনা ও নির্দেশনায় মামুনুর রশীদ। এ ছাড়া এ উৎসবে দেখা যাবে বাতিঘরের ‘প্যারাবোলা’, নাট্যতীর্থের ‘জুলিয়াস সিজার’, ঢাকা থিয়েটার মঞ্চের ‘ঘরজামাই’, পদাতিক নাট্য সংসদের (টিএসসি) ‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’ এবং থিয়েটার নাট্যদলের ‘মেরাজ ফকিরের মা’।

চলচ্চিত্রটি বুদ্ধের ব্যক্তিগত জীবন ও দর্শনের দ্বিধাদ্বন্দ্বের আরও একটি প্রতিনিধিত্ব। এই পৃথিবীতে একটি পরিবার ও একটি শিশুর সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা জীবন এবং আধ্যাত্মিক সাধনায় আত্মোৎসর্গের তীব্র বাসনাক্রান্ত এক ব্যক্তির দ্বিধাবিভক্ত অস্তিত্ব। এটি এমন এক দ্বিধা যার কোনো সুস্পষ্ট বা চূড়ান্ত সমাধান জ
১৩ নভেম্বর ২০২১
শত পর্বের মাইলফলক স্পর্শ করেছে ধারাবাহিক নাটক ‘দেনা পাওনা’। গত বছর নভেম্বরে সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকটির। কে এম সোহাগ রানা পরিচালিত এ নাটকে নিপা চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছেন তাবাসসুম ছোঁয়া।
২১ ঘণ্টা আগে
গত রোজার ঈদে শাকিব খানকে নিয়ে রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন হাউস থেকে নির্মিত হয় ‘বরবাদ’। বেশ আলোচিত হয় শাহরিন আক্তার সুমি প্রযোজিত সিনেমাটি। আগামী বছরের ঈদের জন্য আরেকটি সিনেমা প্রযোজনা করছেন সুমি। তাঁর নতুন সিনেমা ‘রাক্ষস’-এর নায়ক সিয়াম আহমেদ।
১ দিন আগে
আশির দশকের শেষ দিকে এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। ওই সময় প্রতিবছর ১০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেত তাঁর। তবে সাফল্যের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই বড় একটি সিদ্ধান্ত নেন মাধুরী। তারকাখ্যাতি পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিজীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন।
১ দিন আগেবিনোদন ডেস্ক

আশির দশকের শেষ দিকে এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। ওই সময় প্রতিবছর ১০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেত তাঁর। তবে সাফল্যের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই বড় একটি সিদ্ধান্ত নেন মাধুরী। তারকাখ্যাতি পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিজীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন। ১৯৯৯ সালে ডা. শ্রীরাম নেনেকে বিয়ে করে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। ফেলে যান সফল ক্যারিয়ার। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া নাকি মোটেই কঠিন ছিল না মাধুরীর জন্য।
সম্প্রতি মিড-ডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই সময় নিয়ে মুখ খুলেছেন মাধুরী দীক্ষিত। ক্যারিয়ারের সাফল্য নয়, পরিবার-সন্তান-সংসারই নাকি ছিল তাঁর স্বপ্ন। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি সব সময় ভাবতাম, আমার বিয়ে হবে, একটি সংসার হবে, সন্তান হবে। যখন সেটা ঘটল, মনে হয়েছিল, এত দিনে স্বপ্ন সত্যি হলো। বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দুবার ভাবিনি। বিয়ে করে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাই।’
প্রায় এক যুগ মাধুরী কাটিয়েছেন কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ডেনভারে। সেখানে প্রকৃতির নির্জনতায় সহজ-সাধারণ পারিবারিক জীবনেই নিজের সবটুকু মনোযোগ ঢেলে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। যুক্তরাষ্ট্রে আগে থেকে তাঁর ভাইবোনেরা থাকতেন। তাঁদের সঙ্গেও মাধুরীর নিয়মিত দেখা হতো। তাই সময়টা মন্দ কাটত না। অভিনেত্রী বলেন, ‘জীবনের প্রায়োরিটি আসলে কী, সেটা আগে থেকে জানতাম। সেখানে নিজের কাজ নিজেকে করতে হতো। তাতেও কোনো কষ্ট লাগত না। আফসোস হতো না।’
ক্যারিয়ারের জাঁকজমকের চেয়ে বরং পারিবারিক জীবন, সন্তান-সংসার—এসবই মাধুরীর ভালো লাগত বেশি। অভিনেত্রী বলেন, ‘বাচ্চাদের নিয়ে নিজের মতো থাকতাম। তাদের পার্কে নিয়ে যেতাম। ওদের সঙ্গে খেলতাম, মজা করতাম। কেউ আমাকে চিনত না। সময়টা ভীষণ উপভোগ করেছি।’
পাঁচ বছর শোবিজ থেকে দূরে ছিলেন মাধুরী। ২০০৭ সালে ‘আজা নাচলে’ দিয়ে আবার বড় পর্দায় ফেরেন। সিনেমাটি বক্স অফিসে অত সাড়া না পেলেও তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়। এরপর আবারও বিরতি। ২০১৩ সালে ‘বোম্বে টকিজ’ ও ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ সিনেমার গানে পারফর্ম করে সাড়া ফেলেন। আবারও মাধুরীকে নিয়ে চর্চা শুরু হয় বলিউডে।
এরপর সিনেমায় সেই অর্থে আর নিয়মিত হননি মাধুরী দীক্ষিত। অল্পস্বল্প কাজ করেছেন। রিয়েলিটি শোতে বিচারক হয়েছেন। ওয়েব কনটেন্টেও দেখা দিয়েছেন। সম্প্রতি জিওহটস্টারের ‘মিসেস দেশপান্ডে’ সিরিজ দিয়ে আবারও আলোচনায় তিনি। ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া সিরিজটি তৈরি হয়েছে ফরাসি থ্রিলার ‘লা ম্যান্টে’র অনুপ্রেরণায়। এতে মাধুরী অভিনয় করেছেন একজন সিরিয়াল কিলারের চরিত্রে।
মাধুরী সব সময় চেয়েছেন ক্যারিয়ার আর পরিবার—দুটির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে। শোবিজের তারকাখ্যাতি তাঁর পারিবারিক জীবনকে যেন প্রভাবিত করতে না পারে। হলিউড রিপোর্টার ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘যখন আমি বাড়িতে ঢুকি, তারকাখ্যাতিকে বাইরে রেখে যাই। সেখানে আমি একেবারেই সাধারণ—একজন স্ত্রী, একজন মা। আর দশটা মানুষের মতোই।’

আশির দশকের শেষ দিকে এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। ওই সময় প্রতিবছর ১০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেত তাঁর। তবে সাফল্যের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই বড় একটি সিদ্ধান্ত নেন মাধুরী। তারকাখ্যাতি পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিজীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন। ১৯৯৯ সালে ডা. শ্রীরাম নেনেকে বিয়ে করে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। ফেলে যান সফল ক্যারিয়ার। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া নাকি মোটেই কঠিন ছিল না মাধুরীর জন্য।
সম্প্রতি মিড-ডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই সময় নিয়ে মুখ খুলেছেন মাধুরী দীক্ষিত। ক্যারিয়ারের সাফল্য নয়, পরিবার-সন্তান-সংসারই নাকি ছিল তাঁর স্বপ্ন। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি সব সময় ভাবতাম, আমার বিয়ে হবে, একটি সংসার হবে, সন্তান হবে। যখন সেটা ঘটল, মনে হয়েছিল, এত দিনে স্বপ্ন সত্যি হলো। বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দুবার ভাবিনি। বিয়ে করে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাই।’
প্রায় এক যুগ মাধুরী কাটিয়েছেন কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ডেনভারে। সেখানে প্রকৃতির নির্জনতায় সহজ-সাধারণ পারিবারিক জীবনেই নিজের সবটুকু মনোযোগ ঢেলে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। যুক্তরাষ্ট্রে আগে থেকে তাঁর ভাইবোনেরা থাকতেন। তাঁদের সঙ্গেও মাধুরীর নিয়মিত দেখা হতো। তাই সময়টা মন্দ কাটত না। অভিনেত্রী বলেন, ‘জীবনের প্রায়োরিটি আসলে কী, সেটা আগে থেকে জানতাম। সেখানে নিজের কাজ নিজেকে করতে হতো। তাতেও কোনো কষ্ট লাগত না। আফসোস হতো না।’
ক্যারিয়ারের জাঁকজমকের চেয়ে বরং পারিবারিক জীবন, সন্তান-সংসার—এসবই মাধুরীর ভালো লাগত বেশি। অভিনেত্রী বলেন, ‘বাচ্চাদের নিয়ে নিজের মতো থাকতাম। তাদের পার্কে নিয়ে যেতাম। ওদের সঙ্গে খেলতাম, মজা করতাম। কেউ আমাকে চিনত না। সময়টা ভীষণ উপভোগ করেছি।’
পাঁচ বছর শোবিজ থেকে দূরে ছিলেন মাধুরী। ২০০৭ সালে ‘আজা নাচলে’ দিয়ে আবার বড় পর্দায় ফেরেন। সিনেমাটি বক্স অফিসে অত সাড়া না পেলেও তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়। এরপর আবারও বিরতি। ২০১৩ সালে ‘বোম্বে টকিজ’ ও ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ সিনেমার গানে পারফর্ম করে সাড়া ফেলেন। আবারও মাধুরীকে নিয়ে চর্চা শুরু হয় বলিউডে।
এরপর সিনেমায় সেই অর্থে আর নিয়মিত হননি মাধুরী দীক্ষিত। অল্পস্বল্প কাজ করেছেন। রিয়েলিটি শোতে বিচারক হয়েছেন। ওয়েব কনটেন্টেও দেখা দিয়েছেন। সম্প্রতি জিওহটস্টারের ‘মিসেস দেশপান্ডে’ সিরিজ দিয়ে আবারও আলোচনায় তিনি। ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া সিরিজটি তৈরি হয়েছে ফরাসি থ্রিলার ‘লা ম্যান্টে’র অনুপ্রেরণায়। এতে মাধুরী অভিনয় করেছেন একজন সিরিয়াল কিলারের চরিত্রে।
মাধুরী সব সময় চেয়েছেন ক্যারিয়ার আর পরিবার—দুটির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে। শোবিজের তারকাখ্যাতি তাঁর পারিবারিক জীবনকে যেন প্রভাবিত করতে না পারে। হলিউড রিপোর্টার ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘যখন আমি বাড়িতে ঢুকি, তারকাখ্যাতিকে বাইরে রেখে যাই। সেখানে আমি একেবারেই সাধারণ—একজন স্ত্রী, একজন মা। আর দশটা মানুষের মতোই।’

চলচ্চিত্রটি বুদ্ধের ব্যক্তিগত জীবন ও দর্শনের দ্বিধাদ্বন্দ্বের আরও একটি প্রতিনিধিত্ব। এই পৃথিবীতে একটি পরিবার ও একটি শিশুর সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা জীবন এবং আধ্যাত্মিক সাধনায় আত্মোৎসর্গের তীব্র বাসনাক্রান্ত এক ব্যক্তির দ্বিধাবিভক্ত অস্তিত্ব। এটি এমন এক দ্বিধা যার কোনো সুস্পষ্ট বা চূড়ান্ত সমাধান জ
১৩ নভেম্বর ২০২১
শত পর্বের মাইলফলক স্পর্শ করেছে ধারাবাহিক নাটক ‘দেনা পাওনা’। গত বছর নভেম্বরে সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকটির। কে এম সোহাগ রানা পরিচালিত এ নাটকে নিপা চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছেন তাবাসসুম ছোঁয়া।
২১ ঘণ্টা আগে
গত রোজার ঈদে শাকিব খানকে নিয়ে রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন হাউস থেকে নির্মিত হয় ‘বরবাদ’। বেশ আলোচিত হয় শাহরিন আক্তার সুমি প্রযোজিত সিনেমাটি। আগামী বছরের ঈদের জন্য আরেকটি সিনেমা প্রযোজনা করছেন সুমি। তাঁর নতুন সিনেমা ‘রাক্ষস’-এর নায়ক সিয়াম আহমেদ।
১ দিন আগে
১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। তবে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার কারণে শুরু হয়নি নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। অবশেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই নাট্যোৎসব।
১ দিন আগে