প্রায় ছয় বছর আগে চিত্রনায়ক বাপ্পি চৌধুরী অভিনয় করেছিলেন ‘ডেঞ্জার জোন’ সিনেমায়। ভৌতিক ঘরানার সিনেমাটি বানিয়েছেন বেলাল সানি। নানা জটিলতায় আটকে ছিল সিনেমাটি। অবশেষে এ বছর ১৩ ডিসেম্বর সারা দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ডেঞ্জার জোন। সিনেমা ও বিভিন্ন বিষয়ে বাপ্পি চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ।
শিহাব আহমেদ
দীর্ঘ সময় আটকে থাকার পর ১৩ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে ডেঞ্জার জোন। কেমন লাগছে?
সিনেমা মুক্তি যেকোনো শিল্পীর জন্য স্বস্তিদায়ক। একটি সিনেমা এত দিন আটকে থাকা দুঃখজনক। প্রযোজকের বিনিয়োগকৃত অর্থ আটকে ছিল। তা ছাড়া একটি কাজ করার পর যদি দর্শকদের দেখানো না যায়, তাহলে আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায় না। দেরি হলেও সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে, তাতে আমি আনন্দিত। আরেকটি স্বস্তির বিষয় হলো, এ বছর পুরো সময় আমার গ্যাপ ছিল। সেই বিরতি কাটিয়ে নতুন সিনেমা দিয়ে বছর শেষ করতে পারছি।
ডেঞ্জার জোনের গল্প কী রকম?
হরর ঘরানায় নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। বন্ধুদের জার্নির গল্প দেখা যাবে এতে। সে জার্নি থেকে কেউ ফিরে আসে না। এখন অনেক সিনেমায় হররের সঙ্গে কমেডির মিশ্রণ দেখা যায়। কিন্তু ডেঞ্জার জোন পিউর হরর সিনেমা।
হরর সিনেমায় নানা প্রযুক্তির ব্যবহার হয়ে থাকে। এ সিনেমার ক্ষেত্রেও নিশ্চয়ই হয়েছে। তবে সময়ের সঙ্গে প্রযুক্তি উন্নত হয়েছে। সে বিবেচনায় দীর্ঘ সময় আটকে থাকায় সিনেমাটি পিছিয়ে পড়েছে কি?
এ সিনেমায় যে খুব বেশি ভিএফএক্স ব্যবহার হয়েছে, তা নয়। বেশির ভাগ দৃশ্য ক্যামেরায় শুট করা হয়েছে। ব্লু টোনের মধ্যে শুটিং হয়েছে। শুটিংয়েই প্রপার লাইটিং করে আবহ তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া টেকনোলজির দিক দিয়ে আমাদের সিনেমা যে অনেক এগিয়েছে, তা-ও নয়। তাই আমার মনে হয়, ডেঞ্জার জোন আপডেট থাকবে। পুরোনো সিনেমা হলেও পর্দায় তা বোঝা যাবে না। মনে হবে, সাম্প্রতিক সময়ে শুট করা।
এক সপ্তাহ আগে মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হলো। সিনেমার প্রচার নিয়ে কি আপনি সন্তুষ্ট?
প্রচার নিয়ে আমি সন্তুষ্ট নই। সাত দিনের ঘোষণায় হঠাৎ করে সিনেমা মুক্তি দেওয়ার পক্ষে আমি নই। কিন্তু তারা যেহেতু সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই সঙ্গে থাকতে হবে। শিল্পী হিসেবে আমার দায়বদ্ধতা রয়েছে। এখনকার সময়ে প্রচারণার যে কৌশল, সে হিসেবে ডেঞ্জার জোন নিয়ে পরিপূর্ণ প্রচার হচ্ছে না। দর্শকদের যদি ঠিকভাবে জানাতে না পারি, তাহলে কেন তারা আসবে সিনেমা দেখতে? আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করছি। তবে আরও প্রচার প্রত্যাশা করি।
আপনার আরও একাধিক সিনেমা আটকে রয়েছে। সেগুলো নিয়ে কি নির্মাতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে?
শিল্পী হিসেবে শুটিংয়ের প্রয়োজনে চরিত্র নিয়ে আলোচনা করতে পারি, সেরাটা দিয়ে নিজেকে পর্দায় তুলে ধরতে পারি। কিন্তু মুক্তির বিষয়টি শিল্পীর হাতে থাকে না। ডেঞ্জার জোন ছয় বছর পর মুক্তি পাচ্ছে। প্রযোজক যদি সিনেমা আটকে রেখে তাঁর মতো করে রিলিজ দেন, তখন শিল্পীদের কিছু করার থাকে না। শুটিং থেকে শুরু করে ডাবিং—সব আমি সময়মতো শেষ করেছি। তারপরও যখন সিনেমা আটকে থাকে, তখন দুঃখ লাগে। মাঝেমধ্যে নির্মাতাদের কাছে জানতে চাইতে পারি, কিন্তু নির্দেশ তো দিতে পারি না।
গত রোজার ঈদে ‘শত্রু’র পর আর কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি আপনার। নতুন কোনো কাজের খবরও পাওয়া যায়নি। এই বিরতির কারণ কী?
আমি আসলে ভালো কাজ করতে চাই। সব মিলিয়ে ব্যাটে-বলে মিলছে না, তাই নতুন কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়া হচ্ছে না। নিজেও একটু বিরতি নিতে চেয়েছি। কারণ, আমাদের সিনেমার বাজার পরিবর্তন হচ্ছে। ধীরে ধীরে অনলাইনে সিনেমার মার্কেট চলে যাচ্ছে। দিনদিন হলের সংখ্যা কমছে। আমাদের সিনেমা অলমোস্ট সিনেপ্লেক্সনির্ভর হয়ে গেছে। আমার সিনেমাগুলো ফুল কমার্শিয়াল আর লোকাল হলনির্ভর হয়ে থাকে। সিনেপ্লেক্সনির্ভর যেসব গল্প আমার কাছে আসছে, সেগুলো আমার জন্য ও দর্শকের জন্য উপযুক্ত মনে হয়নি। দর্শকদের মন্তব্য শোনার চেষ্টা করছি, তারা আমাকে যেভাবে দেখতে চায়, সেভাবেই হাজির হতে চাই। আশা করছি, নতুন বছরে নতুন কাজের মাধ্যমে চমক দিতে পারব।
সাম্প্রতিক সময়ে সিনেমা নির্মাণের সংখ্যা কমেছে। অনেক অভিনয়শিল্পী বলছেন, অভিনয়কে আর এখন একমাত্র পেশা হিসেবে নেওয়ার উপায় নেই। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?
এটা যার যার ব্যক্তিগত অভিমত। একেকজন একেকভাবে চিন্তা করে। যে এখানে টাকা উপার্জন করতে পারছে, সে বলছে, এটা দারুণ প্রফেশন। যে পারছে না, সে বলছে, এর কোনো ভবিষ্যৎ নেই। বেঁচে থাকার জন্য একজন মানুষের অনেক টাকার প্রয়োজন হয় না। থাকা, খাওয়া, বাসস্থান ও শিক্ষা—এ চারটি প্রয়োজন মেটাতে যে অর্থ দরকার, তা এই প্রফেশনে চাইলে ওঠানো যায়।
শোনা যাচ্ছে, আপনি ব্যবসায় মনোযোগ দিয়েছেন?
আমি অনেক আগে থেকেই পারিবারিক ব্যবসায় জড়িত। সিনেমার বাইরে সময় পেলে ব্যবসায় সময় দিই। এর মানে এই নয় যে সিনেমা বাদ দিয়ে ব্যবসা করছি। এমন কথা যারা বলে, তারা ভুল বলে।
দীর্ঘ সময় আটকে থাকার পর ১৩ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে ডেঞ্জার জোন। কেমন লাগছে?
সিনেমা মুক্তি যেকোনো শিল্পীর জন্য স্বস্তিদায়ক। একটি সিনেমা এত দিন আটকে থাকা দুঃখজনক। প্রযোজকের বিনিয়োগকৃত অর্থ আটকে ছিল। তা ছাড়া একটি কাজ করার পর যদি দর্শকদের দেখানো না যায়, তাহলে আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায় না। দেরি হলেও সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে, তাতে আমি আনন্দিত। আরেকটি স্বস্তির বিষয় হলো, এ বছর পুরো সময় আমার গ্যাপ ছিল। সেই বিরতি কাটিয়ে নতুন সিনেমা দিয়ে বছর শেষ করতে পারছি।
ডেঞ্জার জোনের গল্প কী রকম?
হরর ঘরানায় নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। বন্ধুদের জার্নির গল্প দেখা যাবে এতে। সে জার্নি থেকে কেউ ফিরে আসে না। এখন অনেক সিনেমায় হররের সঙ্গে কমেডির মিশ্রণ দেখা যায়। কিন্তু ডেঞ্জার জোন পিউর হরর সিনেমা।
হরর সিনেমায় নানা প্রযুক্তির ব্যবহার হয়ে থাকে। এ সিনেমার ক্ষেত্রেও নিশ্চয়ই হয়েছে। তবে সময়ের সঙ্গে প্রযুক্তি উন্নত হয়েছে। সে বিবেচনায় দীর্ঘ সময় আটকে থাকায় সিনেমাটি পিছিয়ে পড়েছে কি?
এ সিনেমায় যে খুব বেশি ভিএফএক্স ব্যবহার হয়েছে, তা নয়। বেশির ভাগ দৃশ্য ক্যামেরায় শুট করা হয়েছে। ব্লু টোনের মধ্যে শুটিং হয়েছে। শুটিংয়েই প্রপার লাইটিং করে আবহ তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া টেকনোলজির দিক দিয়ে আমাদের সিনেমা যে অনেক এগিয়েছে, তা-ও নয়। তাই আমার মনে হয়, ডেঞ্জার জোন আপডেট থাকবে। পুরোনো সিনেমা হলেও পর্দায় তা বোঝা যাবে না। মনে হবে, সাম্প্রতিক সময়ে শুট করা।
এক সপ্তাহ আগে মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হলো। সিনেমার প্রচার নিয়ে কি আপনি সন্তুষ্ট?
প্রচার নিয়ে আমি সন্তুষ্ট নই। সাত দিনের ঘোষণায় হঠাৎ করে সিনেমা মুক্তি দেওয়ার পক্ষে আমি নই। কিন্তু তারা যেহেতু সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই সঙ্গে থাকতে হবে। শিল্পী হিসেবে আমার দায়বদ্ধতা রয়েছে। এখনকার সময়ে প্রচারণার যে কৌশল, সে হিসেবে ডেঞ্জার জোন নিয়ে পরিপূর্ণ প্রচার হচ্ছে না। দর্শকদের যদি ঠিকভাবে জানাতে না পারি, তাহলে কেন তারা আসবে সিনেমা দেখতে? আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করছি। তবে আরও প্রচার প্রত্যাশা করি।
আপনার আরও একাধিক সিনেমা আটকে রয়েছে। সেগুলো নিয়ে কি নির্মাতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে?
শিল্পী হিসেবে শুটিংয়ের প্রয়োজনে চরিত্র নিয়ে আলোচনা করতে পারি, সেরাটা দিয়ে নিজেকে পর্দায় তুলে ধরতে পারি। কিন্তু মুক্তির বিষয়টি শিল্পীর হাতে থাকে না। ডেঞ্জার জোন ছয় বছর পর মুক্তি পাচ্ছে। প্রযোজক যদি সিনেমা আটকে রেখে তাঁর মতো করে রিলিজ দেন, তখন শিল্পীদের কিছু করার থাকে না। শুটিং থেকে শুরু করে ডাবিং—সব আমি সময়মতো শেষ করেছি। তারপরও যখন সিনেমা আটকে থাকে, তখন দুঃখ লাগে। মাঝেমধ্যে নির্মাতাদের কাছে জানতে চাইতে পারি, কিন্তু নির্দেশ তো দিতে পারি না।
গত রোজার ঈদে ‘শত্রু’র পর আর কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি আপনার। নতুন কোনো কাজের খবরও পাওয়া যায়নি। এই বিরতির কারণ কী?
আমি আসলে ভালো কাজ করতে চাই। সব মিলিয়ে ব্যাটে-বলে মিলছে না, তাই নতুন কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়া হচ্ছে না। নিজেও একটু বিরতি নিতে চেয়েছি। কারণ, আমাদের সিনেমার বাজার পরিবর্তন হচ্ছে। ধীরে ধীরে অনলাইনে সিনেমার মার্কেট চলে যাচ্ছে। দিনদিন হলের সংখ্যা কমছে। আমাদের সিনেমা অলমোস্ট সিনেপ্লেক্সনির্ভর হয়ে গেছে। আমার সিনেমাগুলো ফুল কমার্শিয়াল আর লোকাল হলনির্ভর হয়ে থাকে। সিনেপ্লেক্সনির্ভর যেসব গল্প আমার কাছে আসছে, সেগুলো আমার জন্য ও দর্শকের জন্য উপযুক্ত মনে হয়নি। দর্শকদের মন্তব্য শোনার চেষ্টা করছি, তারা আমাকে যেভাবে দেখতে চায়, সেভাবেই হাজির হতে চাই। আশা করছি, নতুন বছরে নতুন কাজের মাধ্যমে চমক দিতে পারব।
সাম্প্রতিক সময়ে সিনেমা নির্মাণের সংখ্যা কমেছে। অনেক অভিনয়শিল্পী বলছেন, অভিনয়কে আর এখন একমাত্র পেশা হিসেবে নেওয়ার উপায় নেই। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?
এটা যার যার ব্যক্তিগত অভিমত। একেকজন একেকভাবে চিন্তা করে। যে এখানে টাকা উপার্জন করতে পারছে, সে বলছে, এটা দারুণ প্রফেশন। যে পারছে না, সে বলছে, এর কোনো ভবিষ্যৎ নেই। বেঁচে থাকার জন্য একজন মানুষের অনেক টাকার প্রয়োজন হয় না। থাকা, খাওয়া, বাসস্থান ও শিক্ষা—এ চারটি প্রয়োজন মেটাতে যে অর্থ দরকার, তা এই প্রফেশনে চাইলে ওঠানো যায়।
শোনা যাচ্ছে, আপনি ব্যবসায় মনোযোগ দিয়েছেন?
আমি অনেক আগে থেকেই পারিবারিক ব্যবসায় জড়িত। সিনেমার বাইরে সময় পেলে ব্যবসায় সময় দিই। এর মানে এই নয় যে সিনেমা বাদ দিয়ে ব্যবসা করছি। এমন কথা যারা বলে, তারা ভুল বলে।
ভারতে চলা মহাকুম্ভে মালা বিক্রেতা মোনালিসার ছবি এখন নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। শ্যাম বর্ণের তরুণীর বাদামি চোখের মণি, উজ্জ্বল হাসি মন কেড়েছে নেটিজেনদের। অনেকে পোস্ট দিচ্ছেন এই অপরূপাকে নিয়ে। শোনা যাচ্ছে বলিউডেও নাকি ডাক পড়েছে তাঁর। এবার তাঁকে নিয়ে মন্তব্য করলেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত।
৭ ঘণ্টা আগেঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণি। কাজের চেয়ে বেশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে থাকেন আলোচনার কেন্দ্রে। কখনো প্রেম, বিয়ে আবার কখনো মাদকাণ্ডের মতো বিতর্কিত কাজে পড়েছেন সমালোচনার মুখে। সম্প্রতি মামলা ও প্রেম নিয়ে আবারও শিরোনামে উঠে এসেছেন এই নায়িকা।
৯ ঘণ্টা আগেএতটা সময় পার করেছি, বুঝতেই পারিনি। অনেক স্মুথ ছিল জার্নিটা। সব সময় দর্শকের সাপোর্ট পেয়েছি, পরিবারের সাপোর্ট পেয়েছি; বিশেষ করে আমার মায়ের কথা বলতে হয়। তিনি ছায়ার মতো পাশে ছিলেন। তাঁর আদর্শেই চলার চেষ্টা করেছি। মায়ের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ
১২ ঘণ্টা আগেসাধারণ ব্যক্তিরা সব সময় ক্ষমতাবানদের নির্যাতনের শিকার হয়। নিপীড়নের মাত্রা বেড়ে গেলে বিপ্লবের সৃষ্টি হয়। ক্ষমতার পরিবর্তন হয়, নেতৃত্বে আসে নতুন কেউ। কিন্তু সাধারণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না। এমন প্রেক্ষাপটে জর্জ অরওয়েল লিখেছিলেন ‘অ্যানিমেল ফার্ম’। ঢাকার মঞ্চে আজ নাটকটি মঞ্চায়ন করবে প্রাচ্যনাট স্কুল অব
১২ ঘণ্টা আগে