বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ঋত্বিক ঘটক পরিচালিত ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ছবির প্রযোজক হাবিবুর রহমান। ছবির কাজের জন্যই ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই এক করলেন একঝাঁক মেধাবী মানুষকে। ছবির পেছনে নানা ভূমিকায় কাজ করলেন ফখরুল হাসান বৈরাগী, তমিজ উদ্দীন রিজভী, আখন্দ সানোয়ার মোরশেদ, শমসের আহমেদ, আওলাদ হোসেন চাকলাদার, এ জে মিন্টু ও ছটকু আহমেদ। ছবিটা প্রশংসিত হলেও ব্যবসায়িক সাফল্য পায়নি।
তবে হাল ছাড়লেন না হাবিবুর রহমান। গড়ে তুললেন— ‘শাওন সাগর লিমিটেড’। সাতজন ছিলেন এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। চলচ্চিত্রকার মহীউদ্দিন হলেন চেয়ারম্যান। সৈয়দ হাসান ইমামের তখন আলাদা প্রতিষ্ঠান থাকলেও এই প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা হলেন তিনি। পরিকল্পনা হলো, ছয়জন ডিরেক্টরের প্রত্যেকেই বাই-রোটেশনে ছবি ডিরেকশন দেবেন, বাকি পাঁচজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করবেন।
প্রথম ছবি ফ্লপের পর প্রযোজক হাবিবুর রহমান নিজের হাতখরচের টাকা দিয়ে বৈরাগীর পরিচালনায় বানালেন ‘সেয়ানা’। অলিভিয়া আর প্রবীর মিত্র নায়ক-নায়িকা। কিন্তু ‘সেয়ানা’ ফ্লপ হলো। ছটকু আহমেদ প্রস্তাব করলেন, ‘নাটক করি?’ তাঁর নির্দেশনায় মহিলা সমিতি মঞ্চে এল নাটক ‘আলোকিত অন্ধকার’। প্রবীর মিত্র, রোজিনা, মোতালেব হোসেন, দিলারা, নাহিদ, এ জে মিন্টু, বৈরাগী—অভিনয় করলেন। নাটকটি প্রশংসিত হলো। হাবিব বললেন, ‘চলো, আবার ছবি করা যাক।’
এবার এ জে মিন্টুর পালা। তিনি ছবির আইডিয়া দিলেন— ‘মিন্টু আমার নাম’। ছবির আইডিয়া শুনিয়ে ছটকু আহমেদকে মিন্টু বললেন, ‘আপনি স্ক্রিপ্ট লিখে দেন।’ স্ক্রিপ্ট হলো, ছবি হলো। ছবিটি বাম্পার হিট হলো। প্রতিষ্ঠান আলোর মুখ দেখল।
এরপর এ জে মিন্টু বানালেন ‘প্রতিজ্ঞা’। এটাও বাম্পার হিট। তমিজ উদ্দীন রিজভী বানালেন ‘ছোট মা’। নিজের স্ক্রিপ্টে ছটকু আহমেদ বানালেন ‘নাত বৌ’। সব ছবিই ব্যবসাসফল হয়। ‘শাওন সাগর লিমিটেড’-এর নিয়ম ছিল, এই ইউনিটে থাকাকালীন বাইরে কোনো কাজ করা যাবে না। এ জে মিন্টু ইউনিট ছেড়ে চলে গেলেন মির্জা খালেকের ‘প্রতিহিংসা’ ছবি বানাতে। বৈরাগীও বের হয়ে গেলেন। কারণ তিনি ডিরেক্টর হয়ে যাওয়ার পর অ্যাসিস্ট্যান্সি করাটাকে সমুচিত মনে করেননি।
গত ৫০ বছরে অসংখ্য জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছেন এই ছয় মেধাবী চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব। কাজ করেছেন চলচ্চিত্রের উন্নয়নে। তাঁদের সেই অবদানের কথা তুলে ধরতেই ছটকু আহমেদ তৈরি করছেন তথ্যচিত্র ‘চলচ্চিত্রে আমাদের ৫০ বছর’। ছটকু আহমেদসহ নির্মাতা এ জে মিন্টু, ফখরুল হাসান বৈরাগী, তমিজ উদ্দিন রিজভী, প্রযোজক হাবিবুর রহমান খান ও শমশের আহমেদকে নিয়ে তৈরি হচ্ছে এই তথ্যচিত্র। প্রকাশিত হবে আগামী বছর ১৬ জুলাই।
ছটকু আহমেদ বলেন, ‘ওই দিন চলচ্চিত্রে আমাদের ৫০ বছর পূর্ণ হবে। এই ৫০ বছরে আমরা সাধ্যমতো কাজ করেছি চলচ্চিত্রের উন্নয়নে। আমাদের স্ট্রাগল ছিল। আমাদের সোনালি দিন ছিল। আমরা কীভাবে হাতে হাত ধরে বাংলা চলচ্চিত্র দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছি, সেটা বলব এই তথ্যচিত্রে।’ এরই মধ্যে তথ্যচিত্রটির শুটিং শুরু হয়েছে।
ঋত্বিক ঘটক পরিচালিত ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ছবির প্রযোজক হাবিবুর রহমান। ছবির কাজের জন্যই ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই এক করলেন একঝাঁক মেধাবী মানুষকে। ছবির পেছনে নানা ভূমিকায় কাজ করলেন ফখরুল হাসান বৈরাগী, তমিজ উদ্দীন রিজভী, আখন্দ সানোয়ার মোরশেদ, শমসের আহমেদ, আওলাদ হোসেন চাকলাদার, এ জে মিন্টু ও ছটকু আহমেদ। ছবিটা প্রশংসিত হলেও ব্যবসায়িক সাফল্য পায়নি।
তবে হাল ছাড়লেন না হাবিবুর রহমান। গড়ে তুললেন— ‘শাওন সাগর লিমিটেড’। সাতজন ছিলেন এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। চলচ্চিত্রকার মহীউদ্দিন হলেন চেয়ারম্যান। সৈয়দ হাসান ইমামের তখন আলাদা প্রতিষ্ঠান থাকলেও এই প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা হলেন তিনি। পরিকল্পনা হলো, ছয়জন ডিরেক্টরের প্রত্যেকেই বাই-রোটেশনে ছবি ডিরেকশন দেবেন, বাকি পাঁচজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করবেন।
প্রথম ছবি ফ্লপের পর প্রযোজক হাবিবুর রহমান নিজের হাতখরচের টাকা দিয়ে বৈরাগীর পরিচালনায় বানালেন ‘সেয়ানা’। অলিভিয়া আর প্রবীর মিত্র নায়ক-নায়িকা। কিন্তু ‘সেয়ানা’ ফ্লপ হলো। ছটকু আহমেদ প্রস্তাব করলেন, ‘নাটক করি?’ তাঁর নির্দেশনায় মহিলা সমিতি মঞ্চে এল নাটক ‘আলোকিত অন্ধকার’। প্রবীর মিত্র, রোজিনা, মোতালেব হোসেন, দিলারা, নাহিদ, এ জে মিন্টু, বৈরাগী—অভিনয় করলেন। নাটকটি প্রশংসিত হলো। হাবিব বললেন, ‘চলো, আবার ছবি করা যাক।’
এবার এ জে মিন্টুর পালা। তিনি ছবির আইডিয়া দিলেন— ‘মিন্টু আমার নাম’। ছবির আইডিয়া শুনিয়ে ছটকু আহমেদকে মিন্টু বললেন, ‘আপনি স্ক্রিপ্ট লিখে দেন।’ স্ক্রিপ্ট হলো, ছবি হলো। ছবিটি বাম্পার হিট হলো। প্রতিষ্ঠান আলোর মুখ দেখল।
এরপর এ জে মিন্টু বানালেন ‘প্রতিজ্ঞা’। এটাও বাম্পার হিট। তমিজ উদ্দীন রিজভী বানালেন ‘ছোট মা’। নিজের স্ক্রিপ্টে ছটকু আহমেদ বানালেন ‘নাত বৌ’। সব ছবিই ব্যবসাসফল হয়। ‘শাওন সাগর লিমিটেড’-এর নিয়ম ছিল, এই ইউনিটে থাকাকালীন বাইরে কোনো কাজ করা যাবে না। এ জে মিন্টু ইউনিট ছেড়ে চলে গেলেন মির্জা খালেকের ‘প্রতিহিংসা’ ছবি বানাতে। বৈরাগীও বের হয়ে গেলেন। কারণ তিনি ডিরেক্টর হয়ে যাওয়ার পর অ্যাসিস্ট্যান্সি করাটাকে সমুচিত মনে করেননি।
গত ৫০ বছরে অসংখ্য জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছেন এই ছয় মেধাবী চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব। কাজ করেছেন চলচ্চিত্রের উন্নয়নে। তাঁদের সেই অবদানের কথা তুলে ধরতেই ছটকু আহমেদ তৈরি করছেন তথ্যচিত্র ‘চলচ্চিত্রে আমাদের ৫০ বছর’। ছটকু আহমেদসহ নির্মাতা এ জে মিন্টু, ফখরুল হাসান বৈরাগী, তমিজ উদ্দিন রিজভী, প্রযোজক হাবিবুর রহমান খান ও শমশের আহমেদকে নিয়ে তৈরি হচ্ছে এই তথ্যচিত্র। প্রকাশিত হবে আগামী বছর ১৬ জুলাই।
ছটকু আহমেদ বলেন, ‘ওই দিন চলচ্চিত্রে আমাদের ৫০ বছর পূর্ণ হবে। এই ৫০ বছরে আমরা সাধ্যমতো কাজ করেছি চলচ্চিত্রের উন্নয়নে। আমাদের স্ট্রাগল ছিল। আমাদের সোনালি দিন ছিল। আমরা কীভাবে হাতে হাত ধরে বাংলা চলচ্চিত্র দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছি, সেটা বলব এই তথ্যচিত্রে।’ এরই মধ্যে তথ্যচিত্রটির শুটিং শুরু হয়েছে।
২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর। সারা বিশ্বের অগণিত ভক্ত-শ্রোতাকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের এক অগ্রপথিক আইয়ুব বাচ্চু। থমকে গেল এলআরবি ব্যান্ডের পথচলা। সেই থেকে বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতে কেটে গেল আইয়ুব বাচ্চুহীন ছয়টি বছর
৫ ঘণ্টা আগেভারতীয় গায়ক অরিজিৎ সিং তাঁর সরলতা এবং বিনয়ী আচরণের জন্য পরিচিত। অনেকেই বলে থাকেন, বিখ্যাত এই গায়ক বস্তুবাদী দুনিয়ার ধারণায় বিশ্বাস করেন না। তিনি মিডিয়ার উন্মাদনা থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করেন এবং সাদামাটা জীবনযাপন করেন।
১৫ ঘণ্টা আগেএ বছর মুনীর চৌধুরী সম্মাননা পাচ্ছেন অভিনেত্রী ও সংগীতশিল্পী শিমূল ইউসুফ। মোহাম্মদ জাকারিয়া স্মৃতিপদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন প্রাচ্যনাটের অভিনেতা জাহাঙ্গীর আলম।
১৭ ঘণ্টা আগেপুষ্পার প্রথম পর্বের চেয়ে দ্বিতীয় পর্বের বাজেট যেমন বেশি, তেমনি বেশি জোর দেওয়া হয়েছে প্রচারেও। কিসিকের মুক্তি ঘিরেও ছিল বড় ইভেন্ট। তবে তাতে লাভ তেমন হলো না। ভক্তদের মন জয় করতে পারল না কিসিক।
১৭ ঘণ্টা আগে