Ajker Patrika

‘ভালো কাজ না হলে আর অভিনয়ই করব না’

এম এস রানা
আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২১, ১৪: ২৮
‘ভালো কাজ না হলে আর অভিনয়ই করব না’

আজ ১৭ জুলাই অভিনেত্রী ডলি জহুরের জন্মদিন। জাতীয় পুরস্কার পাওয়া এই অভিনেত্রী অনেক দিন হলো দেশে নেই। নেই পর্দায়। টেলিফোনে তিনি বললেন জন্মদিনের স্মৃতিকথা, জানালেন অভিনয় প্রসঙ্গে না–বলা অনেক কথা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এম এস রানা–

আজকের পত্রিকা: আজ তো আপনার জন্মদিন। অনেক অনেক শুভেচ্ছা। কী করছেন আজ?

ডলি জহুর: ধন্যবাদ। আমি এখন মেলবোর্নে আছি। ছেলের এখানে। গত বছর জানুয়ারিতে এসেছিলাম। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য যাই যাই করেও দেশে ফেরা হচ্ছে না। আমার ছেলে রিয়াসাতও যেতে দিচ্ছে না। নাতনি রাইসা আর নাতি রাইয়ানের সঙ্গে সময় কাটে বেশি। আমার নাতি রাইয়ানেরও আজ প্রথম জন্মদিন। ঘটা করে কিছুই করছি না। কেক কেটে নিজেরা একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছি। খাওয়াদাওয়া করছি। এই তো। এখানেও লকডাউন চলছে, কাজেই বাইরে যাওয়ারও উপায় নেই।

আজকের পত্রিকা: আগে জন্মদিনগুলো কীভাবে উদ্‌যাপন করতেন?

ডলি: যখন বাবার বাসায় ছিলাম। তখন বোনেরা রান্না করত। কেক কাটা হতো। পরে যখন ছেলে বড় হলো, আলাদা সংসার সাজালাম, তখনো আমি তেমন কিছু করতাম না। ওরা বাবা-ছেলে চুপেচাপে কেক নিয়ে আসত। আমি হয়তো শুটিং শেষ করে ফিরেছি, ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে আসতেই হুট করে বাতি নিভিয়ে দিত। আমি চমকে উঠতাম। বাতি জ্বালাতেই দেখা যেত টেবিলে কেক সাজানো। পাশে একগুচ্ছ রজনীগন্ধা। একটা শাড়ি নয়তো পারফিউম। বাইরে থেকে খাবার নিয়ে আসা হয়েছে।

আজকের পত্রিকা: দেশে ফিরবেন কবে?

ডলি: দেশে ফেরার জন্য মনটা ছটফট করছে। কিন্তু ফিরতে তো পারছি না। দেখি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই চলে আসব। কত দিন আমার পরিচিত মুখগুলো দেখি না। আমার অভিনয়ের পরিবার, আমার স্কুল, কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা। সবাইকে খুব খুব মিস করি। পরিচিতি কত প্রিয় মুখ হারিয়ে যাচ্ছে। এখানে বসে তাদের মৃত্যূ সংবাদ পাই। মনটা হুহু করে ওঠে।

মাঝে কিছু কাজের কথা হয়েছিল। কিন্তু দেখলাম ওখানে আমার তো তেমন কিছু করার নেই। ভালো ক্যারেক্টার না হলে, অভিনয়ের সুযোগ না থাকলে কি আর শুটিং করতে ইচ্ছে হয়? তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ভালো চরিত্র বা কাজ না হলে আর অভিনয়ই করব না।

ডলি জহুর, অভিনেত্রী

আজকের পত্রিকা: তাহলে তো নতুন কোনো কাজও করা হচ্ছে না?

ডলি: একদমই না। আর দেশে তো এখন আমাদের নিয়ে ভালো কোনো কাজও হচ্ছে না। দেখি তো টিভিতে। মা-খালা তো এখন লাগেই না। একটা–দুটো চরিত্র দিয়েই নাটক হয়ে যাচ্ছে। মাঝে কিছু কাজের কথা হয়েছিল। কিন্তু দেখলাম ওখানে আমার তো তেমন কিছু করার নেই। ভালো ক্যারেক্টার না হলে অভিনয়ের সুযোগ না থাকলে কি আর শুটিং করতে ইচ্ছে হয়? তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ভালো চরিত্র বা কাজ না হলে আর অভিনয়ই করব না।

আজকের পত্রিকা: ভালো চরিত্র বা কাজ বলতে কী বোঝাতে চাইছেন?

ডলি: দেখুন, তরুণ-তরুণীদের প্রেম ভালোবাসা নিয়েই তো জীবনের সব ক্রাইসিস নয়। আমাদের বয়সী মানুষদের নিয়েও তো ভালো নাটকের গল্প হয়, সিনেমা হয়। সারা বিশ্বে হচ্ছে। আমাদের পাশের দেশে ভারতেও হচ্ছে। অথচ আমাদের এখানে একদমই হচ্ছে না।

আজকের পত্রিকা: অনেকেই তো কলকাতার নাটক–সিনেমায় কাজ করছেন। বিশেষ করে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের সুবাদে এখন তো কাজের পরিধি অনেক বেড়েছে?

ডলি: হ্যাঁ, ভারতে তো চরিত্রাভিনয় হচ্ছে। এই যে দেখুন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যাকে নিয়ে কী অসাধারণ সব কাজ হলো। তাঁর সঙ্গে আমার আলাপও হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন. তোমরা যদি আসো তাহলে খুব ভালো হয়। সবাই মিলে ভালো কাজ করা যায়। কিন্তু তিনি তো চলে গেলেন না–ফেরার দেশে।

আজকের পত্রিকা: তাহলে আপনাকে আর অভিনয়ে পাব না?

ডলি: দেখি, দেশে আসি আগে। ভালো কাজ হলে অবশ্যই করব। তবে অবস্থা যা দেখছি, আগের মতো নিয়মিত হয়তো কাজ হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ও প্রতীক নিয়ে কী প্রস্তাব এল, জানালেন আখতার

জাতিসংঘে রাশিয়ার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের বিরল ভোট

আবরার হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেমির পলায়নের বিষয়ে যা জানাল কারা অধিদপ্তর

৫ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

বাংলাদেশের ভরাডুবিতে বিসিবিকে ধুয়ে দিলেন বোর্ডেরই সাবেক কম্পিউটার বিশ্লেষক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত