এম এস রানা
কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়ে আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ নির্মিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ এখন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে একটি মাইলফলক। এই সাফল্যে গর্বিত চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট সবাই। চলচ্চিত্র প্রযোজনা এবং অন্যান্য বিষয়ে কথা বলেছেন এই ছবির অন্যতম প্রযোজক সাইদুল হক খন্দকার সবুজ। কথোপকথনে ছিলেন এম এস রানা
আজকের পত্রিকা: কী ভেবে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ ছবিতে অর্থ লগ্নি করলেন?
সাইদুল হক খন্দকার সবুজ: ২০১২ সালে আমি, ওয়াহিদ তারেক, গোলাম হায়দার কিসলু আর আদনান হাবীব মিলে ফ্রি ফলস স্টুডিও নামে একটি প্রোডাকশন হাউস শুরু করি। আমরা মূলত বিজ্ঞাপন বানাতাম। সাদ আমাদের খুবই ঘনিষ্ঠ। ওর সবচেয়ে বড় গুণ, যতটুকু সামর্থ্য আছে তা নিয়েই একটা ভালো ছবি বানাতে চায়। সাদের প্রথম ছবি ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’ দিয়েই সেটা প্রমাণ করেছে। ছবিটি তখন সিঙ্গাপুর ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা পরিচালকের পুরস্কারও জিতেছে। সাদ সব সময় ফিল্ম নিয়েই ভাবে। ফিল্মই তার একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান আর স্বপ্ন। তাই সাদ যখন ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ বানানোর কথা জানাল, আমি সায় দিলাম। আমি ছাড়া আরও চারজন প্রযোজক আছেন—জেরেমি চুয়া, রাজিব মহাজন, এহসানুল হক বাবু ও আদনান হাবীব।
আজকের পত্রিকা: এই ছবিতেই কেন? সাদের আগের ছবির সফলতা দেখে?
সবুজ: একদমই না। সাদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমাদের আগে থেকেই আছে। চলচ্চিত্রের প্রতি সে চরম ডেডিকেটেড। তার ওপর ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ নিয়ে তার প্যাশন আমাকে অবাক করেছে। এই ছবির জন্য সে বেশ কয়েকটা বিজ্ঞাপন ছেড়ে দিয়েছে, অন্য সব ধরনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। দিন–রাত সে এই ফিল্ম নিয়েই ভাবছে, খাচ্ছে, কাজ করছে। তার এই ডেডিকেশনটা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমার বিশ্বাস ছিল সে একটা ভালো ছবি বানানোর সক্ষমতা রাখে। এই ছবি দেশের হলে ব্যাপকভাবে মুক্তি না–ও পেতে পারে, আবার আন্তর্জাতিকভাবে সম্মাননা না–ও পেতে পারে। তবু একটা ভালো ছবি তৈরির চেষ্টার সঙ্গে থাকার জন্য, একধরনের দায়বদ্ধতা থেকেই এই লগ্নি করা।
আজকের পত্রিকা: ছবিটি দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হবে? যদি হয় তাহলে কেমন সাড়া পাবেন বলে আশা করছেন?
সবুজ: অবশ্যই মুক্তি দেওয়া হবে। কেমন সাড়া পাব, সেটা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তবে যাঁরা সত্যিই ভালো মানের ছবি দেখতে চান, তাঁদের ভালো লাগবে এটা হলফ করে বলতে পারি।
আজকের পত্রিকা: সাধারণত এ ধরনের ছবি দেশের সব হলে মুক্তি পেতে দেখি না। আপনারা কি সারা দেশে মুক্তি দিতে পারবেন?
সবুজ: হয়তো পারব না। সেটা আশাও করছি না। তবে এটা সত্যি, আমাদের হলগুলোর পরিবেশ সময়োপযোগী নয়, এক কথায় ভালো না। শুনেছি, হলের মালিকেরা ভালো ছবির অভাবে নতুন করে হলগুলোতে লগ্নি করতে পারছেন না। আবার ভালো হলের অভাবে লগ্নিকারকেরা ভালো মানের ছবিতে ইনভেস্ট করতে চাইছেন না। পুরো বিষয়টার একটা সমন্বয় হওয়া দরকার। দুটো কাজই একসঙ্গে এগিয়ে নিতে হবে, তা না হলে হবে না। দেশে প্রচুর মেধা আছে, যারা ভালো ছবি বানাতে সক্ষম, কিন্তু ছবি চালানোর সংকটে তাঁরাও হতাশ হয়ে পড়ছেন।
আজকের পত্রিকা: ২০০২ সালে কানের প্যারালার বিভাগ ‘ডিক্টের ফোর্টনাইট’-এ মনোনীত হয়েছিল তারেক মাসুদের ‘মাটির ময়না’। কান উৎসবে সেটাই ছিল আমাদের বড় পাওয়া। কানে অংশ নেওয়ার আগে পর্যন্ত ছবিটি হলে মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিলেন নির্মাতা। তথাকথিত বিকল্পধারার এই ছবিগুলো হলে প্রদর্শনের জন্য কি অ্যাওয়ার্ড পাওয়া বা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া জরুরি হয়ে পড়ছে?
সবুজ: আমার স্থান থেকে আমি ওভাবে বলতে পারছি না। তবে এটা ঠিক, এ ধরনের ছবির দর্শক তো আমজনতা নয়, তাই স্বীকৃতিগুলো দর্শককে হলে আসার ব্যাপারে অনুপ্রাণিত করে।
আজকের পত্রিকা: যদিও বিষয়টা আপেক্ষিক, তবু জানতে চাই আন্তর্জাতিক মানের ছবি বানানোর সক্ষমতা আমাদের কতটুকু আছে?
সবুজ: আসলেই বিষয়টা আপেক্ষিক। তবে আমাদের যতটুকু আছে, ততটুকু নিয়েই চেষ্টা করতে হবে। যা আছে তা নিয়েই আন্তর্জাতিক মানের ছবি তৈরি সম্ভব। ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ই তার জ্বলন্ত প্রমাণ। সাদ তো জীবনের সবটাই দিয়ে দিচ্ছে চলচ্চিত্রের জন্য। শুধু টেকনিক্যাল সাপোর্ট বা অর্থ লগ্নিই মূল বিষয় নয়। ভালো ছবির জন্য ডেডিকেশনটাও খুব জরুরি।
আজকের পত্রিকা: শেষ পর্যন্ত যদি বিজনেস না হয়, তাহলে কি ভবিষ্যতে ছবি প্রযোজনার ইচ্ছেটা থাকবে?
সবুজ: আমি বিজনেসের কথা একদমই চিন্তা করিনি। একটা ভালো ছবিকে উৎসাহ দিতে, ভালো কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার ইচ্ছা থেকেই প্রোডিউস করেছি। আমি বিশ্বাস করি, অনেকেই আছেন যাঁরা ভালো ছবিকে প্রমোট করতে চান। তাঁদের সঙ্গে একটা মেলবন্ধন দরকার। তবেই দেশের চলচ্চিত্র একটা নতুন মাত্রা পাবে।
আজকের পত্রিকা: এ বিষয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? হল সংস্করণের কথা বলছিলেন, সে বিষয়েও কোনো পরিকল্পনা থাকলে বলবেন?
সবুজ: ইচ্ছা তো অনেক, কিন্তু সামর্থ্যের তো সীমাবদ্ধতা আছে। চেষ্টা করছি ভালো ছবির সঙ্গে থাকতে। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ ছবির সফলতা নিশ্চয়ই সবাইকে অনুপ্রেরণা জোগাবে। আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সফলতা মেধাবীদের পথ দেখাবে। আর হলের বিষয়ে আগেও ভেবেছি। একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথাও বলেছিলাম। তবে পুরো বিষয়টি বড় ইনভেস্টের ব্যাপার। সম্মিলিত চেষ্টাতেই এটা সহজ হবে।
আজকের পত্রিকা: আর কোনো ছবিতে ইনভেস্ট করেছেন?
সবুজ: সাদের এই ছবির আগে ওয়াহিদ তারেকের ‘আলগা নোঙর’ ছবিতে করেছি। ছবিটি এখনো রিলিজ হয়নি। কেউ যদি ভালো পরিকল্পনা নিয়ে আসেন, অবশ্যই সঙ্গে থাকার চেষ্টা করব।
আজকের পত্রিকা: আপনার কি মনে হয় আমরা ভালো মানের ছবি তৈরি করতে পারছি?
সবুজ: অবশ্যই পারছি। তা না হলে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলোতে আমাদের ছবি সম্মানিত হতো না। তবে এটা সত্যি, সংখ্যার বিবেচনায় সেই ছবির পরিমাণ খুব কম।
আজকের পত্রিকা: ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ যদি কানে না যেত, কিংবা সাদ যদি অ্যাওয়ার্ডেড না হতেন, তাহলে কি প্রযোজনার ইচ্ছেটা দমে যেত?
সবুজ: এটাই কিন্তু আমার প্রথম প্রযোজনা নয়। যেকোনো ধরনের সম্মাননা কাজে উৎসাহ জোগায় সত্যি, তবে আমার কাছে অ্যাওয়ার্ডের চেয়ে দায়বদ্ধতা এবং ভালো কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টাই ছিল মুখ্য। আমার বিশ্বাস এমন ইচ্ছা আমাদের অনেকেরই আছে। কেবল সমন্বয়টা হলেই আমাদের চলচ্চিত্রের চেহারা বদলে যাবে। সাদের ছবির কথাই যদি ধরেন, কান উৎসবে অফিশিয়াল আমন্ত্রণ পেয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে একটা মাইলফলক তৈরি করল। সাদের মতো নির্মাতারা চেষ্টা করছেন একটু একটু করে হলেও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এখন আমাদের দায়িত্ব সেই চেষ্টাকে একটা পরিপূর্ণ অবয়ব দেওয়ার।
কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়ে আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ নির্মিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ এখন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে একটি মাইলফলক। এই সাফল্যে গর্বিত চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট সবাই। চলচ্চিত্র প্রযোজনা এবং অন্যান্য বিষয়ে কথা বলেছেন এই ছবির অন্যতম প্রযোজক সাইদুল হক খন্দকার সবুজ। কথোপকথনে ছিলেন এম এস রানা
আজকের পত্রিকা: কী ভেবে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ ছবিতে অর্থ লগ্নি করলেন?
সাইদুল হক খন্দকার সবুজ: ২০১২ সালে আমি, ওয়াহিদ তারেক, গোলাম হায়দার কিসলু আর আদনান হাবীব মিলে ফ্রি ফলস স্টুডিও নামে একটি প্রোডাকশন হাউস শুরু করি। আমরা মূলত বিজ্ঞাপন বানাতাম। সাদ আমাদের খুবই ঘনিষ্ঠ। ওর সবচেয়ে বড় গুণ, যতটুকু সামর্থ্য আছে তা নিয়েই একটা ভালো ছবি বানাতে চায়। সাদের প্রথম ছবি ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’ দিয়েই সেটা প্রমাণ করেছে। ছবিটি তখন সিঙ্গাপুর ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা পরিচালকের পুরস্কারও জিতেছে। সাদ সব সময় ফিল্ম নিয়েই ভাবে। ফিল্মই তার একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান আর স্বপ্ন। তাই সাদ যখন ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ বানানোর কথা জানাল, আমি সায় দিলাম। আমি ছাড়া আরও চারজন প্রযোজক আছেন—জেরেমি চুয়া, রাজিব মহাজন, এহসানুল হক বাবু ও আদনান হাবীব।
আজকের পত্রিকা: এই ছবিতেই কেন? সাদের আগের ছবির সফলতা দেখে?
সবুজ: একদমই না। সাদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমাদের আগে থেকেই আছে। চলচ্চিত্রের প্রতি সে চরম ডেডিকেটেড। তার ওপর ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ নিয়ে তার প্যাশন আমাকে অবাক করেছে। এই ছবির জন্য সে বেশ কয়েকটা বিজ্ঞাপন ছেড়ে দিয়েছে, অন্য সব ধরনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। দিন–রাত সে এই ফিল্ম নিয়েই ভাবছে, খাচ্ছে, কাজ করছে। তার এই ডেডিকেশনটা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমার বিশ্বাস ছিল সে একটা ভালো ছবি বানানোর সক্ষমতা রাখে। এই ছবি দেশের হলে ব্যাপকভাবে মুক্তি না–ও পেতে পারে, আবার আন্তর্জাতিকভাবে সম্মাননা না–ও পেতে পারে। তবু একটা ভালো ছবি তৈরির চেষ্টার সঙ্গে থাকার জন্য, একধরনের দায়বদ্ধতা থেকেই এই লগ্নি করা।
আজকের পত্রিকা: ছবিটি দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হবে? যদি হয় তাহলে কেমন সাড়া পাবেন বলে আশা করছেন?
সবুজ: অবশ্যই মুক্তি দেওয়া হবে। কেমন সাড়া পাব, সেটা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তবে যাঁরা সত্যিই ভালো মানের ছবি দেখতে চান, তাঁদের ভালো লাগবে এটা হলফ করে বলতে পারি।
আজকের পত্রিকা: সাধারণত এ ধরনের ছবি দেশের সব হলে মুক্তি পেতে দেখি না। আপনারা কি সারা দেশে মুক্তি দিতে পারবেন?
সবুজ: হয়তো পারব না। সেটা আশাও করছি না। তবে এটা সত্যি, আমাদের হলগুলোর পরিবেশ সময়োপযোগী নয়, এক কথায় ভালো না। শুনেছি, হলের মালিকেরা ভালো ছবির অভাবে নতুন করে হলগুলোতে লগ্নি করতে পারছেন না। আবার ভালো হলের অভাবে লগ্নিকারকেরা ভালো মানের ছবিতে ইনভেস্ট করতে চাইছেন না। পুরো বিষয়টার একটা সমন্বয় হওয়া দরকার। দুটো কাজই একসঙ্গে এগিয়ে নিতে হবে, তা না হলে হবে না। দেশে প্রচুর মেধা আছে, যারা ভালো ছবি বানাতে সক্ষম, কিন্তু ছবি চালানোর সংকটে তাঁরাও হতাশ হয়ে পড়ছেন।
আজকের পত্রিকা: ২০০২ সালে কানের প্যারালার বিভাগ ‘ডিক্টের ফোর্টনাইট’-এ মনোনীত হয়েছিল তারেক মাসুদের ‘মাটির ময়না’। কান উৎসবে সেটাই ছিল আমাদের বড় পাওয়া। কানে অংশ নেওয়ার আগে পর্যন্ত ছবিটি হলে মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিলেন নির্মাতা। তথাকথিত বিকল্পধারার এই ছবিগুলো হলে প্রদর্শনের জন্য কি অ্যাওয়ার্ড পাওয়া বা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া জরুরি হয়ে পড়ছে?
সবুজ: আমার স্থান থেকে আমি ওভাবে বলতে পারছি না। তবে এটা ঠিক, এ ধরনের ছবির দর্শক তো আমজনতা নয়, তাই স্বীকৃতিগুলো দর্শককে হলে আসার ব্যাপারে অনুপ্রাণিত করে।
আজকের পত্রিকা: যদিও বিষয়টা আপেক্ষিক, তবু জানতে চাই আন্তর্জাতিক মানের ছবি বানানোর সক্ষমতা আমাদের কতটুকু আছে?
সবুজ: আসলেই বিষয়টা আপেক্ষিক। তবে আমাদের যতটুকু আছে, ততটুকু নিয়েই চেষ্টা করতে হবে। যা আছে তা নিয়েই আন্তর্জাতিক মানের ছবি তৈরি সম্ভব। ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ই তার জ্বলন্ত প্রমাণ। সাদ তো জীবনের সবটাই দিয়ে দিচ্ছে চলচ্চিত্রের জন্য। শুধু টেকনিক্যাল সাপোর্ট বা অর্থ লগ্নিই মূল বিষয় নয়। ভালো ছবির জন্য ডেডিকেশনটাও খুব জরুরি।
আজকের পত্রিকা: শেষ পর্যন্ত যদি বিজনেস না হয়, তাহলে কি ভবিষ্যতে ছবি প্রযোজনার ইচ্ছেটা থাকবে?
সবুজ: আমি বিজনেসের কথা একদমই চিন্তা করিনি। একটা ভালো ছবিকে উৎসাহ দিতে, ভালো কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার ইচ্ছা থেকেই প্রোডিউস করেছি। আমি বিশ্বাস করি, অনেকেই আছেন যাঁরা ভালো ছবিকে প্রমোট করতে চান। তাঁদের সঙ্গে একটা মেলবন্ধন দরকার। তবেই দেশের চলচ্চিত্র একটা নতুন মাত্রা পাবে।
আজকের পত্রিকা: এ বিষয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? হল সংস্করণের কথা বলছিলেন, সে বিষয়েও কোনো পরিকল্পনা থাকলে বলবেন?
সবুজ: ইচ্ছা তো অনেক, কিন্তু সামর্থ্যের তো সীমাবদ্ধতা আছে। চেষ্টা করছি ভালো ছবির সঙ্গে থাকতে। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ ছবির সফলতা নিশ্চয়ই সবাইকে অনুপ্রেরণা জোগাবে। আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সফলতা মেধাবীদের পথ দেখাবে। আর হলের বিষয়ে আগেও ভেবেছি। একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথাও বলেছিলাম। তবে পুরো বিষয়টি বড় ইনভেস্টের ব্যাপার। সম্মিলিত চেষ্টাতেই এটা সহজ হবে।
আজকের পত্রিকা: আর কোনো ছবিতে ইনভেস্ট করেছেন?
সবুজ: সাদের এই ছবির আগে ওয়াহিদ তারেকের ‘আলগা নোঙর’ ছবিতে করেছি। ছবিটি এখনো রিলিজ হয়নি। কেউ যদি ভালো পরিকল্পনা নিয়ে আসেন, অবশ্যই সঙ্গে থাকার চেষ্টা করব।
আজকের পত্রিকা: আপনার কি মনে হয় আমরা ভালো মানের ছবি তৈরি করতে পারছি?
সবুজ: অবশ্যই পারছি। তা না হলে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলোতে আমাদের ছবি সম্মানিত হতো না। তবে এটা সত্যি, সংখ্যার বিবেচনায় সেই ছবির পরিমাণ খুব কম।
আজকের পত্রিকা: ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ যদি কানে না যেত, কিংবা সাদ যদি অ্যাওয়ার্ডেড না হতেন, তাহলে কি প্রযোজনার ইচ্ছেটা দমে যেত?
সবুজ: এটাই কিন্তু আমার প্রথম প্রযোজনা নয়। যেকোনো ধরনের সম্মাননা কাজে উৎসাহ জোগায় সত্যি, তবে আমার কাছে অ্যাওয়ার্ডের চেয়ে দায়বদ্ধতা এবং ভালো কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টাই ছিল মুখ্য। আমার বিশ্বাস এমন ইচ্ছা আমাদের অনেকেরই আছে। কেবল সমন্বয়টা হলেই আমাদের চলচ্চিত্রের চেহারা বদলে যাবে। সাদের ছবির কথাই যদি ধরেন, কান উৎসবে অফিশিয়াল আমন্ত্রণ পেয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে একটা মাইলফলক তৈরি করল। সাদের মতো নির্মাতারা চেষ্টা করছেন একটু একটু করে হলেও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এখন আমাদের দায়িত্ব সেই চেষ্টাকে একটা পরিপূর্ণ অবয়ব দেওয়ার।
আগামী ৪ ডিসেম্বর শুরু হবে ৩০তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এবারের উৎসবে অংশ নেবে বিভিন্ন দেশের ২০০টির বেশি সিনেমা। তবে রাখা হয়নি না বাংলাদেশের কোনো সিনেমা।
৩ ঘণ্টা আগেঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও অভিষেক বচ্চন দম্পতির ঘর ভাঙার গুঞ্জন এখন বলিউডের লোকের মুখে মুখে। এই তারকা দম্পতির বিচ্ছেদের গুঞ্জন ঘিরে একের পর এক তথ্য সামনে আসছে। কখনো সংসারে বনিবনা না হওয়া কখনোবা তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশের কথাও শোনা যাচ্ছে। যদিও এ নিয়ে কুলুপ এঁটে ছিলেন পুরো বচ্চন পরিবার। এসবের মধ্যেই নিজের ব্ল
৪ ঘণ্টা আগেশুধু কিং খানই নন, তাঁর নিশানায় ছিলেন বাদশাপুত্র আরিয়ান খানও। শাহরুখের নিরাপত্তাবলয়ের বিষয়েও খুঁটিনাটি তথ্য ইন্টারনেট ঘেঁটে জোগাড় করেছিলেন ফয়জান। এমনকি শাহরুখ এবং আরিয়ান নিত্যদিন কোথায়, কখন যেতেন, কী করতেন সমস্ত গতিবিধির ওপর নজর ছিল ধৃতর। পুলিশি সূত্রে খবর, রীতিমতো আটঘাট বেঁধে শাহরুখ খানকে খুনের হুম
৭ ঘণ্টা আগেগত বছরের শেষ দিকে ‘নীলচক্র’ সিনেমার খবর দিয়েছিলেন আরিফিন শুভ। এতে শুভর বিপরীতে অভিনয় করেছেন মন্দিরা চক্রবর্তী। শুটিং শেষে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। ট্রেন্ডি ও সমসাময়িক গল্পে নীলচক্র বানিয়েছেন মিঠু খান।
৯ ঘণ্টা আগে