সাফল্যের সিঁড়িতে ফারিন

বিনোদন ডেস্ক
আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২১, ১১: ৩৭
Thumbnail image

ব্যস্ত অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিন। ক্যারিয়ারের বয়স খুব বেশি না হলেও প্রশংসিত অভিনয়ে নিজেকে আলোচনায় রাখছেন। তাঁর সাফল্যের সিঁড়ি ভাঙার গল্প শোনা গেল।

মডেলিং থেকে ২০১৮ সালে অভিনয় শুরু। অভিনয়ে নিয়মিত হয়েছেন ২০১৯ সালে। পড়াশোনারও একটা পার্ট শেষ হয়েছে, অনার্স কমপ্লিট। চুটিয়ে অভিনয়ের পালা। দর্শকের কাছে পরিচিতি পাওয়া শুরু করলেন, চলে এলো মহামারি করোনা। ফারিন থেমে থাকেননি করোনাকালেও। গত দুই ঈদে ৩০টির বেশি নাটক প্রচার হয়েছে। এবছর সংখ্যাটা আরো বাড়বে।

এক ঈদে কমপক্ষে ১৫টা নাটক করলে মানের সঙ্গে আপস করতে হয় না?

‘আমি কোন একটা জনরায় নিজেকে বন্দি রাখতে চাই না। যেমন ‘শহর ছেড়ে পরানপুর’ নাটকে খুব ছোট একটা চরিত্র করেছি। কিন্তু সেটা আমি করেছি। আমার সব ধরনের কাজ করা উচিত। সেই জায়গা থেকে যদি সংখ্যাটা আরো বেশি হতো সেটাও কোনো সমস্যা মনে করি না। যদি আমি সব ধরনের কাজের সুযোগ পাই তাহলে কেন করবো না। মানুষ যে আমাকে নিয়ে ভাবছে এটাই কি কিছু বড় কথা নয়? তাছাড়া যত বেশি ক্যারেক্টার করতে পারবো আমার পোর্টফোলিও অতটা ভারী হবে। বিভিন্ন ক্যারেক্টার দেখে যেন আমাকে বিভিন্ন জায়গায় কল্পনা করতে পারেন পরিচালকরা।’ বললেন ফারিন।

 ছবি: ইনস্টাগ্রাম

মোশাররফ করিম, অপূর্ব, আফরান নিশো, তাহসান, ইন্তেখাব দিনারদের মতো অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে অভিনয় করছেন নিয়মিত। ক্যারিয়ারের শুরুতেই বিপরীতে বড় তারকার সঙ্গে অভিনয় করার সুযোগটা কি পরিচিত পাওয়া সহজ করেছে?

‘ভালো সহশিল্পী অবশ্যই বড় ব্যাপার। মোশাররফ ভাইয়ের সঙ্গে ‘এই শহরে টাকা উড়ে’তে যে অভিনয় করেছি। আমি তার অভিনয় কাছ থেকে দেখেছি। বলতে পারেন আমার জন্য একটা কর্মশালা হয়ে গেছে। নিশো ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করলে সে বলে দেবে ফারিন এভাবে করলে কিন্তু ভালো হতে পারে। অপূর্ব ভাই ধীরে সুস্থে প্রতিটা শর্ট দেবেন। মানে এদের প্রত্যেকের সঙ্গে কাজ করা মানে আমি নতুন কিছু শিখছি। তবে আমি কোন চরিত্রটা করলাম সেটা বড় ব্যাপার। নির্দিষ্ট কারো সঙ্গে নিজেকে বন্দি রাখলে আমি নিজেই সে কাজ দেখলে বিরক্ত হবো। আর আমি যাদের সঙ্গেই কাজ করি, সেটা এ প্রজন্মের কেউ হলেও আমি আমার চরিত্রটা নিয়েই বেশি টেনশন করি। আমি কতটা পারলাম সেটা বড় ব্যাপার।’

আমাদের নীরবতাই ওদের সাহস। তাই নারীর প্রতি সহিংসতায় আর এক চুলও ছাড় নয়, সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও টিভি চ্যানেলেগুলোতে জুঁই নারিকেল তেলের এই সাহসী বিজ্ঞাপনটি প্রচারিত হয়। আমাদের মেয়েরা জীবনের সব ক্ষেত্রে এক চুলও ছাড় না দিয়ে এগিয়ে যাবে, বাংলাদেশের হেয়ার কেয়ার ব্র্যান্ড জুঁই এমনই বিশ্বাস করে। সেই দায়িত্ব থেকেই বিজ্ঞাপনটিতে জুঁই মেয়েদের প্রতি যে কোনো সহিংসহার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে বলে। এই ধারাবাহিকতায় এবার নীরবতা ভাঙার নতুন গল্পে জুঁই নারিকেল তেলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন ফারিন।

বিজ্ঞাপনটি এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাড়া ফেলেছে। গতবারের মত এবারও বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ করেছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ফারিন বলেন, ‘জুঁইয়ের আগের আলোচিত কাজটি আমি দেখেছি। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন বিজ্ঞাপনটি হয়েছে। জুঁইয়ের সঙ্গে এই প্রজেক্টে যুক্ত হতে পেরে একজন নারী হিসেবে আমি প্রাউড ফিল করছি, সেসঙ্গে একজন অভিনেত্রী হিসেবে আমার দায়িত্ববোধ থেকে কাজটি করা’।

 ছবি: ইনস্টাগ্রাম

গতবছর ‘আমাদের নীরবতাই ওদের সাহস’ ট্যাগলাইনে বিজ্ঞাপনটি প্রচারের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে মেয়েদের মধ্যে তুমুল আলোচনা সৃষ্টি করেছিলো। ভিডিওটি এখন পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ বার দেখা হয়েছে।

ঈদের নাটক শুটিং শেষে এখন ফের ঘরবন্দি। শিঘ্রই কাজে ফিরছেন না। অনেকগুলো নাটকের অফার আসছে। তবে সেগুলোর কাজ করবেন কিনা ভাবছেন। কারণ করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেছে। আর এই ঘরবন্দি সময়টা কাটে নানা উপায়ে। ‘আমি একদমই রান্না পারতাম না। এখন প্রায় প্রতিদিনই বাসার মানুষের জন্য কিছু না কিছু রান্না করা হয়। গত বছরেই রান্নাটা শেখা হয়েছে। এমনকি গত ঈদে ৮/১০ পদের রান্না করেছি। এবার ঈদেও প্ল্যান আছে রান্না করার। তাছাড়া লেখালেখি, শরীরচর্চা, বই পড়া, সিনেমা দেখা এগুলো তো আছেই।’

ফেসবুকে না থাকলেও ইনস্ট্রাগ্রামে আছেন ফারিন। সেখানেই কিছু কাভার সং পাওয়া যায়। ‘লক ডাউনে সবচেয়ে বড় যে উপকারটা হয়েছে তা হলো গানের চর্চাটা আবার শুরু করতে পেরেছি। সেই সুবাধেই গানগুলো প্রকাশ করেছি। একটা গান যখন প্রকাশ করি তখন সেটা নিয়ে এখন নাটকের চেয়েও অনেক বেশি এক্সাইটিং থাকি। কে কি কমেন্ট করলেন সেটা বারবার চেক করি। খুব ভালো লাগছে। নিজেকে গায়িকা গায়িকা লাগছে, হা হা হা’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত