বিনোদন ডেস্ক
১৯২৯ সালের আজকের এই দিনে শুরু হয়েছিল অস্কারের যাত্রা। প্রথমে ছোটখাটো আয়োজন দিয়ে সাজানো থাকলেও এটি এখন বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র সম্মাননা। প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে অস্কারের আসর বসে। এই আসরে সেরাদের সোনালি রঙের মানব আকৃতি একটি ট্রফি দেওয়া হয়। প্রায় ৩ দশমিক ৬ কেজি ওজনের এই ট্রফির দৈর্ঘ্য সাড়ে ১৩ ইঞ্চি। গত ৯৫ বছরে মোট ৩ হাজার ১৪০টি ট্রফি বিতরণ করা হয়।
এখন অস্কার অনুষ্ঠান দেখতে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি দর্শক টিভি সেটের সামনে বসে থাকে। অস্কার পুরস্কার গ্রহণ করা যে কোনো পরিচালক, অভিনয়শিল্পী ও চলচ্চিত্র নির্মাণে যুক্ত সবার জন্য বিশেষ একটি মুহূর্ত। তবে শুরুতেই এই পুরস্কারের নাম অস্কার ছিল না। এই নামকরণের সঙ্গে জড়িয়ে আছে মজার এক গল্প।
একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস পুরস্কারটি চালুর ১০ বছর পর ট্রফির অস্কার নামকরণ হয়।
ইতিহাস: যেভাবে অস্কার এল
চলচ্চিত্র বিষয়ক বিজ্ঞান ও শিল্পকলার উন্নয়নের লক্ষে ১৯২৭ সালের ১১ মে একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস গঠন করা হয়। এর গঠনের কিছুদিন পরেই, নতুন সংগঠনটি তাদের লক্ষ্য নির্ধারণের জন্য লস অ্যাঞ্জেলেসের বিল্টমোর হোটেলের ক্রিস্টাল বলরুমে একটি নৈশভোজের আয়োজন করে। সেই রাতে আলোচিত বিষয়গুলির মধ্যে ছিল কীভাবে অসামান্য চলচ্চিত্র নির্মাণের কৃতিত্বকে সর্বোত্তম সম্মান দেওয়া যায়। সেখানেই সর্বসম্মতিক্রমে বার্ষিক পুরস্কারের প্রস্তাবনা পাশ হয়।
১৯২৯ সালের ১৬ মে হলিউড বুলভার্ডের হোটেল রুজভেল্টে বসে প্রথম অস্কার অনুষ্ঠানের আসর। ১৯২৭ সালের ১ আগস্ট থেকে ১৯২৮ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোকে অস্কারের প্রথম আসরের জন্য বিবেচনা করা হয়। টিকিটের দাম নির্ধারণ করা হয় ৫ ডলার, যেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন ২৭০ জন অতিথি। অনুষ্ঠানটির ব্যাপ্তি ছিল মাত্র ১৫ মিনিট। এটি একমাত্র একাডেমি পুরস্কার অনুষ্ঠান যা রেডিও বা টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়নি; ২য় একাডেমি পুরস্কার একটি রেডিও সম্প্রচার করা হয়েছিল।
একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের অস্কার নামকরণ নিয়ে বেশ কিছু গল্প প্রচলিত আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় গল্পটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের গ্রন্থাগারিক মার্গারেট হ্যারিকের নাম। ট্রফির চোখমুখ ও কঠোর-কঠিন ভ্রু-জোড়া দেখে নিজের চাচার সঙ্গে মিল আছে বরে মজা করেন তিনি। ঘটনাচক্রে তার ওই চাচার নাম ছিল অস্কার। সেখান থেকেই ট্রফির নাম আসে বলে জনশ্রুতি।
চলচ্চিত্র সমালোচক ও সমাজবিজ্ঞানী ইমানুয়েল লেভি তাঁর ‘অল অ্যাবাউট অস্কার: দ্য হিস্ট্রি অ্যান্ড পলিটিকস অব দ্য একাডেমি অ্যাওয়ার্ডস’ বইয়ে উল্লেখ করেন, ঠাট্টাচ্ছলে মার্গারেটের ওই তুলনার পর থেকে একাডেমির কর্মচারীরা মূর্তিটিকে খানিকটা আদর করেই অস্কার বলে ডাকা শুরু করেন। মার্গারেট পরে একাডেমির নির্বাহী পরিচালক হয়েছিলেন।
ছাপার অক্ষরে প্রথম ‘অস্কার’ শব্দটি ব্যবহার করেন হলিউডের জনপ্রিয় কলামিস্ট সিডনি স্কোলস্কি। ১৯৩৪ সালে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার ক্যাথরিন হেপবার্নের ঝুলিতে যুক্ত হলে স্কোলস্কি তাঁর নিবন্ধে অস্কার শব্দটি ব্যবহার করেন। ১৯৩৯ সালে ‘একাডেমি অ্যাওয়ার্ড অব মেরিট’ ট্রফির নাম হিসেবে অস্কার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃত পায়।
‘একাডেমি অ্যাওয়ার্ড অব মেরিট’ বা অস্কার ট্রফির নকশা প্রণয়ন এবং তৈরির পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন বিখ্যাত হলিউড স্টুডিও এমজিএমের আর্ট ডিরেক্টর সেড্রিক গিবন্স ও ভাস্কর জর্জ স্ট্যানলি। গিবন্সের করা অস্কার মূর্তিটির একদম মূল নকশায় তলোয়ার হাতে এক নাইটকে ফিল্মের রিলের ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সেই রিলের ৫টি স্পোক চলচ্চিত্রের ৫টি ভিন্ন অনুষঙ্গের প্রতিনিধিত্ব করে। সেগুলো হচ্ছে-অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক, যন্ত্রকর্মী এবং চিত্রনাট্যকার। তলোয়ার দিয়ে এই শিল্পের অগ্রগতি রক্ষার বিষয়টিকে প্রতীকায়িত করা হয়েছে।
গিবন্সের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে মূল নকশায় বেশ কিছুটা পরিবর্তন এনে একে বর্তমান ত্রিমাত্রিক রূপ দেন জর্জ স্ট্যানলি। অনেকের ধারণা, মেক্সিকান চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং অভিনেতা এমিলিও ফার্নান্দেজের দেহাবয়বের আদলে মূর্তিটি বানানো। তবে কেউ কেউ তা অস্বীকার করেন।
আগে সাড়ে ৮ পাউন্ড ওজনের এই মূর্তিটিকে শক্ত ব্রোঞ্জে রূপান্তর করে তার ওপর ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের প্রলেপ দেওয়া হত। তবে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পদ্ধতিতে পরিবর্তন এসেছে। এখন ত্রিমাত্রিক প্রিন্টারের সাহায্যে ডিজিটাল অস্কারের ছাঁচ বের করা হয়। ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে তাপে ব্রোঞ্জ গলিয়ে সেই ছাঁচের সিরামিক শেলের ভেতরে ঢালা হয়। ঠান্ডা হয়ে গেলে সেটাকে শেল থেকে বের করে ইলেকট্রোপ্লেটিংয়ের সাহায্যে ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের প্রলেপ দেওয়া হয়।
বিক্রি করা যায় না ‘অস্কার’
অস্কারের প্রাপকরা তাঁদের ট্রফি বিক্রি করতে পারেন না। ট্রফিটি তাঁরা বাড়ি নিয়ে যাওয়ার আগে, অবশ্যই এটি বিক্রি বা নিষ্পত্তি না করার বিষয়ে সম্মত একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে হয়। এটিকে একমাত্র প্রতীকী ১ ডলারে একাডেমিতে ফিরিয়ে দেওয়া যায়।
প্রথম আসরে পুরস্কার পেয়েছিলেন যাঁরা
বর্তমান ২৪টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দিলেও উদ্বোধনী অস্কার অনুষ্ঠানে ১২টি বিভাগ ছিল। এ অনুষ্ঠানের কয়েক মাস আগেই বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। ফলে কোনও চমকই ছিল না!
প্রথম সেরা ছবির পুরস্কার জিতে উইলিয়াম এ. ওয়েলম্যান পরিচালিত ‘উইংস’। প্রথম অস্কার গ্রহণ করেছিলেন জার্মান অভিনেতা এমিল জেনিংস। দুই নির্বাক ছবি ‘দ্য লাস্ট কমান্ড’ (১৯২৮) ও ‘দ্য ওয়ে অব অল ফ্লেশ’ (১৯২৭) তাকে এনে দেয় সেরা অভিনেতার পুরস্কার। সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার গ্রহণ করেন অভিনেত্রী জ্যানেট গেনর। আর সেরা পরিচালকের পুরস্কার গ্রহণ করেন ফ্র্যাঙ্ক বোর্জেজ ও লুইস মাইলস্টোন। চার্লি চ্যাপলিন এবং প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্নার ব্রাদার্সকে সম্মানসূচক পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।
অস্কার মঞ্চে লাল গালিচা এল যেভাবে
অস্কারে প্রথমে লাল গালিচার প্রচলন ছিল না। ৩১ বছর পর ১৯৬০ সালে প্রথমবার লাল গালিচার ব্যবস্থা রাখা হয়। তার আগে, অংশগ্রহণকারীরা খুব ধুমধাম ছাড়াই কেবল অনুষ্ঠানস্থলে চলে যেতেন। দিনদিন লাল গালিচা প্রবেশদ্বারটি চটকদার দর্শনে রূপান্তরিত হচ্ছে। এখন লাল গালিচাকে কমনীয়তা এবং প্রত্যাশার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, কারণ বিশ্বব্যাপী দর্শকেরা তাদের প্রিয় তারকাদের এক ঝলক দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন।
১৯২৯ সালের আজকের এই দিনে শুরু হয়েছিল অস্কারের যাত্রা। প্রথমে ছোটখাটো আয়োজন দিয়ে সাজানো থাকলেও এটি এখন বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র সম্মাননা। প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে অস্কারের আসর বসে। এই আসরে সেরাদের সোনালি রঙের মানব আকৃতি একটি ট্রফি দেওয়া হয়। প্রায় ৩ দশমিক ৬ কেজি ওজনের এই ট্রফির দৈর্ঘ্য সাড়ে ১৩ ইঞ্চি। গত ৯৫ বছরে মোট ৩ হাজার ১৪০টি ট্রফি বিতরণ করা হয়।
এখন অস্কার অনুষ্ঠান দেখতে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি দর্শক টিভি সেটের সামনে বসে থাকে। অস্কার পুরস্কার গ্রহণ করা যে কোনো পরিচালক, অভিনয়শিল্পী ও চলচ্চিত্র নির্মাণে যুক্ত সবার জন্য বিশেষ একটি মুহূর্ত। তবে শুরুতেই এই পুরস্কারের নাম অস্কার ছিল না। এই নামকরণের সঙ্গে জড়িয়ে আছে মজার এক গল্প।
একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস পুরস্কারটি চালুর ১০ বছর পর ট্রফির অস্কার নামকরণ হয়।
ইতিহাস: যেভাবে অস্কার এল
চলচ্চিত্র বিষয়ক বিজ্ঞান ও শিল্পকলার উন্নয়নের লক্ষে ১৯২৭ সালের ১১ মে একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস গঠন করা হয়। এর গঠনের কিছুদিন পরেই, নতুন সংগঠনটি তাদের লক্ষ্য নির্ধারণের জন্য লস অ্যাঞ্জেলেসের বিল্টমোর হোটেলের ক্রিস্টাল বলরুমে একটি নৈশভোজের আয়োজন করে। সেই রাতে আলোচিত বিষয়গুলির মধ্যে ছিল কীভাবে অসামান্য চলচ্চিত্র নির্মাণের কৃতিত্বকে সর্বোত্তম সম্মান দেওয়া যায়। সেখানেই সর্বসম্মতিক্রমে বার্ষিক পুরস্কারের প্রস্তাবনা পাশ হয়।
১৯২৯ সালের ১৬ মে হলিউড বুলভার্ডের হোটেল রুজভেল্টে বসে প্রথম অস্কার অনুষ্ঠানের আসর। ১৯২৭ সালের ১ আগস্ট থেকে ১৯২৮ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোকে অস্কারের প্রথম আসরের জন্য বিবেচনা করা হয়। টিকিটের দাম নির্ধারণ করা হয় ৫ ডলার, যেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন ২৭০ জন অতিথি। অনুষ্ঠানটির ব্যাপ্তি ছিল মাত্র ১৫ মিনিট। এটি একমাত্র একাডেমি পুরস্কার অনুষ্ঠান যা রেডিও বা টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়নি; ২য় একাডেমি পুরস্কার একটি রেডিও সম্প্রচার করা হয়েছিল।
একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের অস্কার নামকরণ নিয়ে বেশ কিছু গল্প প্রচলিত আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় গল্পটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের গ্রন্থাগারিক মার্গারেট হ্যারিকের নাম। ট্রফির চোখমুখ ও কঠোর-কঠিন ভ্রু-জোড়া দেখে নিজের চাচার সঙ্গে মিল আছে বরে মজা করেন তিনি। ঘটনাচক্রে তার ওই চাচার নাম ছিল অস্কার। সেখান থেকেই ট্রফির নাম আসে বলে জনশ্রুতি।
চলচ্চিত্র সমালোচক ও সমাজবিজ্ঞানী ইমানুয়েল লেভি তাঁর ‘অল অ্যাবাউট অস্কার: দ্য হিস্ট্রি অ্যান্ড পলিটিকস অব দ্য একাডেমি অ্যাওয়ার্ডস’ বইয়ে উল্লেখ করেন, ঠাট্টাচ্ছলে মার্গারেটের ওই তুলনার পর থেকে একাডেমির কর্মচারীরা মূর্তিটিকে খানিকটা আদর করেই অস্কার বলে ডাকা শুরু করেন। মার্গারেট পরে একাডেমির নির্বাহী পরিচালক হয়েছিলেন।
ছাপার অক্ষরে প্রথম ‘অস্কার’ শব্দটি ব্যবহার করেন হলিউডের জনপ্রিয় কলামিস্ট সিডনি স্কোলস্কি। ১৯৩৪ সালে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার ক্যাথরিন হেপবার্নের ঝুলিতে যুক্ত হলে স্কোলস্কি তাঁর নিবন্ধে অস্কার শব্দটি ব্যবহার করেন। ১৯৩৯ সালে ‘একাডেমি অ্যাওয়ার্ড অব মেরিট’ ট্রফির নাম হিসেবে অস্কার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃত পায়।
‘একাডেমি অ্যাওয়ার্ড অব মেরিট’ বা অস্কার ট্রফির নকশা প্রণয়ন এবং তৈরির পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন বিখ্যাত হলিউড স্টুডিও এমজিএমের আর্ট ডিরেক্টর সেড্রিক গিবন্স ও ভাস্কর জর্জ স্ট্যানলি। গিবন্সের করা অস্কার মূর্তিটির একদম মূল নকশায় তলোয়ার হাতে এক নাইটকে ফিল্মের রিলের ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সেই রিলের ৫টি স্পোক চলচ্চিত্রের ৫টি ভিন্ন অনুষঙ্গের প্রতিনিধিত্ব করে। সেগুলো হচ্ছে-অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক, যন্ত্রকর্মী এবং চিত্রনাট্যকার। তলোয়ার দিয়ে এই শিল্পের অগ্রগতি রক্ষার বিষয়টিকে প্রতীকায়িত করা হয়েছে।
গিবন্সের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে মূল নকশায় বেশ কিছুটা পরিবর্তন এনে একে বর্তমান ত্রিমাত্রিক রূপ দেন জর্জ স্ট্যানলি। অনেকের ধারণা, মেক্সিকান চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং অভিনেতা এমিলিও ফার্নান্দেজের দেহাবয়বের আদলে মূর্তিটি বানানো। তবে কেউ কেউ তা অস্বীকার করেন।
আগে সাড়ে ৮ পাউন্ড ওজনের এই মূর্তিটিকে শক্ত ব্রোঞ্জে রূপান্তর করে তার ওপর ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের প্রলেপ দেওয়া হত। তবে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পদ্ধতিতে পরিবর্তন এসেছে। এখন ত্রিমাত্রিক প্রিন্টারের সাহায্যে ডিজিটাল অস্কারের ছাঁচ বের করা হয়। ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে তাপে ব্রোঞ্জ গলিয়ে সেই ছাঁচের সিরামিক শেলের ভেতরে ঢালা হয়। ঠান্ডা হয়ে গেলে সেটাকে শেল থেকে বের করে ইলেকট্রোপ্লেটিংয়ের সাহায্যে ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের প্রলেপ দেওয়া হয়।
বিক্রি করা যায় না ‘অস্কার’
অস্কারের প্রাপকরা তাঁদের ট্রফি বিক্রি করতে পারেন না। ট্রফিটি তাঁরা বাড়ি নিয়ে যাওয়ার আগে, অবশ্যই এটি বিক্রি বা নিষ্পত্তি না করার বিষয়ে সম্মত একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে হয়। এটিকে একমাত্র প্রতীকী ১ ডলারে একাডেমিতে ফিরিয়ে দেওয়া যায়।
প্রথম আসরে পুরস্কার পেয়েছিলেন যাঁরা
বর্তমান ২৪টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দিলেও উদ্বোধনী অস্কার অনুষ্ঠানে ১২টি বিভাগ ছিল। এ অনুষ্ঠানের কয়েক মাস আগেই বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। ফলে কোনও চমকই ছিল না!
প্রথম সেরা ছবির পুরস্কার জিতে উইলিয়াম এ. ওয়েলম্যান পরিচালিত ‘উইংস’। প্রথম অস্কার গ্রহণ করেছিলেন জার্মান অভিনেতা এমিল জেনিংস। দুই নির্বাক ছবি ‘দ্য লাস্ট কমান্ড’ (১৯২৮) ও ‘দ্য ওয়ে অব অল ফ্লেশ’ (১৯২৭) তাকে এনে দেয় সেরা অভিনেতার পুরস্কার। সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার গ্রহণ করেন অভিনেত্রী জ্যানেট গেনর। আর সেরা পরিচালকের পুরস্কার গ্রহণ করেন ফ্র্যাঙ্ক বোর্জেজ ও লুইস মাইলস্টোন। চার্লি চ্যাপলিন এবং প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্নার ব্রাদার্সকে সম্মানসূচক পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।
অস্কার মঞ্চে লাল গালিচা এল যেভাবে
অস্কারে প্রথমে লাল গালিচার প্রচলন ছিল না। ৩১ বছর পর ১৯৬০ সালে প্রথমবার লাল গালিচার ব্যবস্থা রাখা হয়। তার আগে, অংশগ্রহণকারীরা খুব ধুমধাম ছাড়াই কেবল অনুষ্ঠানস্থলে চলে যেতেন। দিনদিন লাল গালিচা প্রবেশদ্বারটি চটকদার দর্শনে রূপান্তরিত হচ্ছে। এখন লাল গালিচাকে কমনীয়তা এবং প্রত্যাশার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, কারণ বিশ্বব্যাপী দর্শকেরা তাদের প্রিয় তারকাদের এক ঝলক দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন।
গত বছরের শেষ দিকে ‘নীলচক্র’ সিনেমার খবর দিয়েছিলেন আরিফিন শুভ। এতে শুভর বিপরীতে অভিনয় করেছেন মন্দিরা চক্রবর্তী। শুটিং শেষে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। ট্রেন্ডি ও সমসাময়িক গল্পে নীলচক্র বানিয়েছেন মিঠু খান।
২ ঘণ্টা আগেগত মার্চে প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদ্যাপন উপলক্ষে দুই মাসের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যায় ব্যান্ড সোলস। সেই সফরে ছিলেন না ভোকাল নাসিম আলী খান। সেই সময় গুঞ্জন উঠেছিল, সোলসের সঙ্গে ৪৫ বছরের সম্পর্কের ইতি টানছেন কণ্ঠশিল্পী নাসিম।
২ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ ১৫ বছর বিটিভির কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করছেন সংগীতশিল্পী আগুন। অনুষ্ঠানের নাম ‘আগুন ঝরা সন্ধ্যা’। এরই মধ্যে দুটি পর্বের শুটিং সম্পন্ন হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেপারিশ্রমিক বিষয়ক জটিলতার কারণে ‘পুষ্পা টু: দ্য রুল’ সিনেমায় আইটেম গানে পারফর্মের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন শ্রদ্ধা কাপুর। এবার খবর পাওয়া গেল, ‘ওয়ার ২’ সিনেমার আইটেম গানে নাচবেন তিনি।
১৩ ঘণ্টা আগে