ইন্ডিয়ান আইডল যেন বিতর্কের মঞ্চ

বিনোদন ডেস্ক
Thumbnail image

ঢাকা: দিনকয়েক ধরেই সংবাদের শিরোনামে রয়েছে ‘ইন্ডিয়ান আইডল ১২’। অনুষ্ঠানটি নিয়ে নাটকীয়তা শুরু কিশোর কুমারের সেই স্পেশাল এপিসোড দিয়ে। যেখানে বিশেষভাবে সম্মান জানানো হয় কিশোর কুমারকে তাঁর ১০০টি গানের দ্বারা। শুধু প্রতিযোগীরা নন, গান গাইতে দেখা গিয়েছিল শোর বিচারক নেহা কাক্কর, হিমেশ রেশমিয়া ও আনু মালিককেও।

সেখানেই বিশেষ অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন কিশোর কুমারের ছেলে অমিত কুমার। দর্শকদের পছন্দ হয়নি সেই এপিসোড। অনেক ভক্তের সঙ্গে কিশোর কুমারের ছেলে অমিতও মনে করেন কিংবদন্তিকে ভালোমতো ট্রিবিউট জানাতে পারেনি তারা। অনেকে ক্ষোভ ঝেড়েছেন বিচারকদের ওপর। যেমন নেহা কক্করকে নিয়ে বলছেন, ‘যে গানের শোর বিচারক নেহা। সেই শো যে কতটা নকল, তা তো বলার অপেক্ষাই রাখে না। নেহা, আপনি নিজের গানের সঙ্গে যা খুশি করেন। ভুলেও কিশোর কুমারের গান গাইতে যাবেন না। এ অনুরোধ রাখবেন আশা করি।’

টাকার জন্য অতিথি হিসেবে গিয়েছিলাম। আয়োজকেরা যা বলতে বলেছে, তা-ই বলেছি।

অমিত কুমার, সংগীতশিল্পী

কিশোর কুমারকে নিয়ে কেউই ঠিকমতো গানগুলো গাইতে পারেননি। তবু নাকি বিচারকেরা প্রশংসা করেছেন। তাই খেপেছেন অন্যরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই ক্ষোভ জানিয়েছেন দর্শক। এর জবাবে কিশোর কুমারপুত্র অমিত কুমার বলেন, ‘টাকার জন্য অতিথি হিসেবে গিয়েছিলাম। আয়োজকেরা যা বলতে বলেছে, তা-ই বলেছি।’

নেহা কাক্কর, হিমেশ রেশমিয়া ও বিশাল দাদলানিএরপরই মুখ খুলেছেন সুনিধি চৌহান। ইন্ডিয়ান আইডলের পঞ্চম ও ষষ্ঠ আসরে বিচারকের মঞ্চ আলোকিত করেছেন সুনিধি চৌহান। কিন্তু আর তাঁকে দেখা যায় না সেই চেয়ারে। সম্প্রতি জনপ্রিয় এই গানের রিয়েলিটি শো ছাড়ার কারণ জানালেন এই সংগীতশিল্পী। বলেন, ‘রিয়েলিটি শো ইন্ডিয়ান আইডল “রিয়েল” নয়, ভুয়া। পুরোটাই রংচং মাখিয়ে বানানো হয়।’

অদূরভবিষ্যতেও ইন্ডিয়ান আইডলে ফেরার ইচ্ছা নেই আমার।

বিশাল দাদলানি, সংগীত পরিচালক

‘ইন্ডিয়ান আইডল ১২’ নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। দিনকয়েক আগেই এই অনুষ্ঠান নিয়ে মুখ খুলেছিলেন প্রথম মৌসুমের বিজয়ী অভিজিৎ সাওয়ান্ত। এই অনুষ্ঠানের প্রথম পর্যায়ের বিজয়ী ছিলেন তিনি। শো নিয়ে এই গায়ক বলেন, নির্মাতারা প্রতিযোগীদের প্রতিভার থেকে বেশি তাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আগ্রহী। ফলে গান গাওয়ার দক্ষতাকে নয়, অনুষ্ঠানের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে তোলার জন্য গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে তাদের দুঃখ-দারিদ্র্যের কাহিনিকে।

প্রতিযোগীদের দুঃখের গল্প বিক্রি করে টিআরপি বাড়াচ্ছে।

অভিজিৎ সাওয়ান্ত, সংগীতশিল্পী

বলতে গেলে বিক্রি করা হয় দারিদ্র্যকে। তারা জুতো পলিশ করতে পারে কি না বা কতটা গরিব, সেদিকেই নির্মাতাদের নজর বেশি। হিন্দি গানের প্রতিযোগিতাগুলো বর্তমানে প্রতিযোগীদের দুঃখের গল্প বিক্রি করে টিআরপি বাড়াচ্ছে বলে কটাক্ষ করেছেন এই গায়ক।

নেহা কাক্কর, হিমেশ রেশমিয়া ও বিশাল দাদলানিমুখ খুলেছেন গায়ক-অভিনেতা মেইয়াং চ্যাং। অনুষ্ঠানের পঞ্চম মৌসুমের প্রতিযোগী হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন মেইয়াং। তাঁর কথায়, ‘তাঁদের সময় এই প্রতিযোগিতায় কোনো চাকচিক্য ছিল না। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সেই ছবি বদলেছে। এখন গানের সঙ্গে আরও অন্যান্য বিষয়কেও সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়। সেখানে নাটকীয়তা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে।’

ইন্ডিয়ান আইডল ‘রিয়েল’ নয়, ভুয়া। পুরোটাই রংচং মাখিয়ে বানানো হয়।

সুনিধি চৌহান, সংগীতশিল্পী

এবার ইন্ডিয়ান আইডল আলোচনায় এসেছে আরেকজন বিচারক বিশাল দাদলানির জন্য। এক সাক্ষাৎকারে বিশাল দাদলানি বলেছেন, ‘অদূরভবিষ্যতেও ইন্ডিয়ান আইডলে ফিরে আসার ইচ্ছা নেই আমার। লকডাউন এখনো শেষ হয়নি। তবে এর মধ্যেই ইন্ডিয়ান আইডল তাদের শুটিং কার্যক্রম মুম্বাইতে চালিয়ে যাচ্ছে। এগুলো বিরক্তিকর।’ তাই ধারণা করা হচ্ছে, ইন্ডিয়ান আইডলের এবারের মৌসুমে বিচারকের আসনে দেখা যাবে না বিশালকে। বরং বেশ কিছু অতিথি বিচারকের দেখা মিলবে এবার।


প্রতিযোগিতায় নাটকীয়তা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠছে।

মেইয়াং চ্যাং, সংগীতশিল্পী

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত