Ajker Patrika

মা আর নেই—এখনো বুঝে উঠতে পারেনি দুই অবুঝ শিশু

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৪ জুন ২০২৪, ১৩: ৫৬
মা আর নেই—এখনো বুঝে উঠতে পারেনি দুই অবুঝ শিশু

১৪ দিনের দীর্ঘ লড়াই শেষে আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মারা গেলেন অভিনেত্রী রিশতা লাবণী সীমানা। মাত্র ৩৯ বছর বয়সে শেষ হলো এই অভিনেত্রীর কর্মময় পথচলা। শ্রেষ্ঠ ও স্বর্গ নামে দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন সীমানা।

অভিনেত্রী সীমানার প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয় দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন সীমানার দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা। চ্যানেল আইতে সীমানার মরদেহ নিয়ে এলে সেখানে তৈরি হয় শোকাবহ পরিবেশ। দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা অভিনেত্রীকে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সে সময় অভিনেত্রীর দুই ছেলে শ্রেষ্ঠ ও স্বর্গ সেখানে ছিল। চ্যানেল আই প্রাঙ্গণ ভর্তি মানুষের মাঝেও দিব্যি ছোটাছুটি করে বেড়াচ্ছে, খেলাধুলা করছে। তাদের মা যে আর নেই, সেটা এখনো বুঝে উঠতে পারেনি এ দুই অবুঝ শিশু! মায়ের ছবির পাশে দাঁড়িয়ে দুষ্টুমিতে মেতে ছিল তারা। বাচ্চা দুটি এখনো বোঝেনি, বোঝার কথাও নয় যে, তাদের মা আর ফিরবে না। সদ্য মা-হারা দুই বাচ্চাকে দেখে অনেকেই হয়ে উঠেছিলেন অশ্রুসজল!

চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে সীমানার মরদেহবাহী ফ্রিজিং গাড়ি আসতেই শ্রেষ্ঠ ও স্বর্গ দৌড়ে যায়। জানাজার জন্য যখন মরদেহ নামানো হয়, শ্রেষ্ঠ বারবার দৌড়ে যেতে চাইছিল মায়ের কাছে। দেখতে চাইছিল মায়ের মুখ। মায়ের কথা জিজ্ঞেস করতেই শ্রেষ্ঠর ছোট উত্তর, ‘মায়ের ইচ্ছে ছিল আমাকে ক্যাডেটে পড়াবে। কিন্তু মা তো মারা গেছে, আমার আর ভালো লাগছে না।’

অভিনেত্রী রিশতা লাবণী সীমানা। ছবি: সংগৃহীতপ্রথম জানাজা শেষে সীমানার মরদেহ যাচ্ছে গ্রামের বাড়ি শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায়। সেখানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হবে। সীমানার ছোট ভাই এজাজ বিন আলী বলেন, বাদ মাগরিব আরও এক জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।

দীর্ঘদিনের প্রেমের পর ২০১৪ সালের ৪ জুন কণ্ঠশিল্পী পারভেজ সাজ্জাদকে বিয়ে করেন সীমানা। ক্যারিয়ারের ব্যস্ততম সময়ে নিয়েছিলেন বিরতি। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের ১১ তারিখ প্রথম সন্তান আকাইদ সাজ্জাদ শ্রেষ্ঠর জন্ম দেন সীমানা। ২০১৯ সালের মার্চে সমঝোতার মধ্য দিয়েই তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। পারভেজ ও সীমানার সিদ্ধান্তেই বড় ছেলে শ্রেষ্ঠ সীমানার কাছেই থাকে।

 ২০১৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর সীমানা আবারও বিয়ে করে নতুন সংসার জীবন শুরু করেন। অবসরপ্রাপ্ত মেজর জামায়েল ইমতিয়াজ সৈকতকে বিয়ে করেন। তাঁদের ঘর আলোকিত করে ২০২০ সালের ২৭ জুন জন্ম নেয় পুত্র স্বর্গ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত