নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চলতি বছরের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ, ভারত, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে ভয়াবহ তাপপ্রবাহ। দেশে ১ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা তাপপ্রবাহ ছিল। টানা তাপপ্রবাহের ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। আবহাওয়ার এই বিশেষ অবস্থা মূলত ‘এল নিনোর’ কারণে হয়েছে। এল নিনোর প্রভাবে দেশের অনেক অঞ্চলেই দেখা দেয় খরা। ভবিষ্যতে আবারও এল নিনোর প্রভাব আসবে বলে মনে করেছেন আবহাওয়াবিদেরা।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশে খরা ও তাপপ্রবাহের বিরুদ্ধে এল নিনো পূর্ব প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ’-শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় নানা দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন বক্তারা।
দুর্যোগ মোকাবিলায় ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে পূর্বাভাস ভিত্তিক আগাম সাড়াদানের মাধ্যমে ‘এল নিনো’র প্রভাবে সৃষ্ট খরা ও তীব্র তাপদাহ মোকাবিলায় সেভ দ্যা চিলড্রেনের আর্থিক সহায়তায়, রাইমসের কারিগরি সহায়তায় এবং এমজেকেএসের অংশীদারত্বের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর ও চিলমারী উপজেলায় একটি পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। প্রকল্পে কারিগরি ও জ্ঞান ভিত্তিক অংশীদারত্বে ছিল বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান রাখেন সেভ দ্যা চিলড্রেনের হিউম্যানিটারিয়েন ডিরেক্টর মো. মোশতাক হোসাইন। আলোচনা সভায় সেভ দ্যা চিলড্রেন ও রিমস থেকে ‘বাংলাদেশে খরা ও তাপপ্রবাহের বিরুদ্ধে এল নিনো পূর্ব প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ’ নিয়ে দুটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ফাতেমা মেহেরুন্নেসা ও আসিফ উদ্দিন বিন নুর। সেখানে তাঁরা কুড়িগ্রাম জেলার দুটি উপজেলার চারটি ইউনিয়নে খরা ও তাপপ্রবাহ নিয়ে কাজ করেছেন। ঘূর্ণিঝড়, তাপপ্রবাহ এবং অস্বাভাবিক বন্যা মোকাবিলায় ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে পূর্বাভাস ভিত্তিক আগাম সাড়াদান দিয়ে কাজ করেছেন তাঁরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান বলেন, ‘খরার সঙ্গে আমরা অনেক আগে থেকেই পরিচিত। আমাদের অনেক জেলা রয়েছে সেখানে যে পরিমাণ পানি শুষ্ক মৌসুমে দরকার হয়, তা পাওয়া যায় না। তবে এখন আমরা সেসব অবস্থা থেকে পরিবর্তন করতে পেরেছি।’
তিনি বলেন, ‘গত কয়েকটি আকস্মিক বন্যায় অনেক জেলায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এখন মৌসুমি বন্যা থেকে আকস্মিক বন্যা বেশি ক্ষতির কারণ হয়েছে দাঁড়িয়েছে। আর এই সময়ে এসে তাপপ্রবাহ খুব বেশি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঢাকার মতো শহরে এটি আরও বড় প্রভাব ফেলছে। শহরের চারপাশে ২৫ ভাগ ফাঁকা জায়গা থাকা লাগে কিন্তু আমরা সেটাকে উপেক্ষা করে যাচ্ছি। সেভ দ্যা চিলড্রেনের এই প্রকল্প অন্য জেলাগুলোতে নেওয়া যায় কিনা সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ করা দরকার।’
কর্মশালায় বলা হয়, এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো—খরা ও তাপপ্রবাহের প্রভাবে শিশু ও তাঁদের পরিবারের ক্ষতি কমানো এবং এল নিনোর নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় প্রাথমিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা। প্রকল্পটি ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ওপর খরা ও তাপপ্রবাহের প্রভাব হ্রাস, সহনশীলতা বৃদ্ধি, এবং খাদ্য নিরাপত্তা ও জীবিকা সেবায় প্রবেশাধিকারের উন্নতির দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। ধীরে ধীরে শুরু হওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে খরার জন্য পূর্ব প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ এখনো নতুন ধারণা হিসেবে কাজ করছে, আর এই প্রকল্পটি সেই পদক্ষেপগুলোকে কার্যকর করার একটি উদ্যোগ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।
কর্মশালায় এল নিনো নিয়ে গবেষণা উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক কামরুল হাসান। তিনি বলেন, দক্ষিণ গোলার্ধের আবহাওয়ার স্বাভাবিক গতির পরিবর্তনের ফলে দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে (বিশেষ করে পেরু) গরম পানির উপস্থিতিই মূলত এল নিনো। বাংলাদেশে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে এল নিনোর প্রভাব ছিল। যার ফলে এই অঞ্চলে তাপমাত্রার আধিক্য দেখা দিয়েছে। এল নিনো সাধারণত প্রতি চার থেকে সাত বছরে একবার দেখা যায়। এর স্থায়িত্ব ১২ থেকে ১৮ মাস। তবে গত কয়েক বছরে কয়েকবার এল নিনো দেখা গেছে এবং এটি বেড়েই চলেছে।
কর্মশালায় আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, দেশে পুবালি বায়ু যখন পুবে না বয়ে পশ্চিমে বয়ে যায়, তখন অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার-এই পুরো অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যায়। এতে করে বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত—এসব অঞ্চলে বৃষ্টি হয় না। বৃষ্টি না হওয়ার ফলে তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
চলতি বছরের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ, ভারত, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে ভয়াবহ তাপপ্রবাহ। দেশে ১ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা তাপপ্রবাহ ছিল। টানা তাপপ্রবাহের ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। আবহাওয়ার এই বিশেষ অবস্থা মূলত ‘এল নিনোর’ কারণে হয়েছে। এল নিনোর প্রভাবে দেশের অনেক অঞ্চলেই দেখা দেয় খরা। ভবিষ্যতে আবারও এল নিনোর প্রভাব আসবে বলে মনে করেছেন আবহাওয়াবিদেরা।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশে খরা ও তাপপ্রবাহের বিরুদ্ধে এল নিনো পূর্ব প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ’-শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় নানা দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন বক্তারা।
দুর্যোগ মোকাবিলায় ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে পূর্বাভাস ভিত্তিক আগাম সাড়াদানের মাধ্যমে ‘এল নিনো’র প্রভাবে সৃষ্ট খরা ও তীব্র তাপদাহ মোকাবিলায় সেভ দ্যা চিলড্রেনের আর্থিক সহায়তায়, রাইমসের কারিগরি সহায়তায় এবং এমজেকেএসের অংশীদারত্বের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর ও চিলমারী উপজেলায় একটি পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। প্রকল্পে কারিগরি ও জ্ঞান ভিত্তিক অংশীদারত্বে ছিল বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান রাখেন সেভ দ্যা চিলড্রেনের হিউম্যানিটারিয়েন ডিরেক্টর মো. মোশতাক হোসাইন। আলোচনা সভায় সেভ দ্যা চিলড্রেন ও রিমস থেকে ‘বাংলাদেশে খরা ও তাপপ্রবাহের বিরুদ্ধে এল নিনো পূর্ব প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ’ নিয়ে দুটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ফাতেমা মেহেরুন্নেসা ও আসিফ উদ্দিন বিন নুর। সেখানে তাঁরা কুড়িগ্রাম জেলার দুটি উপজেলার চারটি ইউনিয়নে খরা ও তাপপ্রবাহ নিয়ে কাজ করেছেন। ঘূর্ণিঝড়, তাপপ্রবাহ এবং অস্বাভাবিক বন্যা মোকাবিলায় ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে পূর্বাভাস ভিত্তিক আগাম সাড়াদান দিয়ে কাজ করেছেন তাঁরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান বলেন, ‘খরার সঙ্গে আমরা অনেক আগে থেকেই পরিচিত। আমাদের অনেক জেলা রয়েছে সেখানে যে পরিমাণ পানি শুষ্ক মৌসুমে দরকার হয়, তা পাওয়া যায় না। তবে এখন আমরা সেসব অবস্থা থেকে পরিবর্তন করতে পেরেছি।’
তিনি বলেন, ‘গত কয়েকটি আকস্মিক বন্যায় অনেক জেলায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এখন মৌসুমি বন্যা থেকে আকস্মিক বন্যা বেশি ক্ষতির কারণ হয়েছে দাঁড়িয়েছে। আর এই সময়ে এসে তাপপ্রবাহ খুব বেশি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঢাকার মতো শহরে এটি আরও বড় প্রভাব ফেলছে। শহরের চারপাশে ২৫ ভাগ ফাঁকা জায়গা থাকা লাগে কিন্তু আমরা সেটাকে উপেক্ষা করে যাচ্ছি। সেভ দ্যা চিলড্রেনের এই প্রকল্প অন্য জেলাগুলোতে নেওয়া যায় কিনা সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ করা দরকার।’
কর্মশালায় বলা হয়, এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো—খরা ও তাপপ্রবাহের প্রভাবে শিশু ও তাঁদের পরিবারের ক্ষতি কমানো এবং এল নিনোর নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় প্রাথমিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা। প্রকল্পটি ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ওপর খরা ও তাপপ্রবাহের প্রভাব হ্রাস, সহনশীলতা বৃদ্ধি, এবং খাদ্য নিরাপত্তা ও জীবিকা সেবায় প্রবেশাধিকারের উন্নতির দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। ধীরে ধীরে শুরু হওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে খরার জন্য পূর্ব প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ এখনো নতুন ধারণা হিসেবে কাজ করছে, আর এই প্রকল্পটি সেই পদক্ষেপগুলোকে কার্যকর করার একটি উদ্যোগ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।
কর্মশালায় এল নিনো নিয়ে গবেষণা উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক কামরুল হাসান। তিনি বলেন, দক্ষিণ গোলার্ধের আবহাওয়ার স্বাভাবিক গতির পরিবর্তনের ফলে দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে (বিশেষ করে পেরু) গরম পানির উপস্থিতিই মূলত এল নিনো। বাংলাদেশে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে এল নিনোর প্রভাব ছিল। যার ফলে এই অঞ্চলে তাপমাত্রার আধিক্য দেখা দিয়েছে। এল নিনো সাধারণত প্রতি চার থেকে সাত বছরে একবার দেখা যায়। এর স্থায়িত্ব ১২ থেকে ১৮ মাস। তবে গত কয়েক বছরে কয়েকবার এল নিনো দেখা গেছে এবং এটি বেড়েই চলেছে।
কর্মশালায় আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, দেশে পুবালি বায়ু যখন পুবে না বয়ে পশ্চিমে বয়ে যায়, তখন অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার-এই পুরো অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যায়। এতে করে বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত—এসব অঞ্চলে বৃষ্টি হয় না। বৃষ্টি না হওয়ার ফলে তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আজকে দিনের মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে শেষরাত থেকে ভোররাত পর্যন্ত কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আগামী ৭২ ঘণ্টায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর...
১৭ ঘণ্টা আগেবায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বর ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূ
১৭ ঘণ্টা আগেবিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক (জিসিএমএন)। হাবিবুর রহমানকে (একাত্তর টিভি, বাংলাদেশ) আহ্বায়ক এবং আশেকিন প্রিন্সকে (চ্যানেল ২৪, বাংলাদেশ) সদস্যসচিব করে জিসিএমএন ১১ সদস্যের একটি নির্বাহী কমিটি গঠ
১ দিন আগেএবারের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে ‘কপ অব দ্য ফিন্যান্স’ বা অর্থায়নের কপ বলা হলেও সেটি কেবল কাগজে-কলমেই ঠেকেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলো বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের যে দাবি জানিয়েছিল, সম্মেলনের ১১তম দিনেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমনকি বিগত বছরগুলোর ক্ষতিপূ
২ দিন আগে