অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর হচ্ছে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। দেশ হিসেবেও সংযুক্ত আরব আমিরাত নিজেকে বিদেশি বিনিয়োগ এবং দর্শনার্থীদের আস্থাভাজন গন্তব্যে পরিণত করেছে। এ কারণেই অস্বাভাবিক বৃষ্টি ও ভয়াবহ বন্যায় পানির নিচে দেশটির মূল্যবান সম্পদ ডুবে থাকা এবং পর্যটকদের বিমানবন্দরে আটকে থাকার দৃশ্য কিছুটা বিরল বটে। এসব দৃশ্য বলছে যে, সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার এবার বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দেখাবে। আর তাতে সুবিধা পাবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার সামগ্রিক উদ্যোগ। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান (এমবিজেড) তার দেশে ৭৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভারী বৃষ্টিপাতকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখবেন, সেই সম্ভাবনা কম। আগামী ডিসেম্বরে কপ-২৮ বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন আয়োজন করার ঠিক আগে এমবিজেডের সরকার দেশটির জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের মুখে অন্যান্য দেশগুলোকেও একইভাবে তাদের ঝুঁকির কথা জানাতে হবে। ২০৬০ সাল থেকে বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির হুমকির পাশাপাশি প্রতিবেদনটিতে দুবাই, শারজাহ এবং উত্তর আমিরাতের বার্ষিক বৃষ্টিপাত দ্বিগুণ হওয়ার আশঙ্কার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
অভিযোজনের দুর্বলতা হচ্ছে, একে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ‘প্ল্যান বি’ বা বিকল্প উপায় হিসেবে দেখা হয়। এই অবস্থা প্রায়শই সমস্যা প্রশমনের ক্ষেত্রে কম বিনিয়োগ এবং মনোযোগ আকর্ষণ করে। প্রশমন কৌশল সাধারণত নির্গমন হ্রাস এবং উষ্ণতা রোধ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর অগ্রাধিকার দেয়।
উপসাগরীয় অঞ্চলে অভিযোজন কৌশল ব্যাখ্যা করতে পারে যে, কেন সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং প্রতিবেশী ওমানের দুর্বল নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতি এখনো পর্যন্ত শীর্ষ অগ্রাধিকার পায়নি। বন্যার প্রেক্ষিতে দুবাইয়ের নেতিবাচক ভাবমূর্তি বিশ্বের সামনে প্রকাশিত হওয়ার মাঝেও দেশটি তেল রপ্তানির আয় বৃদ্ধিতে সান্ত্বনা খুঁজতে পারে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের এখন অভিযোজনে বিনিয়োগকে উচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার সম্ভাবনা জোরদার হয়েছে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে সহায়তা করবে। ২০২২ সালে ইউরোপ তীব্র দাবদাহে পুড়লেও হতাশাজনক সত্য হচ্ছে—ধনী দেশগুলোর উঠোনে যতক্ষণ না জলবায়ু পরিবর্তনের লক্ষণগুলো স্পষ্ট হয় তারা এর সমাধানে মনোযোগ দিতে চায় না। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নয়নশীল বিশ্বের নিম্ন-উপকূলীয় অঞ্চলগুলোকে প্রস্তুত করতে প্রয়োজনীয় খরচ এবং বর্তমানে ধনী দেশগুলো যে অর্থ দিচ্ছে—তার মাঝে যে বিশাল ফারাক রয়েছে সেদিকে উন্নত বিশ্বের দৃষ্টি দেওয়া উচিত।
গত নভেম্বরে জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি অনুমান করেছিল যে, এই ব্যবধান হবে বছরে ৩৬ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের মতো। অর্থাৎ, যে টাকা দেওয়া হচ্ছে তার ১৮ গুণ বেশি টাকার দরকার। দুবাইয়ের প্রলয়ংকরী বন্যায় যদি সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটে তবে সেটাও হবে আশাবাদী হওয়ার মতো অর্থপূর্ণ পদক্ষেপ।
বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর হচ্ছে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। দেশ হিসেবেও সংযুক্ত আরব আমিরাত নিজেকে বিদেশি বিনিয়োগ এবং দর্শনার্থীদের আস্থাভাজন গন্তব্যে পরিণত করেছে। এ কারণেই অস্বাভাবিক বৃষ্টি ও ভয়াবহ বন্যায় পানির নিচে দেশটির মূল্যবান সম্পদ ডুবে থাকা এবং পর্যটকদের বিমানবন্দরে আটকে থাকার দৃশ্য কিছুটা বিরল বটে। এসব দৃশ্য বলছে যে, সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার এবার বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দেখাবে। আর তাতে সুবিধা পাবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার সামগ্রিক উদ্যোগ। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান (এমবিজেড) তার দেশে ৭৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভারী বৃষ্টিপাতকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখবেন, সেই সম্ভাবনা কম। আগামী ডিসেম্বরে কপ-২৮ বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন আয়োজন করার ঠিক আগে এমবিজেডের সরকার দেশটির জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের মুখে অন্যান্য দেশগুলোকেও একইভাবে তাদের ঝুঁকির কথা জানাতে হবে। ২০৬০ সাল থেকে বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির হুমকির পাশাপাশি প্রতিবেদনটিতে দুবাই, শারজাহ এবং উত্তর আমিরাতের বার্ষিক বৃষ্টিপাত দ্বিগুণ হওয়ার আশঙ্কার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
অভিযোজনের দুর্বলতা হচ্ছে, একে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ‘প্ল্যান বি’ বা বিকল্প উপায় হিসেবে দেখা হয়। এই অবস্থা প্রায়শই সমস্যা প্রশমনের ক্ষেত্রে কম বিনিয়োগ এবং মনোযোগ আকর্ষণ করে। প্রশমন কৌশল সাধারণত নির্গমন হ্রাস এবং উষ্ণতা রোধ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর অগ্রাধিকার দেয়।
উপসাগরীয় অঞ্চলে অভিযোজন কৌশল ব্যাখ্যা করতে পারে যে, কেন সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং প্রতিবেশী ওমানের দুর্বল নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতি এখনো পর্যন্ত শীর্ষ অগ্রাধিকার পায়নি। বন্যার প্রেক্ষিতে দুবাইয়ের নেতিবাচক ভাবমূর্তি বিশ্বের সামনে প্রকাশিত হওয়ার মাঝেও দেশটি তেল রপ্তানির আয় বৃদ্ধিতে সান্ত্বনা খুঁজতে পারে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের এখন অভিযোজনে বিনিয়োগকে উচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার সম্ভাবনা জোরদার হয়েছে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে সহায়তা করবে। ২০২২ সালে ইউরোপ তীব্র দাবদাহে পুড়লেও হতাশাজনক সত্য হচ্ছে—ধনী দেশগুলোর উঠোনে যতক্ষণ না জলবায়ু পরিবর্তনের লক্ষণগুলো স্পষ্ট হয় তারা এর সমাধানে মনোযোগ দিতে চায় না। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নয়নশীল বিশ্বের নিম্ন-উপকূলীয় অঞ্চলগুলোকে প্রস্তুত করতে প্রয়োজনীয় খরচ এবং বর্তমানে ধনী দেশগুলো যে অর্থ দিচ্ছে—তার মাঝে যে বিশাল ফারাক রয়েছে সেদিকে উন্নত বিশ্বের দৃষ্টি দেওয়া উচিত।
গত নভেম্বরে জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি অনুমান করেছিল যে, এই ব্যবধান হবে বছরে ৩৬ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের মতো। অর্থাৎ, যে টাকা দেওয়া হচ্ছে তার ১৮ গুণ বেশি টাকার দরকার। দুবাইয়ের প্রলয়ংকরী বন্যায় যদি সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটে তবে সেটাও হবে আশাবাদী হওয়ার মতো অর্থপূর্ণ পদক্ষেপ।
এবারের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে ‘কপ অব দ্য ফিন্যান্স’ বা অর্থায়নের কপ বলা হলেও সেটি কেবল কাগজে-কলমেই ঠেকেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলো বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের যে দাবি জানিয়েছিল, সম্মেলনের ১১তম দিনেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমনকি বিগত বছরগুলোর ক্ষতিপূ
৭ ঘণ্টা আগেকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৯৫, যা অস্বাস্থ্যকর। অন্যদিকে একদিন পরই আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এর পরে আছে পাকিস্তানের লাহোর। এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ইজিপট ও চীন...
৮ ঘণ্টা আগেপাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
১ দিন আগেঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা তুলনামূলক কমলেও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৮১, অবস্থান ষষ্ঠ। অন্যদিকে দুদিনের ব্যবধানে আবারও পাকিস্তানের লাহোর বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। এরপরে আছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এ ছাড়াও শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে মঙ্গোলিয়া ও ই
১ দিন আগে