অনলাইন ডেস্ক
টেমস নদীকে দূষণ থেকে রক্ষায় তৈরি হয়েছে লম্বা এক সুড়ঙ্গ বা সুয়ারেজ লাইন। আর এটি তৈরিতে সময় লেগেছে আট বছর, খরচ হয়েছ ৫০০ কোটি পাউন্ড বা ৬৯ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা। টেমস টাইডওয়ে টানেল নাম পাওয়া এই সুয়ারেজ লাইন নদীতে প্রবাহিত কাঁচা পয়োবর্জ্যের পরিমাণ হ্রাস করবে।
১৬ মাইল (২৫ কিলোমিটার) দীর্ঘ পাইপটি টেমসে গিয়ে পড়ত এমন ৩৪টি সবচেয়ে দূষিত পয়োনিষ্কাশন প্রবাহ থেকে রক্ষা করবে নদীটিকে। তবে সমালোচকেরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই টানেলের কার্যকারিতা হ্রাস পেতে পারে। এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
‘এটা এমন এক মুহূর্ত, আমরা যেটার অপেক্ষায় ছিলাম।’ বিবিসি নিউজকে বলেন টেমস টাইডওয়ের প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি মিচেল।
‘আমরা নদীতে এসে পড়া বেশির ভাগ বর্জ্য আটকে ফেলতে যাচ্ছি। এর অর্থ, একটি পরিষ্কার নদী পেতে যাচ্ছি।’ বলেন তিনি।
নির্মাণের চূড়ান্ত ধাপে, পূর্ব লন্ডনের একটি সুড়ঙ্গের ওপর ১ হাজার ২০০ টনের বিশাল একটি কংক্রিটের ঢাকনা আটকানো হয়।
লন্ডনের সম্মিলিত পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থায় মানববর্জ্য ও বৃষ্টিপাতের পানি একসঙ্গে প্রবাহিত হয়। তবে রাজধানীর জনসংখ্যা অবকাঠামোগত সামর্থ্যকে ছাড়িয়ে গেছে।
স্বাভাবিক অবস্থায় কাঁচা পয়োনিষ্কাশন বর্জ্য জল শোধনাগারে যায়, কিন্তু বর্তমানে লন্ডনে সামান্য গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও বর্জ্য উপচে পড়ে টেমস নদীতে গিয়ে পড়ে। আর নতুন এই সুয়ারেজ লাইনের কারণে নদীতে প্রবাহের বদলে নগরীর সব পয়োবর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের আগে এই সুড়ঙ্গ বা পাইপের মধ্যে জমা হবে।
আশা করা হচ্ছে, সুড়ঙ্গটিতে প্রথম বর্জ্যের প্রবাহ ঢুকবে এই গ্রীষ্মে এবং ২০২৫ সাল থেকে এটি পুরোদমে কাজ শুরু করবে। এই সুড়ঙ্গ বা সুয়ারেজ লাইনের প্রাথমিক খরচ ৪২০ কোটি পাউন্ড ধরা হলেও পরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫০০ কোটিতে।
পানি সরবরাহ ও বর্জ্য শোধনের দায়িত্বে থাকা ‘টেমস ওয়াটারে’র গ্রাহকদের কাছ থেকেই স্যুয়ারেজ লাইনের খরচ তোলা হবে। বছরে ২৫ পাউন্ড করে বাড়তি বিল পরিশোধ করবেন তাঁরা। তাতে কয়েক দশক লাগবে খরচ উঠতে।
৭.২ মিটার (২৩ ফুট) প্রশস্ত সুড়ঙ্গটি পশ্চিম লন্ডনের অ্যাক্টন থেকে পূর্ব লন্ডনের অ্যাবে মিলস পর্যন্ত চলে গেছে। বর্ষায় এটি কাঁচা পয়োবর্জ্য এবং বৃষ্টির পানির মিশ্রণে ভরে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সুড়ঙ্গটির আকার বা ধারণক্ষমতা সম্পর্কে হয়তো এখনো কারও দ্বিধা থাকতে পারে। সহজভাবে বললে, ৬০০ অলিম্পিক সুইমিং পুলের সমান তরল এটি ধারণ করতে পারে। এই তরল পরবর্তী সময়ে পূর্ব লন্ডনের বেকটনে অবস্থিত ইউরোপের বৃহত্তম পয়োবর্জ্য শোধনাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
গ্রীষ্মজুড়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর টেমস ওয়াটার নামের কোম্পানিটির কাছে এটি হস্তান্তর করা হবে।
১৮৬০-এর দশকে জোসেফ বাজেলগেট দ্বারা নির্মিত হওয়ার পর থেকে লন্ডনের সুয়ারেজ নেটওয়ার্কের সবচেয়ে বড় উন্নয়নগুলোর একটি এটি, তবে এই সুয়ারেজ লাইনকে স্থায়ী সমাধান ভাবাটা মুশকিল।
বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে জলবায়ু পরিবর্তন যুক্তরাজ্যে আরও তীব্র বৃষ্টিপাতের কারণ হবে, যার অর্থ এমন সময় আসবে, যখন এমনকি বিশাল এই সুড়ঙ্গ বা সুয়ারেজ লাইনও সব তরল ধারণ করতে পারবে না।
১ পাউন্ড=১৩৮.৬১ টাকা
টেমস নদীকে দূষণ থেকে রক্ষায় তৈরি হয়েছে লম্বা এক সুড়ঙ্গ বা সুয়ারেজ লাইন। আর এটি তৈরিতে সময় লেগেছে আট বছর, খরচ হয়েছ ৫০০ কোটি পাউন্ড বা ৬৯ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা। টেমস টাইডওয়ে টানেল নাম পাওয়া এই সুয়ারেজ লাইন নদীতে প্রবাহিত কাঁচা পয়োবর্জ্যের পরিমাণ হ্রাস করবে।
১৬ মাইল (২৫ কিলোমিটার) দীর্ঘ পাইপটি টেমসে গিয়ে পড়ত এমন ৩৪টি সবচেয়ে দূষিত পয়োনিষ্কাশন প্রবাহ থেকে রক্ষা করবে নদীটিকে। তবে সমালোচকেরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই টানেলের কার্যকারিতা হ্রাস পেতে পারে। এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
‘এটা এমন এক মুহূর্ত, আমরা যেটার অপেক্ষায় ছিলাম।’ বিবিসি নিউজকে বলেন টেমস টাইডওয়ের প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি মিচেল।
‘আমরা নদীতে এসে পড়া বেশির ভাগ বর্জ্য আটকে ফেলতে যাচ্ছি। এর অর্থ, একটি পরিষ্কার নদী পেতে যাচ্ছি।’ বলেন তিনি।
নির্মাণের চূড়ান্ত ধাপে, পূর্ব লন্ডনের একটি সুড়ঙ্গের ওপর ১ হাজার ২০০ টনের বিশাল একটি কংক্রিটের ঢাকনা আটকানো হয়।
লন্ডনের সম্মিলিত পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থায় মানববর্জ্য ও বৃষ্টিপাতের পানি একসঙ্গে প্রবাহিত হয়। তবে রাজধানীর জনসংখ্যা অবকাঠামোগত সামর্থ্যকে ছাড়িয়ে গেছে।
স্বাভাবিক অবস্থায় কাঁচা পয়োনিষ্কাশন বর্জ্য জল শোধনাগারে যায়, কিন্তু বর্তমানে লন্ডনে সামান্য গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও বর্জ্য উপচে পড়ে টেমস নদীতে গিয়ে পড়ে। আর নতুন এই সুয়ারেজ লাইনের কারণে নদীতে প্রবাহের বদলে নগরীর সব পয়োবর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের আগে এই সুড়ঙ্গ বা পাইপের মধ্যে জমা হবে।
আশা করা হচ্ছে, সুড়ঙ্গটিতে প্রথম বর্জ্যের প্রবাহ ঢুকবে এই গ্রীষ্মে এবং ২০২৫ সাল থেকে এটি পুরোদমে কাজ শুরু করবে। এই সুড়ঙ্গ বা সুয়ারেজ লাইনের প্রাথমিক খরচ ৪২০ কোটি পাউন্ড ধরা হলেও পরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫০০ কোটিতে।
পানি সরবরাহ ও বর্জ্য শোধনের দায়িত্বে থাকা ‘টেমস ওয়াটারে’র গ্রাহকদের কাছ থেকেই স্যুয়ারেজ লাইনের খরচ তোলা হবে। বছরে ২৫ পাউন্ড করে বাড়তি বিল পরিশোধ করবেন তাঁরা। তাতে কয়েক দশক লাগবে খরচ উঠতে।
৭.২ মিটার (২৩ ফুট) প্রশস্ত সুড়ঙ্গটি পশ্চিম লন্ডনের অ্যাক্টন থেকে পূর্ব লন্ডনের অ্যাবে মিলস পর্যন্ত চলে গেছে। বর্ষায় এটি কাঁচা পয়োবর্জ্য এবং বৃষ্টির পানির মিশ্রণে ভরে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সুড়ঙ্গটির আকার বা ধারণক্ষমতা সম্পর্কে হয়তো এখনো কারও দ্বিধা থাকতে পারে। সহজভাবে বললে, ৬০০ অলিম্পিক সুইমিং পুলের সমান তরল এটি ধারণ করতে পারে। এই তরল পরবর্তী সময়ে পূর্ব লন্ডনের বেকটনে অবস্থিত ইউরোপের বৃহত্তম পয়োবর্জ্য শোধনাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
গ্রীষ্মজুড়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর টেমস ওয়াটার নামের কোম্পানিটির কাছে এটি হস্তান্তর করা হবে।
১৮৬০-এর দশকে জোসেফ বাজেলগেট দ্বারা নির্মিত হওয়ার পর থেকে লন্ডনের সুয়ারেজ নেটওয়ার্কের সবচেয়ে বড় উন্নয়নগুলোর একটি এটি, তবে এই সুয়ারেজ লাইনকে স্থায়ী সমাধান ভাবাটা মুশকিল।
বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে জলবায়ু পরিবর্তন যুক্তরাজ্যে আরও তীব্র বৃষ্টিপাতের কারণ হবে, যার অর্থ এমন সময় আসবে, যখন এমনকি বিশাল এই সুড়ঙ্গ বা সুয়ারেজ লাইনও সব তরল ধারণ করতে পারবে না।
১ পাউন্ড=১৩৮.৬১ টাকা
এবারের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে ‘কপ অব দ্য ফিন্যান্স’ বা অর্থায়নের কপ বলা হলেও সেটি কেবল কাগজে-কলমেই ঠেকেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলো বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের যে দাবি জানিয়েছিল, সম্মেলনের ১১তম দিনেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমনকি বিগত বছরগুলোর ক্ষতিপূ
১ ঘণ্টা আগেকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৯৫, যা অস্বাস্থ্যকর। অন্যদিকে একদিন পরই আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এর পরে আছে পাকিস্তানের লাহোর। এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ইজিপট ও চীন...
২ ঘণ্টা আগেপাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
১৬ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা তুলনামূলক কমলেও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৮১, অবস্থান ষষ্ঠ। অন্যদিকে দুদিনের ব্যবধানে আবারও পাকিস্তানের লাহোর বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। এরপরে আছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এ ছাড়াও শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে মঙ্গোলিয়া ও ই
১ দিন আগে