জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাস্তুচ্যুতির ঝুঁকিতে মধ্যপ্রাচ্যে লাখো মানুষ

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

বৃষ্টির দেখা মেলে কদাচিৎ। নতুন বছর আসে আর দাবদাহ বাড়ে। আরও প্রবল হয় খরা। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পানির চাপ থাকা অঞ্চল মধ্যপ্রাচ্যের বাসিন্দারা জলবায়ু সংকটের মারাত্মক প্রভাবের মুখোমুখি হয়েছেন। এ সংকটের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন এ অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ।

আজ রোববার এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

কয়েক দিন পরেই জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৭ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ মিসরে। জলবায়ু সংকটের প্রভাব পড়েছে এ দেশটিতেও। মিসরের কৃষকদের সিন্ডিকেটের প্রধান হুসেইন আবু সাদ্দাম জানান, বিশ্বের সবচেয়ে শুষ্ক দেশগুলোর একটি মিসর। দেশটির কৃষিতে লাভের দেখা নেই। জলবায়ু সংকট বাড়ছে আর নতুন করে যুক্ত হচ্ছে একেকটি সংকট। ফসলে আক্রমণ করছে নতুন নতুন পরজীবী। 

হুসেইন আবু সাদ্দাম জানান, জলবায়ু সংকটের কবলে পড়ে এরই মধ্যে কাজের খোঁজে গ্রাম থেকে শহরের দিকে যেতে শুরু করেছেন অনেকেই। বিভিন্ন কারখানায় ভিড় করছেন তারা। গবেষকেরা জানান, এভাবে চলতে থাকলে ২০৬০ সাল নাগাদ মিসরের কৃষি খাত আরও ৪৭ শতাংশ তলানিতে চলে যাবে। 

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহকারী পরিচালক অ্যামি পোপ জানান, গত বছর জলবায়ু সংকটের কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কবলে পড়ে ঘরছাড়া হয়েছেন আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের ৩০ লাখ মানুষ। পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। 

বিশ্ব ব্যাংক বলছে, এ বিপর্যয় রুখতে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ২০৫০ সালের মধ্যে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হবেন ২১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ। এর মধ্যে প্রায় ২ কেটি মানুষ পশ্চিম আফ্রিকার। 

বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা যদি আরও বৃদ্ধি পায় এবং বৃষ্টিপাত যদি ১০ শতাংশ কমে আসে তাহলে ইরাকের ২০ শতাংশ সুপেয় পানি কমে যেতে পারে। এক-তৃতীয়াংশ কৃষি জমি সেচ থেকে বঞ্চিত হতে পারে। যা দেশটির জনগণের জীবনকে কঠিন করে তুলবে। 

বিশ্বের অন্যতম শুষ্ক দেশ জর্ডান। দেশটি পানির সংকটে ভুগছে। ২০২১ সালে ইসরায়েল থেকে দ্বিগুণ পানি আমদানি করতে হয়েছিল। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত