মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
'আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে
তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে'
-চড়ুই পাখিদের বড়াই করা সেই দিন নেই। আজ তাদের অট্টালিকা ছেড়ে ঠাঁই হলো বিদ্যুতের তারে। কবি রজনীকান্ত সেনের দেখা চড়ুই পাখিদের অট্টালিকায় মহাসুখে থাকার দিন শেষ। মৌলভীবাজার জেলা শহরের ব্যস্ততম এলাকা চৌমুহনী চত্বর। এই চত্বর হয়ে যাওয়া সেন্ট্রাল রোডের ৫ /৬টি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আশ্রয় নিয়েছে হাজারো চড়ুই পাখি। সন্ধ্যার পূর্ব মুহূর্ত থেকে এই স্থানটি কিচিরমিচির শব্দে মুখর হতে থাকে। সামনে দাঁড়িয়ে কিচিরমিচির ডাক আর পাখিদের এক তার থেকে অন্য তারে যাওয়ার দৃশ্য দেখতে যে কারও ভালো লাগবে।
প্রতিদিন বহু মানুষ ভিড় করেন এই অপরূপ দৃশ্য দেখতে। অনেকে ছবি তুলে নিয়ে যান, কেউ কেউ ভিডিও করেন। বৈদ্যুতিক খুঁটিই চড়ুইয়ের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, যত দিন যাচ্ছে চড়ুই পাখিদের সংখ্যা তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাস দু-এক হলো চড়ুইরা এখানে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের দেখার জন্য পাখিপ্রেমীদের সন্ধ্যার পর এখানে ভিড় জমান। সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত তারা কিচিরমিচির শব্দে মাতিয়ে রাখে পুরো এলাকা। কিন্তু দিনের বেলা তাদের খুব একটা দেখা যায় না।
স্থানীয় বাসিন্দা অমিত রায় জানান, আগের মতো চড়ুই এর বাসা বাড়িতে ঠাঁই হয় না। পরিচ্ছন্ন রাখতে অনেকে তাড়িয়ে দেন, ফলে তাদের বাইরে আশ্রয় নিতে হয়।
পরিবেশকর্মী ও সমাজকর্মী সোনিয়া মান্নান বলেন, খড়কুটো, শুকনো ঘাস পাতা দিয়ে কড়িকাঠে, কার্নিশে বাসা বেঁধে বসবাস করতে এদের দেখা যায়। এর পাশাপাশি বিদ্যুতের তারসহ বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করে। সারা দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ায় খাদ্যের সন্ধানে। সন্ধ্যা নামার মুহূর্তে ফিরে নীড়ে। চড়ুই মাটি থেকে পোকামাকড় শস্য খুঁটে খায়। পরিবেশ সহায়ক প্রিয় পাখি চড়ুই সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে ও এদের বিলুপ্তি রুখতে আসুন যে যার অবস্থান থেকে সহায়ক কিছু একটা করার সুযোগ রয়েছে।
ব্যস্ততম সড়কের ব্যবসায়ী রজত ভট্টাচার্য জানান, সন্ধ্যার পর চড়ুই পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয় এই এলাকা। এ দৃশ্য দেখতে খুবই ভালো লাগে। ব্যবসায়ীদের বাড়তি আনন্দ যোগ করেছে তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. নূর জাহান সরকারের মতে চড়ুই পরিবেশবান্ধব। তিনি বলেন, প্রকৃতিতে চড়ুইয়ের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। আমাদের অসচেতনতার কারণে আমরা সেটা বুঝতে পারি না। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রকৃতি থেকে চড়ুইয়ের বিলুপ্তি ঠেকাতে হবে। আমাদের বাসাবাড়ির বারান্দায় যদি চড়ুইয়ের বাস উপযোগী করে দু’একটি ছোট বাক্স বেঁধে রাখি। এতে বিলুপ্তির হাত থেকে যেমন চড়ুই বাঁচবে, তেমনি বাড়ির শিশুরাও আনন্দ পাবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ছোটবেলা থেকে এরা একদিন হয়ে উঠবে প্রকৃতিপ্রেমী।
'আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে
তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে'
-চড়ুই পাখিদের বড়াই করা সেই দিন নেই। আজ তাদের অট্টালিকা ছেড়ে ঠাঁই হলো বিদ্যুতের তারে। কবি রজনীকান্ত সেনের দেখা চড়ুই পাখিদের অট্টালিকায় মহাসুখে থাকার দিন শেষ। মৌলভীবাজার জেলা শহরের ব্যস্ততম এলাকা চৌমুহনী চত্বর। এই চত্বর হয়ে যাওয়া সেন্ট্রাল রোডের ৫ /৬টি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আশ্রয় নিয়েছে হাজারো চড়ুই পাখি। সন্ধ্যার পূর্ব মুহূর্ত থেকে এই স্থানটি কিচিরমিচির শব্দে মুখর হতে থাকে। সামনে দাঁড়িয়ে কিচিরমিচির ডাক আর পাখিদের এক তার থেকে অন্য তারে যাওয়ার দৃশ্য দেখতে যে কারও ভালো লাগবে।
প্রতিদিন বহু মানুষ ভিড় করেন এই অপরূপ দৃশ্য দেখতে। অনেকে ছবি তুলে নিয়ে যান, কেউ কেউ ভিডিও করেন। বৈদ্যুতিক খুঁটিই চড়ুইয়ের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, যত দিন যাচ্ছে চড়ুই পাখিদের সংখ্যা তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাস দু-এক হলো চড়ুইরা এখানে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের দেখার জন্য পাখিপ্রেমীদের সন্ধ্যার পর এখানে ভিড় জমান। সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত তারা কিচিরমিচির শব্দে মাতিয়ে রাখে পুরো এলাকা। কিন্তু দিনের বেলা তাদের খুব একটা দেখা যায় না।
স্থানীয় বাসিন্দা অমিত রায় জানান, আগের মতো চড়ুই এর বাসা বাড়িতে ঠাঁই হয় না। পরিচ্ছন্ন রাখতে অনেকে তাড়িয়ে দেন, ফলে তাদের বাইরে আশ্রয় নিতে হয়।
পরিবেশকর্মী ও সমাজকর্মী সোনিয়া মান্নান বলেন, খড়কুটো, শুকনো ঘাস পাতা দিয়ে কড়িকাঠে, কার্নিশে বাসা বেঁধে বসবাস করতে এদের দেখা যায়। এর পাশাপাশি বিদ্যুতের তারসহ বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করে। সারা দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ায় খাদ্যের সন্ধানে। সন্ধ্যা নামার মুহূর্তে ফিরে নীড়ে। চড়ুই মাটি থেকে পোকামাকড় শস্য খুঁটে খায়। পরিবেশ সহায়ক প্রিয় পাখি চড়ুই সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে ও এদের বিলুপ্তি রুখতে আসুন যে যার অবস্থান থেকে সহায়ক কিছু একটা করার সুযোগ রয়েছে।
ব্যস্ততম সড়কের ব্যবসায়ী রজত ভট্টাচার্য জানান, সন্ধ্যার পর চড়ুই পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয় এই এলাকা। এ দৃশ্য দেখতে খুবই ভালো লাগে। ব্যবসায়ীদের বাড়তি আনন্দ যোগ করেছে তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. নূর জাহান সরকারের মতে চড়ুই পরিবেশবান্ধব। তিনি বলেন, প্রকৃতিতে চড়ুইয়ের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। আমাদের অসচেতনতার কারণে আমরা সেটা বুঝতে পারি না। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রকৃতি থেকে চড়ুইয়ের বিলুপ্তি ঠেকাতে হবে। আমাদের বাসাবাড়ির বারান্দায় যদি চড়ুইয়ের বাস উপযোগী করে দু’একটি ছোট বাক্স বেঁধে রাখি। এতে বিলুপ্তির হাত থেকে যেমন চড়ুই বাঁচবে, তেমনি বাড়ির শিশুরাও আনন্দ পাবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ছোটবেলা থেকে এরা একদিন হয়ে উঠবে প্রকৃতিপ্রেমী।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক (জিসিএমএন)। হাবিবুর রহমানকে (একাত্তর টিভি, বাংলাদেশ) আহ্বায়ক এবং আশেকিন প্রিন্সকে (চ্যানেল ২৪, বাংলাদেশ) সদস্যসচিব করে জিসিএমএন ১১ সদস্যের একটি নির্বাহী কমিটি গঠ
৮ ঘণ্টা আগেএবারের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে ‘কপ অব দ্য ফিন্যান্স’ বা অর্থায়নের কপ বলা হলেও সেটি কেবল কাগজে-কলমেই ঠেকেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলো বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের যে দাবি জানিয়েছিল, সম্মেলনের ১১তম দিনেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমনকি বিগত বছরগুলোর ক্ষতিপূ
১৬ ঘণ্টা আগেকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৯৫, যা অস্বাস্থ্যকর। অন্যদিকে একদিন পরই আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এর পরে আছে পাকিস্তানের লাহোর। এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ইজিপট ও চীন...
১৭ ঘণ্টা আগেপাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
১ দিন আগে