
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো শুরু করার বিষয়ে সম্মত হয়ে একটি চুক্তি করেছে জাতিসংঘের কপ২৮ জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর প্রতিনিধিরা। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব এড়াতে এটিই এ ধরনের প্রথম চুক্তি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। খবর রয়টার্সের।
বিজ্ঞানীরা অনেক দিন ধরে বলছেন, জলবায়ুগত অভিঘাতগুলো প্রশমনে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করাই শেষ ও সবচেয়ে জুতসই উপায়। তবে তেলনির্ভর দেশ ও শিল্পায়িত বড় দেশগুলোর নানা অজুহাতে সেটা সম্ভব হচ্ছিল না। অবশেষে এবার জীবাশ্ম জ্বালানির বিষয়ে একটা ঐকমত্যে পৌঁছাল বিশ্ব।
অংশগ্রহণকারী প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধিরা দুই সপ্তাহ ধরে ব্যাপক তর্কবিতর্ক ও আলোচনার পর কার্বন নিঃসরণকারী জ্বালানির ব্যবহার হ্রাসে সমঝোতায় পৌঁছান। গতকাল বুধবার এ লক্ষ্যে একটি চুক্তিতে সইও করেন তাঁরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জীবাশ্ম জ্বালানির সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করার ইচ্ছা নিয়ে বিশ্ব এখন অনেকটাই ঐক্যবদ্ধ। এ চুক্তি থেকে বিনিয়োগকারী ও নীতিনির্ধারকদের কাছে এ বিষয়ে একটা শক্তিশালী বার্তা যাবে বলে তাঁরা মনে করছেন।
কপ২৮-এর সভাপতি আমিরাতের সুলতান আল জাবের এ চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক’ উল্লেখ করে বলেন, এর সত্যিকার সফলতা নির্ভর করছে যথাযথ বাস্তবায়নের ওপর। ‘আমরা যা বলি তা নয়, আমরা যা করি সেই পর্যায়ে পৌঁছেছি’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এই চুক্তিকে বাস্তবায়নযোগ্য কাজে পরিণত করতে আমাদের অবশ্যই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।’
নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস্পেন বার্থ আইদা বলেন, ‘জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে এই প্রথম সুস্পষ্ট একটি প্রস্তাবকে ঘিরে বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এটি একটি সমস্যা ছিল। শেষ পর্যন্ত আমরা এর মোকাবিলা করতে পেরেছি।’
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, তেল, গ্যাস ও কয়লার ব্যবহার ‘ধাপে ধাপে বন্ধ করার’ বিষয়ে কপ২৮-এর চুক্তিতে কঠোর ভাষা ব্যবহারের জন্য শতাধিক দেশ ব্যাপক তদবির করেছিল, কিন্তু সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন তেল রপ্তানিকারী দেশগুলোর জোট ওপেকের তীব্র বিরোধিতার মুখে তারা ছাড় দিতে বাধ্য হয়। বিশ্ব নির্দিষ্ট জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করা ছাড়াই দূষণ কমাতে পারে বলে যুক্তি ওপেকের।
অন্যদিকে জলবায়ুর অভিঘাতে নাজুক দ্বীপরাষ্ট্র ও ছোট দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে পর্যায়ক্রমে সরে আসার বিষয়ে সবচেয়ে সোচ্চার ভূমিকা রাখে। আর তাতে সমর্থন জোগায় যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, নরওয়ে, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ এবং অন্য দেশের সরকারগুলো।
চুক্তি গৃহীত হওয়ার পর মার্কিন জলবায়ু দূত জন কেরি বলেন, ‘এটি এমন এক মুহূর্ত যেখানে বহুপাক্ষিকতা একসঙ্গে মিলেছে এবং শেষ পর্যন্ত সবার মঙ্গল নিশ্চিতে আমরা নিজস্ব স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠেছি।’
তবে ছোট দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর জোটের প্রধান আলোচক অ্যানি রাসমুসেন এই চুক্তিকে ‘উচ্চাভিলাষী নয়’ বলে সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের যখন সত্যিই নিজেদের কাজে পরিবর্তন আনতে বড় ধরনের পদক্ষেপ প্রয়োজন, তখন উল্টো গতানুগতিক কাজেই আমাদের বেশি অগ্রগতি ঘটেছে, ঘটছে।’ যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি চুক্তির বিরোধিতা করেননি।
প্রস্তাবিত চুক্তিতে বিজ্ঞান নির্দেশিত পথের সংগতি রেখে বিশ্বের জ্বালানিব্যবস্থায় জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে দূরে সরে আসার বিষয়ে সঠিক, সুশৃঙ্খল ও ন্যায়সংগতভাবে আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে এতে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা তিন গুণ করারও ডাক দেওয়া হয়েছে। এবার দেশগুলোর জাতীয় নীতি ও বিনিয়োগে চুক্তিতে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের পালা।

জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো শুরু করার বিষয়ে সম্মত হয়ে একটি চুক্তি করেছে জাতিসংঘের কপ২৮ জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর প্রতিনিধিরা। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব এড়াতে এটিই এ ধরনের প্রথম চুক্তি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। খবর রয়টার্সের।
বিজ্ঞানীরা অনেক দিন ধরে বলছেন, জলবায়ুগত অভিঘাতগুলো প্রশমনে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করাই শেষ ও সবচেয়ে জুতসই উপায়। তবে তেলনির্ভর দেশ ও শিল্পায়িত বড় দেশগুলোর নানা অজুহাতে সেটা সম্ভব হচ্ছিল না। অবশেষে এবার জীবাশ্ম জ্বালানির বিষয়ে একটা ঐকমত্যে পৌঁছাল বিশ্ব।
অংশগ্রহণকারী প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধিরা দুই সপ্তাহ ধরে ব্যাপক তর্কবিতর্ক ও আলোচনার পর কার্বন নিঃসরণকারী জ্বালানির ব্যবহার হ্রাসে সমঝোতায় পৌঁছান। গতকাল বুধবার এ লক্ষ্যে একটি চুক্তিতে সইও করেন তাঁরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জীবাশ্ম জ্বালানির সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করার ইচ্ছা নিয়ে বিশ্ব এখন অনেকটাই ঐক্যবদ্ধ। এ চুক্তি থেকে বিনিয়োগকারী ও নীতিনির্ধারকদের কাছে এ বিষয়ে একটা শক্তিশালী বার্তা যাবে বলে তাঁরা মনে করছেন।
কপ২৮-এর সভাপতি আমিরাতের সুলতান আল জাবের এ চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক’ উল্লেখ করে বলেন, এর সত্যিকার সফলতা নির্ভর করছে যথাযথ বাস্তবায়নের ওপর। ‘আমরা যা বলি তা নয়, আমরা যা করি সেই পর্যায়ে পৌঁছেছি’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এই চুক্তিকে বাস্তবায়নযোগ্য কাজে পরিণত করতে আমাদের অবশ্যই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।’
নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস্পেন বার্থ আইদা বলেন, ‘জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে এই প্রথম সুস্পষ্ট একটি প্রস্তাবকে ঘিরে বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এটি একটি সমস্যা ছিল। শেষ পর্যন্ত আমরা এর মোকাবিলা করতে পেরেছি।’
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, তেল, গ্যাস ও কয়লার ব্যবহার ‘ধাপে ধাপে বন্ধ করার’ বিষয়ে কপ২৮-এর চুক্তিতে কঠোর ভাষা ব্যবহারের জন্য শতাধিক দেশ ব্যাপক তদবির করেছিল, কিন্তু সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন তেল রপ্তানিকারী দেশগুলোর জোট ওপেকের তীব্র বিরোধিতার মুখে তারা ছাড় দিতে বাধ্য হয়। বিশ্ব নির্দিষ্ট জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করা ছাড়াই দূষণ কমাতে পারে বলে যুক্তি ওপেকের।
অন্যদিকে জলবায়ুর অভিঘাতে নাজুক দ্বীপরাষ্ট্র ও ছোট দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে পর্যায়ক্রমে সরে আসার বিষয়ে সবচেয়ে সোচ্চার ভূমিকা রাখে। আর তাতে সমর্থন জোগায় যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, নরওয়ে, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ এবং অন্য দেশের সরকারগুলো।
চুক্তি গৃহীত হওয়ার পর মার্কিন জলবায়ু দূত জন কেরি বলেন, ‘এটি এমন এক মুহূর্ত যেখানে বহুপাক্ষিকতা একসঙ্গে মিলেছে এবং শেষ পর্যন্ত সবার মঙ্গল নিশ্চিতে আমরা নিজস্ব স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠেছি।’
তবে ছোট দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর জোটের প্রধান আলোচক অ্যানি রাসমুসেন এই চুক্তিকে ‘উচ্চাভিলাষী নয়’ বলে সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের যখন সত্যিই নিজেদের কাজে পরিবর্তন আনতে বড় ধরনের পদক্ষেপ প্রয়োজন, তখন উল্টো গতানুগতিক কাজেই আমাদের বেশি অগ্রগতি ঘটেছে, ঘটছে।’ যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি চুক্তির বিরোধিতা করেননি।
প্রস্তাবিত চুক্তিতে বিজ্ঞান নির্দেশিত পথের সংগতি রেখে বিশ্বের জ্বালানিব্যবস্থায় জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে দূরে সরে আসার বিষয়ে সঠিক, সুশৃঙ্খল ও ন্যায়সংগতভাবে আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে এতে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা তিন গুণ করারও ডাক দেওয়া হয়েছে। এবার দেশগুলোর জাতীয় নীতি ও বিনিয়োগে চুক্তিতে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের পালা।

জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো শুরু করার বিষয়ে সম্মত হয়ে একটি চুক্তি করেছে জাতিসংঘের কপ২৮ জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর প্রতিনিধিরা। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব এড়াতে এটিই এ ধরনের প্রথম চুক্তি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। খবর রয়টার্সের।
বিজ্ঞানীরা অনেক দিন ধরে বলছেন, জলবায়ুগত অভিঘাতগুলো প্রশমনে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করাই শেষ ও সবচেয়ে জুতসই উপায়। তবে তেলনির্ভর দেশ ও শিল্পায়িত বড় দেশগুলোর নানা অজুহাতে সেটা সম্ভব হচ্ছিল না। অবশেষে এবার জীবাশ্ম জ্বালানির বিষয়ে একটা ঐকমত্যে পৌঁছাল বিশ্ব।
অংশগ্রহণকারী প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধিরা দুই সপ্তাহ ধরে ব্যাপক তর্কবিতর্ক ও আলোচনার পর কার্বন নিঃসরণকারী জ্বালানির ব্যবহার হ্রাসে সমঝোতায় পৌঁছান। গতকাল বুধবার এ লক্ষ্যে একটি চুক্তিতে সইও করেন তাঁরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জীবাশ্ম জ্বালানির সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করার ইচ্ছা নিয়ে বিশ্ব এখন অনেকটাই ঐক্যবদ্ধ। এ চুক্তি থেকে বিনিয়োগকারী ও নীতিনির্ধারকদের কাছে এ বিষয়ে একটা শক্তিশালী বার্তা যাবে বলে তাঁরা মনে করছেন।
কপ২৮-এর সভাপতি আমিরাতের সুলতান আল জাবের এ চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক’ উল্লেখ করে বলেন, এর সত্যিকার সফলতা নির্ভর করছে যথাযথ বাস্তবায়নের ওপর। ‘আমরা যা বলি তা নয়, আমরা যা করি সেই পর্যায়ে পৌঁছেছি’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এই চুক্তিকে বাস্তবায়নযোগ্য কাজে পরিণত করতে আমাদের অবশ্যই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।’
নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস্পেন বার্থ আইদা বলেন, ‘জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে এই প্রথম সুস্পষ্ট একটি প্রস্তাবকে ঘিরে বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এটি একটি সমস্যা ছিল। শেষ পর্যন্ত আমরা এর মোকাবিলা করতে পেরেছি।’
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, তেল, গ্যাস ও কয়লার ব্যবহার ‘ধাপে ধাপে বন্ধ করার’ বিষয়ে কপ২৮-এর চুক্তিতে কঠোর ভাষা ব্যবহারের জন্য শতাধিক দেশ ব্যাপক তদবির করেছিল, কিন্তু সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন তেল রপ্তানিকারী দেশগুলোর জোট ওপেকের তীব্র বিরোধিতার মুখে তারা ছাড় দিতে বাধ্য হয়। বিশ্ব নির্দিষ্ট জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করা ছাড়াই দূষণ কমাতে পারে বলে যুক্তি ওপেকের।
অন্যদিকে জলবায়ুর অভিঘাতে নাজুক দ্বীপরাষ্ট্র ও ছোট দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে পর্যায়ক্রমে সরে আসার বিষয়ে সবচেয়ে সোচ্চার ভূমিকা রাখে। আর তাতে সমর্থন জোগায় যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, নরওয়ে, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ এবং অন্য দেশের সরকারগুলো।
চুক্তি গৃহীত হওয়ার পর মার্কিন জলবায়ু দূত জন কেরি বলেন, ‘এটি এমন এক মুহূর্ত যেখানে বহুপাক্ষিকতা একসঙ্গে মিলেছে এবং শেষ পর্যন্ত সবার মঙ্গল নিশ্চিতে আমরা নিজস্ব স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠেছি।’
তবে ছোট দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর জোটের প্রধান আলোচক অ্যানি রাসমুসেন এই চুক্তিকে ‘উচ্চাভিলাষী নয়’ বলে সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের যখন সত্যিই নিজেদের কাজে পরিবর্তন আনতে বড় ধরনের পদক্ষেপ প্রয়োজন, তখন উল্টো গতানুগতিক কাজেই আমাদের বেশি অগ্রগতি ঘটেছে, ঘটছে।’ যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি চুক্তির বিরোধিতা করেননি।
প্রস্তাবিত চুক্তিতে বিজ্ঞান নির্দেশিত পথের সংগতি রেখে বিশ্বের জ্বালানিব্যবস্থায় জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে দূরে সরে আসার বিষয়ে সঠিক, সুশৃঙ্খল ও ন্যায়সংগতভাবে আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে এতে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা তিন গুণ করারও ডাক দেওয়া হয়েছে। এবার দেশগুলোর জাতীয় নীতি ও বিনিয়োগে চুক্তিতে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের পালা।

জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো শুরু করার বিষয়ে সম্মত হয়ে একটি চুক্তি করেছে জাতিসংঘের কপ২৮ জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর প্রতিনিধিরা। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব এড়াতে এটিই এ ধরনের প্রথম চুক্তি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। খবর রয়টার্সের।
বিজ্ঞানীরা অনেক দিন ধরে বলছেন, জলবায়ুগত অভিঘাতগুলো প্রশমনে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করাই শেষ ও সবচেয়ে জুতসই উপায়। তবে তেলনির্ভর দেশ ও শিল্পায়িত বড় দেশগুলোর নানা অজুহাতে সেটা সম্ভব হচ্ছিল না। অবশেষে এবার জীবাশ্ম জ্বালানির বিষয়ে একটা ঐকমত্যে পৌঁছাল বিশ্ব।
অংশগ্রহণকারী প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধিরা দুই সপ্তাহ ধরে ব্যাপক তর্কবিতর্ক ও আলোচনার পর কার্বন নিঃসরণকারী জ্বালানির ব্যবহার হ্রাসে সমঝোতায় পৌঁছান। গতকাল বুধবার এ লক্ষ্যে একটি চুক্তিতে সইও করেন তাঁরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জীবাশ্ম জ্বালানির সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করার ইচ্ছা নিয়ে বিশ্ব এখন অনেকটাই ঐক্যবদ্ধ। এ চুক্তি থেকে বিনিয়োগকারী ও নীতিনির্ধারকদের কাছে এ বিষয়ে একটা শক্তিশালী বার্তা যাবে বলে তাঁরা মনে করছেন।
কপ২৮-এর সভাপতি আমিরাতের সুলতান আল জাবের এ চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক’ উল্লেখ করে বলেন, এর সত্যিকার সফলতা নির্ভর করছে যথাযথ বাস্তবায়নের ওপর। ‘আমরা যা বলি তা নয়, আমরা যা করি সেই পর্যায়ে পৌঁছেছি’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এই চুক্তিকে বাস্তবায়নযোগ্য কাজে পরিণত করতে আমাদের অবশ্যই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।’
নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস্পেন বার্থ আইদা বলেন, ‘জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে এই প্রথম সুস্পষ্ট একটি প্রস্তাবকে ঘিরে বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এটি একটি সমস্যা ছিল। শেষ পর্যন্ত আমরা এর মোকাবিলা করতে পেরেছি।’
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, তেল, গ্যাস ও কয়লার ব্যবহার ‘ধাপে ধাপে বন্ধ করার’ বিষয়ে কপ২৮-এর চুক্তিতে কঠোর ভাষা ব্যবহারের জন্য শতাধিক দেশ ব্যাপক তদবির করেছিল, কিন্তু সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন তেল রপ্তানিকারী দেশগুলোর জোট ওপেকের তীব্র বিরোধিতার মুখে তারা ছাড় দিতে বাধ্য হয়। বিশ্ব নির্দিষ্ট জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করা ছাড়াই দূষণ কমাতে পারে বলে যুক্তি ওপেকের।
অন্যদিকে জলবায়ুর অভিঘাতে নাজুক দ্বীপরাষ্ট্র ও ছোট দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে পর্যায়ক্রমে সরে আসার বিষয়ে সবচেয়ে সোচ্চার ভূমিকা রাখে। আর তাতে সমর্থন জোগায় যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, নরওয়ে, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ এবং অন্য দেশের সরকারগুলো।
চুক্তি গৃহীত হওয়ার পর মার্কিন জলবায়ু দূত জন কেরি বলেন, ‘এটি এমন এক মুহূর্ত যেখানে বহুপাক্ষিকতা একসঙ্গে মিলেছে এবং শেষ পর্যন্ত সবার মঙ্গল নিশ্চিতে আমরা নিজস্ব স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠেছি।’
তবে ছোট দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর জোটের প্রধান আলোচক অ্যানি রাসমুসেন এই চুক্তিকে ‘উচ্চাভিলাষী নয়’ বলে সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের যখন সত্যিই নিজেদের কাজে পরিবর্তন আনতে বড় ধরনের পদক্ষেপ প্রয়োজন, তখন উল্টো গতানুগতিক কাজেই আমাদের বেশি অগ্রগতি ঘটেছে, ঘটছে।’ যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি চুক্তির বিরোধিতা করেননি।
প্রস্তাবিত চুক্তিতে বিজ্ঞান নির্দেশিত পথের সংগতি রেখে বিশ্বের জ্বালানিব্যবস্থায় জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে দূরে সরে আসার বিষয়ে সঠিক, সুশৃঙ্খল ও ন্যায়সংগতভাবে আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে এতে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা তিন গুণ করারও ডাক দেওয়া হয়েছে। এবার দেশগুলোর জাতীয় নীতি ও বিনিয়োগে চুক্তিতে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের পালা।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো শুরু করার বিষয়ে সম্মত হয়ে একটি চুক্তি করেছে জাতিসংঘের কপ২৮ জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর প্রতিনিধিরা। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব এড়াতে এটিই এ ধরনের প্রথম চুক্তি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। খবর রয়টার্সের।
১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো শুরু করার বিষয়ে সম্মত হয়ে একটি চুক্তি করেছে জাতিসংঘের কপ২৮ জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর প্রতিনিধিরা। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব এড়াতে এটিই এ ধরনের প্রথম চুক্তি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। খবর রয়টার্সের।
১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো শুরু করার বিষয়ে সম্মত হয়ে একটি চুক্তি করেছে জাতিসংঘের কপ২৮ জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর প্রতিনিধিরা। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব এড়াতে এটিই এ ধরনের প্রথম চুক্তি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। খবর রয়টার্সের।
১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো শুরু করার বিষয়ে সম্মত হয়ে একটি চুক্তি করেছে জাতিসংঘের কপ২৮ জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর প্রতিনিধিরা। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব এড়াতে এটিই এ ধরনের প্রথম চুক্তি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। খবর রয়টার্সের।
১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে