অনলাইন ডেস্ক
কয়েক বছর ধরেই তীব্র দাবদাহ, আকস্মিক বন্যা, খরা, দাবানলের মতো চরম প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। চলতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে একই সঙ্গে নেমে এসেছে বন্যা, খরা, দাবদাহ ও দাবানলের মতো নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়।
কয়েক সপ্তাহ ধরে পাকিস্তানে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। দেশটিতে সাম্প্রতিক বন্যায় প্রায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে। আর গৃহহীন হয়ে পড়েছে ৫ লাখ মানুষ। দেশের এক-তৃতীয়াংশ পানির নিচে। ভারতেও কয়েকটি রাজ্য বন্যায় বিপর্যস্ত। অন্যদিকে কয়েক মাস দিনের বেশির ভাগ সময় ধরে তাপপ্রবাহ চলেছে দেশটির বেশ কিছু অঞ্চলে।
চীন গত ছয় দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ তাপপ্রবাহের মুখোমুখি হয়েছে সম্প্রতি। গ্রীষ্মের অস্বাভাবিক তীব্র তাপপ্রবাহে আগস্টে দেশটির অনেক নদী শুকিয়ে গেছে এবং শস্যখেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত মাসে চীনের দক্ষিণাঞ্চলে যে তীব্র দাবদাহ বয়ে গেছে, তাতে বিশেষজ্ঞরা একে ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ দাবদাহ বলে মন্তব্য করেছেন। সিচুয়ান প্রদেশ ও চংকিং শহরে কয়েক দিন ধরে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে তাপমাত্রা ছিল।
ইউরোপেও দেখা দিয়েছে তীব্র দাবদাহ। এবারের দাবদাহে সব ধরনের রেকর্ড ভেঙেছে। স্মরণকালের ইতিহাসে ইউরোপে এবারের গ্রীষ্মকাল ছিল উষ্ণতম। এ ছাড়া ইউরোপে শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ খরা দেখা গেছে এবার। ইউরোপীয় কমিশনের কৃত্রিম উপগ্রহ পর্যবেক্ষক কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের (সিথ্রিএস) তথ্য অনুসারে, ইউরোপের তাপমাত্রা গত আগস্ট মাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড পার হয়ে যায়। এ ছাড়া জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত পুরো গ্রীষ্মকালেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
চলতি বছরের প্রথম দিকে, অস্ট্রেলিয়ায় নজিরবিহীন বৃষ্টি হয়েছে এবং গরমেও হাঁসফাঁস অবস্থা হয় সেখানকার মানুষের। যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রান্তে বন্যা, তো আরেক প্রান্তে চলছে খরা। গত মে মাসে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের ফলে ব্রাজিলে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এতে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায়। গ্রীষ্মের মধ্যে পূর্ব আফ্রিকা চতুর্থ বছরের মতো খরার কবলে পড়ে।
জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য কোনো একক আবহাওয়াজনিত ঘটনাকে দায়ী করা মুশকিল। লন্ডন ইম্পেরিয়াল কলেজের জলবায়ু বিজ্ঞানী ক্যারোলিন ওয়েনরাইট বলছেন, ‘একাধিক ঘটনার প্রতিটিই জলবায়ু পরিবর্তন এবং জলবায়ু পরিবর্তনশীলতার সংমিশ্রণ’।
জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে শক্তিশালী উৎসগুলোর মধ্যে একটি হলো ‘এল নিনো-সাউদার্ন অসিলেশন (এনসো)’। প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব উপকূলে ঘটে যাওয়া ‘এনসো’ প্রক্রিয়ার দুটি বিপরীত অবস্থা হলো এল নিনো ও লা নিনা। লা নিনা দিয়ে ‘এনসো’ অন্তর্ভুক্ত শীতল অবস্থা এবং এল নিনো দিয়ে উষ্ণ অবস্থা বোঝানো হয়। এল নিনো উত্তর থেকে দক্ষিণে, আর লা নিনা দক্ষিণ থেকে উত্তরে প্রবাহিত হওয়া উষ্ণ ও শীতল স্রোত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এল নিনো প্রক্রিয়ায় প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে পূর্ব থেকে পশ্চিমে প্রবাহিত বাতাস একই দিকে উষ্ণ জলের কাছাকাছি ঠেলে দেয়। যখন বাতাস স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি দুর্বলভাবে প্রবাহিত হয়, তখন উষ্ণ জল মধ্য ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে থেকে যায়, ফলে বিশ্বের সেই অংশে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। এল নিনো বন্যা, খরা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
আর যখন বাতাস প্রবলভাবে প্রবাহিত হয়, তখন পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উষ্ণ জল জমে থাকে, যার ফলে সেখানে বেশি বৃষ্টিপাত হয় এবং দক্ষিণ আমেরিকার উপকূলের গভীরতা থেকে আরও ঠান্ডা জল উঠে আসে। এটি লা নিনা নামে পরিচিত। এমন একটি অবস্থা দুই বছর ধরে বিশ্বজুড়ে বিরাজ করছে। লা নিনার প্রভাব পড়া অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে চিলি, মধ্যপ্রাচ্য এবং পূর্ব আফ্রিকার খরা, পশ্চিম আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবল বৃষ্টিপাত।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিষয়টি আরও পরোক্ষভাবে শনাক্ত করা যেতে পারে। এ বছরের শুরুতে হিমালয়ে উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে হিমবাহ গলে যাওয়ার ফলে নদীগুলোতে পানির প্রবাহ বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া বায়ুদূষণ, যা বায়ু সঞ্চালনের ধরনকে জটিল করে তোলে—তারও ভূমিকা থাকতে পারে।
এই বছরের লা নিনার কারণে উচ্চ তাপমাত্রা, বন্যা এবং তীব্র খরা আরও বাড়তে পারে। আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্টের জলবায়ু কেন্দ্রের পরিচালক মার্টেন ভ্যান অ্যালস্ট বলেছেন, ‘আমরা এটির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারছি না এবং আরও খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।’
ঐতিহাসিকভাবে দূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী ধনী দেশগুলো। যদিও দায়িত্বের প্রশ্নে সবাই সমান। এ বছরের চরম আবহাওয়াজনিত ঘটনাগুলো মিসরে আসন্ন জলবায়ু সম্মেলন ‘কপ ২৭’-এর জন্য একটি বিশেষ পটভূমি তৈরি করেছে। এসব দুর্যোগের দায়ভার কে বহন করবে, আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার ব্যয় কে বহন করবে, তা নিয়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত আলোচনা দরকার।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, শিল্পবিপ্লব শুরুর আগে বিশ্বের যে তাপমাত্রা ছিল, তার থেকে বৃদ্ধির মাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা গেলে বড় ধরনের বিপদ এড়ানো যাবে। আবার অনেক বিজ্ঞানীর আশঙ্কা, ভয়ংকর এই পরিণতি ঠেকানোর আর কোনো উপায়ই অবশিষ্ট নেই।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, দ্য ইকোনমিস্ট, ডয়চে ভেলে, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্ট
কয়েক বছর ধরেই তীব্র দাবদাহ, আকস্মিক বন্যা, খরা, দাবানলের মতো চরম প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। চলতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে একই সঙ্গে নেমে এসেছে বন্যা, খরা, দাবদাহ ও দাবানলের মতো নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়।
কয়েক সপ্তাহ ধরে পাকিস্তানে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। দেশটিতে সাম্প্রতিক বন্যায় প্রায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে। আর গৃহহীন হয়ে পড়েছে ৫ লাখ মানুষ। দেশের এক-তৃতীয়াংশ পানির নিচে। ভারতেও কয়েকটি রাজ্য বন্যায় বিপর্যস্ত। অন্যদিকে কয়েক মাস দিনের বেশির ভাগ সময় ধরে তাপপ্রবাহ চলেছে দেশটির বেশ কিছু অঞ্চলে।
চীন গত ছয় দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ তাপপ্রবাহের মুখোমুখি হয়েছে সম্প্রতি। গ্রীষ্মের অস্বাভাবিক তীব্র তাপপ্রবাহে আগস্টে দেশটির অনেক নদী শুকিয়ে গেছে এবং শস্যখেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত মাসে চীনের দক্ষিণাঞ্চলে যে তীব্র দাবদাহ বয়ে গেছে, তাতে বিশেষজ্ঞরা একে ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ দাবদাহ বলে মন্তব্য করেছেন। সিচুয়ান প্রদেশ ও চংকিং শহরে কয়েক দিন ধরে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে তাপমাত্রা ছিল।
ইউরোপেও দেখা দিয়েছে তীব্র দাবদাহ। এবারের দাবদাহে সব ধরনের রেকর্ড ভেঙেছে। স্মরণকালের ইতিহাসে ইউরোপে এবারের গ্রীষ্মকাল ছিল উষ্ণতম। এ ছাড়া ইউরোপে শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ খরা দেখা গেছে এবার। ইউরোপীয় কমিশনের কৃত্রিম উপগ্রহ পর্যবেক্ষক কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের (সিথ্রিএস) তথ্য অনুসারে, ইউরোপের তাপমাত্রা গত আগস্ট মাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড পার হয়ে যায়। এ ছাড়া জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত পুরো গ্রীষ্মকালেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
চলতি বছরের প্রথম দিকে, অস্ট্রেলিয়ায় নজিরবিহীন বৃষ্টি হয়েছে এবং গরমেও হাঁসফাঁস অবস্থা হয় সেখানকার মানুষের। যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রান্তে বন্যা, তো আরেক প্রান্তে চলছে খরা। গত মে মাসে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের ফলে ব্রাজিলে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এতে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায়। গ্রীষ্মের মধ্যে পূর্ব আফ্রিকা চতুর্থ বছরের মতো খরার কবলে পড়ে।
জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য কোনো একক আবহাওয়াজনিত ঘটনাকে দায়ী করা মুশকিল। লন্ডন ইম্পেরিয়াল কলেজের জলবায়ু বিজ্ঞানী ক্যারোলিন ওয়েনরাইট বলছেন, ‘একাধিক ঘটনার প্রতিটিই জলবায়ু পরিবর্তন এবং জলবায়ু পরিবর্তনশীলতার সংমিশ্রণ’।
জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে শক্তিশালী উৎসগুলোর মধ্যে একটি হলো ‘এল নিনো-সাউদার্ন অসিলেশন (এনসো)’। প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব উপকূলে ঘটে যাওয়া ‘এনসো’ প্রক্রিয়ার দুটি বিপরীত অবস্থা হলো এল নিনো ও লা নিনা। লা নিনা দিয়ে ‘এনসো’ অন্তর্ভুক্ত শীতল অবস্থা এবং এল নিনো দিয়ে উষ্ণ অবস্থা বোঝানো হয়। এল নিনো উত্তর থেকে দক্ষিণে, আর লা নিনা দক্ষিণ থেকে উত্তরে প্রবাহিত হওয়া উষ্ণ ও শীতল স্রোত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এল নিনো প্রক্রিয়ায় প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে পূর্ব থেকে পশ্চিমে প্রবাহিত বাতাস একই দিকে উষ্ণ জলের কাছাকাছি ঠেলে দেয়। যখন বাতাস স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি দুর্বলভাবে প্রবাহিত হয়, তখন উষ্ণ জল মধ্য ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে থেকে যায়, ফলে বিশ্বের সেই অংশে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। এল নিনো বন্যা, খরা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
আর যখন বাতাস প্রবলভাবে প্রবাহিত হয়, তখন পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উষ্ণ জল জমে থাকে, যার ফলে সেখানে বেশি বৃষ্টিপাত হয় এবং দক্ষিণ আমেরিকার উপকূলের গভীরতা থেকে আরও ঠান্ডা জল উঠে আসে। এটি লা নিনা নামে পরিচিত। এমন একটি অবস্থা দুই বছর ধরে বিশ্বজুড়ে বিরাজ করছে। লা নিনার প্রভাব পড়া অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে চিলি, মধ্যপ্রাচ্য এবং পূর্ব আফ্রিকার খরা, পশ্চিম আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবল বৃষ্টিপাত।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিষয়টি আরও পরোক্ষভাবে শনাক্ত করা যেতে পারে। এ বছরের শুরুতে হিমালয়ে উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে হিমবাহ গলে যাওয়ার ফলে নদীগুলোতে পানির প্রবাহ বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া বায়ুদূষণ, যা বায়ু সঞ্চালনের ধরনকে জটিল করে তোলে—তারও ভূমিকা থাকতে পারে।
এই বছরের লা নিনার কারণে উচ্চ তাপমাত্রা, বন্যা এবং তীব্র খরা আরও বাড়তে পারে। আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্টের জলবায়ু কেন্দ্রের পরিচালক মার্টেন ভ্যান অ্যালস্ট বলেছেন, ‘আমরা এটির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারছি না এবং আরও খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।’
ঐতিহাসিকভাবে দূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী ধনী দেশগুলো। যদিও দায়িত্বের প্রশ্নে সবাই সমান। এ বছরের চরম আবহাওয়াজনিত ঘটনাগুলো মিসরে আসন্ন জলবায়ু সম্মেলন ‘কপ ২৭’-এর জন্য একটি বিশেষ পটভূমি তৈরি করেছে। এসব দুর্যোগের দায়ভার কে বহন করবে, আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার ব্যয় কে বহন করবে, তা নিয়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত আলোচনা দরকার।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, শিল্পবিপ্লব শুরুর আগে বিশ্বের যে তাপমাত্রা ছিল, তার থেকে বৃদ্ধির মাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা গেলে বড় ধরনের বিপদ এড়ানো যাবে। আবার অনেক বিজ্ঞানীর আশঙ্কা, ভয়ংকর এই পরিণতি ঠেকানোর আর কোনো উপায়ই অবশিষ্ট নেই।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, দ্য ইকোনমিস্ট, ডয়চে ভেলে, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্ট
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক (জিসিএমএন)। হাবিবুর রহমানকে (একাত্তর টিভি, বাংলাদেশ) আহ্বায়ক এবং আশেকিন প্রিন্সকে (চ্যানেল ২৪, বাংলাদেশ) সদস্যসচিব করে জিসিএমএন ১১ সদস্যের একটি নির্বাহী কমিটি গঠ
১২ ঘণ্টা আগেএবারের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে ‘কপ অব দ্য ফিন্যান্স’ বা অর্থায়নের কপ বলা হলেও সেটি কেবল কাগজে-কলমেই ঠেকেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলো বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের যে দাবি জানিয়েছিল, সম্মেলনের ১১তম দিনেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমনকি বিগত বছরগুলোর ক্ষতিপূ
২০ ঘণ্টা আগেকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৯৫, যা অস্বাস্থ্যকর। অন্যদিকে একদিন পরই আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এর পরে আছে পাকিস্তানের লাহোর। এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ইজিপট ও চীন...
২১ ঘণ্টা আগেপাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
১ দিন আগে