অনলাইন ডেস্ক
জলবায়ু তহবিলে প্রতিবছর ৩০০ বিলিয়ন ডলার দিতে রাজি হয়েছে ধনী দেশগুলো। উন্নয়নশীল দেশগুলোকে নিম্ন–কার্বন অর্থনীতিতে রূপান্তর এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ২০৩৫ সাল পর্যন্ত এই অর্থ দেওয়া হবে।
জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের সময়সীমা একদিন বাড়িয়ে দীর্ঘ আলাপ–আলোচনা ও অভিযোগ শেষে তারা এ অর্থ দিতে রাজি হয়েছে। যদিও এটিকে’ বিশ্বাসঘাতকতা’ ও ‘অপমানজনক’ বলে আখ্যায়িত করছে উন্নয়নশীল দেশগুলো ও জলবায়ু কর্মীরা।
আজারবাইজানের বাকুতে চলমান জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলন কপ–২৯ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত শুক্রবার (২২ নভেম্বর)। উন্নত দেশগুলোর কাছে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি পোষাতে বছরে ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন (১ লাখ ৩০ হাজার কোটি) ডলার অর্থায়নের প্রস্তাব ছিল। এ আলোচনার কোনো সমাধান না পাওয়ায় সম্মেলনের সময় একদিন বাড়ানো হয়।
বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো সম্মেলনে উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে আরও অর্থায়ন এবং তহবিল বণ্টনের ক্ষেত্রে বৃহৎ উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোকে (যেমন: ভারত) নির্বাচন না করে, বেশি প্রয়োজন এমন দেশগুলোকে দেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এসব নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো সম্মেলন বর্জনও করে। পরে আবার অংশ নেয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর উন্নত দেশগুলোর অর্থায়নের আলোচনা আরও বেশি শঙ্কায় পড়ে যায়। ট্রাম্প দায়িত্ব নিয়েই প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোকে তহবিল দিতে তিনি আগ্রহী নন।
এদিকে উন্নত দেশগুলো তাদের নিজস্ব বাজেটের সীমাবদ্ধতার কারণে আর কোনো অতিরিক্ত তহবিল দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। অনেক উন্নয়নশীল দেশের মতো ভারত, বলিভিয়া, কিউবা ও নাইজেরিয়া এই অবস্থানের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। পরিবেশকর্মীরাও এই চুক্তির তীব্র সমালোচনা করেন।
ব্রাজিলের জলবায়ু পরিবর্তন সংগঠন অবজারভেটরি দো ক্লিমার ক্লাউডিও অ্যাঞ্জেলো বলেন, ধনী দেশগুলো আসন্ন ট্রাম্প প্রশাসনকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে একটি চুক্তি গ্রহণে বাধ্য করছে। তারা নতুন অর্থ দিতে রাজি নয় বরং ঋণের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত ৩০০ বিলিয়ন ডলার অনুদান ও স্বল্প সুদের ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে। বাকি টাকা আসবে বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের এবং নতুন সম্ভাব্য অর্থের উৎস, যেমন: জীবাশ্ম জ্বালানি ও উড়োজাহাজে নিয়মিত ভ্রমণকারীদের থেকে পাওয়া সম্ভাব্য শুল্ক থেকে। তবে এই সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত নয়।
গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পাওয়ার শিফট আফ্রিকার পরিচালক মোহামেদ আদৌ বলেন, কপ–২৯ সম্মেলনটি উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য একটি বিপর্যয়। উন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে বলে দাবি করলেও তাদের এই অর্থায়ন অপমানজনক। ধনী দেশগুলো ভবিষ্যতে কিছু অর্থায়ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কিন্তু জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মানুষ এখনই জীবন ও জীবিকা হারাচ্ছে।
বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতি এবং গ্রিনহাউস গ্যাসের বৃহত্তম নির্গমনকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। বার্ষিক ‘কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজ’ (কপ)–এর প্রধান এই দুই দেশ এবারের সম্মেলনে তেমন কোনো ভূমিকা রাখেনি। ঘোষণা অনুযায়ী, চীন স্বেচ্ছায় দারিদ্র্যকবলিত দেশগুলোর জন্য জলবায়ু তহবিল দেবে, তবে ধনী দেশগুলো বাধ্যতামূলকভাবে দেবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্ব সম্পদ ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী অনি দাস গুপ্ত বলেন, বড় প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও সম্মেলনে আলোচনাকারীরা একটি চুক্তি বের করতে সক্ষম হয়েছেন। এ চুক্তির ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জলবায়ু অর্থায়ন অন্তত তিনগুণ বাড়বে। প্রতিবছর ৩০০ বিলিয়ন ডলার পর্যাপ্ত না হলেও প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। এ চুক্তি থেকে বোঝা যায়, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দরিদ্র দেশগুলোর জন্য ঋণ নয় বরং তহবিল বাড়ানো বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
জলবায়ু তহবিলে প্রতিবছর ৩০০ বিলিয়ন ডলার দিতে রাজি হয়েছে ধনী দেশগুলো। উন্নয়নশীল দেশগুলোকে নিম্ন–কার্বন অর্থনীতিতে রূপান্তর এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ২০৩৫ সাল পর্যন্ত এই অর্থ দেওয়া হবে।
জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের সময়সীমা একদিন বাড়িয়ে দীর্ঘ আলাপ–আলোচনা ও অভিযোগ শেষে তারা এ অর্থ দিতে রাজি হয়েছে। যদিও এটিকে’ বিশ্বাসঘাতকতা’ ও ‘অপমানজনক’ বলে আখ্যায়িত করছে উন্নয়নশীল দেশগুলো ও জলবায়ু কর্মীরা।
আজারবাইজানের বাকুতে চলমান জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলন কপ–২৯ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত শুক্রবার (২২ নভেম্বর)। উন্নত দেশগুলোর কাছে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি পোষাতে বছরে ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন (১ লাখ ৩০ হাজার কোটি) ডলার অর্থায়নের প্রস্তাব ছিল। এ আলোচনার কোনো সমাধান না পাওয়ায় সম্মেলনের সময় একদিন বাড়ানো হয়।
বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো সম্মেলনে উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে আরও অর্থায়ন এবং তহবিল বণ্টনের ক্ষেত্রে বৃহৎ উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোকে (যেমন: ভারত) নির্বাচন না করে, বেশি প্রয়োজন এমন দেশগুলোকে দেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এসব নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো সম্মেলন বর্জনও করে। পরে আবার অংশ নেয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর উন্নত দেশগুলোর অর্থায়নের আলোচনা আরও বেশি শঙ্কায় পড়ে যায়। ট্রাম্প দায়িত্ব নিয়েই প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোকে তহবিল দিতে তিনি আগ্রহী নন।
এদিকে উন্নত দেশগুলো তাদের নিজস্ব বাজেটের সীমাবদ্ধতার কারণে আর কোনো অতিরিক্ত তহবিল দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। অনেক উন্নয়নশীল দেশের মতো ভারত, বলিভিয়া, কিউবা ও নাইজেরিয়া এই অবস্থানের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। পরিবেশকর্মীরাও এই চুক্তির তীব্র সমালোচনা করেন।
ব্রাজিলের জলবায়ু পরিবর্তন সংগঠন অবজারভেটরি দো ক্লিমার ক্লাউডিও অ্যাঞ্জেলো বলেন, ধনী দেশগুলো আসন্ন ট্রাম্প প্রশাসনকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে একটি চুক্তি গ্রহণে বাধ্য করছে। তারা নতুন অর্থ দিতে রাজি নয় বরং ঋণের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত ৩০০ বিলিয়ন ডলার অনুদান ও স্বল্প সুদের ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে। বাকি টাকা আসবে বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের এবং নতুন সম্ভাব্য অর্থের উৎস, যেমন: জীবাশ্ম জ্বালানি ও উড়োজাহাজে নিয়মিত ভ্রমণকারীদের থেকে পাওয়া সম্ভাব্য শুল্ক থেকে। তবে এই সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত নয়।
গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পাওয়ার শিফট আফ্রিকার পরিচালক মোহামেদ আদৌ বলেন, কপ–২৯ সম্মেলনটি উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য একটি বিপর্যয়। উন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে বলে দাবি করলেও তাদের এই অর্থায়ন অপমানজনক। ধনী দেশগুলো ভবিষ্যতে কিছু অর্থায়ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কিন্তু জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মানুষ এখনই জীবন ও জীবিকা হারাচ্ছে।
বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতি এবং গ্রিনহাউস গ্যাসের বৃহত্তম নির্গমনকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। বার্ষিক ‘কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজ’ (কপ)–এর প্রধান এই দুই দেশ এবারের সম্মেলনে তেমন কোনো ভূমিকা রাখেনি। ঘোষণা অনুযায়ী, চীন স্বেচ্ছায় দারিদ্র্যকবলিত দেশগুলোর জন্য জলবায়ু তহবিল দেবে, তবে ধনী দেশগুলো বাধ্যতামূলকভাবে দেবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্ব সম্পদ ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী অনি দাস গুপ্ত বলেন, বড় প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও সম্মেলনে আলোচনাকারীরা একটি চুক্তি বের করতে সক্ষম হয়েছেন। এ চুক্তির ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জলবায়ু অর্থায়ন অন্তত তিনগুণ বাড়বে। প্রতিবছর ৩০০ বিলিয়ন ডলার পর্যাপ্ত না হলেও প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। এ চুক্তি থেকে বোঝা যায়, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দরিদ্র দেশগুলোর জন্য ঋণ নয় বরং তহবিল বাড়ানো বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
অতি মুনাফা ও বাজার অর্থনীতিই পরিবেশ ধ্বংসের মূল কারণ বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক রেহমান সোবহান। তিনি বলেছেন, আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের অভাবে পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ প্রয়োজন। তবে সবার আগে এ বিষয়ে করণীয়...
৭ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাস আজও খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। বায়ুদূষণের সূচকে বিশ্বের ১২৫টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান আজ দ্বিতীয়। সকাল ৬টায় ঢাকার বায়ুমান রেকর্ড করা হয় ২৯১। মানসূচকে ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়...
৯ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপে নতুনভাবে বনায়নের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বন ও পরিবেশ এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান। আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অডিটরিয়ামে সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
২১ ঘণ্টা আগেঅবিলম্বে প্রাণ-প্রকৃতি পুনরুদ্ধার ও কার্বন নিঃসরণ কমানোর পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ২০৭০-২০৯০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জিডিপি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক ইনস্টিটিউট অ্যান্ড ফ্যাকাল্টি অব অ্যাকচুয়ারিজ এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প
১ দিন আগে