Ajker Patrika

বাংলাদেশে লোকালয়ে শিয়ালের আক্রমণ বাড়ছে

এএফপি
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭: ০৩
একসময়কার লাজুক প্রাণী হিসেবে পরিচিত শিয়াল এখন মানুষের দিকে তাকিয়ে থাকে। ছবি: এএফপি
একসময়কার লাজুক প্রাণী হিসেবে পরিচিত শিয়াল এখন মানুষের দিকে তাকিয়ে থাকে। ছবি: এএফপি

বাংলাদেশের এক প্রত্যন্ত গ্রামে বাস করে জাহান পরিবার। এই পরিবারের কেউ কখনো কাছ থেকে শিয়াল দেখেনি। তবে গত নভেম্বরের এক সকালে চার বছরের মুসকানকে ধানখেতে ধাওয়া করে এবং তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এক পাগলা শিয়াল। প্রাণীটির কামড়ে মারাত্মকভাবে আহত হয় শিশুটি। পরে গ্রামবাসী শিয়ালটিকে পিটিয়ে মারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে বনভূমি কমে যাওয়ায় এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষের ওপর শিয়ালের আক্রমণের ঘটনা বাড়ছে। সাধারণত লাজুক প্রাণী হিসেবে পরিচিত শিয়াল। দিনে দিনে এদের আবাস্থল সংকুচিত হচ্ছে এবং এরা লোকালয়ে চলে আসছে। আর কখনো কখনো মানুষদের কামড়াচ্ছে।

মুসকান এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকলেও দ্রুত চিকিৎসার কারণে সে সুরক্ষিত আছে, তবে তার মুখে কামড়ের দাগ রয়েছে এবং একটি চোখ ফুলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে রয়েছে।

সংবাদ সংস্থা এএফপিকে মুসকানের তার খালা ইশরাত জাহান জানান, ‘এটা দিনদুপুরে ঘটেছে। এক শিয়াল তাকে মাটিতে ফেলে ক্ষতবিক্ষত করেছে। পরে গ্রামবাসী সেটিকে মেরে ফেলে। তবে সবাই এখনো সেই ঘটনা ভুলতে পারেনি।

ঢাকার একটি হাসপাতালের বেডে মায়ের কোলে আহত মুসকান। ছবি: এএফপি
ঢাকার একটি হাসপাতালের বেডে মায়ের কোলে আহত মুসকান। ছবি: এএফপি

গোল্ডেন জ্যাকাল বা সোনালি শিয়াল নেকড়ের মতো দেখতে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এরা বাস করে। আকারে এরা গ্রে-হাউন্ড কুকুরের সমান, তবে ওজন আরও কম। মুসকানের ওপর যে শিয়াল হামলা করে, সেটি ছিল অস্বাভাবিক। শিয়াল নিশাচর প্রাণী। তবে এই শিয়াল দিনের বেলায় মুসকানের ওপর হামলা করেছে।

ঢাকার ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী গবেষক জোহেব মাহমুদ বলেন, গত আট বছর ধরে সোনালি শিয়ালের আচরণ নিয়ে গবেষণা করেছেন তিনি। এই পর্যবেক্ষণে মাহমুদ দেখেন যে, বনভূমি কমে যাওয়ায় শিয়ালের আচরণে পরিবর্তন এসেছে।

তিনি আরও বলেন, একসময়কার লাজুক প্রাণী হিসেবে পরিচিত শিয়াল এখন মানুষের দিকে তাকিয়ে থাকে এবং দিনের বেলায়ও বের হয়।

নগরায়ণ এবং ব্যাপক পরিমাণে গাছ কাটার কারণে শিয়ালদের মূল বাসস্থানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরে বাংলাদেশ প্রায় ১৭ হাজার ৮০০ হেক্টর (৪৪ হাজার একর) বনাঞ্চল হারিয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটন শহরের প্রায় তিন গুণের সমান।

গবেষক মাহমুদ সতর্ক করে বলেন, ‘যত দিন বনভূমি ধ্বংসের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে, তত দিন শিয়ালের আক্রমণ বন্ধ হবে না।’

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। তাই এখন আরও বেশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বন্যার সম্মুখীন হচ্ছে দেশটি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে শিয়াল তাদের বাসস্থল হারাচ্ছে ও খাদ্য সংকটে ভুগছে, যা তাদের লোকালয়ে কাছে আসতে বাধ্য করছে।

গত সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশে ব্যাপক বন্যা হয়, যার ফলে বহু মানুষের ঘরবাড়ি পানিতে ভেসে যায়। এসব এলাকার শেয়ালারও তাদের বাসস্থান হারিয়েছে। তাই এরা বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে মানুষকে কামড়াচ্ছে।

শেয়ালের কামড়ে আহত নীলফামারীর ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘বন্যার কারণে শেয়ালরা তাদের আবাস্থল হারিয়েছে ও খাদ্যসংকটে ভুগছে। তাই এরা আমাদের গ্রামে এসে ১২ জনেরও বেশি লোককে কামড়িয়েছে।

আরণ্যক পরিবেশবাদী সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রাকিবুল হাসান মুকুল বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের মৌসুমি বন্যাকে আরও তীব্র করে তুলছে। এর ফলে মানুষ তাদের ভূমি হারাচ্ছে এবং আরও বেশি বনভূমি উজাড় করছে। এতে মানুষের সঙ্গে বন্যপ্রাণীর সংঘর্ষ বাড়ছে।’

সংকটে বন্যপ্রাণী

শিয়াল কত জন মানুষকে কামড়িয়েছে এমন নির্দিষ্ট তথ্য বা জরিপ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে নেই। তবে বিভিন্ন হাসপাতালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর এ রকম হামলার সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। মুন্সিগঞ্জ জেলার এক হাসপাতালের অধ্যক্ষ দেবান নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, শেয়ালের কামড়ে আহত হয়ে গত সেপ্টেম্বর মাসে তাদের হাসপাতালে এক দিনে ২০ জন রোগী ভর্তি হয়। এভাবে এক দিনে এত শেয়ালের হামলার ঘটনা আগে কখনো হয়নি।

অপরদিকে দিনাজপুরে আরেক হাসপাতালের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমরা নিয়মিতভাবে শেয়ালের কামড়ে আহত রোগীদের চিকিৎসা করছি। শেয়ালগুলো এখন মুক্তভাবে ফসলি জমিতে ঘুরছে।’

গোল্ডেন জ্যাকালরা সাধারণত শান্ত প্রকৃতির, মানুষের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ রাখে না। তবে এরা র‍্যাবিস ভাইরাসে আক্রান্ত হলে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। কুকুরের মধ্যে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। যদি আক্রান্ত প্রাণী মানুষের রক্ত শোষণ করে, তাহলে এটি মানবদেহে ছড়িয়ে যায়।

মুসকানকে গত মাসে কামড়ানো হয়েছিল, কিন্তু দ্রুত চিকিৎসা দেওয়ার কারণে তাকে জলাতঙ্ক থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়। কিন্তু তার আঘাত খুব গভীর এবং তাকে অস্ত্রোপচারের জন্য মাসের পর মাস হাসপাতালে থাকতে হবে।

হাসপাতালের এক চিকিৎসক আরিফুল বাসার এএফপিকে বলেন, ‘আমরা র‍্যাবিস ভ্যাকসিন দিয়ে রক্ষা করতে পারি, তবে বেশির ভাগ সময়ই শিয়াল মানুষের গোশত ছিঁড়ে ফেলে, যার ফলে তাদের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়।’

গত মাসে আহত হওয়ার পর জলাতঙ্ক সংক্রমণ প্রতিরোধে তিন দিন চিকিৎসা নেয় মুসকান। এরপর আঘাতের চিকিৎসার জন্য এক মাস হাসপাতালে ভর্তি ছিল শিশুটি। ওই আক্রমণের ঘটনায় এখনো সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকার বাতাস সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর, আজও দূষণে শীর্ষে দিল্লি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ০২
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।

আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ১৯০। যা নির্দেশ করে ঢাকার বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।

ঢাকার বেশ কিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— কল্যাণপুর (২৬০), দক্ষিণ পল্লবী (২৫৬), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (১৯৬), গোড়ান (১৯৬) ও বেচারাম দেউরি (১৯০)।

অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে দিল্লি। শহরটির একিউআই স্কোর ৩১০। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (২৭০, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে বসনিয়া-হার্জেগোভিনার সারাজেভ (২২৭, খুব অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (২০১, খুব অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে মিসরের কায়রো (১৯৪, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্‌রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বেড়েছে ঢাকার তাপমাত্রা, জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

পৌষ মাসের তৃতীয় দিন আজ। শীতের মৌসুম চলে এলেও রাজধানী ঢাকায় বাড়ছে তাপমাত্রা। আজ বৃহস্পতিবার সকালের আবহাওয়া বুলেটিনে দেখা যায়, গতকালের তুলনায় আজ সকালে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকায় আজ সকালে তাপমাত্রা ১৬.৬

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ২৯
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।

আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকায় পড়েছে হালকা শীত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ০৬
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত