Ajker Patrika

জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজন ২৩০ বিলিয়ন ডলার: আতিউর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজন ২৩০ বিলিয়ন ডলার: আতিউর রহমান

দেশ ও দেশের মানুষ জলবায়ু সংক্রান্ত নানান ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব ঝুঁকি মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদি নানান পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নে আগামী ২৭ বছরে ২৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সহসভাপতি ড. আতিউর রহমান। 

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাপা আয়োজিত ‘বাজেটে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু খাত: বরাদ্দ বিশ্লেষণ ও আগামীর পথনকশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

আতিউর রহমান বলেন, ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান, বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনাসহ অনেকগুলো সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা হাতে রয়েছে। এসব পরিকল্পনার আলোকে আমরা সুনির্দিষ্ট প্রকল্প ও কর্মসূচিতে বিশ্ব জলবায়ু তহবিল ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক তহবিল থেকে বাড়তি অর্থায়ন চাই। আমরা জলবায়ুর আঘাতে সবচেয়ে বিপর্যস্ত এক দেশ। আমরা যে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা করেছি তাতে জলবায়ু চ্যালেঞ্জের শিকার ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকা সংরক্ষণ এবং সুনির্দিষ্ট প্রকল্প ও কর্মসূচিতে আগামী ২৭ বছরে ২৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের দরকার হবে। আর তাপমাত্রা যদি দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠে যায় তাহলে এর চেয়ে বেশি অর্থের প্রয়োজন হবে।’ 

তিনি আরও বলেন, পরিবেশ তথা জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য শুধু সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ দেখলেই চলবে না। নিঃসন্দেহে এটি বহুমাত্রিক তথা আন্ত: ঘাত সম্পর্কিত বিষয়। অন্তত: পঁচিশটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকাণ্ড পরিবেশ ও জলবায়ুর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার বিষয় প্রতিফলিত হয়ে থাকে। 

সভায় ব্যাপার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির বলেন, দেশের প্রাণ-প্রকৃতি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এ অবস্থায় পরিবেশ খাতে দায় সারা বরাদ্দ দিলে পরিবেশের ধ্বংসকে আরও ত্বরান্বিত করা হবে। 

অধ্যাপক এম. ফিরোজ আহমেদ বলেন, জলবায়ু ফান্ড পাওয়ার জন্য বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জোর কুটনৈতিক বৃদ্ধি করা উচিত। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম শহীদুল ইসলাম বলেন, পরিবেশ খাতে বাজেট স্বল্পতার পাশাপাশি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে দেশের পরিবেশ আজ হুমকির মুখে। 

সভাপতির বক্তব্যে ব্যাপার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, পরিবেশ খাতে বাজেট পরিমানে বেশি হচ্ছে কিন্তু শতকরা হারে কমে যাচ্ছে। দেশের পরিবেশের স্বার্থে জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সংক্রান্ত প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। 

সভায় বেশ কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন বক্তারা। এগুলোর মধ্যে পরিবেশ ও জলবায়ু বাজেটের অংশ হিসেবে গবেষণা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, ‘টেকসই উন্নয়নে জলবায়ু অর্থায়ন’ প্রকাশনা অব্যাহত রাখা, টেকসই নগরায়ণের দিকে মনোযোগ, কেন্দ্রীয়, স্থানীয় সরকার ও নাগরিক সংগঠনগুলোর মাঝে সহযোগিতা ও সমন্বয় বৃদ্ধি, কৃষিতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে সোলার ইরিগেশন পাম্পে বিনিয়োগ, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর শিল্পকে নিরুৎসাহিত করা, নগরাঞ্চলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাজনিত সমস্যা দূর করা উল্লেখযোগ্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা হলেই মেয়াদ শেষ নতুন পরিচালনা কমিটির

মুসলিম থেকে খ্রিষ্টান হওয়া ইরানি নারী এখন পানামার জঙ্গলে

ঢাবি ছাত্রীকে যৌন হেনস্তাকারীর পক্ষে নামা ‘তৌহিদী জনতার’ আড়ালে এরা কারা

এনসিপিকে চাঁদা দিচ্ছেন ধনীরা, ক্রাউডফান্ডিং করেও অর্থ সংগ্রহ করা হবে: নাহিদ ইসলাম

ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান, সন্তানসহ ছিটকে পড়তেই তরুণীর গালে ছুরিকাঘাত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত