
কপ ২৬ জলবায়ু সম্মেলন থেকে বিশ্বনেতারা গোটা বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আরও জরুরিভাবে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা আর কোনো ফাঁকা কথায় আস্থা রাখতে চান না। তাঁরা সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা খুব দ্রুততার সঙ্গে কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন।
শেষ হলো বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের সীমাবদ্ধ রাখার সেই পুরোনো লক্ষ্য অর্জনের প্রতিশ্রুতি দিয়েই শেষ হলো স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত কপ ২৬ সম্মেলন। একটানা ১৩ দিনের এ সম্মেলনে বেশ কিছু বিষয়ে অগ্রগতি হলেও অনেক না পাওয়া রয়ে গেছে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখার লক্ষ্য প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনেই নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই লক্ষ্য অর্জনের পথে যে পদক্ষেপগুলো নেওয়া জরুরি ছিল, তা নিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন বিশ্বনেতারা। এবার অবশ্য অপরিবর্তিত এই লক্ষ্য অর্জনের পথটি কিছুটা সুনির্দিষ্ট করতে পেরেছেন তাঁরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারের সম্মেলনে সবচেয়ে বড় যে অগ্রগতি হয়েছে, তা হলো বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্মত হওয়া। এ ছাড়া বনাঞ্চল ধ্বংস বন্ধ এবং নতুন করে বনায়নের বিষয়ে সম্মত হয়েছেন শতাধিক দেশের নেতা। এই দেশগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ব্রাজিল, যেখানে রয়েছে পৃথিবীর ‘ফুসফুস’খ্যাত আমাজন।
এবারের সম্মেলনে বায়ুমণ্ডলে ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস মিথেনের নিঃসরণ কমাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যৌথভাবে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হিসেবে মিথেন গ্যাসের নিঃসরণ কমানোকে চিহ্নিত করেছেন অনেক আগেই। ফলে এবারের সম্মেলনে এই গ্রাসের নিঃসরণ কমাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের এক জোট হওয়াকে অনেক বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা। এ ছাড়া কয়লা থেকে সরে আসার প্রতিশ্রুতিপত্রে সই করেছে ৪০ টির বেশি দেশ। তবে একে অগ্রগতি হিসেবে দেখলে এর সবচেয়ে বড় খুঁত হিসেবে এবারও রয়ে গেল চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের এতে সই না করাটা।
আর যা হয়েছে, তা হলো জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এবং এই সংকট মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য নতুন করে আর্থিক সহায়তার কথা ঘোষণা করা। তবে ঘোষিত তহবিলকে অনেকেই অপ্রতুল বলছেন।

তারপরও কপ ২৬ জলবায়ু সম্মেলন থেকে বিশ্বনেতারা সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা খুব দ্রুততার সঙ্গে কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু যেখানে এই সম্মেলন পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে, তা হলো এটি কয়লা ও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর ক্ষেত্রে বিশ্বনেতাদের এক কাতারে আনতে ব্যর্থ হয়েছে। দরিদ্র দেশগুলোকে আরও বেশি পরিমাণে সহায়তার কথা বলা হলেও তার কাঠামোটি এখনো স্পষ্ট নয়।
কপ ২৬ সম্পর্কে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গতকাল শুক্রবার বলেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়ে গোটা বিশ্ব একমত হতে না পারলে পৃথিবীই ‘লাইফ সাপোর্টে’ চলে যাবে।
প্রসঙ্গত, প্রাক শিল্পযুগের চেয়ে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে না পারলে বিশ্বের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সংখ্যা এত বেড়ে যাবে যে, তাতে পৃথিবীর বহু প্রাণ রীতিমতো বিলুপ্তির কাছে চলে যাবে বলে অনেক আগে থেকেই সতর্ক করছেন বিজ্ঞানীরা। এ নিয়ে সারা বিশ্বের তরুণেরাও সোচ্চার হয়ে উঠেছে। বিশ্ব গ্রেটা থানবার্গের কথা জানে। এই শিশুরা এখনো জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কাজ করতে বিশ্বনেতাদের নিয়মিত তাগাদা দিয়ে যাচ্ছে। আর এ জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে বর্তমান কার্বন নিঃসরণের হার ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে তা শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। এটি সম্ভব না হলে ২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রাক শিল্পযুগের তুলনায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে। আর তেমনটি হলে সব কোরাল রিফ আক্ষরিক অর্থেই নিষ্প্রাণ হয়ে যাবে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। এটি বৈশ্বিক উষ্ণায়নের অতি ক্ষুদ্র একটি প্রভাব।
এ অবস্থায় কপ২৬ যে সমঝোতায় উপনীত হতে যাচ্ছে, তা আগের তুলনায় অগ্রসর হলেও যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক জিম ওয়াটসন বিবিসিকে বলেন, খসড়া চুক্তিতে যা দেখা যাচ্ছে কিছুটা উৎসাহব্যঞ্জক হলেও যে উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথা বলা হচ্ছিল তার কাছে-ধারেও এটি নেই।
খসড়া চুক্তিতে আগামী বছরের জলবায়ু সম্মেলনের আগেই এবারের সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলোকে নিঃসরণ হ্রাসে জাতীয়ভাবে গৃহীত পরিকল্পনা (এনডিসি) জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এবারের সম্মেলনে এটিই সবচেয়ে বড় অর্জন। তবে এটি তখনই অর্জন হবে, যখন সত্যি সত্যি দেশগুলো এমন পরিকল্পনা জমা দেবে এবং তা বাস্তবায়নে আন্তরিক থাকবে। এর আগে এ ধরনের এনডিসি জমা দেওয়ার সময়সীমা ছিল পাঁচ বছর পরপর।
দেড় ডিগ্রিতে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সীমিত রাখার প্রতিশ্রুতিটি প্যারিস সম্মেলনের অনুরূপ হলেও তা কিছু দিক থেকে আলাদা। প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ২১০০ সালের মধ্যে এই উষ্ণায় দেড় ডিগ্রিতে সীমিত করার কথা বলছে। আর গ্লাসগো সম্মেলনে বলা হচ্ছে—এটি করতে হবে ২০৫০ সালের মধ্যেই। অর্থাৎ, এ ক্ষেত্রে সুতায় ঢিল দেওয়ার সুযোগটি বন্ধ হলো কিছুটা। আগের প্রতিশ্রুতিটিকে একটা ভাঁওতা হিসেবে দেখছিলেন জলবায়ু বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছিলেন, গোটা পৃথিবীর সঙ্গেই বিশ্বনেতারা একটা প্রতারণা করেছেন। তাঁদের কর্মকাণ্ড বলে দিচ্ছে—বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধের বদলে তাঁরা এটি একটা সীমা পর্যন্ত বাড়তে দেবেন। এবং পরে তা প্রতিশ্রুতি রক্ষার স্বার্থে ২১০০ সালের মধ্যে আবার দেড় ডিগ্রিতে ফিরিয়ে আনবেন। বিজ্ঞানীরা এই বলে বারবার সতর্ক করেছেন যে, এমন কোনো পদক্ষেপ নিলে তা নিজের পায়ে কুড়াল মারার শামিল হবে। কারণ, একবার এই তাপমাত্রা বেড়ে গেলে আর কমিয়ে আনা সহজ নয়। আর এর মধ্যে এত এত বিপর্যয় ঘটে যাবে যে, তা আর পুষিয়ে ওঠা যাবে না।

কপ ২৬ জলবায়ু সম্মেলন থেকে বিশ্বনেতারা গোটা বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আরও জরুরিভাবে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা আর কোনো ফাঁকা কথায় আস্থা রাখতে চান না। তাঁরা সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা খুব দ্রুততার সঙ্গে কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন।
শেষ হলো বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের সীমাবদ্ধ রাখার সেই পুরোনো লক্ষ্য অর্জনের প্রতিশ্রুতি দিয়েই শেষ হলো স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত কপ ২৬ সম্মেলন। একটানা ১৩ দিনের এ সম্মেলনে বেশ কিছু বিষয়ে অগ্রগতি হলেও অনেক না পাওয়া রয়ে গেছে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখার লক্ষ্য প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনেই নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই লক্ষ্য অর্জনের পথে যে পদক্ষেপগুলো নেওয়া জরুরি ছিল, তা নিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন বিশ্বনেতারা। এবার অবশ্য অপরিবর্তিত এই লক্ষ্য অর্জনের পথটি কিছুটা সুনির্দিষ্ট করতে পেরেছেন তাঁরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারের সম্মেলনে সবচেয়ে বড় যে অগ্রগতি হয়েছে, তা হলো বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্মত হওয়া। এ ছাড়া বনাঞ্চল ধ্বংস বন্ধ এবং নতুন করে বনায়নের বিষয়ে সম্মত হয়েছেন শতাধিক দেশের নেতা। এই দেশগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ব্রাজিল, যেখানে রয়েছে পৃথিবীর ‘ফুসফুস’খ্যাত আমাজন।
এবারের সম্মেলনে বায়ুমণ্ডলে ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস মিথেনের নিঃসরণ কমাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যৌথভাবে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হিসেবে মিথেন গ্যাসের নিঃসরণ কমানোকে চিহ্নিত করেছেন অনেক আগেই। ফলে এবারের সম্মেলনে এই গ্রাসের নিঃসরণ কমাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের এক জোট হওয়াকে অনেক বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা। এ ছাড়া কয়লা থেকে সরে আসার প্রতিশ্রুতিপত্রে সই করেছে ৪০ টির বেশি দেশ। তবে একে অগ্রগতি হিসেবে দেখলে এর সবচেয়ে বড় খুঁত হিসেবে এবারও রয়ে গেল চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের এতে সই না করাটা।
আর যা হয়েছে, তা হলো জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এবং এই সংকট মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য নতুন করে আর্থিক সহায়তার কথা ঘোষণা করা। তবে ঘোষিত তহবিলকে অনেকেই অপ্রতুল বলছেন।

তারপরও কপ ২৬ জলবায়ু সম্মেলন থেকে বিশ্বনেতারা সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা খুব দ্রুততার সঙ্গে কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু যেখানে এই সম্মেলন পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে, তা হলো এটি কয়লা ও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর ক্ষেত্রে বিশ্বনেতাদের এক কাতারে আনতে ব্যর্থ হয়েছে। দরিদ্র দেশগুলোকে আরও বেশি পরিমাণে সহায়তার কথা বলা হলেও তার কাঠামোটি এখনো স্পষ্ট নয়।
কপ ২৬ সম্পর্কে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গতকাল শুক্রবার বলেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়ে গোটা বিশ্ব একমত হতে না পারলে পৃথিবীই ‘লাইফ সাপোর্টে’ চলে যাবে।
প্রসঙ্গত, প্রাক শিল্পযুগের চেয়ে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে না পারলে বিশ্বের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সংখ্যা এত বেড়ে যাবে যে, তাতে পৃথিবীর বহু প্রাণ রীতিমতো বিলুপ্তির কাছে চলে যাবে বলে অনেক আগে থেকেই সতর্ক করছেন বিজ্ঞানীরা। এ নিয়ে সারা বিশ্বের তরুণেরাও সোচ্চার হয়ে উঠেছে। বিশ্ব গ্রেটা থানবার্গের কথা জানে। এই শিশুরা এখনো জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কাজ করতে বিশ্বনেতাদের নিয়মিত তাগাদা দিয়ে যাচ্ছে। আর এ জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে বর্তমান কার্বন নিঃসরণের হার ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে তা শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। এটি সম্ভব না হলে ২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রাক শিল্পযুগের তুলনায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে। আর তেমনটি হলে সব কোরাল রিফ আক্ষরিক অর্থেই নিষ্প্রাণ হয়ে যাবে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। এটি বৈশ্বিক উষ্ণায়নের অতি ক্ষুদ্র একটি প্রভাব।
এ অবস্থায় কপ২৬ যে সমঝোতায় উপনীত হতে যাচ্ছে, তা আগের তুলনায় অগ্রসর হলেও যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক জিম ওয়াটসন বিবিসিকে বলেন, খসড়া চুক্তিতে যা দেখা যাচ্ছে কিছুটা উৎসাহব্যঞ্জক হলেও যে উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথা বলা হচ্ছিল তার কাছে-ধারেও এটি নেই।
খসড়া চুক্তিতে আগামী বছরের জলবায়ু সম্মেলনের আগেই এবারের সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলোকে নিঃসরণ হ্রাসে জাতীয়ভাবে গৃহীত পরিকল্পনা (এনডিসি) জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এবারের সম্মেলনে এটিই সবচেয়ে বড় অর্জন। তবে এটি তখনই অর্জন হবে, যখন সত্যি সত্যি দেশগুলো এমন পরিকল্পনা জমা দেবে এবং তা বাস্তবায়নে আন্তরিক থাকবে। এর আগে এ ধরনের এনডিসি জমা দেওয়ার সময়সীমা ছিল পাঁচ বছর পরপর।
দেড় ডিগ্রিতে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সীমিত রাখার প্রতিশ্রুতিটি প্যারিস সম্মেলনের অনুরূপ হলেও তা কিছু দিক থেকে আলাদা। প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ২১০০ সালের মধ্যে এই উষ্ণায় দেড় ডিগ্রিতে সীমিত করার কথা বলছে। আর গ্লাসগো সম্মেলনে বলা হচ্ছে—এটি করতে হবে ২০৫০ সালের মধ্যেই। অর্থাৎ, এ ক্ষেত্রে সুতায় ঢিল দেওয়ার সুযোগটি বন্ধ হলো কিছুটা। আগের প্রতিশ্রুতিটিকে একটা ভাঁওতা হিসেবে দেখছিলেন জলবায়ু বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছিলেন, গোটা পৃথিবীর সঙ্গেই বিশ্বনেতারা একটা প্রতারণা করেছেন। তাঁদের কর্মকাণ্ড বলে দিচ্ছে—বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধের বদলে তাঁরা এটি একটা সীমা পর্যন্ত বাড়তে দেবেন। এবং পরে তা প্রতিশ্রুতি রক্ষার স্বার্থে ২১০০ সালের মধ্যে আবার দেড় ডিগ্রিতে ফিরিয়ে আনবেন। বিজ্ঞানীরা এই বলে বারবার সতর্ক করেছেন যে, এমন কোনো পদক্ষেপ নিলে তা নিজের পায়ে কুড়াল মারার শামিল হবে। কারণ, একবার এই তাপমাত্রা বেড়ে গেলে আর কমিয়ে আনা সহজ নয়। আর এর মধ্যে এত এত বিপর্যয় ঘটে যাবে যে, তা আর পুষিয়ে ওঠা যাবে না।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

কপ ২৬ জলবায়ু সম্মেলন থেকে বিশ্বনেতারা সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা খুব দ্রুততার সঙ্গে কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু যেখানে এই সম্মেলন পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে, তা হলো এটি কয়লা ও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর ক্ষেত্রে বি
১৩ নভেম্বর ২০২১
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

কপ ২৬ জলবায়ু সম্মেলন থেকে বিশ্বনেতারা সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা খুব দ্রুততার সঙ্গে কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু যেখানে এই সম্মেলন পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে, তা হলো এটি কয়লা ও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর ক্ষেত্রে বি
১৩ নভেম্বর ২০২১
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

কপ ২৬ জলবায়ু সম্মেলন থেকে বিশ্বনেতারা সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা খুব দ্রুততার সঙ্গে কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু যেখানে এই সম্মেলন পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে, তা হলো এটি কয়লা ও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর ক্ষেত্রে বি
১৩ নভেম্বর ২০২১
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

কপ ২৬ জলবায়ু সম্মেলন থেকে বিশ্বনেতারা সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা খুব দ্রুততার সঙ্গে কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু যেখানে এই সম্মেলন পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে, তা হলো এটি কয়লা ও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর ক্ষেত্রে বি
১৩ নভেম্বর ২০২১
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে