ডিম দিয়েছে আপেল শামুক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২১, ১৪: ৪৪
আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২১, ১৬: ০১

বাংলাদেশের পুকুর, খাল–বিল, হাওর–বাঁওড়ে প্রায় ৪৫০ প্রজাতির শামুক পাওয়া যায়। এর মধ্যে আপেল শামুক (Pila globosa) ও পন্ড স্নেইল (Viviparus bengalensis) ব্যাপকভাবে পাওয়া যায়। শামুকের ব্যাপক অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত গুরুত্ব রয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষ শামুকের মাংস খায়। দেশে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অনেকে শামুক খায়। এ ছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গলদা চিংড়ির খাদ্য হিসেবে দিনে গড়ে হেক্টরপ্রতি ৬৬ দশমিক ৫ কেজি শামুকের মাংস ব্যবহৃত হয়।

তবে ফসলের বাণিজ্যিক চাষ এবং বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হওয়ার কারণে শামুকের অনেক প্রজাতি বিলুপ্তির পথে; বিশেষ করে কীটনাশক ও আগাছানাশকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার শামুক বিলুপ্তিতে বড় ভূমিকা রাখছে।

শীতে খাল-বিলের নরম মাটির নিচে আশ্রয় নেয় শামুকেরা। আর বর্ষা মৌসুমের পানি পেয়ে মাটি ভেদ করে উপরে উঠে আসে। এরপর এরা একটু উঁচু স্থানে ডিম দেয়। শামুকের প্রজনন মৌসুম স্থায়ী হয় প্রায় একমাস। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সকালে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা সদর এলাকার হাড়িগাছি বিল থেকে তোলাবাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলোয় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ছোট পরিসরে শামুকের চাষ করছেন। এটি চাষ করা খুব সহজ। মাছ চাষের পুকুরে মাছের জন্য দেওয়া খাবারের উচ্ছিষ্ট খেয়েই বড় হয় শামুক। শামুক পুকুরে প্রাকৃতিক পরিষ্কারক (বায়ো-ফিল্টার) হিসেবে কাজ করে। ফলে পানির গুণাগুণ ভালো থাকে। মৎস্য চাষের ক্ষেত্রে ফিশ মিলের বিকল্প হিসেবে শামুক ব্যবহার করা হয়। পুকুরে মাছের সঙ্গে শামুকের সমন্বিত চাষ করা যায়।

শামুক ও ঝিনুকের বাণিজ্যিক চাষ ও ব্যবস্থাপনার ওপর দক্ষতা উন্নয়নে সরকারি অর্থায়নে ২৪ কোটি ৫৬ লাখ ৮৮ হাজার টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ময়মনসিংহ, গোপালগঞ্জ, কক্সবাজার, চাঁদপুর, বগুড়া, যশোর ও বাগেরহাটে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৭ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ছিল।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত