অনলাইন ডেস্ক
বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে ২১০০ সালের মধ্যে বিশ্বের প্রায় এক–তৃতীয়াংশ প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে এই বিলুপ্তি ত্বরান্বিত হতে পারে।
নতুন এক গবেষণায় এমন আশঙ্কার কথা উঠে এসেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যদি বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রাক-শিল্পবিপ্লব সময়ের গড় তাপমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট (১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বাড়ে, অর্থাৎ প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যায়, তাহলে প্রজাতি বিলুপ্তির হার দ্রুত বাড়বে। বিশেষত উভচর প্রাণী, পাহাড়, দ্বীপ ও স্বাদু পানির বাস্তুতন্ত্রে বসবাসরত প্রজাতি এবং দক্ষিণ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের প্রজাতি বিলুপ্ত হবে বেশি।
আঠারো শতকে শিল্পবিপ্লবের পর পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১ দশমিক ৮ ফারেনহাইট) বেড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাতের ধরনে পরিবর্তন ঘটায়, যা বাস্তুতন্ত্র এবং প্রজাতির সম্পর্ককে প্রভাবিত করে। উদাহরণস্বরূপ, তাপমাত্রা বাড়ার কারণে পর-পরাগায়ন উদ্ভিদের ফুল ফোটার সঙ্গে প্রজাপতির স্থানান্তরকালের মিল থাকছে না। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক প্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতি তাদের বাসস্থান পরিবর্তন করছে। জীবন ধারণের জন্য আরও অনুকূল তাপমাত্রা পেতে তারা শীতল অঞ্চলে বা উচ্চস্থানের দিকে চলে যাচ্ছে।
কিছু প্রজাতি পরিবেশগত পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে অভিযোজন বা স্থানান্তরে সক্ষম হলেও অনেক প্রজাতিই হঠাৎ চরম পরিবর্তনে টিকে থাকতে পারে না। এর ফলে প্রজাতির সংখ্যা কমে যায় এবং কখনো কখনো বিলুপ্তও হয়ে যায়। বিশ্বের বিভিন্ন গবেষণা ১০ লাখেরও বেশি প্রজাতির বিলুপ্ত হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে প্রজাতির বিলুপ্ত হওয়া কীভাবে সম্পর্কিত তা এখনো স্পষ্টভাবে বুঝতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।
নতুন গবেষণা প্রতিবেদনটি গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ‘সায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। নতুন গবেষণায় ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জীববৈচিত্র্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেছে। এখানে ৪৫০ টিরও বেশি গবেষণাপত্র অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো অধিকাংশ পরিচিত প্রজাতিকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
গবেষকেরা দেখিয়েছেন, যদি গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানো না যায়, তাহলে ২০২১ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ১ লাখ ৮০ হাজার প্রজাতি বিলুপ্ত হতে পারে।
তবে তাপমাত্রা প্রাক-শিল্পবিপ্লব যুগের চেয়ে ৪ দশমিক ৯ ফারেনহাইট (২ দশমিক ৭ সেলসিয়াস) বাড়লে বিশ্বের প্রতি ২০টি প্রজাতির মধ্যে একটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
এরও বেশি তাপমাত্রা বাড়লে আরও বেশিসংখ্যক প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটবে। যেমন: ৭ দশমিক ৭ ফারেনহাইট (৪ দশমিক ৩ সেলসিয়াস) তাপমাত্রা বাড়লে ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ প্রজাতি বিলুপ্ত হতে পারে এবং ৯ দশমিক ৭ ফারেনহাইট (৫ দশমিক ৪ সেলসিয়াস) তাপমাত্রা বাড়লে পৃথিবীর প্রায় ২৯ দশমিক ৭ শতাংশ প্রজাতি বিলুপ্তির ঝুঁকিতে পড়বে।
কানেকটিকাট বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানী মার্ক আরবান লাইভ সায়েন্সকে বলেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখার লক্ষ্য অর্জন ব্যর্থ হলে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা প্রজাতির সংখ্যা ব্যাপকভাবে বাড়বে।
আরবান বলছেন, ‘আমরা যদি প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসের নিচে রাখতে পারি, তাহলে খুব বেশি প্রজাতি বিলুপ্ত হবে না। তবে ২ দশমিক ৭ সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই হার দ্রুত বাড়বে।’
তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের প্রজাতি সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে। উভচর প্রাণী সবচেয়ে বেশি বিপদে, কারণ এদের জীবনচক্র আবহাওয়ার ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল এবং এরা বৃষ্টিপাতের পরিবর্তন ও খরার প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল। পাহাড়ি, দ্বীপ ও স্বাদু পানির বাস্তুতন্ত্রের প্রজাতিগুলোও সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ নিজেদের বাস্তুতন্ত্র থেকে বিচ্ছিন্ন পরিবেশ এদের জন্য প্রতিকূল। এদের পক্ষে স্থানান্তর এবং আরও অনুকূল পরিবেশ সন্ধান করা কঠিন বা প্রায় অসম্ভব।
এই গবেষণার ফল নীতিনির্ধারকদের প্রভাবিত করবে বলে আশা করছেন অধ্যাপক আরবান। তিনি বলেন, নীতিনির্ধারকদের জন্য মূল বার্তা হলো, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রজাতির বিলুপ্তির সম্পর্ক এখন আরও বেশি নিশ্চিত। পদক্ষেপ না নেওয়ার এখন আর কোনো অজুহাত নেই, কারণ এই প্রভাবগুলো আগে অনিশ্চিত ছিল।
বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে ২১০০ সালের মধ্যে বিশ্বের প্রায় এক–তৃতীয়াংশ প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে এই বিলুপ্তি ত্বরান্বিত হতে পারে।
নতুন এক গবেষণায় এমন আশঙ্কার কথা উঠে এসেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যদি বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রাক-শিল্পবিপ্লব সময়ের গড় তাপমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট (১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বাড়ে, অর্থাৎ প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যায়, তাহলে প্রজাতি বিলুপ্তির হার দ্রুত বাড়বে। বিশেষত উভচর প্রাণী, পাহাড়, দ্বীপ ও স্বাদু পানির বাস্তুতন্ত্রে বসবাসরত প্রজাতি এবং দক্ষিণ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের প্রজাতি বিলুপ্ত হবে বেশি।
আঠারো শতকে শিল্পবিপ্লবের পর পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১ দশমিক ৮ ফারেনহাইট) বেড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাতের ধরনে পরিবর্তন ঘটায়, যা বাস্তুতন্ত্র এবং প্রজাতির সম্পর্ককে প্রভাবিত করে। উদাহরণস্বরূপ, তাপমাত্রা বাড়ার কারণে পর-পরাগায়ন উদ্ভিদের ফুল ফোটার সঙ্গে প্রজাপতির স্থানান্তরকালের মিল থাকছে না। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক প্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতি তাদের বাসস্থান পরিবর্তন করছে। জীবন ধারণের জন্য আরও অনুকূল তাপমাত্রা পেতে তারা শীতল অঞ্চলে বা উচ্চস্থানের দিকে চলে যাচ্ছে।
কিছু প্রজাতি পরিবেশগত পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে অভিযোজন বা স্থানান্তরে সক্ষম হলেও অনেক প্রজাতিই হঠাৎ চরম পরিবর্তনে টিকে থাকতে পারে না। এর ফলে প্রজাতির সংখ্যা কমে যায় এবং কখনো কখনো বিলুপ্তও হয়ে যায়। বিশ্বের বিভিন্ন গবেষণা ১০ লাখেরও বেশি প্রজাতির বিলুপ্ত হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে প্রজাতির বিলুপ্ত হওয়া কীভাবে সম্পর্কিত তা এখনো স্পষ্টভাবে বুঝতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।
নতুন গবেষণা প্রতিবেদনটি গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ‘সায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। নতুন গবেষণায় ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জীববৈচিত্র্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেছে। এখানে ৪৫০ টিরও বেশি গবেষণাপত্র অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো অধিকাংশ পরিচিত প্রজাতিকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
গবেষকেরা দেখিয়েছেন, যদি গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানো না যায়, তাহলে ২০২১ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ১ লাখ ৮০ হাজার প্রজাতি বিলুপ্ত হতে পারে।
তবে তাপমাত্রা প্রাক-শিল্পবিপ্লব যুগের চেয়ে ৪ দশমিক ৯ ফারেনহাইট (২ দশমিক ৭ সেলসিয়াস) বাড়লে বিশ্বের প্রতি ২০টি প্রজাতির মধ্যে একটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
এরও বেশি তাপমাত্রা বাড়লে আরও বেশিসংখ্যক প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটবে। যেমন: ৭ দশমিক ৭ ফারেনহাইট (৪ দশমিক ৩ সেলসিয়াস) তাপমাত্রা বাড়লে ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ প্রজাতি বিলুপ্ত হতে পারে এবং ৯ দশমিক ৭ ফারেনহাইট (৫ দশমিক ৪ সেলসিয়াস) তাপমাত্রা বাড়লে পৃথিবীর প্রায় ২৯ দশমিক ৭ শতাংশ প্রজাতি বিলুপ্তির ঝুঁকিতে পড়বে।
কানেকটিকাট বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানী মার্ক আরবান লাইভ সায়েন্সকে বলেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখার লক্ষ্য অর্জন ব্যর্থ হলে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা প্রজাতির সংখ্যা ব্যাপকভাবে বাড়বে।
আরবান বলছেন, ‘আমরা যদি প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসের নিচে রাখতে পারি, তাহলে খুব বেশি প্রজাতি বিলুপ্ত হবে না। তবে ২ দশমিক ৭ সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই হার দ্রুত বাড়বে।’
তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের প্রজাতি সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে। উভচর প্রাণী সবচেয়ে বেশি বিপদে, কারণ এদের জীবনচক্র আবহাওয়ার ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল এবং এরা বৃষ্টিপাতের পরিবর্তন ও খরার প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল। পাহাড়ি, দ্বীপ ও স্বাদু পানির বাস্তুতন্ত্রের প্রজাতিগুলোও সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ নিজেদের বাস্তুতন্ত্র থেকে বিচ্ছিন্ন পরিবেশ এদের জন্য প্রতিকূল। এদের পক্ষে স্থানান্তর এবং আরও অনুকূল পরিবেশ সন্ধান করা কঠিন বা প্রায় অসম্ভব।
এই গবেষণার ফল নীতিনির্ধারকদের প্রভাবিত করবে বলে আশা করছেন অধ্যাপক আরবান। তিনি বলেন, নীতিনির্ধারকদের জন্য মূল বার্তা হলো, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রজাতির বিলুপ্তির সম্পর্ক এখন আরও বেশি নিশ্চিত। পদক্ষেপ না নেওয়ার এখন আর কোনো অজুহাত নেই, কারণ এই প্রভাবগুলো আগে অনিশ্চিত ছিল।
পাহাড় কাটা, বায়ুদূষণ এবং নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। রোববার বাংলাদেশ সচিবালয়ে ‘চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ ও প্লাস্টিক
১২ ঘণ্টা আগেব্রাজিলের আমাজনের অরণ্য বিচিত্র সব প্রাণী এবং হুমকির মুখে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নানা সম্প্রদায়ের বসবাসের জন্য বিখ্যাত। এমনকি এই আদিবাসী গোত্রদের কোনো কোনোটি এখনো পর্যন্ত সে অর্থে বাইরের পৃথিবীর মানুষের মানুষের সংস্পর্শেও আসেনি। সম্প্রতি ক্যামেরা ট্র্যাপের ছবিতে উঠে এসেছে এমনই একটি বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়
১৫ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাস আজও খুবই অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় এক ধাপ নিচে নামলেও বেড়েছে দূষণ। ঘন কুয়াশার সঙ্গে বাতাসের যে দূষণ রয়েছে, তা সুস্থ মানুষের জন্যও অনেক ক্ষতিকর। আজ রোববার সকালে ঢাকার বায়ুমান রেকর্ড করা হয়েছে ২৮৭, আর তালিকায় অবস্থান তিনে...
১ দিন আগেদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোয় কয়েক দিন ধরেই শীতের প্রকোপ চলছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলাগুলোয় বৃষ্টি। এতে রোববার (২২ ডিসেম্বর) সারা দেশেই দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমে যাবে প্রায় ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১ দিন আগে