ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
চলছে টি–টুয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের পর্ব। ৮ দলের এই পর্ব থেকে সেরা চার দল নিয়ে হবে সেমি ফাইনাল। এই ৮ দলের মধ্যে গ্রুপ ২ থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ড। গ্রুপ ১ থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত ও আফগানিস্তান। গত ২৩ জুন আফগানিস্তান নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ২১ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। যদিও গত ২০ জুন সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে ৪৭ রানের বিশাল ব্যবধানে ভারতের কাছে হেরেছে। এই ম্যাচের পর একটি মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। সেই মন্তব্যটি আফগান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রশিদ খানের বলে দাবি করা হচ্ছে।
ভাইরাল মন্তব্যটি হলো-‘বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা আমাদের জন্য ঈশ্বরের রূপ। আমরা ও আমাদের দল বুমরাহ ছাড়া এবং কোনো বড়ো খেলোয়াড় ছাড়া এতদূর পর্যন্ত পৌঁছেছি, তার পেছনে ভারতীয়দের আশীর্বাদ রয়েছে! আপনারা আশীর্বাদ করবেন যেন আমাদের দল ও ভারতীয় দল ফাইনাল খেলতে পারি এবং সেখানে যদি আমরা হেরেও যাই তবুও আমরা দুঃখিত হবো না, কারণ আমরাও ভারতের অংশ।’ কিছু ভারতীয় অ্যাকাউন্ট থেকে রশিদ খানের বলে কথিত মন্তব্যটি পোস্ট করে লেখা হয়, কীভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হয় তা আফগানিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশের শেখা উচিত!
রশিদ খানের বলে কথিত ভাইরাল মন্তব্যটি যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। ফেসবুকে প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধান করে রশিদ খানের কথিত মন্তব্যের সবচেয়ে ভাইরাল পোস্টটি পাওয়া যায় ‘সুব্রত মজুমদার’ নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, রশিদ খানের কথিত মন্তব্যটি নিয়ে এটিই সম্ভাব্য প্রথম পোস্ট। পোস্টটি দেওয়া হয় গত ২২ জুন সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে, অর্থাৎ আফগানিস্তানের ভারতের কাছে হারার পর। পোস্টটি আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৪ হাজার ৩০০ বার শেয়ার হয়েছে। পোস্টটিতে রিয়েকশন পড়েছে ৯১ হাজারের বেশি। তবে পোস্টে রশিদ খানের কথিত মন্তব্যের কোনো সূত্র উল্লেখ করা হয়নি।
পরে পোস্টদাতা অ্যাকাউন্টটির পরিচয় সম্পর্কে অনুসন্ধানে দেখা যায়, পেজটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শান্তিপুর থেকে পরিচালিত হয়। পেজটির পরিচয়ে লেখা রয়েছে, ‘আমি কট্টর হিন্দু, আমি নরেন্দ্র মোদির সৈনিক, বিজেপি জিন্দাবাদ, ভারত মাতা কি জয়।’ পোস্টটির কমেন্টবক্সেও অনেক ভারতীয় অ্যাকাউন্ট থেকে কমেন্ট করে বাংলাদেশের জনগণ ও ক্রিকেটারদের আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের থেকে শেখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
পরে রশিদ খানের বলে কথিত মন্তব্যটির সূত্রের খোঁজে প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড সার্চ করে ভারতের কাছে হারার পর রশিদ খানের প্রতিক্রিয়া নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসের ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। তাতে লেখা হয়েছে, ভারতের কাছে হারের প্রতিক্রিয়ায় রশিদ খান বলেছেন, এটি এমন একটি সারফেস যেখানে তারা ১৭০–১৮০ রান তাড়া করতে পারত। বড় দলের বিরুদ্ধে কীভাবে খেলতে হবে সেটা তাদের দলের চিন্তা করা উচিত। কীভাবে এই ধরনের স্কোর তাড়া করতে হবে, সেটাও ভাবা উচিত।নিজের শারিরীক অবস্থার প্রসঙ্গে রশিদ খান আরও বলেন, তাঁর ভালো লাগছে। আইপিএলে একটু কষ্ট হয়েছিল। তিনি এখন ধারাবাহিকভাবে ঠিক জায়গায় বল করতে পারেন। তাঁর দল মাঝে মাঝে নিজেদের দক্ষতা ভুলে যায়। যদি কন্ডিশন ঠিক থাকে, তাহলে তারা সেটাকে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনেও রশিদ খানের একই বক্তব্য পাওয়া যায়।
স্বভাবতই, বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাকে আফগান ক্রিকেট দলের জন্য ‘ঈশ্বরের রূপ’ বা আফগান ক্রিকেট ভারতের অংশ-এমন মন্তব্য অধিনায়ক রশিদ খান করলে সেটি অন্তত ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার হতো। কিন্তু ভারতীয় সংবাদমাধ্যমসহ আন্তর্জাতিক কোনো সংবাদমাধ্যমে রশিদ খানের এমন কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ থেকেই স্পষ্ট যে, বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা আফগান ক্রিকেটের জন্য ‘ঈশ্বরের রূপ’ বা আফগান ক্রিকেট ভারতের অংশ দাবিতে রশিদ খানের কথিত মন্তব্যটি বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
প্রসঙ্গত, সুপার এইটের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠা আফগানিস্তান দলটির নিজের দেশে কোনো হোম ভেন্যু নেই। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ভারতের গ্রেটার নয়দা এবং কানপুরকে আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের হোম ভেন্যু হিসাবে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে আফগানিস্তান তাদের ‘হোম’ ম্যাচগুলো ভারতের দেরাদুন, লক্ষ্মৌ এবং গ্রেটার নয়দায় আয়োজন করে আসছে।
চলছে টি–টুয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের পর্ব। ৮ দলের এই পর্ব থেকে সেরা চার দল নিয়ে হবে সেমি ফাইনাল। এই ৮ দলের মধ্যে গ্রুপ ২ থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ড। গ্রুপ ১ থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত ও আফগানিস্তান। গত ২৩ জুন আফগানিস্তান নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ২১ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। যদিও গত ২০ জুন সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে ৪৭ রানের বিশাল ব্যবধানে ভারতের কাছে হেরেছে। এই ম্যাচের পর একটি মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। সেই মন্তব্যটি আফগান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রশিদ খানের বলে দাবি করা হচ্ছে।
ভাইরাল মন্তব্যটি হলো-‘বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা আমাদের জন্য ঈশ্বরের রূপ। আমরা ও আমাদের দল বুমরাহ ছাড়া এবং কোনো বড়ো খেলোয়াড় ছাড়া এতদূর পর্যন্ত পৌঁছেছি, তার পেছনে ভারতীয়দের আশীর্বাদ রয়েছে! আপনারা আশীর্বাদ করবেন যেন আমাদের দল ও ভারতীয় দল ফাইনাল খেলতে পারি এবং সেখানে যদি আমরা হেরেও যাই তবুও আমরা দুঃখিত হবো না, কারণ আমরাও ভারতের অংশ।’ কিছু ভারতীয় অ্যাকাউন্ট থেকে রশিদ খানের বলে কথিত মন্তব্যটি পোস্ট করে লেখা হয়, কীভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হয় তা আফগানিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশের শেখা উচিত!
রশিদ খানের বলে কথিত ভাইরাল মন্তব্যটি যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। ফেসবুকে প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধান করে রশিদ খানের কথিত মন্তব্যের সবচেয়ে ভাইরাল পোস্টটি পাওয়া যায় ‘সুব্রত মজুমদার’ নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, রশিদ খানের কথিত মন্তব্যটি নিয়ে এটিই সম্ভাব্য প্রথম পোস্ট। পোস্টটি দেওয়া হয় গত ২২ জুন সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে, অর্থাৎ আফগানিস্তানের ভারতের কাছে হারার পর। পোস্টটি আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৪ হাজার ৩০০ বার শেয়ার হয়েছে। পোস্টটিতে রিয়েকশন পড়েছে ৯১ হাজারের বেশি। তবে পোস্টে রশিদ খানের কথিত মন্তব্যের কোনো সূত্র উল্লেখ করা হয়নি।
পরে পোস্টদাতা অ্যাকাউন্টটির পরিচয় সম্পর্কে অনুসন্ধানে দেখা যায়, পেজটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শান্তিপুর থেকে পরিচালিত হয়। পেজটির পরিচয়ে লেখা রয়েছে, ‘আমি কট্টর হিন্দু, আমি নরেন্দ্র মোদির সৈনিক, বিজেপি জিন্দাবাদ, ভারত মাতা কি জয়।’ পোস্টটির কমেন্টবক্সেও অনেক ভারতীয় অ্যাকাউন্ট থেকে কমেন্ট করে বাংলাদেশের জনগণ ও ক্রিকেটারদের আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের থেকে শেখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
পরে রশিদ খানের বলে কথিত মন্তব্যটির সূত্রের খোঁজে প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড সার্চ করে ভারতের কাছে হারার পর রশিদ খানের প্রতিক্রিয়া নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসের ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। তাতে লেখা হয়েছে, ভারতের কাছে হারের প্রতিক্রিয়ায় রশিদ খান বলেছেন, এটি এমন একটি সারফেস যেখানে তারা ১৭০–১৮০ রান তাড়া করতে পারত। বড় দলের বিরুদ্ধে কীভাবে খেলতে হবে সেটা তাদের দলের চিন্তা করা উচিত। কীভাবে এই ধরনের স্কোর তাড়া করতে হবে, সেটাও ভাবা উচিত।নিজের শারিরীক অবস্থার প্রসঙ্গে রশিদ খান আরও বলেন, তাঁর ভালো লাগছে। আইপিএলে একটু কষ্ট হয়েছিল। তিনি এখন ধারাবাহিকভাবে ঠিক জায়গায় বল করতে পারেন। তাঁর দল মাঝে মাঝে নিজেদের দক্ষতা ভুলে যায়। যদি কন্ডিশন ঠিক থাকে, তাহলে তারা সেটাকে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনেও রশিদ খানের একই বক্তব্য পাওয়া যায়।
স্বভাবতই, বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাকে আফগান ক্রিকেট দলের জন্য ‘ঈশ্বরের রূপ’ বা আফগান ক্রিকেট ভারতের অংশ-এমন মন্তব্য অধিনায়ক রশিদ খান করলে সেটি অন্তত ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার হতো। কিন্তু ভারতীয় সংবাদমাধ্যমসহ আন্তর্জাতিক কোনো সংবাদমাধ্যমে রশিদ খানের এমন কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ থেকেই স্পষ্ট যে, বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা আফগান ক্রিকেটের জন্য ‘ঈশ্বরের রূপ’ বা আফগান ক্রিকেট ভারতের অংশ দাবিতে রশিদ খানের কথিত মন্তব্যটি বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
প্রসঙ্গত, সুপার এইটের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠা আফগানিস্তান দলটির নিজের দেশে কোনো হোম ভেন্যু নেই। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ভারতের গ্রেটার নয়দা এবং কানপুরকে আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের হোম ভেন্যু হিসাবে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে আফগানিস্তান তাদের ‘হোম’ ম্যাচগুলো ভারতের দেরাদুন, লক্ষ্মৌ এবং গ্রেটার নয়দায় আয়োজন করে আসছে।
রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় গত বুধবার দুপুরে সংঘর্ষে জড়ায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ ও সেনাসদস্যরা, দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন তাঁরা। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডও ছোড়ে।
৩ ঘণ্টা আগেসরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারকে ঘিরে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নাম বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল...
১ দিন আগেছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর তিনদিন পর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয় ৮ আগস্ট। এরপর ১০০ দিন পার করেছে এই সরকার...
১ দিন আগেবর্তমানে দিল্লিতেই অবস্থান করছেন হাসিনা। ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুতির পর তিনি আর প্রকাশ্যে আসেননি। সম্প্রতি ফেসবুকে তাঁর ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ভারতে তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে।
৩ দিন আগে