ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে সৌদি আরবের ৭০ জন আলেমের বরাতে একটি তথ্য প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, ফোনে ‘হ্যালো’ বলা হারাম ফতোয়া দিয়েছেন। কারণ, হেল অর্থ জাহান্নাম আর হ্যালো অর্থ জাহান্নামি। যদিও ইংরেজরা নিজে ফোন করে হাই এবং পিক করে ইয়েস বলে। ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে এমন তথ্য ব্যবহার করে তৈরি এক ভিডিও আজ বুধবার (২৯ নভেম্বর) বেলা ৪টা পর্যন্ত প্রায় ৪ লাখ বার দেখা হয়েছে। রিয়েক্ট পড়েছে প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার। এটি শেয়ার হয়েছে ৮ হাজারের কাছাকাছি।
এ ছাড়া ফেসবুকেও একই দাবি বিভিন্ন সময়ে প্রচার হতে দেখা যায়। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফোনে ‘হ্যালো’ বলা হারাম করে সৌদি আরবের কোনো আলেম ফতোয়া দেননি। এ ছাড়া ‘হ্যালো’ শব্দটির অর্থও জাহান্নামি না।
হ্যালো (hello) শব্দের অর্থ সম্পর্কে যা জানা যায়
হ্যালো শব্দের উৎপত্তি ও অর্থ সম্পর্কে জানতে কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্বাধীন, অলাভজনক সংবাদমাধ্যম এনপিআর ডট ওআরজিতে ২০১১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এক প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। তাতে অক্সফোর্ড ইংলিশ অভিধানের বরাতে উল্লেখ করা হয়, হ্যালো শব্দটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮২৭ সালে। কিন্তু তখন এটি সম্বোধনের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হতো না। টেলিফোন আবিষ্কারের আগপর্যন্ত হ্যালো দিয়ে মূলত কারও মনোযোগ আকর্ষণ অথবা বিস্ময় প্রকাশ করা হতো।
অভিধানটির বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, টমাস আলভা এডিসন হ্যালো শব্দটির সাধারণ ব্যবহারের সূচনা করেন। তিনি টেলিফোনে উত্তর দেওয়ার সময় হ্যালো ব্যবহার করার জন্য ব্যবহারকারীদের আহ্বান জানান। অপরদিকে টেলিফোনের আবিষ্কারক আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেল ‘হ্যালো’র বদলে ‘আহৈ’ শব্দ পছন্দ করেন।
হ্যালো শব্দটির উৎপত্তি সম্পর্কে ইংরেজি অভিধান মেরিয়াম-ওয়েবস্টারে আলোচনা খুঁজে পাওয়া যায়। অভিধানটির মতে, ইংরেজি ভাষার ১০০০ বছরের ইতিহাসে হ্যালো শব্দটির ব্যবহার মাত্র ১৫০ বছরের। মধ্যযুগ থেকে শুরু করে শেক্সপিয়ারের সময়েও অভিবাদন বা অভ্যর্থনা জানাতে ব্যবহৃত একটি পুরোনো শব্দ হলো হেইল (Hail)। শেক্সপিয়ার শব্দটিকে একই সঙ্গে অভিবাদন ও প্রশংসা অর্থে ব্যবহার করেছেন। হেইল স্বাস্থ্যবিষয়ক শব্দ হেল, হেলথ, হোল (hale, health, whole) এর সঙ্গে সম্পর্কিত।
যেহেতু হেইল শব্দটি দ্বারা ঘোড়া, নদীর ওপার কখনো টাওয়ারের ওপর থেকে চিৎকার করে অভিবাদন বা অভ্যর্থনা জানানো হতো; তাই হেইল শব্দটি হোলো, হালো এবং হ্যালোওসহ ( hollo, hallo, halloa) বেশ কয়েকটি রূপে পরিবর্তিত হতে পারে। শব্দটির বিশেষ্য এবং ক্রিয়া হিসেবে আরেকটি রূপ হোলার (holler) ইংরেজি ভাষায় জায়গা করে নিয়েছে। অভিধানটির মতে, ১৮ শতকের গোড়ার দিকে প্রথমবারের মতো হ্যালো শব্দটি নথিভুক্ত হয়। তখন এটি মনোযোগ আকর্ষণ বা বিস্ময় প্রকাশ করতে ব্যবহৃত হয়। ফোনে কথোপকথনের সময় টমাস এডিসন হ্যালো ব্যবহার শুরু করেন।
আরেকটি ইংরেজি অভিধান ডিকশনারি থেকে জানা যায়, হ্যালো শব্দটির অনেকগুলো রূপ আছে। যেমন, hallo, holla, and hollo। এই শব্দগুলো মূলত অভিবাদন বা কারও মনোযোগ আকর্ষণের জন্য ব্যবহার হতো।
হেল (HEll) শব্দের অর্থ সম্পর্কে যা জানা যায়
হেল (Hell) শব্দটি এসেছে পুরোনো ইংরেজি শব্দ hell, helle থেকে যা দিয়ে ‘মৃতদের আবাস’ বোঝানো হয়। এই শব্দ দুটির উৎস পাওয়া যায় জার্মানিক শব্দ halja থেকে। যার অর্থ যেকোনো কিছু ঢাকে বা লুকিয়ে রাখে।
অভিধানগুলোতে হ্যালো ও হেল শব্দের উৎপত্তি ও অর্থগত আলোচনায় এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, যার মাধ্যমে প্রমাণ করা যায়, হ্যালো অর্থ জাহান্নামি। বরং দেখা যায়, শব্দ দুটির মধ্যে উৎপত্তি ও অর্থগত পার্থক্য আছে।
সৌদির ৭০ আলেম হ্যালো বলা হারাম করে ফতোয়া দেননি
প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ফোনে হ্যালো বলা হারাম করে সৌদি আরবের কোনো আলেমের ফতোয়া দেওয়া নিয়ে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে ইসলামওয়েব নামে ওয়েবসাইটে সৌদির ৭০ আলেম হ্যালো বলা হারাম করে ফতোয়া দেওয়ার দাবিটিকে ‘ভিত্তিহীন’ উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনটি দেখুন এখানে।
সিদ্ধান্ত
হ্যালো একটি সম্বোধন বা অভিবাদনজাতীয় শব্দ। ফোনে কথা বলার সময় এ শব্দ ব্যবহারের প্রচলন করেন টমাস আলভা এডিসন। অপরদিকে হেল শব্দটির অর্থ নরক বা মৃত্যু-পরবর্তী জীবনে খারাপ মানুষদের আবাসস্থল। শব্দ দুটির মধ্যে উৎপত্তি ও অর্থগত পার্থক্য আছে। এ ছাড়া সৌদি কোনো আলেমও হ্যালো বলা হারাম করে ফতোয়া দেননি।
ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে সৌদি আরবের ৭০ জন আলেমের বরাতে একটি তথ্য প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, ফোনে ‘হ্যালো’ বলা হারাম ফতোয়া দিয়েছেন। কারণ, হেল অর্থ জাহান্নাম আর হ্যালো অর্থ জাহান্নামি। যদিও ইংরেজরা নিজে ফোন করে হাই এবং পিক করে ইয়েস বলে। ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে এমন তথ্য ব্যবহার করে তৈরি এক ভিডিও আজ বুধবার (২৯ নভেম্বর) বেলা ৪টা পর্যন্ত প্রায় ৪ লাখ বার দেখা হয়েছে। রিয়েক্ট পড়েছে প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার। এটি শেয়ার হয়েছে ৮ হাজারের কাছাকাছি।
এ ছাড়া ফেসবুকেও একই দাবি বিভিন্ন সময়ে প্রচার হতে দেখা যায়। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফোনে ‘হ্যালো’ বলা হারাম করে সৌদি আরবের কোনো আলেম ফতোয়া দেননি। এ ছাড়া ‘হ্যালো’ শব্দটির অর্থও জাহান্নামি না।
হ্যালো (hello) শব্দের অর্থ সম্পর্কে যা জানা যায়
হ্যালো শব্দের উৎপত্তি ও অর্থ সম্পর্কে জানতে কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্বাধীন, অলাভজনক সংবাদমাধ্যম এনপিআর ডট ওআরজিতে ২০১১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এক প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। তাতে অক্সফোর্ড ইংলিশ অভিধানের বরাতে উল্লেখ করা হয়, হ্যালো শব্দটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮২৭ সালে। কিন্তু তখন এটি সম্বোধনের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হতো না। টেলিফোন আবিষ্কারের আগপর্যন্ত হ্যালো দিয়ে মূলত কারও মনোযোগ আকর্ষণ অথবা বিস্ময় প্রকাশ করা হতো।
অভিধানটির বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, টমাস আলভা এডিসন হ্যালো শব্দটির সাধারণ ব্যবহারের সূচনা করেন। তিনি টেলিফোনে উত্তর দেওয়ার সময় হ্যালো ব্যবহার করার জন্য ব্যবহারকারীদের আহ্বান জানান। অপরদিকে টেলিফোনের আবিষ্কারক আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেল ‘হ্যালো’র বদলে ‘আহৈ’ শব্দ পছন্দ করেন।
হ্যালো শব্দটির উৎপত্তি সম্পর্কে ইংরেজি অভিধান মেরিয়াম-ওয়েবস্টারে আলোচনা খুঁজে পাওয়া যায়। অভিধানটির মতে, ইংরেজি ভাষার ১০০০ বছরের ইতিহাসে হ্যালো শব্দটির ব্যবহার মাত্র ১৫০ বছরের। মধ্যযুগ থেকে শুরু করে শেক্সপিয়ারের সময়েও অভিবাদন বা অভ্যর্থনা জানাতে ব্যবহৃত একটি পুরোনো শব্দ হলো হেইল (Hail)। শেক্সপিয়ার শব্দটিকে একই সঙ্গে অভিবাদন ও প্রশংসা অর্থে ব্যবহার করেছেন। হেইল স্বাস্থ্যবিষয়ক শব্দ হেল, হেলথ, হোল (hale, health, whole) এর সঙ্গে সম্পর্কিত।
যেহেতু হেইল শব্দটি দ্বারা ঘোড়া, নদীর ওপার কখনো টাওয়ারের ওপর থেকে চিৎকার করে অভিবাদন বা অভ্যর্থনা জানানো হতো; তাই হেইল শব্দটি হোলো, হালো এবং হ্যালোওসহ ( hollo, hallo, halloa) বেশ কয়েকটি রূপে পরিবর্তিত হতে পারে। শব্দটির বিশেষ্য এবং ক্রিয়া হিসেবে আরেকটি রূপ হোলার (holler) ইংরেজি ভাষায় জায়গা করে নিয়েছে। অভিধানটির মতে, ১৮ শতকের গোড়ার দিকে প্রথমবারের মতো হ্যালো শব্দটি নথিভুক্ত হয়। তখন এটি মনোযোগ আকর্ষণ বা বিস্ময় প্রকাশ করতে ব্যবহৃত হয়। ফোনে কথোপকথনের সময় টমাস এডিসন হ্যালো ব্যবহার শুরু করেন।
আরেকটি ইংরেজি অভিধান ডিকশনারি থেকে জানা যায়, হ্যালো শব্দটির অনেকগুলো রূপ আছে। যেমন, hallo, holla, and hollo। এই শব্দগুলো মূলত অভিবাদন বা কারও মনোযোগ আকর্ষণের জন্য ব্যবহার হতো।
হেল (HEll) শব্দের অর্থ সম্পর্কে যা জানা যায়
হেল (Hell) শব্দটি এসেছে পুরোনো ইংরেজি শব্দ hell, helle থেকে যা দিয়ে ‘মৃতদের আবাস’ বোঝানো হয়। এই শব্দ দুটির উৎস পাওয়া যায় জার্মানিক শব্দ halja থেকে। যার অর্থ যেকোনো কিছু ঢাকে বা লুকিয়ে রাখে।
অভিধানগুলোতে হ্যালো ও হেল শব্দের উৎপত্তি ও অর্থগত আলোচনায় এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, যার মাধ্যমে প্রমাণ করা যায়, হ্যালো অর্থ জাহান্নামি। বরং দেখা যায়, শব্দ দুটির মধ্যে উৎপত্তি ও অর্থগত পার্থক্য আছে।
সৌদির ৭০ আলেম হ্যালো বলা হারাম করে ফতোয়া দেননি
প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ফোনে হ্যালো বলা হারাম করে সৌদি আরবের কোনো আলেমের ফতোয়া দেওয়া নিয়ে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে ইসলামওয়েব নামে ওয়েবসাইটে সৌদির ৭০ আলেম হ্যালো বলা হারাম করে ফতোয়া দেওয়ার দাবিটিকে ‘ভিত্তিহীন’ উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনটি দেখুন এখানে।
সিদ্ধান্ত
হ্যালো একটি সম্বোধন বা অভিবাদনজাতীয় শব্দ। ফোনে কথা বলার সময় এ শব্দ ব্যবহারের প্রচলন করেন টমাস আলভা এডিসন। অপরদিকে হেল শব্দটির অর্থ নরক বা মৃত্যু-পরবর্তী জীবনে খারাপ মানুষদের আবাসস্থল। শব্দ দুটির মধ্যে উৎপত্তি ও অর্থগত পার্থক্য আছে। এ ছাড়া সৌদি কোনো আলেমও হ্যালো বলা হারাম করে ফতোয়া দেননি।
ইউটিউবে ‘Chetona।। চেতনা’ নামের একটি চ্যানেলে ‘ভয়ংকর তথ্য, মাহফুজ আফগান ট্রেনিংপ্রাপ্ত মিয়ানমারের নাগরিক।’ শিরোনামে পোস্ট করা একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন পোস্টেও সূত্র হিসেবে এই ভিডিও ব্যবহার করা হয়েছে। গত শনিবার (২৩ নভেম্বর) প্রায় ৯ মিনিটের ভিডিওটি চ্যানেলটিতে পোস্ট করা হয়।
১০ ঘণ্টা আগেনোয়াখালী সদর উপজেলার দুই নং দাদপুর নলুয়া বাজার এলাকায় তিন যুবলীগ নেতা–কর্মী নির্যাতন করে হত্যা করার দাবিতে ফেসবুকে বেশ কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিগুলোর একটিতে দেখা যাচ্ছে, তিন ব্যক্তিকে শুইয়ে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে দুজন প্রায় অর্ধনগ্ন। একটিতে ছবিতে একজনের চেহারা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। আরেকটি ছবিতে কিরিচ ও
১৩ ঘণ্টা আগেফ্যাক্টচেক, সোশ্যাল মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ভাইরাল, ভুয়া পোস্ট, সংঘর্ষ, রাজধানী, সেনাবাহিনী, বিক্ষোভ, রিকশা
১ দিন আগেদীপ্তির বক্তব্য দাবিতে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের নাম ও লোগোযুক্ত একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। দীপ্তি চৌধুরীর ছবিযুক্ত ফটোকার্ডটিতে লেখা, ‘আমার নানীর ফুফাতো বোনের স্বামী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।’
২ দিন আগে