ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি–বাঙালি উত্তেজনায় অঞ্চলটিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এ উত্তেজনা ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়ানো হচ্ছে নানা ভিডিও। এসব ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সংঘাতের বিভিন্ন দৃশ্য। কোনো কোনো ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে অস্ত্রধারীদের। এমন দুটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ভিডিও দুটিতে থাকা অস্ত্রধারীরা ‘পাহাড়ি সন্ত্রাসী’। এমন একটি ভিডিও এ এইচ এম ফারুক নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গতকাল শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘দেখুন পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ে কি পরিমাণ আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত, নিয়মিত বাহিনীর মতো সংগঠিত তারা। অথচ আন্ধা কানা সুশীল এবং কানা প্রতিবন্ধী বুদ্ধিজীবীদের কাছে তারা অসহায়, নিরীহ, গোবেচারা।’
পোস্টটি আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক শেয়ার হয়েছে। দেখা হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার বার।
একই দিনে সমর আলী নামের আরেকটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আরেকটি ভিডিও শেয়ার করে লেখা হয়, ‘পাহাড়িদের কাছে যে ধরনের অস্ত্র আছে, তা সেনাবাহিনীর কাছেও নেই।’
ভিডিও দুটির সত্যতা যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে ‘সম্বর রংপি (Sambor Rongpi)’ নামের একটি ফেসবুক পেজে দুটি ভিডিওই পাওয়া যায়। অ্যাকাউন্টটিতে গত ১৭ জুলাই ও ৩ সেপ্টেম্বর ভিডিওগুলো পোস্ট করা হয়। অ্যাকাউন্টটির লোকেশন ভারতের আসাম রাজ্যের করবি আংলং জেলা।
পেজটি ঘুরে দেখা যায়, এতে পোস্ট করা অধিকাংশ ভিডিওই বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্রসহ পাহাড়ে, জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানোর। প্রত্যেকটি ভিডিওতেই একই ব্যক্তির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এর মধ্যে গত বছরের ২০ নভেম্বর পোস্ট করা একটি ভিডিওতে একটি ব্যক্তিকে পাহাড়ে ঝরনার সামনে খাকি পোশাক পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়। ওই সময় আশপাশে বেশ জনসমাগমও দেখা যায়। ভিডিওটি দেখে অনুমান করা যায়, এই জনসমাগমে থাকা ব্যক্তিরা পর্যটক। ভাইরাল ভিডিও দুটির একটির প্রথমেই ওই ব্যক্তিকে অস্ত্র হাতে দেখা যায়। সম্বর রংপি নামের পেজটির প্রোফাইল পিকচারে যার ছবি রয়েছে, ভিডিওর ব্যক্তির চেহারার সঙ্গে তার মিল রয়েছে।
চলতি বছরের ১ এপ্রিল পেজটিতে একই ব্যক্তির একই পোশাক পরিহিতি অবস্থায় একটি ছবি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘হ্যাপি বার্থডে টু মি।’
খাকি রঙের এই পোশাকে বুকের ডান পাশে ও বাম হাতে থাকা ব্যাজের সঙ্গে আসাম পুলিশের পোশাকের মিল রয়েছে।
পরে আরও খুঁজে একই নামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টও পাওয়া যায়। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা বিভিন্ন ছবিতে ওই ব্যক্তিকে আসাম পুলিশের ক্যাপ পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়। একই অ্যাকাউন্টে ২০২২ সালের ৩ অক্টোবর করা আরেকটি পোস্টে বলা হয়, ব্যক্তিটি ওই বছর ভারতের স্বাধীনতা দিবসে বীরত্বের জন্য পুলিশ মেডেল পেয়েছেন।
এসব তথ্যের ভিত্তিতে এটি স্পষ্ট, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি–বাঙালি উত্তেজনার মধ্যে ফেসবুকে ছড়ানো সশস্ত্র ‘পাহাড়ি সন্ত্রাসী’ দাবিতে ভাইরাল ভিডিওতে থাকা ব্যক্তি ভারতের আসাম রাজ্য পুলিশের একজন সদস্য।
প্রসঙ্গত, এর আগেও একই দাবিতে ফিলিপাইনের সশস্ত্র দুই তরুণের ৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এটি নিয়ে গতকাল শুক্রবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি–বাঙালি উত্তেজনায় অঞ্চলটিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এ উত্তেজনা ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়ানো হচ্ছে নানা ভিডিও। এসব ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সংঘাতের বিভিন্ন দৃশ্য। কোনো কোনো ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে অস্ত্রধারীদের। এমন দুটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ভিডিও দুটিতে থাকা অস্ত্রধারীরা ‘পাহাড়ি সন্ত্রাসী’। এমন একটি ভিডিও এ এইচ এম ফারুক নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গতকাল শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘দেখুন পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ে কি পরিমাণ আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত, নিয়মিত বাহিনীর মতো সংগঠিত তারা। অথচ আন্ধা কানা সুশীল এবং কানা প্রতিবন্ধী বুদ্ধিজীবীদের কাছে তারা অসহায়, নিরীহ, গোবেচারা।’
পোস্টটি আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক শেয়ার হয়েছে। দেখা হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার বার।
একই দিনে সমর আলী নামের আরেকটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আরেকটি ভিডিও শেয়ার করে লেখা হয়, ‘পাহাড়িদের কাছে যে ধরনের অস্ত্র আছে, তা সেনাবাহিনীর কাছেও নেই।’
ভিডিও দুটির সত্যতা যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে ‘সম্বর রংপি (Sambor Rongpi)’ নামের একটি ফেসবুক পেজে দুটি ভিডিওই পাওয়া যায়। অ্যাকাউন্টটিতে গত ১৭ জুলাই ও ৩ সেপ্টেম্বর ভিডিওগুলো পোস্ট করা হয়। অ্যাকাউন্টটির লোকেশন ভারতের আসাম রাজ্যের করবি আংলং জেলা।
পেজটি ঘুরে দেখা যায়, এতে পোস্ট করা অধিকাংশ ভিডিওই বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্রসহ পাহাড়ে, জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানোর। প্রত্যেকটি ভিডিওতেই একই ব্যক্তির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এর মধ্যে গত বছরের ২০ নভেম্বর পোস্ট করা একটি ভিডিওতে একটি ব্যক্তিকে পাহাড়ে ঝরনার সামনে খাকি পোশাক পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়। ওই সময় আশপাশে বেশ জনসমাগমও দেখা যায়। ভিডিওটি দেখে অনুমান করা যায়, এই জনসমাগমে থাকা ব্যক্তিরা পর্যটক। ভাইরাল ভিডিও দুটির একটির প্রথমেই ওই ব্যক্তিকে অস্ত্র হাতে দেখা যায়। সম্বর রংপি নামের পেজটির প্রোফাইল পিকচারে যার ছবি রয়েছে, ভিডিওর ব্যক্তির চেহারার সঙ্গে তার মিল রয়েছে।
চলতি বছরের ১ এপ্রিল পেজটিতে একই ব্যক্তির একই পোশাক পরিহিতি অবস্থায় একটি ছবি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘হ্যাপি বার্থডে টু মি।’
খাকি রঙের এই পোশাকে বুকের ডান পাশে ও বাম হাতে থাকা ব্যাজের সঙ্গে আসাম পুলিশের পোশাকের মিল রয়েছে।
পরে আরও খুঁজে একই নামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টও পাওয়া যায়। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা বিভিন্ন ছবিতে ওই ব্যক্তিকে আসাম পুলিশের ক্যাপ পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়। একই অ্যাকাউন্টে ২০২২ সালের ৩ অক্টোবর করা আরেকটি পোস্টে বলা হয়, ব্যক্তিটি ওই বছর ভারতের স্বাধীনতা দিবসে বীরত্বের জন্য পুলিশ মেডেল পেয়েছেন।
এসব তথ্যের ভিত্তিতে এটি স্পষ্ট, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি–বাঙালি উত্তেজনার মধ্যে ফেসবুকে ছড়ানো সশস্ত্র ‘পাহাড়ি সন্ত্রাসী’ দাবিতে ভাইরাল ভিডিওতে থাকা ব্যক্তি ভারতের আসাম রাজ্য পুলিশের একজন সদস্য।
প্রসঙ্গত, এর আগেও একই দাবিতে ফিলিপাইনের সশস্ত্র দুই তরুণের ৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এটি নিয়ে গতকাল শুক্রবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অডিও রেকর্ড প্রচার করা হয়েছে। তাতে হাসিনাকে কথা বলতে শোনা যায়, গুলি খাওয়ার পর আবু সাঈদকে চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
১৩ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকও। সম্প্রতি সারজিস শিশু মডেল অভিনেত্রী সিমরিন লুবাবাকে ফেসবুকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন দাবিতে একটি ফটোকার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেপ্রযুক্তি জগতে নানা উদ্ভাবন দিয়ে সব সময়ই আলোচনায় থাকেন স্পেসএক্স, টেসলাসহ মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিক ইলন মাস্ক। সম্প্রতি তিনি আলোচনায় এসেছেন এক্সে ডিজনির এলজিবিটিকিউ সম্পর্কিত কনটেন্ট ব্লক করে দিয়েছেন এমন দাবিতে। গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ফেসবুকে ‘মহিদুল আলম...
২ দিন আগেরাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় গত বুধবার দুপুরে সংঘর্ষে জড়ায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ ও সেনাসদস্যরা, দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন তাঁরা। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডও ছোড়ে।
২ দিন আগে