ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
মৃত্যুর পরও মানুষের নখ ও চুল বাড়তে থাকে— এমন কথা লোকমুখে প্রচলিত আছে। সত্যিই কি তাই? এই দাবির সত্যতা কতটুকু? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের লাইব্রেরি অব মেডিসিনের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে একটি গবেষণা নিবন্ধ পাওয়া যায়। তা থেকে জানা যায়, এটি ভুল ধারণা। তবে এর পেছনে কিছুটা বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। মানুষের মৃত্যুর পর মৃতদেহ পানিশূন্যতার কারণে শুকিয়ে যেতে শুরু করে এবং এর কারণে ত্বক সংকুচিত হতে পারে। যার কারণে মৃত ব্যক্তির চুল ও নখের আশেপাশের চামড়া সরে গিয়ে সেগুলো লম্বা বা বেশি বড় দেখাতে পারে। তবে এটি মূলত দৃষ্টিভ্রম। প্রকৃতপক্ষে, চুল ও নখ বৃদ্ধির জন্য জটিল হরমোনীয় প্রক্রিয়া প্রয়োজন। মানুষের মৃত্যুর পর এই প্রক্রিয়া আর কাজ করে না।
একই বিষয়ে বিবিসিতে ২০১৩ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নখের বৃদ্ধির জন্য নতুন কোষ তৈরির প্রয়োজন। আর এই কাজ করে গ্লুকোজ। গ্লুকোজ ছাড়া এই প্রক্রিয়া সম্ভব নয়। নখের গোড়ার নিচে থাকা জার্মিনাল ম্যাট্রিক্স নামক টিস্যুর একটি স্তর বেশিরভাগ কোষ তৈরির করে থাকে। এটি নখের বর্ধনশীল অংশ গঠন করে। নতুন কোষগুলোপুরাতন কোষগুলো সামনের ঠেলে দেয়, আর এভাবে নখের বৃদ্ধি ঘটে।
চুলের বৃদ্ধিও একই প্রক্রিয়াতে সম্পন্ন হয়। প্রতিটি চুল একটি ফলিকলের মধ্যে থাকে। ফলিকল চুলের বৃদ্ধির জন্য দায়ী। ফলিকলের গোড়ায় হেয়ার ম্যাট্রিক্স নামে কোষগুলোর একটি দল থাকে। এটি বিভাজিত হয়ে নতুন কোষ তৈরি করে এবং চুলের দৈর্ঘ্য বাড়ায়। এর এই প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির উৎস হচ্ছে শরীরে থাকা গ্লুকোজ ও অক্সিজেন।
মানুষের হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে মৃত্যুর পরপরই মস্তিষ্কে অক্সিজেন ও গ্লুকোজের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং ফলস্বরূপ নখের বৃদ্ধিও বন্ধ হয়।
ইউনিভার্সিটি অব আরকানসাস মেডিকেল সেন্টারের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির ডার্মাটোলজি ক্লিনিকের মতে, একজন মৃতব্যক্তির ক্ষেত্রে চারপাশের ত্বক সরে যাওয়ার কারণে নখ এবং চুল লম্বা দেখাতে পারে।
কারণ, মৃত্যুর পর পানিশূন্যতার কারণে ত্বক এবং অন্যান্য নরম টিস্যু সংকুচিত হয়। ত্বক এবং টিস্যু সংকুচিত হলে চুল এবং নখের দৃশ্যমান দৈর্ঘ্য বেশি হয়। বিষয়টি পানিতে অর্ধেক ডুবে থাকা ধান গাছের মতো। পানি কমে গেলে ধান গাছের দৃশ্যমান অংশের দৈর্ঘ্য বাড়ে— বিষয়টি এমন।
একই বিষয়ে দ্য ওয়াশিংটন পোস্টে ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মৃত্যুর পরেও মানুষের চুল এবং নখের বৃদ্ধি পাওয়ার ধারণাটি আসলে মিথ। মৃত্যুর পর মানুষের চুল এবং নখ বাড়তে পারে না।
প্রকৃতপক্ষে, মানুষের মৃত্যুর পর মৃতদেহে পানিশূন্যতার কারণে শুকিয়ে সংকুচিত হওয়া ত্বক চুল ও নখের গোড়া থেকে কিছুটা সরে যায়। ফলে চুল ও নখ বেশি লম্বা দেখায়।
মৃত্যুর পরও মানুষের নখ ও চুল বাড়তে থাকে— এমন কথা লোকমুখে প্রচলিত আছে। সত্যিই কি তাই? এই দাবির সত্যতা কতটুকু? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের লাইব্রেরি অব মেডিসিনের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে একটি গবেষণা নিবন্ধ পাওয়া যায়। তা থেকে জানা যায়, এটি ভুল ধারণা। তবে এর পেছনে কিছুটা বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। মানুষের মৃত্যুর পর মৃতদেহ পানিশূন্যতার কারণে শুকিয়ে যেতে শুরু করে এবং এর কারণে ত্বক সংকুচিত হতে পারে। যার কারণে মৃত ব্যক্তির চুল ও নখের আশেপাশের চামড়া সরে গিয়ে সেগুলো লম্বা বা বেশি বড় দেখাতে পারে। তবে এটি মূলত দৃষ্টিভ্রম। প্রকৃতপক্ষে, চুল ও নখ বৃদ্ধির জন্য জটিল হরমোনীয় প্রক্রিয়া প্রয়োজন। মানুষের মৃত্যুর পর এই প্রক্রিয়া আর কাজ করে না।
একই বিষয়ে বিবিসিতে ২০১৩ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নখের বৃদ্ধির জন্য নতুন কোষ তৈরির প্রয়োজন। আর এই কাজ করে গ্লুকোজ। গ্লুকোজ ছাড়া এই প্রক্রিয়া সম্ভব নয়। নখের গোড়ার নিচে থাকা জার্মিনাল ম্যাট্রিক্স নামক টিস্যুর একটি স্তর বেশিরভাগ কোষ তৈরির করে থাকে। এটি নখের বর্ধনশীল অংশ গঠন করে। নতুন কোষগুলোপুরাতন কোষগুলো সামনের ঠেলে দেয়, আর এভাবে নখের বৃদ্ধি ঘটে।
চুলের বৃদ্ধিও একই প্রক্রিয়াতে সম্পন্ন হয়। প্রতিটি চুল একটি ফলিকলের মধ্যে থাকে। ফলিকল চুলের বৃদ্ধির জন্য দায়ী। ফলিকলের গোড়ায় হেয়ার ম্যাট্রিক্স নামে কোষগুলোর একটি দল থাকে। এটি বিভাজিত হয়ে নতুন কোষ তৈরি করে এবং চুলের দৈর্ঘ্য বাড়ায়। এর এই প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির উৎস হচ্ছে শরীরে থাকা গ্লুকোজ ও অক্সিজেন।
মানুষের হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে মৃত্যুর পরপরই মস্তিষ্কে অক্সিজেন ও গ্লুকোজের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং ফলস্বরূপ নখের বৃদ্ধিও বন্ধ হয়।
ইউনিভার্সিটি অব আরকানসাস মেডিকেল সেন্টারের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির ডার্মাটোলজি ক্লিনিকের মতে, একজন মৃতব্যক্তির ক্ষেত্রে চারপাশের ত্বক সরে যাওয়ার কারণে নখ এবং চুল লম্বা দেখাতে পারে।
কারণ, মৃত্যুর পর পানিশূন্যতার কারণে ত্বক এবং অন্যান্য নরম টিস্যু সংকুচিত হয়। ত্বক এবং টিস্যু সংকুচিত হলে চুল এবং নখের দৃশ্যমান দৈর্ঘ্য বেশি হয়। বিষয়টি পানিতে অর্ধেক ডুবে থাকা ধান গাছের মতো। পানি কমে গেলে ধান গাছের দৃশ্যমান অংশের দৈর্ঘ্য বাড়ে— বিষয়টি এমন।
একই বিষয়ে দ্য ওয়াশিংটন পোস্টে ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মৃত্যুর পরেও মানুষের চুল এবং নখের বৃদ্ধি পাওয়ার ধারণাটি আসলে মিথ। মৃত্যুর পর মানুষের চুল এবং নখ বাড়তে পারে না।
প্রকৃতপক্ষে, মানুষের মৃত্যুর পর মৃতদেহে পানিশূন্যতার কারণে শুকিয়ে সংকুচিত হওয়া ত্বক চুল ও নখের গোড়া থেকে কিছুটা সরে যায়। ফলে চুল ও নখ বেশি লম্বা দেখায়।
সম্প্রতি দেশে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। সংবাদমাধ্যমগুলোতে সেসব খবর প্রকাশিত হয়েছে। ধর্ষণের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ-প্রতিবাদ ও মিছিল করছেন। এর মধ্যে ময়মনসিংহে এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ভুট্টাখেতে ফেলে রাখা হয়েছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেতুলসী গ্যাবার্ডের সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠক হয়েছে দাবিতে একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিতে বাঁ পাশে তুলসী গ্যাবার্ড ও ডান পাশে শেখ হাসিনাকে চেয়ারে বসে থাকতে দেখা যায়। তাঁদের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের পতাকা। ছবিটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হয়েছে।
১ দিন আগেভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হয়েছে। ভিডিওটির শুরুতে এক যুবককে রাতের বেলা হাফপ্যান্ট পরা অবস্থায় বসে থাকতে দেখা যায়। তাঁর পিঠের পোড়া দাগ। ভিডিওর পরবর্তী অংশে গাছপালা বেষ্টিত ঘরবাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।
১ দিন আগেভারত থেকে বাংলাদেশে গরুর আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গরুর মাংসের দাম বেড়ে গেছে এবং এ কারণে দেশের মানুষ ঘোড়ার মাংস খাওয়া শুরু করেছে— এমন দাবিতে একটি প্রতিবেদন (আর্কাইভ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজতক বাংলায় সোমবার (১৭ মার্চ) প্রকাশিত হয়েছে।
২ দিন আগে