ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার ঘিরে গত জুলাইয়ে দেশজুড়ে শুরু হয় আন্দোলন। প্রথমদিকে এ আন্দোলন শান্তিপূর্ণ থাকলেও একপর্যায়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের দিকে ধাবিত হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনে অংশে নেওয়া সাধারণ মানুষের সংঘর্ষ হয়, ঘটে প্রাণহানির ঘটনা। বিপরীতে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও রোষানলে পড়তে হয়েছে। গত ৬ আগস্ট বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সরকার পতনের এক দফা ঘোষণার পর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেক থানায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় বিক্ষোভকারীদের হাতে থানা জ্বালিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে, ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।
বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, ৫ আগস্ট দেশের ৪৫০ টিরও বেশি থানা আক্রান্ত হয়েছে। ঢাকার ৫০টি থানার মধ্যে বনানী, বিমান বন্দর, উত্তরা পশ্চিমসহ হাতে গোনা কয়েকটি থানা ছাড়া বাকি থানাগুলোতে হামলাসহ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাত ৯টায় একটি পোস্ট দিয়ে দাবি করা হয়, ‘৫ আগস্ট দুপুর থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে হাজারো পুলিশ হত্যা করা হয়েছে।’
এ দাবির সত্যতা যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম শাখা থেকে প্রকাশিত কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছাত্র–জনতার গণ–অভ্যুত্থানে নিহত পুলিশদের সংখ্যা ও নামের বিস্তারিত একটি তালিকা পাওয়া যায়। গত ১৮ আগস্ট তালিকাটি প্রকাশ করা হয়। এই তালিকা অনুযায়ী, জুলাই আন্দোলনে নিহত পুলিশের সংখ্যা ৪৪ জন।
নিহতদের মধ্যে কনস্টেবল ২১ জন, এএসআই সাতজন, এটিএসআই একজন, এসআই ১১ জন, নায়েক একজন, এবং তিনজন পরিদর্শক রয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচ আগস্ট নিহত হয়েছেন ২৪ জন পুলিশ, চার আগস্ট নিহত হয়েছেন ১৪ জন।
বাকি ছয়জনের মধ্যে তিনজন নিহত হন জুলাইয়ের ১৯ থেকে ২৪ তারিখের মধ্যে। বাকি তিনজনের একজন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কনস্টেবল সুমন কুমার ঘরামী মারা যান ২ আগস্ট, হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানার এসআই সন্তোষ চৌধুরী মারা যান ৬ আগস্ট ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) শ্যামপুর থানার কনস্টেবল খলিলুর রহমান ১৪ আগস্ট মারা যান।
অর্থাৎ ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ গ্রহণের আগ পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টায় সারা দেশে হাজার হাজার পুলিশ হত্যার দাবিটি সঠিক নয়।
প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদভিত্তিক ম্যাগাজিন টাইমের বরাত দিয়ে ইতিপূর্বে একটি ভিডিও ছড়িয়ে দাবি করা হয়, ‘ছাত্র আন্দোলনের সময় ৩ হাজার ২০৪ জন পুলিশকে হত্যা করা হয়েছে।’ ভিডিওটিতে দাবি করা হয়, ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশ নিহত হয়েছে ৩ হাজার ২০৪ জন। ভিডিওটিতে টাইম ম্যাগাজিনের বরাত দিয়ে আরও বলা হয়, ‘কোনটি গণহত্যা? ৩ হাজার ২০০ পুলিশ হত্যা নাকি তার বিপরীতে আত্মরক্ষার জন্য মারা যাওয়া সাড়ে ৬০০ ছাত্র?’
ইতিমধ্যে এ ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে গত শনিবার (১২ অক্টোবর) ‘আন্দোলনে ৩ হাজারের বেশি পুলিশ নিহত— এমন খবর ছাপেনি টাইম ম্যাগাজিন’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার ঘিরে গত জুলাইয়ে দেশজুড়ে শুরু হয় আন্দোলন। প্রথমদিকে এ আন্দোলন শান্তিপূর্ণ থাকলেও একপর্যায়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের দিকে ধাবিত হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনে অংশে নেওয়া সাধারণ মানুষের সংঘর্ষ হয়, ঘটে প্রাণহানির ঘটনা। বিপরীতে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও রোষানলে পড়তে হয়েছে। গত ৬ আগস্ট বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সরকার পতনের এক দফা ঘোষণার পর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেক থানায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় বিক্ষোভকারীদের হাতে থানা জ্বালিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে, ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।
বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, ৫ আগস্ট দেশের ৪৫০ টিরও বেশি থানা আক্রান্ত হয়েছে। ঢাকার ৫০টি থানার মধ্যে বনানী, বিমান বন্দর, উত্তরা পশ্চিমসহ হাতে গোনা কয়েকটি থানা ছাড়া বাকি থানাগুলোতে হামলাসহ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাত ৯টায় একটি পোস্ট দিয়ে দাবি করা হয়, ‘৫ আগস্ট দুপুর থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে হাজারো পুলিশ হত্যা করা হয়েছে।’
এ দাবির সত্যতা যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম শাখা থেকে প্রকাশিত কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছাত্র–জনতার গণ–অভ্যুত্থানে নিহত পুলিশদের সংখ্যা ও নামের বিস্তারিত একটি তালিকা পাওয়া যায়। গত ১৮ আগস্ট তালিকাটি প্রকাশ করা হয়। এই তালিকা অনুযায়ী, জুলাই আন্দোলনে নিহত পুলিশের সংখ্যা ৪৪ জন।
নিহতদের মধ্যে কনস্টেবল ২১ জন, এএসআই সাতজন, এটিএসআই একজন, এসআই ১১ জন, নায়েক একজন, এবং তিনজন পরিদর্শক রয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচ আগস্ট নিহত হয়েছেন ২৪ জন পুলিশ, চার আগস্ট নিহত হয়েছেন ১৪ জন।
বাকি ছয়জনের মধ্যে তিনজন নিহত হন জুলাইয়ের ১৯ থেকে ২৪ তারিখের মধ্যে। বাকি তিনজনের একজন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কনস্টেবল সুমন কুমার ঘরামী মারা যান ২ আগস্ট, হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানার এসআই সন্তোষ চৌধুরী মারা যান ৬ আগস্ট ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) শ্যামপুর থানার কনস্টেবল খলিলুর রহমান ১৪ আগস্ট মারা যান।
অর্থাৎ ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ গ্রহণের আগ পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টায় সারা দেশে হাজার হাজার পুলিশ হত্যার দাবিটি সঠিক নয়।
প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদভিত্তিক ম্যাগাজিন টাইমের বরাত দিয়ে ইতিপূর্বে একটি ভিডিও ছড়িয়ে দাবি করা হয়, ‘ছাত্র আন্দোলনের সময় ৩ হাজার ২০৪ জন পুলিশকে হত্যা করা হয়েছে।’ ভিডিওটিতে দাবি করা হয়, ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশ নিহত হয়েছে ৩ হাজার ২০৪ জন। ভিডিওটিতে টাইম ম্যাগাজিনের বরাত দিয়ে আরও বলা হয়, ‘কোনটি গণহত্যা? ৩ হাজার ২০০ পুলিশ হত্যা নাকি তার বিপরীতে আত্মরক্ষার জন্য মারা যাওয়া সাড়ে ৬০০ ছাত্র?’
ইতিমধ্যে এ ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে গত শনিবার (১২ অক্টোবর) ‘আন্দোলনে ৩ হাজারের বেশি পুলিশ নিহত— এমন খবর ছাপেনি টাইম ম্যাগাজিন’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
শেখ হাসিনার পক্ষে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিচ্ছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘ইউনুস তুই তওবা কর, শেখ হাসিনার পায়ে ধর. . শেখ হাসিনা বীরের বেশে আসবে ফিরে বাংলাদেশে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’।
৬ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া একটি অডিও কল নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে আজ শনিবার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হরতাল পালন করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে প্রত্যেক এলাকায় মিছিল-মিটিংয়ের আয়োজনের কথা বলতে শোনা যায়। তবে শেখ হাসিনার পরিবার কিংবা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হরতালের বিষয়ে এখনও কিছু
১২ ঘণ্টা আগেএকটি কার্ডে ‘সেইফ এক্সিট চেয়ে দেশ ছাড়তে চান ড. ইউনুস, পাইলস জনিত রোগ তীব্র আকার ধারন’ এবং আরেকটিতে ‘পাইলস জনিত রোগে উন্নত চিকিৎসায় আগামী সপ্তাহে ফ্রান্সে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা’—এমন লেখা রয়েছে। পরের কার্ডে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের বরাত দেওয়া হয়েছে।
২ দিন আগেশেখ হাসিনা ভারতে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এসেছেন, এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা আছে, ‘ভারতে প্রথমবার প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।’
৩ দিন আগে