ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি তাঁর দেশত্যাগ ও ভারতে চলে যাওয়া নিয়ে সেনাপ্রধান ওয়াকার–উজ–জামানের বক্তব্য দাবিতে একটি মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এতে দাবি করা হচ্ছে, সেনাপ্রধান সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা জনগণের লাশের বন্যা ও মৃত্যু চাননি সে জন্যে তিনি ভারতে চলে যান। যাদের জন্য দেশের এত উন্নয়ন করেছেন তাদের মৃত্যু চাননি, তাই তিনি পদত্যাগ না করেই ভারতে চলে যান।’
‘ব্যারিস্টার জহিরুল ইসলাম (Barrister Johirul Islam)’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাত ৮টায় সেনাপ্রধানের কথিত মন্তব্যটি পোস্টকরা হয়। পোস্টটিআজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সাড়ে ৫ শতাধিক শেয়ার হয়েছে; রিয়েকশন পড়েছে ৪ হাজারের বেশি। একই বক্তব্য ফেসবুকের আরও বিভিন্ন পেজ ও অ্যাকাউন্ট থেকেও ভাইরাল হয়েছে। তবে ভাইরাল কোনো পোস্টেই শেখ হাসিনার ভারতে চলে যাওয়া নিয়ে সেনাপ্রধান এই সাক্ষাৎকার কোথায়, কখন দিয়েছেন, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।
পরে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়া নিয়ে সেনাপ্রধানের সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত বক্তব্যগুলো যাচাই করে দেখে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার–উজ–জামানের বক্তব্যের পুরো ভিডিওটি পাওয়া যায়। পুরো বক্তব্যে কোথাও সেনাপ্রধানকে শেখ হাসিনার দেশত্যাগ নিয়ে কথিত মন্তব্যটি করতে শোনা যায়নি।
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে রয়টার্স, কানাডাভিত্তিক নাগরিক টিভিসহ বিভিন্ন সময়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন ও সাক্ষাৎকারদিয়েছেন সেনাপ্রধান।
তাঁর এসব বক্তব্য ও সাক্ষাৎকার থেকেও শেখ হাসিনার দেশত্যাগ নিয়ে কথিত মন্তব্যটির ব্যাপারে কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে কানাডাভিত্তিক নাগরিক টিভিকে গত ২৮ আগস্ট সেনাপ্রধান বলেন, শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আগে থেকে জানা ছিল না তাঁর। তিনি জানান, ৫ আগস্ট পরিস্থিতি দেখে তিনি যখন রাজনৈতিকদলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন, ঠিক তখন তাকে জানানো হয় শেখ হাসিনা চলে যাচ্ছেন।
আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) ওয়েবসাইটেখুঁজেও শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়া নিয়ে সেনাপ্রধানের কথিত ভাইরাল মন্তব্যটির সত্যতা পাওয়া যায়নি। স্বভাবতই, শেখ হাসিনার পদ ও দেশত্যাগ নিয়ে সেনাপ্রধান এমন কোনো মন্তব্য করে থাকলে সেটি মূলধারার সংবাদমাধ্যমে প্রচার হতো।
সংবাদমাধ্যম ও নির্ভরযোগ্য সূত্রে যেহেতু শেখ হাসিনার পদ ও দেশত্যাগ নিয়ে সেনাপ্রধানের কথিত ভাইরাল মন্তব্যটির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি, তাই এটি নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, সেনাপ্রধানের কথিত মন্তব্যটি মিথ্যা ও বানোয়াট।
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি তাঁর দেশত্যাগ ও ভারতে চলে যাওয়া নিয়ে সেনাপ্রধান ওয়াকার–উজ–জামানের বক্তব্য দাবিতে একটি মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এতে দাবি করা হচ্ছে, সেনাপ্রধান সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা জনগণের লাশের বন্যা ও মৃত্যু চাননি সে জন্যে তিনি ভারতে চলে যান। যাদের জন্য দেশের এত উন্নয়ন করেছেন তাদের মৃত্যু চাননি, তাই তিনি পদত্যাগ না করেই ভারতে চলে যান।’
‘ব্যারিস্টার জহিরুল ইসলাম (Barrister Johirul Islam)’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাত ৮টায় সেনাপ্রধানের কথিত মন্তব্যটি পোস্টকরা হয়। পোস্টটিআজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সাড়ে ৫ শতাধিক শেয়ার হয়েছে; রিয়েকশন পড়েছে ৪ হাজারের বেশি। একই বক্তব্য ফেসবুকের আরও বিভিন্ন পেজ ও অ্যাকাউন্ট থেকেও ভাইরাল হয়েছে। তবে ভাইরাল কোনো পোস্টেই শেখ হাসিনার ভারতে চলে যাওয়া নিয়ে সেনাপ্রধান এই সাক্ষাৎকার কোথায়, কখন দিয়েছেন, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।
পরে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়া নিয়ে সেনাপ্রধানের সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত বক্তব্যগুলো যাচাই করে দেখে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার–উজ–জামানের বক্তব্যের পুরো ভিডিওটি পাওয়া যায়। পুরো বক্তব্যে কোথাও সেনাপ্রধানকে শেখ হাসিনার দেশত্যাগ নিয়ে কথিত মন্তব্যটি করতে শোনা যায়নি।
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে রয়টার্স, কানাডাভিত্তিক নাগরিক টিভিসহ বিভিন্ন সময়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন ও সাক্ষাৎকারদিয়েছেন সেনাপ্রধান।
তাঁর এসব বক্তব্য ও সাক্ষাৎকার থেকেও শেখ হাসিনার দেশত্যাগ নিয়ে কথিত মন্তব্যটির ব্যাপারে কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে কানাডাভিত্তিক নাগরিক টিভিকে গত ২৮ আগস্ট সেনাপ্রধান বলেন, শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আগে থেকে জানা ছিল না তাঁর। তিনি জানান, ৫ আগস্ট পরিস্থিতি দেখে তিনি যখন রাজনৈতিকদলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন, ঠিক তখন তাকে জানানো হয় শেখ হাসিনা চলে যাচ্ছেন।
আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) ওয়েবসাইটেখুঁজেও শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়া নিয়ে সেনাপ্রধানের কথিত ভাইরাল মন্তব্যটির সত্যতা পাওয়া যায়নি। স্বভাবতই, শেখ হাসিনার পদ ও দেশত্যাগ নিয়ে সেনাপ্রধান এমন কোনো মন্তব্য করে থাকলে সেটি মূলধারার সংবাদমাধ্যমে প্রচার হতো।
সংবাদমাধ্যম ও নির্ভরযোগ্য সূত্রে যেহেতু শেখ হাসিনার পদ ও দেশত্যাগ নিয়ে সেনাপ্রধানের কথিত ভাইরাল মন্তব্যটির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি, তাই এটি নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, সেনাপ্রধানের কথিত মন্তব্যটি মিথ্যা ও বানোয়াট।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাথে ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ফলকের সামনে অবস্থানরত ছবিটির ক্যাপশনে লেখা, ‘রিপাবলিক টিভির ময়ুখ রঞ্জন ঘোষ জয়ের বন্ধু! গুজব লীগের গোমর ফাঁস’।
১ দিন আগেগতকাল শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে ‘ম্যাজিক্যাল নাইট ২.০’ নামের একটি কনসার্টে অংশ নেন আতিফ। এই কনসার্টে আতিফ আসলামের সঙ্গে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে দেখা গেছে দাবিতে একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
৩ দিন আগে‘তাপসী তাবাসসুম উর্মি (Tapashee Tabassum Urmi)’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভিডিওটি পোস্ট করে দাবি করা হয়, এটি আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত কনসার্টে আসা দর্শকদের মারামারির ভিডিও। এটি আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ৮ লাখ ২০ হাজারের বেশি দেখা হয়েছে, শেয়ার হয়েছে...
৩ দিন আগেগতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ নামে ফেসবুক পেজে এক ভিডিও পোস্টে দাবি করা হয়, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘ইউনূস হটাও আন্দোলনে উত্তাল চট্টগ্রাম’। আজ শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত ভিডিওটি দেখা হয়েছে প্রায় ৭৮ হাজার বার...
৪ দিন আগে