ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সম্প্রতি ফেসবুকে ছড়িয়েছে, এ বছরের ডিসেম্বরে পাঁচটি বুধবার, পাঁচটি বৃহস্পতিবার ও পাঁচটি শুক্রবার রয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, এমন ঘটনা ৮২৩ বছরে একবার ঘটে।
ফেসবুকে অনুসন্ধান করে কয়েক হাজার গ্রুপ, পেজ ও আইডিতে তথ্যটি পোস্ট করতে দেখা গেছে।
ফ্যাক্টচেক
মাসে যেকোনো তিনটি বার তিনবার করে আসাটা বিরল কোনো ঘটনা নয়। এমনকি পাঁচটি করে বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার আসার ঘটনাটিও বিরল নয়।
এমন ঘটনা ৮২৩ বছর পরপর আসে, সেটি তো সত্য নয়ই; প্রতিবছরই কোনো না কোনো মাসে দেখা যায় এমন ঘটনা।
গত কয়েক বছরের ক্যালেন্ডার ঘেঁটে দেখা যায়, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে তিনটি করে বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ছিল। ২০১৯ সালের মে মাসেও তিনটি করে বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ছিল। ২০১৮ সালের আগস্ট মাসেও একই ধারায় বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার আসে।
২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ২৪ মাসের মধ্যে তিনবার করে একই বারের পুনরাবৃত্তি হয়েছে এমন মাসের সংখ্যা ১৪টি।
টাইম অ্যান্ড ডেট ক্যালেন্ডার নামের একটি ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত একটি সারণিও খুঁজে পাওয়া যায়।
চলতি বছরই যেমন জানুয়ারি, মার্চ, মে, জুলাই, আগস্ট ও অক্টোবর মাসে তিনটি করে বার পাঁচবার করে ছিল। ডিসেম্বরের কথা তো আগেই বলা হলো, যা নিয়ে ফেসবুকে প্রচার চালানো হচ্ছে। পরের বছরগুলোতেও এ রকম মাস হরহামেশাই আসবে। এই যেমন ২০২৩ সালের মার্চ, ২০২৪ সালের মে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি ও অক্টোবর, ২০২৬ সালের জুলাই, ২০২৭ সালের ডিসেম্বর, ২০২৮ সালের মার্চ, ২০২৯ সালের আগস্ট ও ২০৩০ সালের মে মাসেও পাঁচটি বুধবার, পাঁচটি বৃহস্পতিবার ও পাঁচটি শুক্রবার আসবে।
এ ধরনের গুজব নতুন নয়। মার্কিন ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা স্নোপস-এ ২০১০ সালের ৭ আগস্ট একই ধরনের গুজবের ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
সিদ্ধান্ত
এ বছরের ডিসেম্বরে পাঁচটি বুধবার, পাঁচটি বৃহস্পতিবার ও পাঁচটি শুক্রবার আসার ঘটনাটি ৮২৩ বছর পর ঘটছে—ফেসবুকে প্রচারিত এ তথ্য সত্য নয়। প্রায় প্রতি বছরই একই মাসে তিনটি করে বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার আছে, এমন মাসের দেখা পাওয়া যায়। এক মাসে একই বার পাঁচটি করে আসার ঘটনাও বিরল নয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে, তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা—factcheck@ajkerpatrika.com
সম্প্রতি ফেসবুকে ছড়িয়েছে, এ বছরের ডিসেম্বরে পাঁচটি বুধবার, পাঁচটি বৃহস্পতিবার ও পাঁচটি শুক্রবার রয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, এমন ঘটনা ৮২৩ বছরে একবার ঘটে।
ফেসবুকে অনুসন্ধান করে কয়েক হাজার গ্রুপ, পেজ ও আইডিতে তথ্যটি পোস্ট করতে দেখা গেছে।
ফ্যাক্টচেক
মাসে যেকোনো তিনটি বার তিনবার করে আসাটা বিরল কোনো ঘটনা নয়। এমনকি পাঁচটি করে বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার আসার ঘটনাটিও বিরল নয়।
এমন ঘটনা ৮২৩ বছর পরপর আসে, সেটি তো সত্য নয়ই; প্রতিবছরই কোনো না কোনো মাসে দেখা যায় এমন ঘটনা।
গত কয়েক বছরের ক্যালেন্ডার ঘেঁটে দেখা যায়, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে তিনটি করে বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ছিল। ২০১৯ সালের মে মাসেও তিনটি করে বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ছিল। ২০১৮ সালের আগস্ট মাসেও একই ধারায় বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার আসে।
২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ২৪ মাসের মধ্যে তিনবার করে একই বারের পুনরাবৃত্তি হয়েছে এমন মাসের সংখ্যা ১৪টি।
টাইম অ্যান্ড ডেট ক্যালেন্ডার নামের একটি ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত একটি সারণিও খুঁজে পাওয়া যায়।
চলতি বছরই যেমন জানুয়ারি, মার্চ, মে, জুলাই, আগস্ট ও অক্টোবর মাসে তিনটি করে বার পাঁচবার করে ছিল। ডিসেম্বরের কথা তো আগেই বলা হলো, যা নিয়ে ফেসবুকে প্রচার চালানো হচ্ছে। পরের বছরগুলোতেও এ রকম মাস হরহামেশাই আসবে। এই যেমন ২০২৩ সালের মার্চ, ২০২৪ সালের মে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি ও অক্টোবর, ২০২৬ সালের জুলাই, ২০২৭ সালের ডিসেম্বর, ২০২৮ সালের মার্চ, ২০২৯ সালের আগস্ট ও ২০৩০ সালের মে মাসেও পাঁচটি বুধবার, পাঁচটি বৃহস্পতিবার ও পাঁচটি শুক্রবার আসবে।
এ ধরনের গুজব নতুন নয়। মার্কিন ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা স্নোপস-এ ২০১০ সালের ৭ আগস্ট একই ধরনের গুজবের ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
সিদ্ধান্ত
এ বছরের ডিসেম্বরে পাঁচটি বুধবার, পাঁচটি বৃহস্পতিবার ও পাঁচটি শুক্রবার আসার ঘটনাটি ৮২৩ বছর পর ঘটছে—ফেসবুকে প্রচারিত এ তথ্য সত্য নয়। প্রায় প্রতি বছরই একই মাসে তিনটি করে বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার আছে, এমন মাসের দেখা পাওয়া যায়। এক মাসে একই বার পাঁচটি করে আসার ঘটনাও বিরল নয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে, তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা—factcheck@ajkerpatrika.com
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গণহত্যা চলছেই। গতকাল রোববার একদিনে প্রায় ৫০ জন নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভের তথ্য গণমাধ্যমে এসেছে।
২ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস হ্যান্ডশেক করেছেন দাবিতে একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এসব পোস্টে এমনও দাবি করা হয়েছে যে, নোবেলজয়ী ড. ইউনূস ইসরায়েলকে ১০০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছিলেন।
৭ ঘণ্টা আগে‘শেখ হাসিনাকে ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বিএনপি’, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্ধৃত করে এমন একটি বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। মির্জা ফখরুলের ছবি এবং ওই বক্তব্য সংবলিত একটি ফটোকার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ফটোকার্ডে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের লোগোও যুক্ত করা হয়েছে।
১ দিন আগেদুজন মধ্যবয়সী পুরুষ মিলে একজন তরুণী ও এক যুবককে মারধর করছে— এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। ভিডিওতে একটি পুরোনো ভবনের সামনে দুজন পুরুষ এক নারী ও এক পুরুষকে ইট ও লাঠি দিয়ে মারধর করতে দেখা যাচ্ছে।
২ দিন আগে