ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে চলচ্চিত্র অভিনেতা ফেরদৌস ও রিয়াজ অংশ নিয়েছেন কি না, তা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরের অধিবেশন কক্ষে ফেরদৌস ও রিয়াজের দুটি ছবি পোস্ট করছেন বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন ফেসবুক ব্যবহারকারী। এসব পোস্টে নেতিবাচক নানা মন্তব্য করতে দেখা যাচ্ছে নেটাগরিকদের।
ফ্যাক্টচেক
চিত্রনায়ক ফেরদৌসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ঢুকে দেখা যায়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর সেখানে ৫১ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে ‘আজকের এই দিনে...।’ সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া দুটি ছবিই ওই ভিডিওতে দেখা যায়।
ওই ভিডিওর মাধ্যমে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও রিয়াজের আরও কিছু মুহূর্ত তুলে ধরা হয়েছে। ভিডিওর শুরুতেই বাংলাদেশের পতাকার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় ফেরদৌসকে। ভিডিওর নিচের অংশে লেখা হয়েছে, ‘অন দিস ডে, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮।’
ফ্যাক্টচেকে দেখা যায়, ভাইরাল হওয়া ছবি দুটি ২০১৮ সালের। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হয়ে তাঁরা পর্যবেক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। এ ছাড়া সম্প্রতি ফেসবুকে পোস্ট করা এ-সংক্রান্ত ছবি দুটির কোনোটিতেই ফেরদৌস ও রিয়াজ মাস্ক পরিহিত নেই। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে জাতিসংঘের এবারের সভায় কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হয়েছে। ফলে মাস্ক ছাড়া অধিবেশন কক্ষে তাঁদের উপস্থিতি অস্বাভাবিক।
ভিডিওতে উল্লেখ করা তারিখ ও তথ্য সন্ধান করে ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর ৭১ টিভির ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ‘একাত্তর জার্নাল’-এর ওই পর্বে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ নিয়েছিলেন ফেরদৌস ও রিয়াজ।
উপস্থাপক মিথিলা ফারজানা ফেরদৌসকে প্রশ্ন করেন, ‘হঠাৎ করে জাতিসংঘে নায়করা কী করল?’ ফেরদৌস বলেন, ‘এটা একটা অসাধারণ অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য। খুব সম্ভবত আমাদের আগে শিল্প-সংস্কৃতি অঙ্গন থেকে, বিশেষ করে ফিল্ম থেকে সেই অর্থে কেউ যায়নি।’
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চান কি-না বা বিশেষ কোনো দলের রাজনৈতিক তকমা গায়ে লাগার ভয় করেন কি-না, এ প্রশ্নের জবাবে রিয়াজ বলেন, ‘শিল্পীদের কোনো দল নেই, আমরা ১৮ কোটি মানুষের।’ একই প্রশ্নের জবাবে ফেরদৌস বলেন, ‘আমরা তো সদর্পে ঘুরে এলাম, তো সেটার তোয়াক্কা করলে হয়তো প্রথমেই মানা করে দিতাম। আমাদের কাছে মনে হয়েছে দেশকে রিপ্রেজেন্ট করার জন্য আমরা গিয়েছি।’
ফেরদৌস তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ছবিসহ এ-সংক্রান্ত বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেন।
২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর চলচ্চিত্র সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের অধিবেশন কক্ষে বসা ফেরদৌস ও রিয়াজের ছবি পোস্ট করেন। ক্যাপশনে লেখেন, ‘এ সম্মান শিল্পী সমিতির। এ সম্মান সকল চলচ্চিত্র শিল্পীদের। জাতিসংঘের এক অধিবেশনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে উপস্থিত আছেন চিত্রনায়ক জনাব রিয়াজ ও চিত্রনায়ক জনাব ফেরদৌস। ধন্যবাদ মাদার অব হিউম্যানিটি জননেত্রী শেখ হাসিনা।’
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় সফরগুলোতে রাজনৈতিক ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও অন্যান্য পেশাজীবীর সমন্বয়ে একটি দল যুক্ত হওয়ার রীতি চালু আছে। আতিথ্য দানকারী দেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনায় এই প্রতিনিধিরা যুক্ত হন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এই প্রতিনিধি দলের তালিকা তৈরি করে। যদিও এই তালিকায় বিনোদন জগতের তারকাদের সংযুক্ত করার নজির এর আগে খুব একটা দেখা যায়নি।
সিদ্ধান্ত
চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও রিয়াজ সম্প্রতি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দেননি। তাঁরা ৭৪তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়েছিলেন।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে চলচ্চিত্র অভিনেতা ফেরদৌস ও রিয়াজ অংশ নিয়েছেন কি না, তা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরের অধিবেশন কক্ষে ফেরদৌস ও রিয়াজের দুটি ছবি পোস্ট করছেন বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন ফেসবুক ব্যবহারকারী। এসব পোস্টে নেতিবাচক নানা মন্তব্য করতে দেখা যাচ্ছে নেটাগরিকদের।
ফ্যাক্টচেক
চিত্রনায়ক ফেরদৌসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ঢুকে দেখা যায়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর সেখানে ৫১ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে ‘আজকের এই দিনে...।’ সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া দুটি ছবিই ওই ভিডিওতে দেখা যায়।
ওই ভিডিওর মাধ্যমে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও রিয়াজের আরও কিছু মুহূর্ত তুলে ধরা হয়েছে। ভিডিওর শুরুতেই বাংলাদেশের পতাকার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় ফেরদৌসকে। ভিডিওর নিচের অংশে লেখা হয়েছে, ‘অন দিস ডে, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮।’
ফ্যাক্টচেকে দেখা যায়, ভাইরাল হওয়া ছবি দুটি ২০১৮ সালের। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হয়ে তাঁরা পর্যবেক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। এ ছাড়া সম্প্রতি ফেসবুকে পোস্ট করা এ-সংক্রান্ত ছবি দুটির কোনোটিতেই ফেরদৌস ও রিয়াজ মাস্ক পরিহিত নেই। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে জাতিসংঘের এবারের সভায় কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হয়েছে। ফলে মাস্ক ছাড়া অধিবেশন কক্ষে তাঁদের উপস্থিতি অস্বাভাবিক।
ভিডিওতে উল্লেখ করা তারিখ ও তথ্য সন্ধান করে ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর ৭১ টিভির ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ‘একাত্তর জার্নাল’-এর ওই পর্বে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ নিয়েছিলেন ফেরদৌস ও রিয়াজ।
উপস্থাপক মিথিলা ফারজানা ফেরদৌসকে প্রশ্ন করেন, ‘হঠাৎ করে জাতিসংঘে নায়করা কী করল?’ ফেরদৌস বলেন, ‘এটা একটা অসাধারণ অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য। খুব সম্ভবত আমাদের আগে শিল্প-সংস্কৃতি অঙ্গন থেকে, বিশেষ করে ফিল্ম থেকে সেই অর্থে কেউ যায়নি।’
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চান কি-না বা বিশেষ কোনো দলের রাজনৈতিক তকমা গায়ে লাগার ভয় করেন কি-না, এ প্রশ্নের জবাবে রিয়াজ বলেন, ‘শিল্পীদের কোনো দল নেই, আমরা ১৮ কোটি মানুষের।’ একই প্রশ্নের জবাবে ফেরদৌস বলেন, ‘আমরা তো সদর্পে ঘুরে এলাম, তো সেটার তোয়াক্কা করলে হয়তো প্রথমেই মানা করে দিতাম। আমাদের কাছে মনে হয়েছে দেশকে রিপ্রেজেন্ট করার জন্য আমরা গিয়েছি।’
ফেরদৌস তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ছবিসহ এ-সংক্রান্ত বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেন।
২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর চলচ্চিত্র সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের অধিবেশন কক্ষে বসা ফেরদৌস ও রিয়াজের ছবি পোস্ট করেন। ক্যাপশনে লেখেন, ‘এ সম্মান শিল্পী সমিতির। এ সম্মান সকল চলচ্চিত্র শিল্পীদের। জাতিসংঘের এক অধিবেশনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে উপস্থিত আছেন চিত্রনায়ক জনাব রিয়াজ ও চিত্রনায়ক জনাব ফেরদৌস। ধন্যবাদ মাদার অব হিউম্যানিটি জননেত্রী শেখ হাসিনা।’
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় সফরগুলোতে রাজনৈতিক ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও অন্যান্য পেশাজীবীর সমন্বয়ে একটি দল যুক্ত হওয়ার রীতি চালু আছে। আতিথ্য দানকারী দেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনায় এই প্রতিনিধিরা যুক্ত হন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এই প্রতিনিধি দলের তালিকা তৈরি করে। যদিও এই তালিকায় বিনোদন জগতের তারকাদের সংযুক্ত করার নজির এর আগে খুব একটা দেখা যায়নি।
সিদ্ধান্ত
চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও রিয়াজ সম্প্রতি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দেননি। তাঁরা ৭৪তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়েছিলেন।
পরীক্ষার আগে অভিভাবকেরা সাধারণত ডিম খেতে নিষেধ করেন। এটি বহু দিন ধরে প্রচলিত একটি ধারণা। ধারণা করা হয়, পরীক্ষার আগে ডিম খেলে মাথা গুলিয়ে যাবে, কেউ কেউ আবার ডিমের আকারের সঙ্গে পরীক্ষার নম্বরের সম্পর্ক আছে মনে করেন! এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিভিন্ন সময় পোস্ট হতে দেখা গেছে।
১২ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনার পক্ষে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিচ্ছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘ইউনুস তুই তওবা কর, শেখ হাসিনার পায়ে ধর. . শেখ হাসিনা বীরের বেশে আসবে ফিরে বাংলাদেশে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’।
২০ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া একটি অডিও কল নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে আজ শনিবার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হরতাল পালন করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে প্রত্যেক এলাকায় মিছিল-মিটিংয়ের আয়োজনের কথা বলতে শোনা যায়। তবে শেখ হাসিনার পরিবার কিংবা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হরতালের বিষয়ে এখনও কিছু
১ দিন আগেএকটি কার্ডে ‘সেইফ এক্সিট চেয়ে দেশ ছাড়তে চান ড. ইউনুস, পাইলস জনিত রোগ তীব্র আকার ধারন’ এবং আরেকটিতে ‘পাইলস জনিত রোগে উন্নত চিকিৎসায় আগামী সপ্তাহে ফ্রান্সে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা’—এমন লেখা রয়েছে। পরের কার্ডে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের বরাত দেওয়া হয়েছে।
৩ দিন আগে