ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সন্তান প্রসবের সময় একজন নারী কেমন ব্যথা অনুভব করেন তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে একটি তথ্য ঘুরে বেড়াচ্ছে। তা হলো- একজন স্বাভাবিক মানুষ সর্বোচ্চ ৪৫ ডেল ব্যথা সহ্য করতে পারে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর একাধিক পোস্টে দাবি করা হয়, সন্তান প্রসবের সময় নারী যে ব্যথা অনুভব করেন, তা ৫৭ ডেলের চেয়েও বেশি। এমন ব্যথাকে একসঙ্গে স্বাভাবিক মানুষের শরীরের ২০টি হাড় ভাঙার ব্যথার সঙ্গে তুলনা করা হয়।
কিন্তু, আসলেই ডেল নামে ব্যথা পরিমাপের কোনো একক কি আছে; সন্তান প্রসবের ব্যথার কি মানুষের শরীরের ২০টি হাড় ভাঙার অনুভুতির সমান; এবং ব্যথা মাপার সর্বজনস্বীকৃত কোনো পদ্ধতি আদৌ আছে কি? চিকিৎসাবিজ্ঞান থেকে এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
শুরুতে দাবিকৃত পোস্টগুলোতে উল্লেখিত ব্যথা পরিমাপকের একক ‘ডেল’ নিয়ে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, প্রকৃতপক্ষে এই নামে ব্যথার কোনো একক নেই। তবে ১৯৪৮ সালে ইউরোপ পিএমসি নামে গবেষণা প্রতিষ্ঠানে জেমস ডি. হারডি এবং কার্ল টি. জাভার্টের করা ব্যথা বিষয়ক গবেষণাপত্রের তথ্যানুসারে ‘ডোল’ হচ্ছে ব্যথা পরিমাপের একক।
ডোল সম্পর্কে গবেষণা পত্রটিতে বলা হয়, ‘ডোল’ নামে এই ব্যথার এককের মান ১ থেকে ১০ পর্যন্ত। এর অর্থ হলো- ১ হচ্ছে সর্বনিম্ন পর্যায়ের ব্যথা, আর ১০ হলো সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যথা।
একই গবেষণাপত্রটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের ইউএস লাইব্রেরি অব মেডিসিনের ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত হয়।
এই গবেষণা থেকে আরও জানা যায়, গবেষণাকালে সন্তান প্রসবের সময় কেমন ব্যথা হতে পারে তা পরিমাপের চেষ্টা করা হয়। একাধিক ক্ষেত্রে ডোলোমিটারে ব্যথার সর্বোচ্চ মাত্রা হচ্ছে ১০.৫ রেকর্ড করা হয়েছে।
এর অর্থ, ডেলকে ব্যথার পরিমাপ দাবি করা পোস্টের উল্লেখিত মাত্রাগুলো এই গবেষণায় দেখানো মাত্রা থেকে অনেক বেশি। স্বভাবতই উল্লিখিত এই মাত্রাগুলো একজন নারী ও পুরুষের সহ্য ক্ষমতার বাইরে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিংয়ের ওয়েবসাইটে ব্যথার মাত্রা নিয়ে একটি নিবন্ধের তথ্যমতে, মানুষের ব্যথার মাত্রা সর্বোচ্চ ১০। শূন্য মান দিয়ে কোনো ব্যথা নেই বোঝায় এবং ব্যথার মান ১০ দিয়ে সর্বোচ্চ ব্যথা বুঝায়।
সন্তান প্রসবের সময় ৫৭ ডেলের কিছুটা বেশি ব্যথা সহ্য করার দাবির বিষয়ে ভারতের দিল্লির প্রাইমাস সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পেইন ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ ডা. সোরভ গর্গ বিশ্বাস নিউজ নামের একটি ফ্যাক্টচেকিং সাইটকে বলেন, ‘ব্যথা পরিমাপের জন্য বস্তুনিষ্ঠ কোনো উপায় নেই। ব্যথা হচ্ছে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। একেক রোগীর মধ্যে ব্যথার অনুভূতি একেক রকম। এর ধরণ ও মাত্রা তুলনা করা সহজ নয়। প্রকৃতপক্ষে, ব্যথা পরিমাপ করতে পারে না কেউ। একজনের ব্যথার সহ্যক্ষমতা খুবই ব্যক্তিগত। সন্তান প্রসবের সময় নারীর ৫৭ ডেল ব্যথা সহ্য করার দাবিটি মিথ্যা।’
একই বিষয়ে আফ্রিকাভিত্তিক ফ্যাক্টচেকিং সাইট ‘আফ্রিকা চেকে’ ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব সোসাইটিজ অব অ্যানেস্থেশিওলজিস্টের পেইন ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি ডা. চার্লস রগার গাউকের মন্তব্য নেয়। তিনি বলেন, ‘ব্যথা পরিমাপের কোনো বস্তুনিষ্ঠ উপায় নেই। এটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। রোগীদের মধ্যে নানা ধরণ ও মাত্রার ব্যথার তুলনা সহজ নয়।
তিনি আরও বলেন, ‘যে ব্যথা আমাকে কষ্ট দেয়, তা আপনাকে নাও দিতে পারে। ব্যথা শূন্য থেকে ১০ মাত্রায় পরিমাপ করা যেতে পারে। কীভাবে একজন ২০টি হাড় ভাঙার ব্যথা পরিমাপ করবে?’
সুতরাং, ডেল বলে ব্যথা পরিমাপের কোনো এক নেই। তাই সন্তান প্রসবের সময় নারীদের ৫৭ ডেল ব্যথা অনুভবের দাবি সঠিক নয়। তাছাড়া, একসঙ্গে মানুষের শরীরের ২০টি হাড় ভাঙার সময়কার ব্যথাও পরিমাপযোগ্য নয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানে ব্যথা পরিমাপের জন্য ডলোমিটার নামে একটি পরিমাপক ব্যবহার করা হয়। তবে ব্যথা নিতান্ত ব্যক্তির অনুভবের বিষয় হওয়া এই এটিও সামগ্রিক পরিমাপক হিসেবে স্বীকৃত নয়।
সন্তান প্রসবের সময় একজন নারী কেমন ব্যথা অনুভব করেন তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে একটি তথ্য ঘুরে বেড়াচ্ছে। তা হলো- একজন স্বাভাবিক মানুষ সর্বোচ্চ ৪৫ ডেল ব্যথা সহ্য করতে পারে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর একাধিক পোস্টে দাবি করা হয়, সন্তান প্রসবের সময় নারী যে ব্যথা অনুভব করেন, তা ৫৭ ডেলের চেয়েও বেশি। এমন ব্যথাকে একসঙ্গে স্বাভাবিক মানুষের শরীরের ২০টি হাড় ভাঙার ব্যথার সঙ্গে তুলনা করা হয়।
কিন্তু, আসলেই ডেল নামে ব্যথা পরিমাপের কোনো একক কি আছে; সন্তান প্রসবের ব্যথার কি মানুষের শরীরের ২০টি হাড় ভাঙার অনুভুতির সমান; এবং ব্যথা মাপার সর্বজনস্বীকৃত কোনো পদ্ধতি আদৌ আছে কি? চিকিৎসাবিজ্ঞান থেকে এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
শুরুতে দাবিকৃত পোস্টগুলোতে উল্লেখিত ব্যথা পরিমাপকের একক ‘ডেল’ নিয়ে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, প্রকৃতপক্ষে এই নামে ব্যথার কোনো একক নেই। তবে ১৯৪৮ সালে ইউরোপ পিএমসি নামে গবেষণা প্রতিষ্ঠানে জেমস ডি. হারডি এবং কার্ল টি. জাভার্টের করা ব্যথা বিষয়ক গবেষণাপত্রের তথ্যানুসারে ‘ডোল’ হচ্ছে ব্যথা পরিমাপের একক।
ডোল সম্পর্কে গবেষণা পত্রটিতে বলা হয়, ‘ডোল’ নামে এই ব্যথার এককের মান ১ থেকে ১০ পর্যন্ত। এর অর্থ হলো- ১ হচ্ছে সর্বনিম্ন পর্যায়ের ব্যথা, আর ১০ হলো সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যথা।
একই গবেষণাপত্রটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের ইউএস লাইব্রেরি অব মেডিসিনের ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত হয়।
এই গবেষণা থেকে আরও জানা যায়, গবেষণাকালে সন্তান প্রসবের সময় কেমন ব্যথা হতে পারে তা পরিমাপের চেষ্টা করা হয়। একাধিক ক্ষেত্রে ডোলোমিটারে ব্যথার সর্বোচ্চ মাত্রা হচ্ছে ১০.৫ রেকর্ড করা হয়েছে।
এর অর্থ, ডেলকে ব্যথার পরিমাপ দাবি করা পোস্টের উল্লেখিত মাত্রাগুলো এই গবেষণায় দেখানো মাত্রা থেকে অনেক বেশি। স্বভাবতই উল্লিখিত এই মাত্রাগুলো একজন নারী ও পুরুষের সহ্য ক্ষমতার বাইরে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিংয়ের ওয়েবসাইটে ব্যথার মাত্রা নিয়ে একটি নিবন্ধের তথ্যমতে, মানুষের ব্যথার মাত্রা সর্বোচ্চ ১০। শূন্য মান দিয়ে কোনো ব্যথা নেই বোঝায় এবং ব্যথার মান ১০ দিয়ে সর্বোচ্চ ব্যথা বুঝায়।
সন্তান প্রসবের সময় ৫৭ ডেলের কিছুটা বেশি ব্যথা সহ্য করার দাবির বিষয়ে ভারতের দিল্লির প্রাইমাস সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পেইন ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ ডা. সোরভ গর্গ বিশ্বাস নিউজ নামের একটি ফ্যাক্টচেকিং সাইটকে বলেন, ‘ব্যথা পরিমাপের জন্য বস্তুনিষ্ঠ কোনো উপায় নেই। ব্যথা হচ্ছে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। একেক রোগীর মধ্যে ব্যথার অনুভূতি একেক রকম। এর ধরণ ও মাত্রা তুলনা করা সহজ নয়। প্রকৃতপক্ষে, ব্যথা পরিমাপ করতে পারে না কেউ। একজনের ব্যথার সহ্যক্ষমতা খুবই ব্যক্তিগত। সন্তান প্রসবের সময় নারীর ৫৭ ডেল ব্যথা সহ্য করার দাবিটি মিথ্যা।’
একই বিষয়ে আফ্রিকাভিত্তিক ফ্যাক্টচেকিং সাইট ‘আফ্রিকা চেকে’ ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব সোসাইটিজ অব অ্যানেস্থেশিওলজিস্টের পেইন ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি ডা. চার্লস রগার গাউকের মন্তব্য নেয়। তিনি বলেন, ‘ব্যথা পরিমাপের কোনো বস্তুনিষ্ঠ উপায় নেই। এটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। রোগীদের মধ্যে নানা ধরণ ও মাত্রার ব্যথার তুলনা সহজ নয়।
তিনি আরও বলেন, ‘যে ব্যথা আমাকে কষ্ট দেয়, তা আপনাকে নাও দিতে পারে। ব্যথা শূন্য থেকে ১০ মাত্রায় পরিমাপ করা যেতে পারে। কীভাবে একজন ২০টি হাড় ভাঙার ব্যথা পরিমাপ করবে?’
সুতরাং, ডেল বলে ব্যথা পরিমাপের কোনো এক নেই। তাই সন্তান প্রসবের সময় নারীদের ৫৭ ডেল ব্যথা অনুভবের দাবি সঠিক নয়। তাছাড়া, একসঙ্গে মানুষের শরীরের ২০টি হাড় ভাঙার সময়কার ব্যথাও পরিমাপযোগ্য নয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানে ব্যথা পরিমাপের জন্য ডলোমিটার নামে একটি পরিমাপক ব্যবহার করা হয়। তবে ব্যথা নিতান্ত ব্যক্তির অনুভবের বিষয় হওয়া এই এটিও সামগ্রিক পরিমাপক হিসেবে স্বীকৃত নয়।
তাহসান খানের বিয়ের দৃশ্য দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের এক যুবকের বিয়ের দৃশ্য। ভিডিওতে দেখা ব্যক্তি মৃত মাকে মনে করে আবেগাপ্লুত হয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভিডিওটি তাহসানের বিয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এবং এই দাবির কোনো প্রমাণ নেই। আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক অনুসন্ধা
১৩ ঘণ্টা আগেশরিফুল হক ডালিমের স্ত্রী দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘জন্মগতভাবে কেউ ভিলেন থাকে না, পরিস্থিতি তাকে ভিলেন বানিয়ে দেয়! আমার নিম্মি হও। আমি তোমার ডালিম হব।’ ভিডিওতে আরও দাবি করা হয়েছে, শেখ মুজিবুর রহমানের ছেলে শেখ কামাল শরিফুল হক ডালিমের স্ত্রী নিম্মিকে বন্দী
১ দিন আগেচব্বিশের জুলাইয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম আলোচিত সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। গত বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন তিনি। এরই মধ্যে হাসনাত আব্দুল্লাহ আবার বিয়ে করেছেন— এমন দাবিতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবির ক্যাপশনে লেখা, ‘আরেক টি বিয়ে করলেন হাস
২ দিন আগেফিলিস্তিনের গাজা উপাত্যকায় ১৫ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় নিঃস্ব বাস্তুচ্যুতদের জীবন আরও কঠিন করে তুলেছে বৈরী আবহাওয়া। একে তো অনেক শীত, তার ওপর প্রবল বৃষ্টি। বৃষ্টির পানির কারণে গাজা উপাত্যকায় হাসপাতালসহ বিভিন্ন জায়গায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যা গাজাবাসীর কষ্ট দ্বিগুন করেছে।
৩ দিন আগে