ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
প্রকৃতির ‘ভয়ংকর সুন্দর’ ঘটনাগুলোর একটি বজ্রপাত। বজ্রপাতের সময় আলোর ঝলকানি আকাশে যেমন সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে ঠিক তেমনি এই বজ্রে ঘটতে পারে প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় গাছের ওপর বজ্রপাতের এমনই এক ‘ভয়ংকর সুন্দর’ ছবি ভাইরাল হয়েছে। গত শুক্রবার (১৭ মে) ‘বিজ্ঞানের রহস্য খুঁজছেন...!?’ নামের ফেসবুক গ্রুপে ছবিটি পোস্ট করা হয়।
‘রহস্যময় বিজ্ঞান’ নামের পেজ থেকে গ্রুপে ছবিটি পোস্ট করে দাবি করা হয়, ড্যারেন পিয়ারসন নামে একজন চিত্রগ্রাহক গাছে বাজ পড়ার এই অবিশ্বাস্য মুহূর্তটি ধারণ করেছেন। ৩ হাজার ৪০০ সদস্যের গ্রুপে দেওয়া পোস্টটিতে আজ রোববার (১৯ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত রিয়েকশন পড়েছে ২৬ হাজার, শেয়ার হয়েছে ৬০০–এর বেশি। মন্তব্যও পড়েছে সমপরিমাণ। এসব মন্তব্যে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কেউ কেউ ছবিটির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, আবার কেউ চিত্রগ্রাহকের এমন ছবি তোলার দক্ষতায় মুগ্ধ হয়েছেন!
ভাইরাল এই ছবির প্রকৃত ঘটনা কী?
রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে ভাইরাল ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায় জনপ্রিয় মিথ–বাস্টিং ওয়েবসাইট মিউজিয়াম অব হোক্সেসের ওয়েবসাইটে একটি গ্যালারিতে। গ্যালারিটির নাম ‘দ্য গ্যালারি অব ফেইক ভাইরাল ইমেজেস’। এই গ্যালারিতে ছবিটি যুক্ত করা হয় ২০১৩ সালের অক্টোবরে। ছবিটি প্রসঙ্গে মিউজিয়াম অব হোক্সেস জানায়, গাছে বাজ পড়ার এই অবিশ্বাস্য মুহূর্তের ছবিটি আসলে দুটি ছবির সমন্বয়ে সম্পাদনা করে তৈরি। ছবিটি তৈরি করেছেন ড্যারেন পিয়ারসন। তিনি পেশায় ‘লাইট পেইন্টার’।
লাইট পেইন্টিং হচ্ছে ছবি তোলার এমন এক কৌশল, যেখানে ছবিতে কোনো প্যাটার্ন ফুটিয়ে তুলতে বা কোনো কিছু আঁকতে আলো ব্যবহার করা হয়। পিয়ারসন বাজ পড়ার দাবিতে ছবিতে থাকা গাছটির ছবি তুলেছেন এই লাইট পেইন্টিং কৌশল ব্যবহার করে। এরপর তাতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ওশান অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনওএএ) ওয়েবসাইট থেকে বজ্রপাতের একটি ছবি যুক্ত করে ভাইরাল ছবিটি তৈরি করেছেন।
পরে আরও খুঁজে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান স্নোপসে ছবিটি নিয়ে একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারিতে এ প্রতিবেদনে ড্যারেন পিয়ারসনের সাক্ষাৎকার পাওয়া যায়। তিনি স্নোপসকে বলেন, গাছে বাজ পড়ার ভাইরাল ছবিটি প্রকৃত কোনো ঘটনার দৃশ্যায়ন নয়। এটি দুটি ছবির সমন্বয়ে তৈরি। এর মধ্যে গাছের ছবিটি তাঁর নিজের তোলা। গাছের ছবিটি তিনি তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগো থেকে। আর বজ্রপাতের ছবিটি নেওয়া হয়েছে এনওএএর ওয়েবসাইট থেকে।
গাছের ছবিটি প্রসঙ্গে তিনি স্নোপসকে বলেন, ছবিটি লং এক্সপোজারে রাতের বেলা তোলা। ছবিটি তুলতে সময় লেগেছে ৬১৯ সেকেন্ড বা প্রায় ১০ মিনিট ৩২ সেকেন্ড। গাছের ছবিতে নীল ধোয়া দেখাতে ‘ইলেক্ট্রোলুমিনেসেন্ট ওয়্যার’ নামে ফসফর (বাতাসের সংস্পর্শে জ্বলে এমন রাসায়নিক) দিয়ে মোড়া পাতলা তামার তার ব্যবহার করা হয়েছে। আর গাছটিকে গোলাপি আভা ফুটিয়ে তুলতে ব্যবহার করা হয়েছে রঙিন স্পটলাইট।
তিনি স্নোপসকে আরও বলেন, আমার কখনোই গাছে বাজ পড়ার বাস্তব ছবি তোলার ইচ্ছা ছিল না। এটি একটি শৈল্পিক অভিব্যক্তি হিসেবে তোলা। কিন্তু ইন্টারনেটে মানুষ ছবিটির বিষয়ে ভুল তথ্য প্রচার করেছে।
পরে আরও খুঁজে ড্যারেন পিয়ারসনের ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট পাওয়া যায়। এই ওয়েবসাইট ও তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ঘুরে তাঁর লাইট পেইন্টিংয়ের আরও অনেক কাজ পাওয়া যায়।
প্রকৃতির ‘ভয়ংকর সুন্দর’ ঘটনাগুলোর একটি বজ্রপাত। বজ্রপাতের সময় আলোর ঝলকানি আকাশে যেমন সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে ঠিক তেমনি এই বজ্রে ঘটতে পারে প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় গাছের ওপর বজ্রপাতের এমনই এক ‘ভয়ংকর সুন্দর’ ছবি ভাইরাল হয়েছে। গত শুক্রবার (১৭ মে) ‘বিজ্ঞানের রহস্য খুঁজছেন...!?’ নামের ফেসবুক গ্রুপে ছবিটি পোস্ট করা হয়।
‘রহস্যময় বিজ্ঞান’ নামের পেজ থেকে গ্রুপে ছবিটি পোস্ট করে দাবি করা হয়, ড্যারেন পিয়ারসন নামে একজন চিত্রগ্রাহক গাছে বাজ পড়ার এই অবিশ্বাস্য মুহূর্তটি ধারণ করেছেন। ৩ হাজার ৪০০ সদস্যের গ্রুপে দেওয়া পোস্টটিতে আজ রোববার (১৯ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত রিয়েকশন পড়েছে ২৬ হাজার, শেয়ার হয়েছে ৬০০–এর বেশি। মন্তব্যও পড়েছে সমপরিমাণ। এসব মন্তব্যে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কেউ কেউ ছবিটির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, আবার কেউ চিত্রগ্রাহকের এমন ছবি তোলার দক্ষতায় মুগ্ধ হয়েছেন!
ভাইরাল এই ছবির প্রকৃত ঘটনা কী?
রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে ভাইরাল ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায় জনপ্রিয় মিথ–বাস্টিং ওয়েবসাইট মিউজিয়াম অব হোক্সেসের ওয়েবসাইটে একটি গ্যালারিতে। গ্যালারিটির নাম ‘দ্য গ্যালারি অব ফেইক ভাইরাল ইমেজেস’। এই গ্যালারিতে ছবিটি যুক্ত করা হয় ২০১৩ সালের অক্টোবরে। ছবিটি প্রসঙ্গে মিউজিয়াম অব হোক্সেস জানায়, গাছে বাজ পড়ার এই অবিশ্বাস্য মুহূর্তের ছবিটি আসলে দুটি ছবির সমন্বয়ে সম্পাদনা করে তৈরি। ছবিটি তৈরি করেছেন ড্যারেন পিয়ারসন। তিনি পেশায় ‘লাইট পেইন্টার’।
লাইট পেইন্টিং হচ্ছে ছবি তোলার এমন এক কৌশল, যেখানে ছবিতে কোনো প্যাটার্ন ফুটিয়ে তুলতে বা কোনো কিছু আঁকতে আলো ব্যবহার করা হয়। পিয়ারসন বাজ পড়ার দাবিতে ছবিতে থাকা গাছটির ছবি তুলেছেন এই লাইট পেইন্টিং কৌশল ব্যবহার করে। এরপর তাতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ওশান অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনওএএ) ওয়েবসাইট থেকে বজ্রপাতের একটি ছবি যুক্ত করে ভাইরাল ছবিটি তৈরি করেছেন।
পরে আরও খুঁজে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান স্নোপসে ছবিটি নিয়ে একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারিতে এ প্রতিবেদনে ড্যারেন পিয়ারসনের সাক্ষাৎকার পাওয়া যায়। তিনি স্নোপসকে বলেন, গাছে বাজ পড়ার ভাইরাল ছবিটি প্রকৃত কোনো ঘটনার দৃশ্যায়ন নয়। এটি দুটি ছবির সমন্বয়ে তৈরি। এর মধ্যে গাছের ছবিটি তাঁর নিজের তোলা। গাছের ছবিটি তিনি তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগো থেকে। আর বজ্রপাতের ছবিটি নেওয়া হয়েছে এনওএএর ওয়েবসাইট থেকে।
গাছের ছবিটি প্রসঙ্গে তিনি স্নোপসকে বলেন, ছবিটি লং এক্সপোজারে রাতের বেলা তোলা। ছবিটি তুলতে সময় লেগেছে ৬১৯ সেকেন্ড বা প্রায় ১০ মিনিট ৩২ সেকেন্ড। গাছের ছবিতে নীল ধোয়া দেখাতে ‘ইলেক্ট্রোলুমিনেসেন্ট ওয়্যার’ নামে ফসফর (বাতাসের সংস্পর্শে জ্বলে এমন রাসায়নিক) দিয়ে মোড়া পাতলা তামার তার ব্যবহার করা হয়েছে। আর গাছটিকে গোলাপি আভা ফুটিয়ে তুলতে ব্যবহার করা হয়েছে রঙিন স্পটলাইট।
তিনি স্নোপসকে আরও বলেন, আমার কখনোই গাছে বাজ পড়ার বাস্তব ছবি তোলার ইচ্ছা ছিল না। এটি একটি শৈল্পিক অভিব্যক্তি হিসেবে তোলা। কিন্তু ইন্টারনেটে মানুষ ছবিটির বিষয়ে ভুল তথ্য প্রচার করেছে।
পরে আরও খুঁজে ড্যারেন পিয়ারসনের ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট পাওয়া যায়। এই ওয়েবসাইট ও তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ঘুরে তাঁর লাইট পেইন্টিংয়ের আরও অনেক কাজ পাওয়া যায়।
প্রযুক্তি জগতে নানা উদ্ভাবন দিয়ে সব সময়ই আলোচনায় থাকেন স্পেসএক্স, টেসলাসহ মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিক ইলন মাস্ক। সম্প্রতি তিনি আলোচনায় এসেছেন এক্সে ডিজনির এলজিবিটিকিউ সম্পর্কিত কনটেন্ট ব্লক করে দিয়েছেন এমন দাবিতে। গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ফেসবুকে ‘মহিদুল আলম...
৯ ঘণ্টা আগেরাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় গত বুধবার দুপুরে সংঘর্ষে জড়ায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ ও সেনাসদস্যরা, দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন তাঁরা। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডও ছোড়ে।
১৩ ঘণ্টা আগেসরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারকে ঘিরে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নাম বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল...
১ দিন আগেছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর তিনদিন পর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয় ৮ আগস্ট। এরপর ১০০ দিন পার করেছে এই সরকার...
২ দিন আগে