ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
চব্বিশের জুলাইয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম আলোচিত সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। গত বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন তিনি। এরই মধ্যে হাসনাত আব্দুল্লাহ আবার বিয়ে করেছেন— এমন দাবিতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবির ক্যাপশনে লেখা, ‘আরেক টি বিয়ে করলেন হাসানাত আব্দুল্লাহ।’
হাসনাতের দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে ‘আমাদের গোপালগঞ্জ’ নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা ছবিটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ভাইরাল। ছবিটি আজ রবিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে পোস্ট করা হয়। পরে একই ক্যাপশনে অন্যান্য ফেসবুক অ্যাকাউন্টেও তা পোস্ট হতে দেখা যায়। পোস্টগুলোর কমেন্টে কোনো কোনো অ্যাকাউন্ট থেকে বলা হয়েছে, হাসনাত আব্দুল্লার বিয়ের সংবাদটি মিথ্যা এবং ছবিটি এডিট করে তৈরি করা হয়েছে। আবার কেউ কেউ বিষয়টিকে সত্য মনে করে কমেন্ট করেছেন। সাদি শেখ (Sadi Sheikh) নামে অ্যাকাউন্ট থেকে মন্তব্য করা হয়, ‘ও হাসনাত কাকু এটা কি করলেন।’
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য শুরুতে ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হয়। এতে পাবলিক মিডিয়া ম্যারেজ (Public Marriage Media) নামের একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ছবিটি পাওয়া যায়। তবে ছবিতে হাসনাত আব্দুল্লাহকে দেখা যায়নি। তার জায়গায় অন্য ব্যক্তিকে দেখা যায়। ছবিতে শুধু হাসনাত আব্দুল্লাহর মুখমণ্ডল ছাড়া পেছনের দৃশ্যসহ বাকি সবকিছুর মিল পাওয়া যায়।
ইমেজ সার্চে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পোস্ট করা একই ছবি ফেসবুক ও ইউটিউবেও পাওয়া যায়। এছাড়া ভিন্ন ক্যামেরার এঙ্গেল থেকে তোলা একই ছবি ফেসবুকে পোস্ট হতে দেখা যায়।
বিয়ের ছবিটি কোন দম্পতির, সেবিষয়ে এসব পোস্টে কোনো তথ্যের উল্লেখ পাওয়া যায়নি। তবে ছবিতে টিকটকের লোগোসহ ‘@md. chuto. vai.10 k’ নামক আইডির নাম দেখা যায়। অনুসন্ধানে ‘@md.chuto.vai.10k’ নামক টিকটক অ্যাকাউন্টটি খুঁজে পায় আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ। অ্যাকাউন্টটির নাম মো. সুরুজ (MD Suruz 10 K)।
অ্যাকাউন্টটি পর্যবেক্ষণ করে এমন ছবি কোনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে আলাদাভাবে দেওয়া দুটি পোস্টের স্ক্রিনশট দিয়ে তৈরি একটি ভিডিওতে ছবিটি পাওয়া যায়। এই ভিডিওতে নারীর অংশ মুছে দিয়ে পোস্টটি দেওয়া হয়।
মো. সুরুজ নামে টিকটক অ্যাকাউন্টে যুক্ত করে রাখা ইউটিউব লিংকে প্রবেশ করে ‘মো. ছোট ভাই’ (MD choto vai) নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুঁজে পাওয়া যায়।
চ্যানেলটির ডেসক্রিপশন অপশনে গিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর খুঁজে পায় আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক টিম। এই নম্বরে যোগাযোগ করা হলে অপরপ্রান্ত থেকে ফোন ধরে মো. সুরুজ পরিচয় দিয়ে কথা বলেন এক ব্যক্তি। ছবিটির বিষয়ে মো. সুরুজের সঙ্গে বিস্তারিত কথা হয়।
তিনি জানান, ছবিটি তাঁর আপন খালাত ভাইয়ের বিয়ের। তার খালাত ভাইয়ের নাম সাবের। গত ডিসেম্বরে তার ভাইয়ের বিয়ে হয়। পাবনা অঞ্চল থেকে ছবিটি তিনিই তুলেছিলেন এবং নিজের টিকটক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছিলেন। পরে ছবিটি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে যায় এবং এটি নিয়ে মানুষ নানা ধরণের মিথ্যা তথ্য ছড়াতে থাকে।
সুরুজ পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি আরও জানান, তাঁর খালাত ভাই ও ভাবীর ছবি নিয়ে ইন্টারনেটে ছড়ানো নানান মিথ্যা তথ্যের বিষয়টি তাঁদের নজরে এলে পরিবারের সিদ্ধান্তে তিনি নিজের টিকটক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা ছবিতে নারীর অংশ এডিট করে ঢেকে দেন।
অর্থাৎ, হাসনাত আব্দুল্লাহ আবার বিয়ে করার দাবিতে প্রচারিত ছবিটি প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদিত।
হাসনাত আব্দুল্লাহ আবার বিয়ে করেছেন কিনা সে বিষয়ে জানতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলার সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন মুহাম্মদ রুবেলের মাধ্যমে হাসনাত আব্দুল্লাহর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ। হাসনাত আব্দুল্লাহর সাথে জিয়া উদ্দিন মুহাম্মদ রুবেল কথা বলে আমাদের জানান, বিষয়টি সম্পুর্ণ ভুয়া।
এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে ফ্যাক্টচেকের পক্ষ থেকে হাসনাত আব্দুল্লাহ মোবাইল ফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এর আগে আজকের পত্রিকার ঢাকা বিশবিদ্যালয় (ঢাবি) প্রতিনিধি ফারুক সিদ্দিকের সঙ্গে হাসনাত আব্দুল্লাহর ঘনিষ্ঠজন মোস্তফা হোসাইন আল আকিলের কথা হয়। তিনি বলেন, ‘এটা ভাইয়ের (হাসনাত) নামে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এরকম কোনো কিছু হয়নি।’
সুতরাং, হাসনাত আব্দুল্লাহ আবার বিয়ে করার দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং এই দাবিতে প্রচারিত ছবিটি প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে তৈরি করা হয়েছে।
চব্বিশের জুলাইয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম আলোচিত সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। গত বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন তিনি। এরই মধ্যে হাসনাত আব্দুল্লাহ আবার বিয়ে করেছেন— এমন দাবিতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবির ক্যাপশনে লেখা, ‘আরেক টি বিয়ে করলেন হাসানাত আব্দুল্লাহ।’
হাসনাতের দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে ‘আমাদের গোপালগঞ্জ’ নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা ছবিটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ভাইরাল। ছবিটি আজ রবিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে পোস্ট করা হয়। পরে একই ক্যাপশনে অন্যান্য ফেসবুক অ্যাকাউন্টেও তা পোস্ট হতে দেখা যায়। পোস্টগুলোর কমেন্টে কোনো কোনো অ্যাকাউন্ট থেকে বলা হয়েছে, হাসনাত আব্দুল্লার বিয়ের সংবাদটি মিথ্যা এবং ছবিটি এডিট করে তৈরি করা হয়েছে। আবার কেউ কেউ বিষয়টিকে সত্য মনে করে কমেন্ট করেছেন। সাদি শেখ (Sadi Sheikh) নামে অ্যাকাউন্ট থেকে মন্তব্য করা হয়, ‘ও হাসনাত কাকু এটা কি করলেন।’
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য শুরুতে ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হয়। এতে পাবলিক মিডিয়া ম্যারেজ (Public Marriage Media) নামের একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ছবিটি পাওয়া যায়। তবে ছবিতে হাসনাত আব্দুল্লাহকে দেখা যায়নি। তার জায়গায় অন্য ব্যক্তিকে দেখা যায়। ছবিতে শুধু হাসনাত আব্দুল্লাহর মুখমণ্ডল ছাড়া পেছনের দৃশ্যসহ বাকি সবকিছুর মিল পাওয়া যায়।
ইমেজ সার্চে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পোস্ট করা একই ছবি ফেসবুক ও ইউটিউবেও পাওয়া যায়। এছাড়া ভিন্ন ক্যামেরার এঙ্গেল থেকে তোলা একই ছবি ফেসবুকে পোস্ট হতে দেখা যায়।
বিয়ের ছবিটি কোন দম্পতির, সেবিষয়ে এসব পোস্টে কোনো তথ্যের উল্লেখ পাওয়া যায়নি। তবে ছবিতে টিকটকের লোগোসহ ‘@md. chuto. vai.10 k’ নামক আইডির নাম দেখা যায়। অনুসন্ধানে ‘@md.chuto.vai.10k’ নামক টিকটক অ্যাকাউন্টটি খুঁজে পায় আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ। অ্যাকাউন্টটির নাম মো. সুরুজ (MD Suruz 10 K)।
অ্যাকাউন্টটি পর্যবেক্ষণ করে এমন ছবি কোনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে আলাদাভাবে দেওয়া দুটি পোস্টের স্ক্রিনশট দিয়ে তৈরি একটি ভিডিওতে ছবিটি পাওয়া যায়। এই ভিডিওতে নারীর অংশ মুছে দিয়ে পোস্টটি দেওয়া হয়।
মো. সুরুজ নামে টিকটক অ্যাকাউন্টে যুক্ত করে রাখা ইউটিউব লিংকে প্রবেশ করে ‘মো. ছোট ভাই’ (MD choto vai) নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুঁজে পাওয়া যায়।
চ্যানেলটির ডেসক্রিপশন অপশনে গিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর খুঁজে পায় আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক টিম। এই নম্বরে যোগাযোগ করা হলে অপরপ্রান্ত থেকে ফোন ধরে মো. সুরুজ পরিচয় দিয়ে কথা বলেন এক ব্যক্তি। ছবিটির বিষয়ে মো. সুরুজের সঙ্গে বিস্তারিত কথা হয়।
তিনি জানান, ছবিটি তাঁর আপন খালাত ভাইয়ের বিয়ের। তার খালাত ভাইয়ের নাম সাবের। গত ডিসেম্বরে তার ভাইয়ের বিয়ে হয়। পাবনা অঞ্চল থেকে ছবিটি তিনিই তুলেছিলেন এবং নিজের টিকটক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছিলেন। পরে ছবিটি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে যায় এবং এটি নিয়ে মানুষ নানা ধরণের মিথ্যা তথ্য ছড়াতে থাকে।
সুরুজ পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি আরও জানান, তাঁর খালাত ভাই ও ভাবীর ছবি নিয়ে ইন্টারনেটে ছড়ানো নানান মিথ্যা তথ্যের বিষয়টি তাঁদের নজরে এলে পরিবারের সিদ্ধান্তে তিনি নিজের টিকটক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা ছবিতে নারীর অংশ এডিট করে ঢেকে দেন।
অর্থাৎ, হাসনাত আব্দুল্লাহ আবার বিয়ে করার দাবিতে প্রচারিত ছবিটি প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদিত।
হাসনাত আব্দুল্লাহ আবার বিয়ে করেছেন কিনা সে বিষয়ে জানতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলার সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন মুহাম্মদ রুবেলের মাধ্যমে হাসনাত আব্দুল্লাহর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ। হাসনাত আব্দুল্লাহর সাথে জিয়া উদ্দিন মুহাম্মদ রুবেল কথা বলে আমাদের জানান, বিষয়টি সম্পুর্ণ ভুয়া।
এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে ফ্যাক্টচেকের পক্ষ থেকে হাসনাত আব্দুল্লাহ মোবাইল ফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এর আগে আজকের পত্রিকার ঢাকা বিশবিদ্যালয় (ঢাবি) প্রতিনিধি ফারুক সিদ্দিকের সঙ্গে হাসনাত আব্দুল্লাহর ঘনিষ্ঠজন মোস্তফা হোসাইন আল আকিলের কথা হয়। তিনি বলেন, ‘এটা ভাইয়ের (হাসনাত) নামে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এরকম কোনো কিছু হয়নি।’
সুতরাং, হাসনাত আব্দুল্লাহ আবার বিয়ে করার দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং এই দাবিতে প্রচারিত ছবিটি প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে তৈরি করা হয়েছে।
তাহসান খানের বিয়ের দৃশ্য দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের এক যুবকের বিয়ের দৃশ্য। ভিডিওতে দেখা ব্যক্তি মৃত মাকে মনে করে আবেগাপ্লুত হয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভিডিওটি তাহসানের বিয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এবং এই দাবির কোনো প্রমাণ নেই। আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক অনুসন্ধা
১০ ঘণ্টা আগেশরিফুল হক ডালিমের স্ত্রী দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘জন্মগতভাবে কেউ ভিলেন থাকে না, পরিস্থিতি তাকে ভিলেন বানিয়ে দেয়! আমার নিম্মি হও। আমি তোমার ডালিম হব।’ ভিডিওতে আরও দাবি করা হয়েছে, শেখ মুজিবুর রহমানের ছেলে শেখ কামাল শরিফুল হক ডালিমের স্ত্রী নিম্মিকে বন্দী
১ দিন আগেসন্তান প্রসবের সময় একজন নারী কেমন ব্যথা অনুভব করেন তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে একটি তথ্য ঘুরে বেড়াচ্ছে। তা হলো- একজন স্বাভাবিক মানুষ সর্বোচ্চ ৪৫ ডেল ব্যথা সহ্য করতে পারে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর একাধিক পোস্টে দাবি করা হয়, সন্তান প্রসবের সময় নারী যে ব্যথা অনুভব করেন, তা ৫৭ ডেলের চেয়েও
১ দিন আগেফিলিস্তিনের গাজা উপাত্যকায় ১৫ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় নিঃস্ব বাস্তুচ্যুতদের জীবন আরও কঠিন করে তুলেছে বৈরী আবহাওয়া। একে তো অনেক শীত, তার ওপর প্রবল বৃষ্টি। বৃষ্টির পানির কারণে গাজা উপাত্যকায় হাসপাতালসহ বিভিন্ন জায়গায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যা গাজাবাসীর কষ্ট দ্বিগুন করেছে।
৩ দিন আগে