ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
হামাস–ইসরায়েল সংঘাত ইস্যুতে ‘বয়কট কোকা–কোলা’ ক্যাম্পেইন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। বয়কট আহ্বানকারীদের দাবি, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাতে ইসরায়েলকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে কোমল পানীয় কোম্পানি কোকা–কোলা। এই ইস্যুকে ঘিরে সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপনও নির্মাণ করে কোকা–কোলা বাংলাদেশ। বিজ্ঞাপনটিতে প্রতিষ্ঠানটি দাবি করে, ‘কোকা–কোলা ইসরায়েলের পণ্য নয়, মানুষ সঠিক তথ্য না জেনেই পণ্যটি বয়কটের ডাক দিয়েছে।’ এ নিয়ে আবার নতুন করে আলোচনায় আসে ‘বয়কট কোকা–কোলা’ প্রচারণাটি। এর মধ্যেই ১৩ জুন ‘মুহাম্মদ আনোয়ার’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েকজন কিশোরের কোকা–কোলার লোগো সংবলিত জার্সি পরা একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে দাবি করা হয়, ফিলিস্তিন জুনিয়র ফুটবল টিমের স্পনসর করেছে কোকা–কোলা।
একই ছবি পোস্ট করে ইঞ্জিনিয়ার মামুন নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘এখন কি তোমরা ফিলিস্তিনিদেরও বয়কট করবা? যেসব ‘ভণ্ডরা’ ফিলিস্তিনিদের পক্ষ হয়ে কোকা–কোলা বয়কট করেছে, সেই কোকা–কোলার স্পনসর নিয়েছে সেই ফিলিস্তিনিরা নিজেরাই!’ যদিও আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ভাইরাল এ ছবির গল্প ভিন্ন।
ভাইরাল ছবিটি রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ‘কুদস নেট নিউজ এজেন্সি’র ওয়েবসাইটে ২০২২ সালের ১০ আগস্টে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ওই বছর নরওয়েতে অনুষ্ঠিত নরওয়েজিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ রাওয়াহেল চ্যারিটি অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি দাতব্য সংস্থার ফুটবল দল। ভাইরাল ছবিটি ওই ফুটবল দলের।
রাওয়াহেল চ্যারিটি অ্যাসোসিয়েশনের ফুটবল দলটিকে খেলাধুলার পোশাক সরবরাহ করে ন্যাশনাল বেভারেজ কোম্পানি (এনবিসি) নামের একটি স্বাধীন কোম্পানি। এনবিসি এর আগেও রাওয়াহেল চ্যারিটি অ্যাসোসিয়েশনের ফুটবল দলকে ২০১৯ সালে স্প্যানিশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপের সময় স্পনসর করে। প্রতিবেদনটির কোথাও এই দলটিই ফিলিস্তিনের জুনিয়র ফুটবল দল—এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। রাওয়াহেল চ্যারিটি অ্যাসোসিয়েশন ৭ থেকে ৩০ বছর বয়সী প্রতিভাবান কিশোর–তরুণদের নিয়ে কাজ করে থাকে।
পরে আরও খুঁজে এনবিসির ওয়েবসাইটেও একই তথ্য পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে ২০২২ সালের ১০ আগস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এনবিসির জেনারেল ম্যানেজার ইমাদ আল হিন্দি বলেন, রাওয়াহেল চ্যারিটি অ্যাসোসিয়েশনের ফুটবল দলের জন্য এনবিসির সহযোগিতা আগের মতোই অব্যাহত থাকবে। যেমনটা করা হয়েছিল ২০১৯ সালে।
অর্থাৎ কোকা–কোলার লোগো সংবলিত জার্সি পরা যে দলটিকে ফিলিস্তিনের জুনিয়র ফুটবল দল দাবি করা হচ্ছে, সেটি মূলত ফিলিস্তিনি কিশোর–তরুণদের নিয়ে কাজ করা রাওয়াহেল চ্যারিটি অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি দাতব্য সংস্থার নিজস্ব ফুটবল দল। এর সঙ্গে ফিলিস্তিনের জাতীয় ফুটবলের কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ফিলিস্তিনে কোকা–কোলার ফ্যাক্টরি খোলার পেছনে বড় ভূমিকা রাখে এই এনবিসি। কোকা–কোলার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এনবিসি সম্পর্কে বলা হয়েছে, এটি একটি স্বাধীন কোম্পানি। তবে কোকা–কোলার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধভাবে এটি পরিচালিত হয়। ১৯৯৮ সাল থেকে এনবিসির সঙ্গে যৌথভাবে কোকা–কোলা গাজায় স্কুল পরিচালনা, রোজায় ইফতার বিতরণ থেকে শুরু করে নানা ধরনের সমাজসেবামূলক কাজ করে বলেও ওয়েবসাইটটিতে দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:–
হামাস–ইসরায়েল সংঘাত ইস্যুতে ‘বয়কট কোকা–কোলা’ ক্যাম্পেইন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। বয়কট আহ্বানকারীদের দাবি, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাতে ইসরায়েলকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে কোমল পানীয় কোম্পানি কোকা–কোলা। এই ইস্যুকে ঘিরে সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপনও নির্মাণ করে কোকা–কোলা বাংলাদেশ। বিজ্ঞাপনটিতে প্রতিষ্ঠানটি দাবি করে, ‘কোকা–কোলা ইসরায়েলের পণ্য নয়, মানুষ সঠিক তথ্য না জেনেই পণ্যটি বয়কটের ডাক দিয়েছে।’ এ নিয়ে আবার নতুন করে আলোচনায় আসে ‘বয়কট কোকা–কোলা’ প্রচারণাটি। এর মধ্যেই ১৩ জুন ‘মুহাম্মদ আনোয়ার’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েকজন কিশোরের কোকা–কোলার লোগো সংবলিত জার্সি পরা একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে দাবি করা হয়, ফিলিস্তিন জুনিয়র ফুটবল টিমের স্পনসর করেছে কোকা–কোলা।
একই ছবি পোস্ট করে ইঞ্জিনিয়ার মামুন নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘এখন কি তোমরা ফিলিস্তিনিদেরও বয়কট করবা? যেসব ‘ভণ্ডরা’ ফিলিস্তিনিদের পক্ষ হয়ে কোকা–কোলা বয়কট করেছে, সেই কোকা–কোলার স্পনসর নিয়েছে সেই ফিলিস্তিনিরা নিজেরাই!’ যদিও আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ভাইরাল এ ছবির গল্প ভিন্ন।
ভাইরাল ছবিটি রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ‘কুদস নেট নিউজ এজেন্সি’র ওয়েবসাইটে ২০২২ সালের ১০ আগস্টে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ওই বছর নরওয়েতে অনুষ্ঠিত নরওয়েজিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ রাওয়াহেল চ্যারিটি অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি দাতব্য সংস্থার ফুটবল দল। ভাইরাল ছবিটি ওই ফুটবল দলের।
রাওয়াহেল চ্যারিটি অ্যাসোসিয়েশনের ফুটবল দলটিকে খেলাধুলার পোশাক সরবরাহ করে ন্যাশনাল বেভারেজ কোম্পানি (এনবিসি) নামের একটি স্বাধীন কোম্পানি। এনবিসি এর আগেও রাওয়াহেল চ্যারিটি অ্যাসোসিয়েশনের ফুটবল দলকে ২০১৯ সালে স্প্যানিশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপের সময় স্পনসর করে। প্রতিবেদনটির কোথাও এই দলটিই ফিলিস্তিনের জুনিয়র ফুটবল দল—এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। রাওয়াহেল চ্যারিটি অ্যাসোসিয়েশন ৭ থেকে ৩০ বছর বয়সী প্রতিভাবান কিশোর–তরুণদের নিয়ে কাজ করে থাকে।
পরে আরও খুঁজে এনবিসির ওয়েবসাইটেও একই তথ্য পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে ২০২২ সালের ১০ আগস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এনবিসির জেনারেল ম্যানেজার ইমাদ আল হিন্দি বলেন, রাওয়াহেল চ্যারিটি অ্যাসোসিয়েশনের ফুটবল দলের জন্য এনবিসির সহযোগিতা আগের মতোই অব্যাহত থাকবে। যেমনটা করা হয়েছিল ২০১৯ সালে।
অর্থাৎ কোকা–কোলার লোগো সংবলিত জার্সি পরা যে দলটিকে ফিলিস্তিনের জুনিয়র ফুটবল দল দাবি করা হচ্ছে, সেটি মূলত ফিলিস্তিনি কিশোর–তরুণদের নিয়ে কাজ করা রাওয়াহেল চ্যারিটি অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি দাতব্য সংস্থার নিজস্ব ফুটবল দল। এর সঙ্গে ফিলিস্তিনের জাতীয় ফুটবলের কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ফিলিস্তিনে কোকা–কোলার ফ্যাক্টরি খোলার পেছনে বড় ভূমিকা রাখে এই এনবিসি। কোকা–কোলার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এনবিসি সম্পর্কে বলা হয়েছে, এটি একটি স্বাধীন কোম্পানি। তবে কোকা–কোলার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধভাবে এটি পরিচালিত হয়। ১৯৯৮ সাল থেকে এনবিসির সঙ্গে যৌথভাবে কোকা–কোলা গাজায় স্কুল পরিচালনা, রোজায় ইফতার বিতরণ থেকে শুরু করে নানা ধরনের সমাজসেবামূলক কাজ করে বলেও ওয়েবসাইটটিতে দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:–
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারকে ঘিরে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নাম বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল...
১৯ ঘণ্টা আগেছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর তিনদিন পর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয় ৮ আগস্ট। এরপর ১০০ দিন পার করেছে এই সরকার...
১ দিন আগেবর্তমানে দিল্লিতেই অবস্থান করছেন হাসিনা। ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুতির পর তিনি আর প্রকাশ্যে আসেননি। সম্প্রতি ফেসবুকে তাঁর ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ভারতে তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে।
৩ দিন আগেসম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এমন একটি কল রেকর্ডে শেখ হাসিনার কণ্ঠে দাবি করা হয়, ‘চাকরির বয়স নিয়ে আন্দোলন করতে যমুনার সামনে গেল, সাথে সাথে গুলি করল। সেখানে একজন মারা গেল এবং পিটিয়ে উঠিয়ে দিল।’
৩ দিন আগে